গত কয়েকমাসে বাজারে যে সমসত্ম ভিডিও গেম এসেছে তার অনেকগুলো হয়তো এখন কম্পিউটারে রয়েছে এবং সেগুলো ইতমধ্যে খেলা হয়েও গেছে। কিন্তু যারা গেম খেলতে ভালোবাসে তাদের বিবেচনায় ২০০৯ শ্রেষ্ঠ গেম কোনগুলো? আসুন দেখা যাক এই রকম সেরা ২০টি গেম যেগুলো আমরা পেয়েছি এ বছরই।
এই গেমের সেটিং ও আফ্রিকান ভুত জোম্বিদের নিয়ে বির্তক চলছেই তারপরে রেসিডেন্ট এভিল ৫ এমন একটা গেম যা ২০০৯ সালের অন্যতম সেরা গেম। বাজারে আসার আগেই এই গেম আলোড়ন তৈরি করেছে। আগের তুলনায় এখন এই গেমে আরো অনেক অস্ত্র ও অনেক অপশন বা বিভিন্ন সুবিধা রয়েছে। আর এগুলো সবই অনেক দ্রুত গতির। এখন এর ভক্তরা অপেক্ষায় রয়েছে তাদের প্রথম রেসিডেন্ট এভিল গেম যা পিএসথ্রি ও এক্সবক্স ৩৬০ এসেছে।
এখন থেকে চার বছর আগে আমরা কিলজোন ২ এর অংশ বিশেষ দেখেছি। কিন্তু তারপরেই এর আর কোন খবর ছিল না। এ বছরে এই গেমটি আবার এলো বাজারে।
পূর্বের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই এ বছরের অন্যতম সেরা গেম এটি। এটি এবার কনসোল সংস্করণে এসেছে। এটি ২ডি বানানো, কিন্তু তার রং, এনিমেশন এবং ভিজুয়াল ইভেক্ট সব মিলিয়ে গেমটিকে স্ট্রিট ফাইটারের যতগুলো সংস্করণ হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম সেরাতে পরিণত করেছে।
২০০৭ সালে স্কেট নামের গেমটি বলা যায় টনি হক নামের প্রতিষ্ঠানটিকে স্কেটবোর্ড গেম থেকে হটিয়ে দিয়েছিল। এক চমৎকার খেলার স্টাইল যা এক এনালগ স্টিক ওরফে লাঠি দিয়ে খেলা হয় যেখানে এক মজার শহরে স্কেট করা হয়। এখন এই গেম নির্মতারা এতে আরো ভিন্ন ধরনের নড়াচড়া ও অনেক এলাকা এতে যোগ করেছেন। গেম খেলার জন্য আর কি চাই।
স্পাইক টিভির এই এনিমেশন ধারাবাহিক সিরিয়াল চলচিত্রেও সাফল্য লাভ করেছে। এরপর বাকী ছিল ভিডিও গেম তৈরি করা। এই গেম তৈরি করা হয়েছে কাছাকাছি খেলা যায় এমন সব অস্ত্র নিয়ে কিন' এই গেমে কণ্ঠ দিয়েছে বিখ্যাত হলিউড অভিনেতা স্যামুয়েল এল জ্যাকসন ও রন পার্লম্যান। এই গেমে অ্যাকশন, শিল এবং গল্প সবই রয়েছে।
মুল এফইএ-এর ২০০৬ সালে এক্সবক্স৩৬০ ও ২০০৭ সালে পিএস৩ নিয়ে আসা হয়েছিল। সে সময় এই গেমটি তার গল্প এবং গেমে বিচিত্র সব উপাদানের কারনে আলোচিত হয়। এফইএ-এর২ তার সেই সব উপাদান ফিরিয়ে আনছে এর সাথে আনছে ভয় পাওয়া ভুত, আর তাদের তাড়াবার জন্য শক্তিশালি অস্ত্র, এইসব ভুতেরা এখন আরো বড় পরিবেশে বাস করে।
গড ফাদার বইটি চলচিত্রে রূপ দেওয়া হয়। সে সময় কার্লিয়ানি পরিবারের কর্মকর্তাকে কেবল পর্দায় দেখেছেন। কিন' এবার আপনি নিজেই এই পরিবারের সাথে মিশে কাজ করতে পারবেন, মানে গেম খেলতে পারবেন। এবার আপনিও একজন ডন হিসেবে নিউ ইর্য়ক, মায়ামি, ও কিউবার কিছু অংশ নিয়ন্ত্রণও করতে পারবেন।
এই গেম মুল হালোর ২০ বছর আগের ঘটনাকে তুলে এনেছে এবং না, এখানে মাস্টার চীফ এখানে নেই। হালো ওয়ারস মুলত রিয়েল টাইম বা একই সময়ে পরিকলনা করার এক গেম। মুল হালো গেমসের মতো এখানে একজনই যোদ্ধা নয়, এখানে পুরো একটা যোদ্ধা দলকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। হালো বিশ্বের মাঝেই এই খেলা।
পুর্বের গেমের মত এ বছর আরেকটি দারুণ গেম বাজারে এলো।
ঘোস্টবাস্টার চলচিত্রের মতোই এই গেমটি। ঘোস্টবাস্টার মুভির লেখক ও তারকা ডান একরিওড। যদি এই চলচিত্রের তৃতীয় কোন ছবি হতো তা হলে তা এই ভিডিও গেমটির মতো হতো। এই গেমটি বাজারে আসতে দুই বছর সময় নেয়। এবার ভুতেরা নেমে এলো নিউ ইর্য়কের রাস্তায়।
এখানে অনেক ব্যক্তি আছে যারা অন্যদের গুলি করবে। এরা এই কাজটি করবে টাকার জন্য। এখানে খেলোয়ার একজন খনি শ্রমিকের ভুমিকায় অভিনয় করবে এবং সে মঙ্গলে যাবে যাতে বাড়তি কিছু আয় করা যায়। মঙ্গলের শাসকরা দুর্নীতিগ্রস্ত এবং সেখানে গিয়ে খেলোয়ার গেরিলা যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।
পেস্নস্টেশন৩ সংস্করণে আপনি এর ছোট্ট সংস্করণটি দেখেছেন। তবে এই সংস্করণের মধ্যে দিয়ে গেমটির পুরো রোমাঞ্চ বোঝা যাবে না। মূল মজা পেতে গেমটি খেলতে হবে এক্সবক্সে।
এই গেমটিকে সাধারণত হালো: রেকন নামে জানা যায়। ইউএনএসসি বা জাতিসংঘ রক্ষীর এক সৈনিক হিসেবে খেলেয়ার কেনিয়ায় যাবে তার সঙ্গীদের খুঁজতে, তবে ইতোমধ্যে পৃথিবী দখল হয়ে যাবে। যদিও এখানে খেলোয়ার মাস্টার চিফ বা প্রধান হিসেবে খেলতে পারবে না তবে সে বের করতে পারবে হালোর ২ এর পর পৃথিবীর কি দশা হল।
২০০৭ সালে এই গেমটি জাপানে ছাড়া হয়। কিন' এবার টাককেন ৬ পিএস৩ এবং এক্সবক্স উভয়টিতে জায়গা করে নেবে। এই নতুন গেমটিতে আরো নিত্যনতুন অস্ত্র যোগ হয়েছে, তার সাথে এতে বাড়তি কিছু চালও আছে। এতে পুরোন কিছু প্রিয় টাককেন চরিত্রকে আবার ফিরে এসেছে ও তার সাথে কিছু নতুন মুখও যোগ হয়েছে।
এক অসাধারণ পুরোন গেম যেটি নতুন ভাবে থ্রিডি আকারে এলো নতুন প্রজন্মের কনসোলে। নাথান স্পেনার তার বায়োনিক হাত দিয়ে লড়াই করে। সে অআসেনসিয়ন সিটির মাঝ দিয়ে যাবার সময় তাকে সন্ত্রাসীরা বোমা মারে। এখন খেলোয়াররা কেবল জানবে তার কি করতে হবে। হ্যা এখানে খেলোয়ার আর কেউ নয় নাথান স্পেনার।
ব্রম্নটাল লিজেন্ডের আগমনের ঘোষণা আসে ২০০৭ সালে। এর পর সব চুপচাপ। গতমাসে এর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডাবল ফিন প্রডাকশন এর এক বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান ইএকে পাওয়ার পর ২০০৯ সালে এই গেম বাজারে আসার সম্ভবনা তৈরি হয়। এখানে হলিউডের অভিনেতা জ্যাক স্নাক অভিনয় করেছেন, মানে কণ্ঠ দিয়েছেন। এখানে খেলোয়ার এডি রিগ এর ভুমিকায় খেলে যে হেভি মেটাল ব্যান্ড তৈরি করবে যাতে সে এক রক এন্ড রোল সেনাবাহিনী তৈরি করতে পারে। এর উদ্দেশ্য এক শয়তানের বিরুদ্ধে লড়াই।
মার্চে বায়োওয়ারের প্রজেক্ট ডিরেক্টর ক্যাসি হাডসন গেম বিষয়ক সাময়িকীতে জানান যে ম্যাস ইফেক্ট এর ভক্তরা অবশ্যই পুরোন গেম ফাইল জমা রাখে। কারণ পরবর্তী গেমসেও তা কাজে লাগবে। সে কাজে লাগানো এমন ক্যারিসম্যাটিক হবে কে বুঝতে পেরেছিল।
এটা গেম প্রিয়দের জন্য ছিল এক বিশাল আনন্দের সংবাদ যখন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ঘোষণা দেয় এটি এক্সবক্স৩৬০ এ আসছে। এ বছর এটি আরো অসাধারণ চেহরায় এসেছে।
(পিএস৩)- এর পুর্বের দুটি সংস্করণ অসাধারণ দুটি গেম ছিল। নিরাশ করে নি তৃতীয়টিও।
এই গেমে খেলোয়ার আলেক্স মারসের এর ভুমিকায় খেলবে। গেমের মধ্যে আলেক্স নিজেকে খুঁজে বের করার চেষ্টায় রত।
এর মাঝে সে লড়াই করে বিভিন্ন প্রাণী, সামরিক বাহিনীর সঙ্গে এবং যে কোন লোকের সাথে যার চেহারা বদলে যায়।
আমি [আইটিপ্রেমী রুহুল ]। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 15 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 70 টি টিউন ও 1077 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
"মাতৃভাষায় জানতে চাই, শিখতে চাই " ----- ([email protected])
thanks for tune