আজকের বলবো তোমাদের কোন দশটা স্কিল ডেভেলপ করা উচিত। সেটা তুমি যা কিছু হতে চাও না কেন। তুমি হয়তো বা ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার ব্যাংকার যা কিছু হতে চাও না কেন তোমার স্কিল গুলো অবশ্যই কাজে লাগানোর জন্য ডেভলপ করা উচিত। আজকের টিউনটি একটু বেশি আলাদা হতে যাচ্ছে তো সবাই রেডি হয়ে নাও আজকের স্কিল্টি সম্পর্কে জানার জন্য। তো চল শুরু করা যাক।
১. মাইক্রোসফট এক্সেলঃ প্রথম যে স্কিলটির কথা বলব সেটি হচ্ছে একটি সফটওয়্যার। সেটির নাম হছে এক্সেল বা মাইক্রোসফট এক্সেল। কারণ তুমি দুনিয়াতে যা কিছুই করো না কেন তোমার এই সফটওয়্যারটি সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবেই হবে। অর্থাৎ মাইক্রোসফট এক্সেল সফটওয়্যার টি সম্পর্কে তোমার সম্পূর্ণ ধারণা থাকতে হবে মানে এই স্কিল্টি সম্পর্কে শিখতে হবেই হবে। এক ছেলে তোমার বিদ্যার জাহাজ হওয়ার দরকার নাই বরং এক্সেল এর বেশি কিছু শিখলেই তোমার অনেক কিছু শেখা হয়ে যাবে বা তুমি এক্সেলে কাজ জানলে অফিস বা চেম্বার যেকোনো জাইগায় তুমি সহজভাবে কাজ করতে পারবে। তবে প্রথম যে এক্সেল এর কাজ শিখতে হবে তাহলো এক্সেলে কতগুলো সংখ্যা থাকে সেগুলো তোমাকে রপ্ত করতে হবে। তুমি এই সংখ্যাগুলো দিয়ে কিভাবে সহজ ভাবে ডাটাবেজ তৈরি করব কিভাবে একটি টাটা বাস থেকে অন্য ডাটাবেজে ট্রান্সফার করবো সেগুলো খুঁটিনাটি শিখে নিবা। তুমি এই সংখ্যাগুলোর মাধ্যমে কিভাবে সংখ্যার সূত্রগুলো মুখস্থ করা যায় সেগুলো রপ্ত করে নিবা। তাহলে খুব সহজভাবেই যে কোন সুত্র মুখস্ত করলেই তুমি ডাটাবেজ তৈরী করতে পারবে। এই সংখ্যাগুলো এগুলো খুবই সহজ কাজ, তেমন কোনো কঠিন কাজ নয়। তুমি এক্সেলের কাজ শিখতে পারলে তুমি অফিস বা চ্যাম্বারে যেকোনো জায়গায় কাজ করার সুযোগ পাবা। এগুলো হল বেসিক লেভেল।
তুমি চাইলে এডভান্স লেভেল শিখতে পারো। যেমন এডভান্স লেভেলে রয়েছে তুমি এক্সেলের উপরে কভার রয়েছে সেগুলোর মাধ্যমে কিভাবে সেগুলো রপ্ত করতে পারব্। এরপর হয়েছে তুমি চাইলে কিভাবে প্রিন্ট আউট করা যায় এক্সেল থেকে তা শিখে নিবা। তাহলে তুমি একটা মাধ্যমে ডাটাবেস সংরক্ষণ করতে পারবা কিংবা অন্যান্য কাজের জন্য তুমি চাইলে প্রিন্ট আউট করে রাখতে পারবা। এখন তুমি জিজ্ঞেস করতে পারো ভাই আমি এক্সেল জিনিস টা কোথায় পাবো। যদি একটা পিসি কেন তাহলে তোমাকে সেখানে তারা মাইক্রোসফট এক্সেল মাইক্রোসফট সফটওয়্যারটি দিয়ে দিবে সেখানে মাইক্রোসফট এর বিভিন্ন সফটওয়্যার বা ক্যাটাগরি সফটওয়্যার গুলো রয়েছে। তুমি সেখানেই মাইক্রোসফট এক্সেল পেয়ে যাবা। এই জিনিসটা তোমার অবশ্যই লাগবেই লাগবে।
২. টাইপিংঃ নাম্বার দ্বিতীয় যে স্কিলটি তোমার জানা দরকার সেটি হচ্ছে টাইপিং। তোমার অবশ্যই টাইপিং এর স্পিড ভালো হতে হবে। তা না হলে তুমি পিছিয়ে যাবে। তোমার টাইপিং স্পিড কমপক্ষে এক মিনিটের মধ্যে 300 হতে হবে। তুমি যদি প্রোগ্রামার হওয়া তাহলে তোমার সেখানেও তোমার টাইপিং স্পিড থাকতে হবে এবং তুমি যদি এমনকি একজন সেলসম্যান বা মার্কেটিং এক্সেকিউটিব হও তাও তোমার অবশ্যই টাইপিং এর স্পিড ভালো হতে হবে। কারণ বর্তমান যুগের তোমার অবশ্যই কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা মোবাইলে যেকোনো একটায় তোমার থাকবেই থাকবে এবং একটি সামনে তোমার কমপক্ষে ৪ ঘন্টা অবশ্যই থাকতে হবে। এর মাধ্যমেই তোমার কাজ সম্পন্ন করতে হবে। অনলাইনে একটা জব আছে সেটি হল ডাটা এন্ট্রি জব। তোমাকে ডাটা এন্ট্রি জব করার জন্য অবশ্যই টাইপিং স্পিড ভালো হতে হবে। তা না হলে তুমি ক্লান্ত হয়ে যাবে।
৩. ইমেইল রাইটিংঃ নাম্বার থ্রি যে স্কুলটি তোমার জানা দরকার সেটি হল ইমেইল রাইটিং তোমার যেকোন অফিসিয়াল কাজের জন্য তোমাকে কারো কাছে অবশ্যই মেইল করতে বলা হবে বা তোমার বস কোন এক সময় বলবে তোমাকে মুখ ইমেইলে মিল করে পাঠাতে হবে। এমনকি তোমাকে তোমার বস বলতে পারে এই মেইলের সাথে একটা অ্যাটাচমেন্ট করে দিতে। তুমি কিভাবে কাজ করতে হয়, কিভাবে এটাচ করে মেইল রাইটিং করতে হয় বা সাবজেক্ট কিভাবে লিখতে হয় ্বা ইমেইলের সিসি কি বা বিসিসি কি সেগুলো অবশ্যই জানতে হবে। কিভাবে অল্প কথায় সামারি লেখা যায়, কিভাবে সাবজেক্ট খুব কম সংখ্যক শব্দ লিখতে হয্ তা তোমার কমিউনিকেশন কিভাবে করতে হয় তা শিখতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় অনেকে সাবজেক্ট অপশনে বিশাল একটা প্যারাগ্রাপ লিখে দেই। তাহলে তোমার ওই মেসেজটি পড়তে বিরক্তবোধ করবে। তাই তোমার ইমেইল কিভাবে রাইটিং করতে হয় তা ধারণা থাকতে হবে।
৪. ফটোশপঃ ফটোশপ সম্পর্কে তোমার ধারণা থাকতে হবে। কারণ যেকোনো কাজেই তোমার ব্যাকগ্রাউন্ড চেঞ্জ করার জন্য অবশ্যই ফটোশপ এর কাজ জানতে হবে কিংবা কোন একটা ফ্রিলান্সিং অথবা স্কুল বা কলেজের কাজেও আজকাল ফটোশপের কাজ জানা দরকার।
৫. ওয়েবসাইটঃ নাম্বার ফাইভ হচ্ছে তোমার একটি ওয়েবসাইট থাকা দরকার। মানে পার্সোনাল ওয়েবসাইট তুমি যদি ওয়েব ডেভেলপার না হও তাও তুমি ওয়েব এর বিভিন্ন থিম নিয়ে ইউটিউব থেকে শিখে একটি পার্সোনাল ওয়েবসাইট বানিয়ে নিতে পারো এটির জন্য তোমাকে কোনো কোডিং বা ডেভেলপার হতে হবে না তুমি ইউটিউব থেকে দেখেই খুব সহজভাবে একটি পার্সোনাল ওয়েবসাইট বানিয়ে নিতে পারো।
৬. সেলস সামথিং স্কিলঃ নাম্বার ছয় স্ক্রিলটি এক্টু আলাদা। সেটি হলো সেলস সামথিং স্কিল। আমরা অনেকেই মার্কেটিং কাজের জন্য স্কিল ব্যবহার করে থাকে সেটি হলো শেষ মার্কেটিং স্কিল বা বিক্রয় দক্ষতা। আপনি যদি বিক্রয় দক্ষতা আপনার ভাইভাতে দেখাতে পারেন তাহলে আপনার এই জবটি পেতে খুব কাজে লাগবে। তাই আপনার সেলস সামথিং স্কিল থাকাটা খুব দরকার।
৭. ইংলিশ কনভারসেশনঃ নাম্বার সেভেন যে স্কিলটা রয়েছে সেটি হলো ইংলিশ কনভারসেশন। যেকোনো কাজেই তোমাকে ইংলিশ কনভারসেশন জানা থাকতে হবে। অর্থাৎ ইংলিশে কথা বলতে হবে। ইংলিশ শেখার বই কিনে নিয়ে ইংলিশ কনভাসেশন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজে নিজে কথা বলে ইংলিশ শিখতে পারলে তুমি জবের ক্ষেত্রে যে কোন জায়গায় তুমি অনেক অর্জন করতে পারবা। তার বিনিময়ে তুমি অনেক সফলতা অর্জন করতে পারবা এবং যে কোন কাজ সহজভাবে করতে পারবা। এমনকি ইমেইল করার ক্ষেত্রেও তোমার ইংলিশ জানা জরুরি।
৮. ডিজাইনঃ নাম্বার আট যে অপশনটি রয়েছে সেটি হল ডিজাইন করা। তুমি চাইলে ইউটিউবে একটি থামনেল দেওয়ার জন্য ডিজাইন করতে পারো কিংবা কভার ফটো দেওয়ার জন্য ডিজাইন করতে পারো কিংবা অফিস কিংবা চেম্বারে জন্য তুমি ডিজাইন করতে পারো আর তুমি যদি সুন্দরভাবে ডিজাইন করতে পারো তাহলে তুমি আকর্ষণীয়ভাবে মানুষের কাছে একটা আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে গড়ে উঠবে।
৯. এডিটিং ভিডিওঃ নাম্বার নয় যে অপশনটি রয়েছে সেটি হল এডিটিং ভিডিও। তুমি হয়তো বা ইউটিউব করো না কিংবা ইউটিউব ভিডিও এডিট করার জন্য কোন কিছু কর না। তারপরও তোমার আজকাল ভাইবার জন্য ভিডিও বায়োডাটা জমা দেওয়ার জন্য ভিডিও রেজুম জরুরি হয়ে পড়ে। বর্তমানে ভিডিও ভিডিও রেজিউম খুব দরকারী হয়ে পড়ে। এই যেমন ধরো বিডিজবস ডটকমে ভিডিও ্রেজিউম দরকার হয়। ভাইবা বোর্ডে ডাক পেতে হলে কিংবা চাকরি পেতে ভিডিও এডিটিং খুব জানা দরকার।
১০. শখঃ দশ যে অপশনটি রয়েছে সেটি কোন স্কিল না, সেটি হল তোমার হবি কোনটি তা খুঁজে বের করা। হতে পারে তোমার সাইকেল চালাতে ভালো লাগে। কিংবা পড়তে ভালো লাগে কিংবা গান গাইতে কিংবা ছবি আঁকতে ভালো লাগে কিংবা ফটো তুলতে থাকে কিংবা ফটোশপের কাজ করতে ভালো লাগে কিংবা গিটার বাজাতে ভাললাগে কিংবা খেতে ভালো লাগে। কোন একটি নিয়ে সেটি অবসর সময়ে কাজে লাগাবে ্তাহলে মন মেজাজ ভালো থাকে এবং কাজের উদ্দ্যমতা বাড়বে।
তো বন্ধুরা আজকের টিউনটি কেমন হল তা টিউমেন্ট করে জানিয়ে দিও আর আজ আর লিখছি না পরবর্তীতে আবার আসব নতুন কোন টিউন নিয়ে। তো আজ এ পর্যন্তই। টাটা।
আমি সজিব মাহমুদ সাইমুন। কাস্টমার কেয়ার এক্সেকিউটিভ, এশিয়া ইন্টারন্যাশনাল টেক (প্রাইভেট) লিমিটেড, চট্টগ্রাম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 2 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 26 টি টিউন ও 18 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 7 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।
আমি যে দুরন্ত, দুচোখে অনন্ত,ঝরের দিগন্ত ঝুরেই সপ্ন সাজাই।