শুরুতেই বলে রাখছি আজকে আমি অনেক খুশি, গতকাল আমার ফিরে আসা নিয়ে একটি টিউন করেছিলাম, আপনাদের এত সাড়া পাবো তা কল্পনাও করতে পারিনি। আপনারা কত কস্ট করে আমার জন্য সমবেদনা জানিয়েছেন তা চিন্তা করেই মনটা খুশিতে ভরে উঠছে। কাউকে ভালবাসলে যে তার প্রতিদান পাওয়া যায়, আমার কাছে তার জলন্ত প্রমান কালকের টিউন টি। আমি অন্তর থেকে ভালোবাসি টেকটিউনস কমিউনিটিকে এবং টেকটিউনস কমিউনিটি আমাকে কতটা ভালোবাসে তা আমার কাছে এখন জলের মত পরিষ্কার। আপনাদের সবার ভালোবাসা আমাকে এগিয়ে যেতে অনেক সাহায্য করবে। আপনারা বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না, আপনাদের কালকের এই সহমর্মিতা আমার মনের জোর অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছে। সবাইকে তাই বড় করে আবারো আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই, আশা করি ভবিষ্যতেও আমার যে কোন সমস্যায় আপনাদের পাশে পাবো।
আপনাদের ভালোবাসায় অনুপ্রানিত হয়ে আমার আজকের এই টিউন। আমার আজকের এই টিউন একটি বিতর্কিত বিষয় নিয়ে। শুনেছিলাম ঢাকার আকাশে নাকি টাকা উড়ে, এখন দেখি টিটির ওয়ালেও অনেক টাকা পাওয়া যায়!! এমনকি ঘুমিয়ে থাকলেও! বিভিন্ন স্ক্যাম পোস্ট/বিজ্ঞাপন আজকাল বেশি দেখা যাচ্ছে। তাই অনলাইন ইনকাম এখানে একটি বিতর্কিত বিষয়। সাইফুলের একটি কথার সাথে আমি ২০০% একমত যে "টেকটিউনস জ্ঞানের কারখানা, ডলারের নয়"। অনলাইন ইনকাম খারাপ কিছু নয় কিন্তু খুব দুঃখজনক হলেও সত্যি অনলাইন ইনকাম নিয়ে যে টিউন গুলো হয় তার ম্যাক্সিমামই হয় রেফারেল এর জন্য অথবা বিজ্ঞাপনের জন্য, যা আমাদের প্রধান বিরক্তির কারন। গুটিকয়েক টিউনার ছাড়া আয় এর সঠিক রাস্তাটা অর্থাৎ জ্ঞানের কারখানাটার সন্ধান কেউ দেয় না। তাই আজকে আমি আপনাদের সাথে অনলাইনে সঠিক ভাবে আয় সম্পর্কে হাল্কা পাতলা আলোচনা করবো, যদিও আমি একেবারেই নতুন। এই বিতর্কিত বিষয় নিয়ে টিউন টা করতে হচ্ছে কারন এটি নিয়ে রোজ রোজ ক্যাচাল ভাল্লাগে না।
ইন্টারনেটে আয় সম্পর্কে অনেকরই অনেক ধারনা আছে, অনেকে ভাবেন এটি সম্পুর্ন ভুয়া স্পেশালি পিটিসির নাম শুনলে ক্ষেপে যান। অথবা অনেকে ভাবেন কোন নির্দিস্ট কাজ না জানলে আয় করা সম্ভব নয়। এই ধারনাটি ঠিক না। আপনার কোন নির্দিস্ট কোন কাজ জানা না থাকলেও হাল্কা পাতলা আয় করতে পারবেন। বাংলাদেশে বেশ কয়েকভাবে অনলাইন থেকে আয় করা যায় সেগুলো সম্পর্কে ডিটেইলস আমি কয়েকটি জনপ্রিয় ব্লগ থেকে সংগ্রহ করেছি এবং মিক্সিং করে আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
সার্ভে বা জরিপ একটা পুরাতন পদ্ধতি । “সার্ভে” সাইটে আপনি নিবন্ধিত হবেন আর সার্ভে বা জরিপ আসার অপক্ষা করবেন ; সার্ভে ফর্ম পূরণ করে আপনার মতামত জানাবেন, ব্যস! প্রতিটি সার্ভের জন্যে আপনি টাকা পাবেন। এখানে, এমন কিছু ব্যবস্থাও আছে যেখানে, ইমেইল পড়ার ও জবাব দেওয়ারও কাজ থাকে। গুগলে সার্চ করে অনেক ভালো ভালো সাইটের সন্ধান আপনি পেতে পারেন। সার্ভে সাইট হিসেবে অন্যতম জনপ্রিয় সাইট হচ্ছে-সার্ভে সেভী।
এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলো পাঠকদের লেখায় আপডেট হতে থাকে। কোন কোন সাইটে তারা লেখকদের সাথে মুনাফা ভাগ করে নেয়। আপনি এখানে বিভিন্ন নিবন্ধ লিখতে পারেন আর আপনার আর্টিকেল বা নিবন্ধ যতো বেশি পাঠক পড়বে, আপনি ততো বেশি টাকা পাবেন। কিছু কিছু ওয়েবসাইট আছে যারা তাদের লেখকদের সাথে শতকরা ১০ ভাগ গুগল এডসেন্স-এর লভ্যাংশও ভাগ করে নেয়।
পিটিসি বা পেড-টু-ক্লিক এর সাহায্যে আপনি ওয়েবসাইট (শুধুমাত্র স্পনসরড্ সাইটগুলো) ব্রাউজ করার জন্যে টাকা পাবেন। এতে আরো উপায় আছে যাতে ওয়েবসাইট সার্ফ করে, ওয়েবসাইট দেখে আর ওয়েবসাইট সার্চ করে টাকা উপার্জন।
যদি আপনি একজন ফটোগ্রাফার বা চিত্রগ্রাহক হয়ে থাকেন, তবে আপনার তোলা আকর্ষনীয় ছবিগুলো অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন। অনলাইনের ডিজাইনার্রা তাদের প্রজেক্টের জন্যে অনেক ছবি খুঁজে থাকেন, আপনি তাদের নিকট আপনার ছবিগুলো বিক্রি করতে পারেন। আপনি আপনার ছবিগুলো "আই-স্টক-ফটোস্" ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিক্রিও করতে পারেন।
গুগল এডসেন্সে আয় করার জন্যে আপনার একটা সচল ওয়েবসাইট অথবা ব্লগ প্রয়োজন। আপনি নিশ্চয়ই দেখেছেন এমন বিলবোর্ড বা পোস্টার যেখানে তারা(জনৈক অসাধু ব্যবসায়ীরা) দাবি করে যে, আপনি এখান ১০ থেকে ২০ ডলার দৈনিক আয় করতে পারবে- এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা! গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম হয় তখন যখন, কেউ গুগলের সেসব এডে ক্লিক করে। কিন্তু, এখানে ইনকাম করার পূর্বে আপনাকে একটা তথ্যসমৃদ্ধ ওয়েবসাইট তৈরী করে নিতে হবে। কিন্তু, আপনাকে সেসব নকল এডসেন্স শেখার জায়গায় এই সেখানো হয় যে, কিভাবে চুরির লেখা দিয়ে একটা নকল ওয়েবসাইট বানাতে হয়, এটাতো আসল নয় কারণ এটা একটা ধোঁকাবাজি।
হ্যাঁ, এটিই নতুন দিনের আয় রোজগার মাধ্যম, এখন আপনি টাকা নিয়ে যেকোন ওয়েবসাইট বা কোম্পানীর ব্যাপারে আপনার মতামত দিয়ে একটা নিবন্ধ লিখে ফেলেন আপনার ব্লগে। পেড রিভিউ সাইটগুলো কল্যাণে, এখন তারা(কোম্পানী বা ওয়েবসাইটগুলো) আপনাকে তাদের ব্র্যান্ড, পন্য বা ওয়েবসাইটের বিষয়ে লেখার জন্যে অর্থ পরিশোধ করবে। আপনার এই মতামত বা ব্লগ তাদের নিয়ে বাজারে যদি আলোড়ন সৃষ্টি করে আর তারা পাবে অধিক পাঠক ও ক্রেতা। এরকম একটা জনপ্রিয় পেড্ রিভিউ সাইট হচ্ছে-সোস্যালস্পার্ক
এটি একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে কোন পন্যের প্রচার করবেন আর যখন পন্য বিক্রি হবে, তখন আপনি এর থেকে কমিশন পাবেন। এখানে অনেক আধুনিক আর ভালো পন্য আছে যেগুলো বিক্রি করা যায় আর মানুষ কিনতেও আগ্রহী; আপনিএকজন এফাইলিয়েট হয়েও কাজ করতে পারেন। আপনি “ক্লিক ব্যাংক”-এর মাধ্যমে একজন এফাইলিয়েট হয়ে পন্য বিক্রয় করতে পারেন।
যদি আপনার একটা প্রতিষ্ঠিত ওয়েবসাইট বা ব্লগ থাকে, তবে বিজ্ঞাপনদাতারা আপনার ব্লগে তাদের বিজ্ঞাপন দিতে দ্বিধাবোধ করবে না। একেই বলে, ব্যানার এডস্ অথবা সরাসরি ইনকামের সুযোগ। আপনার ওয়েবসাইটের জনপ্রিয়তা যতো বেশি হবে তোমার পাঠক সংখ্যা বাড়বে ততো বেশি হবে আর আপনার আয়ও বাড়তে থাকবে।
ঘরে বসে ফ্রি-লেন্সিং করা আয় রোজগারের একটা চমৎকার সুযোগ। আপনার যদি ডাটা এন্ট্রি, গ্রাফিক্স ডিজাইন , ওয়েব ডিজাইন অথবা এড্মিনিস্ট্রেশন বা তদারকির কাজে দক্ষতা থাকে তাহলে, আপনি অনলাইনে এসব কাজ করে আয় রোজগার করতে পারেন। আপনি চাইলে ফ্রিলেন্সিংভিত্তিক একটা ক্যারিয়ারই গড়ে তুলতে পারেন। টেকটিউনসে ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে কতগুলো ভালো টিউন হয়েছে।
বিজ্ঞাপনদাতাগণ বর্তমানে তাদের ক্যাম্পেইন বা বিজ্ঞাপন উদ্যোগগুলো “টুইটার” বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে চাচ্ছেন। এজন্যে, আপনার কোন ব্লগ কিংবা ওয়েবসাইট থাকারও প্রয়োজন নেই। এমন অনেক কোম্পানী রয়েছে, যারা টুইটার বিজ্ঞাপনের কাজ করে থাকে যেমন- মেগ-এ-পাই।
আমার আজকের টিউনের মেইন বিষয় হচ্ছে পিটিসি। অনেকেই এটিকে দেখতে পারেন না, অনেকে কাজ করতে গিয়ে অনেকে ধরাও খেয়েছেন। অনেকে ভাবেন এটি সম্পুর্ন ভুয়া, অনেকটাই ঠিক, পিটিসি সাইট গুলোর ৯৫% ই ভুয়া অর্থাৎ স্ক্যাম। কিন্তু ওই ৫% পিটিসি থেকে সত্যি আয় করা যায়। আজ আমি আপনাদের কতগুলি টেকনিক শিখিয়ে দিবো যেগুলো মেনে চললে ধরা খাবার সম্ভাবনা খুবই কম থাকবে। ইন্টারনেটে আয় এর অন্যতম উপায় হচ্ছে পিটিসি সাইট থেকে। প্রথমেই আপনাদের বলি আপনি যদি কোন কাজ এ দক্ষ হয়ে থাকেন ( যেমন গ্রাফিক্স ডিজাইন, কোন প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ বা অন্য যেকোন ধরনের সফটওয়্যারে) যদি আপনার দক্ষতা থেকে থাকে তাহলে পিটিসি সাইটে কাজ করে নিজের মূল্যবান সময় নষ্ট করবেন না দয়া করে, সেক্ষেত্রে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে অধিক আয় করতে পারবেন, পিটিসি শুধু মাত্র তাদের জন্য যারা আমার মত অর্থাৎ যাদের দিনে কিছু ফ্রী সময় আছে কিন্ত কোন কাজ পারেন না, তাহলে তাদেরকে বলছি, শুধুমাত্র আপনার যদি ধৈর্য থেকে থাকে তাহলেই আপনি পিটিসি থেকে ইনকাম করতে পারবেন। প্রথমেই আসি যে,
PTC এর পুর্ন মিনিং হচ্ছে "Paid To Click" অর্থাৎ বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দাতারা যাদের বিজ্ঞাপনের বাজেট কম তারা তুলনামুলক কম মুল্যে পিটিসি সাইটে এড দেয় কিন্তু সেই এড দেখবে কে? তাই আমার আপনার মত লোকজন সেই এড গুলো দেখি এবং এই এড গুলো দেখার বিনিময়ে পিটিসি সাইট গুলো আমাদের নির্দিস্ট অর্থ প্রদান করে। আপনাকে সাইট গুলো প্রতিদিন একটি নির্দিস্ট পরিমান এড দিবে এবং আপনি সেই এড গুলো দেখবেন এবং প্রতি এড দেখার বিনিময়ে আপনাকে সর্বোচ্চ ১সেন্ট পর্যন্ত পে করবে (ফ্রি মেম্বারশিপের ক্ষেত্রে) । এছাড়া আপনার রেফারেলে কেউ যদি ওই সাইটে রেজিস্ট্রেশন করে, তবে তাদের দেখা প্রতি এডের বিনিময়ে আপনি পাবেন সর্বোচ্চ ০.৫ সেন্ট করে (ফ্রি মেম্বারশিপের ক্ষেত্রে) । আপনি ভালো সাইট গুলো থেকে গড়ে রেফারেল ছাড়া দৈনিক ৩-৫ সেন্ট আয় করতে পারবেন। পিটিসি কাজ সম্পর্ক যানেন তাদের জন্য এই পোষ্ট নয় যারা নতুন তাদের যন্যই আমার এই খুদ্র প্রয়াস। ইনটারনেট অনেক পিটিসি সাইট আছে যার বেশির ভাগই ভুয়া (scam) পেমেন্ট করেনা। তাই সবার কাছে অনুরোধ থাকবে কোন সাইট দেখেই কোন খোজ খবর না নিয়ে কাজ করা শুরু করবেন না যেন। যে সাইটে কাজ করবেন তার সম্পর্কে গুগলে (google) এ সার্চ করুন সাইটি সম্পকে বিস্তারিত যানুন। মুলত ৪ধরনের পিটিসি সাইট আছে,
যদি কোন সাইট সম্পর্কে স্ক্যাম (scam) হিসেবে কোন তথ্যপান তাহলে ভুলেও সেই সাইটে কাজ করে সময় নষ্ট করবেন না।
এড দেখার নিয়মটা প্রত্যেক সাইটের জন্যই এক তবুও কিছু নমুনা আপনাদের দেখাচ্ছি।
১. প্রথমে সাইটে লগিন করুন।
২. View Adds অথবা Surf adds এ ক্লিক করুন।
৩. কতগুলো বিজ্ঞাপনের লিস্ট দেখতে পাবেন, যে কোন একটিতে ক্লিক করুন।
৪. হয় নতুন একটি উইন্ডোতে এডটি ওপেন হবে অথবা ক্লিক করার পর লাল অথবা নীল ছোট বাটন দেখতে পাবেন, আবার ক্লিক করুন।
৫. আপনাকে একটি নির্দিস্ট সময় বিজ্ঞাপনটি দেখতে হবে (ম্যাক্সিমাম ৩০সেকেন্ড)।
৬. তারপর আপনার অ্যাকাউন্ট এ সরাসরি ওই এডের জন্য নির্ধারিত ডলার জমা হবে।
৭. অথবা কিছু সাইটে ক্যাপচা ভ্যারিফাই করে নিতে হবে। অনেক সাইটে ইংরেজী বর্ণমালার ৫ টি বর্ণ দেখতে পাবেন ( উদাহরন সরুপ X = HSXD) অথবা (6=2569) এই রকম যদি দেখায় তাহলে আপনাকে ডানদিক থেকে X অথবা 6 এর উপরে ক্লিক করতে হবে। সহজ কথায় বাদিকে যে বর্ণটি অথবা বস্তু দেখাবে ডানদিক থেকে একই বর্ণ অথবা বস্তুতে ক্লিক করতে হবে। যখন দেখবেন "You have been credited $0.01" অথবা "You have been credited for chicking the advertisement" এই রকম একটা ম্যাসেজ দিয়েছে তখন বুঝবেন আপনার কাজ শেষ।
শুধু কাজ করলেই হবেনা কাজ করে সেই টাকা হাতেও আনতে হবে। প্রায় সব পিটিসি সাইট এলার্টপে সাপোর্ট করে তাই আপনার যদি এলার্টপে একাউন্ট না থেকে থাকে তাহলে এখান থেকে এলার্টপে একাউন্ট করে নিন। অ্যাকাউন্ট করার সময় আপনার সঠিক তথ্য গুলো দিবেন, কোন ফেক বা মিথ্যা তথ্য দিবেন না অ্যাকাউন্ট করার পর আপনার মোবাইল নাম্বার দিয়ে ভেরিফাই করে নিন। চলুন দেখে নেই কিভাবে করবেন।
১. অ্যাকাউন্ট খোলার পর আপনার ইমেইল এড্রেস থেকে প্রথমে এলার্টপে একাউন্ট এক্টিভেট করুন।
২. তারপর এলার্টপে একাউন্ট এ লগিন করুন এবং Profile ক্লিক করুন।
৩. তারপর "Verification" ক্লিক করুন।
৪. অনেক গুলো ভেরিফিকেশন অপশন দেখতে পারবেন, ৩নং অপশন এ আপনার মোবাইল নাম্বার দিয়ে ভেরিফাই করে নিন। একদম সহজ, আপনার মোবাইল নাম্বার দিবেন, আপনার মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে একটি কোড আসবে এবং সেই কোড যথাস্থানে বসিয়ে ভেরিফাই করে নিবেন। এছাড়া আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অথবা আপনার ক্রেডিট কার্ড ভেরিফাই করে নিন।
এলার্টপে একাউন্ট থেকে ৪টি ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে টাকা আনা যায়। পদ্ধতিগুলো হল - চেক, ক্রেডিট কার্ড, ব্যাংক ট্রান্সফার এবং ব্যাংক ওয়্যার।
এই পদ্ধতিতে একটি চিঠির মাধ্যমে চেক পাঠানো হয়। চেকের জন্য এলার্টপে-কে ৪ ডলার ফি দিতে হয় এবং একাউন্টে সর্বনিম্ন ২০ ডলার হলে চেকের জন্য আবেদন করা যায়। আবেদন করার ২ দিনের মধ্যে একটি চেক আপনার ঠিকানায় পাঠানো হবে, যা হাতে পেতে ২ থেকে ৩ সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। চেকটি ডলারে পাঠানো হয় তাই যেসব ব্যাংক ডলারে চেক গ্রহণ করে সেখানে এটি জমা দিতে হবে। সরকারী ব্যাংকের মাধ্যমে চেক থেকে টাকা তুলতে অল্প একটা ফি দিতে হয়, তবে সময় বেশি নিবে। আর বেসরকারী ব্যাংকে তুলনা মূলকভাবে বেশি ফি দিতে হবে কিন্তু সময় অনেক কম লাগবে। যাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কিংবা ক্রেডিট কার্ড নেই তাদের জন্য এটি খুব দরকারি, সময় একটু বেশি লাগলেও ঝামেলা কম। প্রথম প্রথম যখন আপনার আয় কম থাকবে তখন এই পদ্ধতি ইউজ করতে পারেন। পরে আয় বাড়লে মাস্টার কার্ড নিয়ে নিতে পারেন। তবে সাবধান, আপনার এলার্ট পে অ্যাকাউন্টে আপনার ঠিকানা সঠিক ভাবে দিবেন এবং " চেক" পাঠানোর আগে ঠিকানা ভালো ভাবে চেক করে দিবেন।
যাদের ভিসা বা মাস্টারকার্ড রয়েছে তারা এই পদ্ধতিতে খুব সহজেই টাকা আনতে পারবেন। এলার্টপে সাইটে ক্রেডিট কার্ডের কথা বলা হলেও এটি ডেবিট কার্ডও সাপোর্ট করে। আমারদের দেশে বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সারদের Payoneer ডেবিট মাস্টারকার্ড রয়েছে। তারাও এই কার্ডে সহজেই টাকা আনতে পারবেন। এজন্য প্রথমে এলার্টপে সাইটে কার্ডটি যোগ করতে হবে। কার্ডটি যাচাই করার জন্য এলার্টপে আপনার কার্ড থেকে ১ থেকে ২ ডলারের মধ্যে একটি অর্থ এলার্টপে একাউন্টে নিয়ে আসবে। এরপর Payoneer সাইটে লগইন করে দেখতে হবে কত ডলার লেনদেন হয়েছে এবং সেই পরিমাণটি এলার্টপে সাইটে এসে একটি টেক্সটবক্সে প্রবেশ করাতে হবে। সঠিকভাবে ডলারের পরিমাণটি বলতে পারলে আপনার কার্ডটি অর্থ লেনদেনের জন্য উপযোগী হবে। লক্ষ্যণীয় যে, আপনার এলার্টপে একাউন্টে অর্থ লেনদেনের মূল মূদ্রা হিসেবে ইউরো থাকলে কার্ড যাচাইয়ের পূর্বেই ডলারে পরিবর্তন নিতে হবে। অন্যথায় সঠিকভাবে কার্ডটি যাচাই হবে না। এলার্টপে থেকে কার্ডে প্রতিবার লেনদেনে ৫ ডলার ফি দিতে হয় এবং সর্বনিম্ন ১০ ডলার উঠানো যায়, যা ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে কার্ডে সরাসরি চলে আসে। এরপর নিকটস্থ ATM (যেগুলো মার্সারকার্ড সাপোর্ট করে - যেমন DBBL, Standard Chartered Bank) থেকে যে কোন সময় টাকা তোলা যায়।
এলার্টপে থেকে বাংলাদেশে ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে টাকা আনা যায় না। তবে যাদের Payoneer মাস্টারকার্ডে US Virtual Account নামক সার্ভিসটি আছে তারা এই পদ্ধতিতে মাত্র ০.৫ ডলারের বিনিময়ে কার্ডে টাকা আনতে পারেন। আর সময় লাগে মাত্র ২ থেকে ৩ দিন। যারা এক বছর থেকে Payoneer কার্ডটি ব্যবহার করছেন তারা এই US Virtual Account এর জন্য Payoneer সাইটে আবেদন করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাকে যুক্তরাষ্ট্রের First Bank of Delaware নামক ব্যাংকের একটি ভার্চুয়াল একাউন্ট দেয়া হবে। এই ব্যাংকের সাথে মাস্টারকার্ডটি যুক্ত থাকে। অর্থাৎ কেউ যদি আপনার ওই ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠায় তখন এটি সরাসরি আপনার কার্ডে জমা হয়ে যাবে। তবে এই ব্যাংক একাউন্ট থেকে কখনও অন্যকে আপনি টাকা পাঠাতে পারবেন না, শুধুমাত্র গ্রহণ করতে পারবেন। এলার্টপে সাইটে এই ব্যাংক একাউন্টটি যুক্ত করতে প্রথমে Add Bank Account পৃষ্ঠায় গিয়ে দেশ হিসেবে United States সিলেক্ট করতে হবে। তারপর Bank Transfer সিলেক্ট করে একাউন্টটির নাম্বার, ABA Routing নাম্বার, ব্যাংকের নাম ইত্যাদি তথ্য দিতে হবে, যা Payoneer সাইট থেকে পাওয়া যাবে। এরপর এলার্টপে থেকে আপনার একাউন্টে ১ ডলারের কম দুটি অল্প অর্থ পাঠানো হবে যা Micro Deposit নামে পরিচিত। দুই দিন পর Payonner সাইটে লগইন করে ডলার দুটি দেখতে পাবেন। এই দুটি লেনদেনের পরিমাণ এলার্টপে সাইটে এসে দুটি টেক্সটবক্সে প্রবেশ করতে হবে। সফলভাবে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে পারলে আপনি সবচেয়ে কম খরচে এলার্টপে থেকে টাকা দেশে আনতে পারবেন।
যাদের কোন ভিসা বা মাস্টারকার্ড নেই তারা এই পদ্ধতিতে দেশের ব্যাংকে সরাসরি টাকা আনতে পারবেন। এটি সাইটের সবচেয়ে ব্যয়বহুল পদ্ধতি। এক্ষেত্রে খরচ পড়বে ১৫ ডলার এবং সর্বনিম্ন ৪০ ডলার হলে এই পদ্ধতিতে টাকা উঠানো যাবে। ব্যাংক ওয়্যারের মাধ্যমে বাংলাদেশে আপনার ব্যাংক একাউন্টে টাকা আসতে প্রায় এক সপ্তাহের মত সময় লাগবে। ব্যাংক ওয়্যারের জন্য প্রথমে সাইটে আপনার ব্যাংক একাউন্টের নাম্বার, ব্যাংক কোড, ব্রাঞ্চ কোড এবং SWIFT BIC যোগ করতে হবে, যা আপনার ব্যাংকে যোগাযোগ করে তথ্যগুলো সংগ্রহ করতে পারেন।
এখন আপনাদের দেখাবো এলার্টপে একাউন্টে কিভাবে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যোগ করবেন।
১. এলার্টপে একাউন্ট এ লগিন করে Overview ক্লিক করুন, তারপর "Add a bank account" ক্লিক করুন।
২. তারপর সঠিক ফিল্ডে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের প্রয়োজনীয় ইনফর্মেশন গুলো ফিল আপ করে এলার্টপে একাউন্ট এ আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট টি Add করুন।
এই অ্যালার্ট পে অ্যাকাউন্ট আপনার অনলাইন ব্যাংক হিসাবে কাজ করবে এবং পিটিসি সাইট গুলো আপনাকে আপনার অ্যালার্ট পে অ্যাকাউন্ট এ পে করবে, তারপর আপনি সেই পেমেন্ট চেকের মাধ্যমে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অথবা Visa বা Master ক্রেডিট/ডেবিট কার্ডে কিছু চার্জের বিনিময়ে ওয়িথড্র করে নিয়ে আসবেন।
এখন আমি আপনাদের দেবো পিটিসি থেকে সঠিক ভাবে আয় শুরু করার কিছু মাস্টার ট্রিক্স, নতুনদের ক্ষেত্রে খুব কাজে লাগবে। দয়া করে পিটিসি ইনকামকে কেউ মেইন ইনকাম হিসাবে দেখবেন না, এটা সবসময় এক্সট্রা।
তো এই হল আজকের পিটিসির পোস্টমর্টেম।
টিউনটি সময় নিয়ে যথাসম্ভব গুছিয়ে করার চেষ্টা করেছি। কতটুকু পেরেছি তা আপনারা ভাল বলতে পারবেন। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখবেন এবং একটা অনুরোধ, ভাল মন্দ যে কোন ধরনের কমেন্ট এবং সমালোচনা বেশি বেশি করবেন,যার ফলে এই টিউনের ভুল গুলো আমার চোখে পরবে এবং নেক্সট টিউনে সেগুলো শুধরে নেওয়ার চেস্টা করবো ফলে ভবিষ্যতে আরও ভাল টিউন আপনাদের উপহার দিতে পারব।
ভাল থাকবেন।ধন্যবাদ সবাই কে।
আকাশ
আমার আগের টিউন গুলি দেখতে এখানে ক্লিক করুন
আমি শুভ্র আকাশ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 8 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 72 টি টিউন ও 1922 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
Thanks bro.
I want to join some some elite and legit PTC using your referral.
Please mail me their links.
Thanks again.