সবাইকে আমার সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের টিউন শুরু করছি আশা করি সাথেই থাকবেন। ফ্রিল্যান্সার ডট কমের হাইডিমান্ড স্কিল নিয়া আজকে আলোচনা করি একটু নাকি বলেন?
প্রায়ই চোখে পড়ে হাইডিমান্ড স্কিল নিয়ে টিউন। অনেকে ইনবক্সেও প্রশ্ন করে। আজকে লিখতে বসেছি হাইডিমান্ড স্কিল নিয়ে। সর্বমোট ২০টা স্কিল নিয়ে কথা বলব তারপরের পর্বে ট্রেন্ডিং স্কিল নিয়ে কথা বলব।
আশা করি সাথেই থাকবেন। চলুন শুরু করা যাক।
যারা গত পর্বের টিউন মিস করেছেন তারা দেখে নিতে পারেন নিচের এই লিঙ্কে গিয়ে।
হাই ডিমান্ড স্কিল নিয়ে আলোচনা পর্ব ০১
তাহলে আজের পর্ব শুরু করি?
একটি অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং ভাষা। ১৯৮০ সালে বিয়ারনে স্ট্রোভস্ট্রুপ (Bjarne Stroustrup) যুক্তরাষ্ট্রের এটিএন্ডটি বেল ল্যাবরেটরিতে (AT&T Bell Laboratory) এটি ডেভেলপ করেন। মূলত সিমুলা৬৭ এবং সি প্রোগ্রামিং ভাষার সুবিধাজনক বৈশিষ্ট্যগুলোর সমন্বয় সাধন করে সি+ তৈরি হয়।
সুত্রঃ উইকি পিডিয়া।
যদি শুধুমাত্র হ্যাঁ অথবা না দ্বারা এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সম্ভব হত! দুর্ভাগ্যবশত, এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া খুব সহজ নয় কারণ ইহা ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে ভিন্ন হয়।
ব্যক্তিগতভাবে বললে, আমি সি প্রোগ্রামিংকে ভালবাসি। আপনি যদি প্রোগ্রামিং এ একেবারে নতুন হয়ে থাকেন, তাহলে প্রোগ্রামিং এ যাত্রা শুরুর জন্য সি হবে আপনার জন্য একটি অসাধারণ প্রোগ্রামিং ভাষা। আপনি যদি দক্ষ প্রোগ্রামার হয়ে থাকেন, তাহলে কিছু পয়েন্টের উপর ভিত্তিকরে ইহা শেখার জন্য আমরা আপনাকে সুপারিশ করছি, নিশ্চিতভাবে যা আপনাকে সাহায্য করবে।
আপনি যদি সি প্রোগ্রামিং না জানেন, তাহলে প্রোগ্রামার হিসাবে আপনি কি করছেন তাই জানবেন না। আপনার এপ্লিকেশন খুব সুন্দরভাবে এবং সব ধরনের কাজ করবে ঠিকই। কিন্তু আপনি যদি বলতে না পারেন কেন ইহা (*s+ = *p+);স্ট্রিং কপি করে, তাহলে আপনি অন্ধবিশ্বাসে প্রোগ্রামিং করেন।
সি শার্প একটি অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং ভাষা। পূর্ববর্তী প্রোগ্রামিং ভাষাগুলোর বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা দূর করার লক্ষ্যে মাইক্রোসফট করপোরেশন এই নতুন প্রোগ্রামিং ভাষার উদ্ভাবন করে। এটি প্রথম বাজারজাত হয় ২০০০ সালে আলফা ভার্সন হিসেবে। এর চীফ আর্কিটেকচার ছিলেন অ্যানডার্স হেজলসবার্গ (Anders Hejlsberg) যিনি একজন বিখ্যাত প্রোগ্রামিং বিশারদ। সি শার্প প্রায় জাভার মত একটি ভাষা হলেও পুরোপুরি একরকম নয়। ভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ছাড়াও এদের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে, বিশেষত সি শার্পের ২.০ ভার্সনে। ভাষাগতভাবে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য হলো নিরাপত্তা (সি শার্পে অনিরাপদ প্রোগ্রামিং করা সম্ভব), কো-রুটিন (পাইথনের মত yield নির্দেশনা), এবং নামবিহীন ফাংশন।
সুত্রঃ উইকি পিডিয়া।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বর্তমানে সব থেকে বেশি জনপ্রিয় মার্কেটিং। মার্কেটিং প্লেসগুলোতে যতগুলো মার্কেটিং আছে তার মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া সব থেকে বেশি কার্যকরী ও ফলপ্রসূ। আপনি যদি আপনার ক্যারিয়ার হিসাবে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বেছে নেন তাহলে হয়ত সামনের পথ চলা আপনার জন্য অনেক বেশি সহজ হয়ে যাবে। কেননা আপনার ব্যাবসার প্রচার প্রচারণা চালাতে বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া সব থেকে বেশি প্রয়োজন।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সম্পর্কে আমরা হয়ত কম-বেশি সবাই অবগত আছি। সাধারণত সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বলতে আমরা ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব, লিঙ্কডিন, পিন্টারেস্ট, গুগল প্লাস এই গুলাকেই বেশি বুঝে থাকি। বর্তমান জগতে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মধ্যে ফেসবুক আর ইউটিউব অনেক অনেক বেশি কার্যকরী এবং ফলপ্রসূ। সারা পৃথিবীতে অনেক গুলো সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং আছে। তার মধ্যে নির্দিষ্ট কিছু দেশে নির্দিষ্ট কিছু সোশ্যাল মিডিয়া খুব বেশি কার্যকর। যেমন- ইন্ডিয়াতে ইউটিউব, ইন্সটাগ্রাম, হোয়াটস অ্যাপ, ইমো, ভাইবার এই সোশ্যাল মিডিয়া খুব বেশি জনপ্রিয়। আবার আমেরিকাতে পিন্টেরেস্ট ও রেদ্দিট অনেক বেশি জনপ্রিয়, রাশিয়াতে ভিকে, স্তাম্বলআপন ও টুইটার অনেক বেশি জনপ্রিয়। ঠিক তেমনই বাংলদেশে ফেসবুক, ইউটিউব এই গুলো অনেক জনপ্রিয়। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সবসময় কার্যকর বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন মানুষের কার্যকলাপের উপর। আমার ফেসবুক এর মাধ্যমে যে মার্কেটিং করি তা ফেসবুক মার্কেটিং এর অন্তগত। ঠিক একইভাবে ইউটিউবে আমরা যে ভিডিও শেয়ার করে বা টিউন করে যে মার্কেটিং করি তা ইউটিউব মার্কেটিং এর অন্তগত।
কোনো অফিসের কম্পিউটারগুলো সেটআপ করা। নেটওয়ার্কিং করা। সফটওয়্যার ইনস্টল করা। কোন কিছু অটোমেশন করার দরকার হলে করা। কোন হার্ডওয়্যার লাগলে কোনগুলা কিনবে, কতগুলা কিনবে, কেনো কিনবে সেগুলা ঠিক করা। এই টাইপের চাকরিতে টুকটাক প্রোগ্রামিং লাগে। তবে ফুলটাইম প্রোগ্রমিং লাগে না।
পৃথিবীর সবছেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হল ফেসবুক। বর্তমানে পৃথীবতে এমন কোন দেশ নেই যেখানে ফেসবুক ব্যবহার হয়না। ফেসবুকের সাহায্যে এর ব্যবহারকারির কাছে কোন প্রতিষ্ঠান, পন্য বা সেবার প্রচারণা করে দেয়াকেই ফেসবুক মার্কেটিং বলা হয়। সহজ অর্থে বলা যায় ফেসবুকে যে বিজ্ঞাপণ দেয়া হয় তাই ফেসবুক মার্কেটিং।
বর্তমান বিশ্বে সক্রিয় ফেসবুক ইউজারের সংখ্যা ১.৮৬ বিলিয়ন যারা মাসে একবার ব্যবহার করে। প্রতিদিন ইউজ করে প্রায় ১.২৩ বিলিয়ন। মোবাইলে ফেসবুক ইউজ করে এমন ইউজারের সংখ্যা ১.৭৪ বিলিয়ন। ফেসবুকে ১৬ মিলিয়ন লোকাল বিজনেস পেজ তৈরি করা হয়েছে।
১৮-২৪ বছর বয়সী ব্যবহারকারীর মধ্য ৫০% ব্যবহারকারী ঘুম থেকে উঠেই ফেসবু ব্যবহার করে বা বলা যায় ফেসবুকে এসেই তাদের ঘুম ভাঙ্গে। এক প্রতিবেদনে বলা হয় ফেসবুক ব্যবহার কারি প্রতি বছর ১৭% হারে বাড়ে এবং এটি ক্রমাগত বেড়েই চলেছে।
তাই ফেসবুক এর মাধ্যমে বহু লোকের কাছে সহযেই মার্কেটিং করতে পারেন যা অন্য কোন মাধ্যমে সম্ভব নয়। তাই দ্রুততার সাথে টার্গেটেট লোকের কাছে আপনার পন্য বা সেবার মার্কেটিং করার জন্য ফেসবুকের কোন বিকল্প নেই।
আজকে অনেক পড়েছেন। ইনশাহ আল্লাহ্ আবার আগামীতে বাকিটা পাবেন। সাথেই থাকবেন।
আমি মামুন। COO, Injaazh Private Limited, Pabna। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 122 টি টিউন ও 134 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 50 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 2 টিউনারকে ফলো করি।
{জানিয়ে দাও} (,) {না হয় জেনে নাও}