সালাম ও শুভেচ্ছা নেবেন। বেশ কিছুদিন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য কিছু লেখি না। তবে গত পরশুদিন লিখেছিলাম কে অয়াই সি ভেরিফিকেশন নিয়ে। যেটা প্রত্যেকটা ফ্রিল্যান্সারদের জানা দরকার। আশা করি টিউন থেকে অনেকেই ধারণা পেয়েছেন। আজকে লিখতে বসেছি ভিন্ন ভিন্ন কিছু প্রশ্ন সাথে উত্তর। আশা করি স্কিপ না করে পুরাটা পড়ে নিজের জ্ঞান কে একটু ইঙ্ক্রিজ করবেন। কথা না বাড়িয়ে কাজের কথা চলে যাই।
উত্তরঃ দেখুন অনলাইন এর আয় করার জগতটি অনেক বিশাল আপনি যেকোন খানে থেকেই আয় করতে পারেন। তবে হ্যাঁ! আয়ের ক্ষেত্র যতটা বড় তেমনি ভুয়া কাজদাতা সাইট বা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও কিন্তু অনেক কম নয়। আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি যেসকল সাইট ইন্টারন্যাশনালী স্টাটাস প্রাপ্ত এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতিনিয়তই কাজ করছে, আয় করছে সেগুলো থেকে আয় করতে যাওয়াটাই উত্তম। যেমনঃ Freelancer.com, Upwork.com, 99design.com, Themeforest.net আর ছোট ছোট কাজের জন্যও রয়েছে Microworkers.com. আপনার যোগত্যা অনুযায়ী যেকোন একটি বা একাধিক সাইট থেকে কাজ নিতে পারেন।
উত্তরঃ এইটা মনে হয় এখন কারো অজানা থাকার কথা না। তারপরেও বলি, নিজের চোখে কাজ পাওয়া এবং অর্থ পাওয়া এইটা না দেখলে অনেকেই এই প্রশ্ন করে। তবে, আপনার আশেপাশে যদি এমন কেউ থাকে যারা কাজ করছেন তাদের থেকে জানতে পারবেন কোনটি কেমন সাইট। অথবা আমার আগের টিউন গুলা পড়লে ক্লিয়ার বুঝতে পারবেন।
উত্তরঃ এই প্রশ্নটা সবাই করে থাকেন। এটি একটি কঠিন প্রশ্ন! আসলে শুরু নির্ভর করে সম্পূর্ণ আপনার নিজের উপরে। আপনি যদি কাজ জেনে থাকেন তবে এখনই শুরু করুন। আর যদি কিছু না জেনে থাকেন তবে কাজ শিখতে নেমে পড়ুন।
উত্তরঃ অনলাইনে কাজ করে টাকা আর্ন করার অনেক উপায় আছে। আপনি চাইলেই সেগুলো থেকে আর্ন করতে পারবেন কিছু জ্ঞান নিয়েই তবে যদি ভবিষ্যতেও সেই কাজ নিয়ে ক্যারিয়ার করতে ইচ্ছুক হন তবে ব্যতিক্রম কাজ শিখতে এবং তা করতে অভ্যাস করতে হবে। না হলে বর্তমানে কাজ করে টাকা আর্ন করতে পারবেন কিন্তু কিছু দিন পর আপনার বর্তমানে কাজগুলো ট্রেন্ড থাকবে না এটা নিশ্চিত। এখন ভবিষ্যতে যে কাজগুলোর ট্রেন্ড থাকবে এখনকার চাইতেও বেশি সেগুলো হলঃ ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, এনিমেশন. ভিডিও+অভিও এথোরিং, থ্রীডি ডিজাইন, মোবাইল অ্যাপস ডিজাইন, ডাটাবেজ ডিজাইন, একাউনিটং সফটওয়্যার ডিজাইন, ক্রিয়েটিভ রাইটং সহ আরো অনেক কিছুই যেগুলোর চাহিদা আমদের দেশে হয়তো এখন নেই। তবে, বহিঃবিশ্বের সাথে কাজ করতে হলে আপনাকে জানতেই হবে। এবং ভবিষ্যতেও আপনি দেশেও এসব কাজের বাজার পেতে পারেন।
তবে ভাই একটা কথা, প্রায় সবাই নিজের প্রয়োজনের তাড়নায় যেকোনভাবেই হোক শিখে নিচ্ছেন। তাই আপনাকেও আপনার তাড়নাকে বুঝেশুনে কাজ করতে হবে। আর হতাশ হবেন না কোন ক্রমেই। আপনাকে হেল্প করত সবচেয়ে বড় বন্ধু সার্চ ইঞ্জিন তো আজেই। 🙂 আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
উত্তরঃ আপনি আপনার যে বিষয় জানেন, সেটা দিয়ে সর্বোচ্চ আয় করতে পারেন। তবে, ডিজাইন রিলেটেড কাজ গুলোর ডিমান্ড অনেক বেশি, এবং সামনের দিনগুলোতে আরও বাড়বে। এখানে লক্ষণীয়, আপনি গ্রাফিক্স বা সফটওয়্যার ডিজাইনার হতে পারেন। তবে আপনার যদি ক্রিয়েটিভ কাজ করার সেন্স না থাকে তবে, তেমন আয় করতে পারবেন না। ক্রিয়েটিভ সেন্স সকল ক্রিয়েটিভ কাজের জন্য অপরিহার্য। এবং যে বিষয়েই কাজ করুন না কেন, আপনি যত অভিজ্ঞ হবেন এবং ক্রিয়েটিভ সেন্স এর অধিকরী ও দ্রুত কাজ শেষ করার ক্ষমতা অর্জন করতে পারবেন আপনার আয় ততই বাড়বে যেকোন কাজেই।
উত্তরঃ কোন কাজই চাইলেই শিখে ফেলা যায় না। সেই কাজটির জন্য আপনার ইচ্ছা কতটুকু বা আপনি শিখতে পারবেন কিনা এসব বিষয়কে বিবেচনা করতে হবে।
একটু খেয়াল করলে দেখতে পাবেন, আপনি যদি লিখালিখি অর্থাৎ ব্লগিং থেকে আর্ন করতে ইচ্ছুক হন তবে, প্রাথমিক অবস্থায় আপনি কোন বিষয় নিয়ে ব্লগ লিখবেন তা আপনাকেই নির্বাচন করতে হবে। এবং সেই বিষয়টি কতদিন বা কতগুলো লিখতে পারবেন তাও আপনাকেই বিবেচনা করতে হবে। ব্লগিং এ এই বিষয়টি খুবই গুরুপ্তপূর্ণ। কি নিয়ে লিখবেন এবং কতদিন লিখে যেতে পারবেন তা নির্ধারন করতে পারলেই আপনি লিখা শুরু করতে পারেন। সাথে পাবলিশার প্রোগ্রামগুলো(যাদের মাধ্যমে আয় করবেন) কিভাবে কাজ করে, কিভাবে সেগুলোর মনিটাইজ পেতে পারেন সব ধিরে ধিরে শিখবেন। তবে মূল বিষয় হলো আগে লিখার টপিক ঠিক কার এবং একাগ্রতার সাথে লিখে যাবার মানসিকতা থাকতে হবে। তাহলেই সফল ব্লগার হতে বেশি সময় লাগবে না।
উত্তরঃ দেখুন একসাথে একাধিক বিষয় শিখতে যাওয়া মানে ভুল। প্রতিটি বিষয় স্বতন্ত্রভাবে শিখাটাই ভাল। তবে, আপনি যদি ওয়েব ডিজাইনার হতে চান তবে আপনাকে একাধারে গ্রাফিক্স ডিজাইনারও হতে হবে। আর স্বতন্ত্রভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হলেও হবে।
গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে হলেঃ স্থানীয় কোন প্রতিষ্ঠান থেকে শিখার পাশাপাশি অনলাইনেও চোঁখ বুলাতে হবে। যেসব সাইটগুলো শিখার জন্য পপুলার সেগুলো হলোঃ
সহ নেটে সার্চ করলে আরো অনেক সাইট পাবেন য়েখানে ফ্রী শিখতে পারবেন।
ওয়েব ডিজাইনার হতে হলেঃ স্থানীয় কোন প্রতিষ্ঠান থেকে শিখার পাশাপাশি অনলাইনেও চোঁখ বুলাতে হবে। যেসব সাইটগুলো শিখার জন্য পপুলার সেগুলো হলোঃ
উত্তরঃ অবশ্যই আছে! দেখুন কাজের কোন শেষ নাই এবং আমি লিখেও শেষ করতে পারবো না। তাই ফ্রিলান্সার.কম এর প্রোজেক্ট লিঙ্কটি ভিজিট করে দেখুন আপনার পছন্দের কাজ কোনটি হতে পারে।
উত্তরঃ প্রথমত, আপনি যে ফ্রিলান্সিং সাইটের মাধ্যমে আয় করবেন আপনার ক্লায়েন্ট আপনাকে সেই সাইটেই পেমেন্ট করবে। অথবা অন্যকোন পেমেন্ট ট্রানজেকশন সাইটে। তবে, বাহিরের ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করলে অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং সাইটের মাধ্যমে কাজ নেয়া এবং পেমেন্ট নেয়াও উচিৎ। এতে আপনার ক্লায়েন্ট কাজের পর আপনাকে পেমেন্ট করতে অস্বীকৃতি জানালে আপনি সেই সাইটে অভিযোগ করতে পারবেন। এবং সম্ভব হলে ডিসপিউট দিয়ে টাকাও নিতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্স সাইটে পেমেন্ট পাওয়ার পর আপনাকে আপনার অনলাইন একাউন্টে (স্ক্রিল, পেপাল, ওয়েবমানি) ডলার ট্রান্সফার করতে হবে। সেখানে থেকে লোকালী কেউ কিনতে চাইলে অথবা দেশীয় ব্যাংকের মাধ্যমে নগদ অর্থ হাতে পেতে পারেন
আশা করি ব্যাপার গুলা বুঝতে পেরেছেন। ইনশাহ আগামীকাল দ্বিতীয় পর্ব পাবলিশ করবো। সাথেই থাকুন।
হ্যাপি ফ্রিল্যান্সিং।
আমাদের ফ্রিল্যান্সার বাংলাদেশ গ্রুপে জয়েন করতে চাইলে
ফ্রিল্যান্সার সাপোর্ট পেজে লাইক দিয়ে আপডেট থাকুন।
আমি মামুন। COO, Injaazh Private Limited, Pabna। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 122 টি টিউন ও 134 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 50 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 2 টিউনারকে ফলো করি।
{জানিয়ে দাও} (,) {না হয় জেনে নাও}