ব্লগিং শুরু করার পুর্বে আপনার যে ১২ টি জিনিস জানা প্রয়োজন

সুপ্রিয় টেকটিউনস এর ভিজিটরগণ কেমন আছেন সবাই? আশাকরি ভালোই আছেন। যারা ব্লগিং করতে চান তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল। অনেকেই মনে করেন ব্লগিং খুব সহজ জিনিস। যতটা সহজ মনে হয় আসলে ততটা সহজ নয়। ব্লগিং করতে চাইলে নিয়োমিত প্র্যক্টিস করতে হয়, শ্রম দিতে হয়, ভালো কনটেন্ট পাবলিশ করতে হয় ইত্যাদি ইত্যাদি। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।

১. ব্লগিং কোন জব না। আপনি চাইলেই এখান থেকে আয় করতে পারবেন তা কিন্তু না। এটি ট্র্যাডিশন ফ্রিল্যান্সিং এর চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা।  আপনি কেমন কোয়ালিটি প্রডিউস করছেন ব্লগে সেটার উপর ডিপেন্ড করে ইন ফিউচার আপনি একটা প্রফিট আশা করবেন ব্লগ থেকে।

২. আপনি যে নিশ নিয়ে কাজ করবেন সেইটার প্রতি আপনার যথেষ্ট আগ্রহ থাকতে হবে। যদি আগ্রহ না থাকে তহলে কিছু দিন পর আপনার কাজ করা প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন।

৩.  ব্লগিং করার ক্ষেত্রে আমি ওয়ার্ডপ্রেসকে সাজেষ্ট করি। আপনি ডোমেইন হোষ্টিং কেনার পর ওয়ার্ডপ্রেস ইনষ্টল করে নিবেন। এই ওয়ার্ডপ্রেসটি সম্পূর্ণ ফ্রি ব্যবহারের জন্য। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে, ওয়ার্ডপ্রেসে আপনি সকল ধরনের প্লাগিং এবং থীম ফ্রিতে ইউজ করতে পারবেন। প্রিমিয়াম প্রোডাক্ট ও আছে, কিন্তু শুরুতেই সেটার কোন দরকার পড়বে না।

৪. ওয়ার্ডপ্রেস সাইটকে সুন্দর লুকিং করতে পারনে। নিজে নিজে কাষ্টমাইজেশন করতে পারবেন। আর দরকারনেই এমন কোন প্লাগিন ইনষ্টল করবেন না। কারণ ফালতু প্লাগইন আপনার সাইটটাকে স্লো করে ফেলবে।

ইন্টারনেট থেকে আয় করার সেরা গাইডলাইন।

৫.  কনটেন্ট লেখার পূর্বে কিওয়াওয়ার্ড অবশ্যই রিসার্চ করে নিবেন। রিসার্চ করা কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ করলে ওটাকে র‍্যাংক করানো কিছুটা হলে ও সহজ হবে।
কারন আপনি জানবেন যে, কোন কিওয়ার্ডগুলোতে র‍্যাংক করার জন্য আপনি কাজ করছেন।
অপরদিকে কিওয়ার্ড পিক না করলে উদ্দেশহীন ভাবে এস ই ও করা বেশ হতাশা জনক একটা কাজ।

৬. যে টপিকে আপনি কন্টেন্ট ক্রিয়েট করছেন, অবশ্যই সেই টপিকের বেস্ট কন্টেন্ট ক্রিয়েট করুন।
এর জন্য যা স্টাডি বা রিসার্চ করা লাগে সেটা করুন।
আপনি এর বেনিফিট অবশ্যই পাবেন।
আপনি যদি মনে করেন অলরেডি সবাই যা তথ্য দিয়েছে তাই দিয়ে দেই, তাহলে ভুল করবেন।
আপনাকে অবশ্যই সামান্য হলে ও ভিন্ন কিছু যোগ করতে হবে যা মানুষ পছন্দ করবে।

৭. কন্টেন্ট ক্রিয়েট করার সময় অন পেজ অপটিমাইজেশন এর ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। আমার মতে অন পেজ নিয়ে সেরা লিখেছে ব্রায়ান ডীন তার ব্লগ ব্যাকলিংকোতে। ডেস্ক্রিপশনে আমি ওই লিংক দিয়ে দিব।
অনপেজ এস ই ও ঠিক মত করলে সুবিধা হল, সার্চ ইঞ্জিন বুঝতে পারে আপনার কন্টেন্টকে ঠিক কি কি কুয়েরির জন্য সার্চ রেজাল্টে শো করানো যায়।
একই কন্টেন্ট ভিন্ন ভিন্ন টাইপের ট্যাগ কিংবা কিওয়ার্ডস ইউজ করে সার্চ ইঞ্জিনকে কনফিউজ কইরেন না আবার।

৮. কিওয়ার্ড স্টাফিং হল, র‍্যাংকিং এর আশায় কন্টেন্টে অতিরিক্ত মাত্রায় কিওয়ার্ড ইউজ করা। এটা বিগত কয়েক বছরের সবচেয়ে লেইম এস ই ও প্র‍্যাকটিস।
ভুলে ও এটা করবেন না।
গুগল ডুপ্লিকেট কন্টেন্টকে মাফ করে দেয় কিন্তু কিওয়ার্ড স্টাফিং কে নাহ।

৯. লিংক বিল্ডিং করা অনেক জরুরি, যদি আপনি আপনার সাইটের ট্র্যাফিক বৃদ্ধি করতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনাকে লিংক বিল্ডিং করতে হবে। লিংক বিল্ডিং শুরু করার পুর্বে, লিংক বিল্ডিং নিয়ে ডিটেলস জেনে নিবেন। এর জন্য ও আপনি ব্রায়ানের ব্যাকলিংকো ফলো করতে পারেন। আমি মনে করি ব্রায়ান, লিংক বিল্ডিং এর বস।
লিংক বিল্ডিং এর সবচেয়ে পপুলার যে ওয়ে, সেটা হচ্ছে গেস্ট ব্লগিং করা।
গেস্ট ব্লগিং করে আপনি অনেক হাই কোয়ালিটি লিংকস নিতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রে ফ্রি তে গেস্ট টিউন অনেক সাইট নেয় না, সেক্ষেত্রে একটা নির্দিষ্ট পরিমান এমাউন্ট খরচ করে আপনাকে লিংক বিল্ডিং করতে হবে।

১০. কোয়ান্টেকটিউনসর চেয়ে কোয়ালিটির দিকে বেশী গুরুত্ব দিন। সাইটে শত শত কন্টেন্ট কিংবা হাজার হাজার লিংক কোন কাজে আসবে না, যদি না সেটা কোয়ালিটি সম্পন্ন হয়।
তাই আগে কোয়ালিটি ইম্প্রুভ করুন।
কোয়ালিটি মেইনটেইন করে যদি আপনি কোয়ান্টিটি বাড়াতে পারেন, তাহলে সেটা করতে পারেন।

১১. ব্লগ টিউনে হেডলাইন অনেক বড় একটা ব্যাপার, যখন আমরা CTR নিয়ে কথা বলি। কারন মানুষ আপনার লিংকে ক্লিক করবে কি করবে না, সেটা টোটালি ডিপেন্ড করে আপনার হেডলাইনের উপর। আপনি যদি আকর্ষনীয় হেডলাইন তৈরি করতে না পারেন তাহলে প্রাথমিকভাবে আপনি সেই ব্যাপারটাতে ফেইল করবেন।
তো, অবশ্যই কন্টেন্ট পাবলিশ করার পুর্বে হেডলাইন সঠিকভাবে অপটিমাইজ করে নিবেন, আর খেয়াল রাখবেন হেডলাইন যেন অবশ্যই ক্যাচি এবং আকর্ষনীয় হয়।

১২. সাইটে ভিডিও এমবেড করা অসাধারন একটা ওয়ে হতে পারে, সাইটে ভিজিটর ধরে রাখার। আপনি ইউটিউবের যেকোণ ভিডিও আপনার সাইটে এমবেড করতে পারেন এতে কোন প্রকার কপিরাইট সমস্যা নাই।
সো, আপনি যে টপিক নিয়ে কন্টেন্ট ক্রিয়েট করবেন সেই টপিকের দুই একটা ভিডিও এমবেড করে দিতে ভুলবেন না।

পোষ্টটি আপনাদের কেমন লাগল তা অবশ্যই জানাবেন। এই আর্টেকেলটির জন্য সফর ভাইকে ধন্যবাদ।

এই পোষ্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে আমার ব্লগ একাত্তর সাইট থেকে ঘুরে আসতে পারেন। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন এই কমানায় পোষ্টটি শেষ করছি।

Level 2

আমি রোহান বিশ্বাস। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 8 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 91 টি টিউন ও 1 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 4 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 5 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস