লেখার শুরুতেই হইতো অনেক হার্ড কথা দিয়ে শুরু করবো, যার কারনে সবার একটু খারাপ লাগতে পারে। তবে এই কথা গুলো খারাপ লাগলেও এটাই বাস্তব। বেকারত্বের দিক থেকে আমাদের দেশ পৃথিবীর টপ লিস্ট এ আছে। আর এই বেকারত্বের জন্য আমরাই দায়ী। আমরা জাতিগত ভাবে অলস এবং ভীতু। আমরা আমাদের লাইফে খুব একটা কষ্ট করতে চাই না। নতুন কিছুতে নিজেকে এডপ্ট করতে পারি না। আর এই সবের জন্যই আমাদের দেশের ম্যাক্সিমাম ছেলে-মেয়ে অনেক পড়ালেখা করেও বেকার ঘুরে বেড়াই। আমাদের সমাজ এখনো সেই পুরোনো ধ্যান ধারনা নিয়ে পড়ে আছে। সবাই এখনো সেই টিপিক্যাল সরকারি জবকেই সব কিছু মনে করে। আমাদের মা বাবা ও ওই টাইপের। কিন্তু আর কত দিন। এভাবে তো জীবন চলে না। অনার্স-মাস্টার্স পর্যন্ত পড়ালেখা করে বহু ছেলে-মেয়ে বেকার ঘুরে বেড়াচ্ছে, আর কম পড়ালেখা করা ব্যক্তিদের কথা তো বাদ ই দিলাম।
প্রায় কয়েক বছর ধরে আমি বিভিন্ন ছেলে মেয়েদেরকে ট্রেনিং দেয়। আর সেই অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি যে ম্যাক্সিমাম পারসোন কম কষ্ট করে অল্প সময়ের মধ্যে অনেক টাকা ইনকাম করতে চাই। তবে সব থেকে তেতো কথা হলো যে কম কষ্ট করে অল্প সময়ের মধ্যে কখনো সাকসেসফুল হওয়া যায় না। তবে তথ্য প্রযুক্তির এই উন্মুক্ত যুগে একটু কষ্ট করলে অনেক কিছুই করা সম্ভব। আপনি কোনও একটি কাজের উপরে কয়েকমাস পরিশ্রম করে স্কিলফুল হইলে আপনাকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হবে না, কিন্তু সবাই তো এই কয়েক মাস ই পরিশ্রম করতে চাই না।
আমি এই লেখাতে মুলত আইটি সেক্টর নিয়ে ই কথা বলবো। যাদের এই সেক্টর নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা আছে শুধু তারাই পড়বেন, বাকিরা সরকারি চাকরির জন্য ট্রাই করতে থাকুন ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত।
আশাকরিই মনে করে না।
আমি সবাইকে আইটি তে কাজের জন্য উৎসাহ দেবো এই কারনে যে এটার অনেক সুবিধা আছে, যেটা অন্য কোনো প্রফেশনে পাবেন না। সুবিধা গুলা হলোঃ
১। আপনাকে জবের জন্য প্রতিযোগিতা করতে হবে না।
২। স্যালারি অন্য জবের থেকে অনেক বেশি।
৩। আইটি ফার্ম গুলাতে অনেক চাহিদা।
৪। চাইলে অফিসে বসেও জব করতে পারবেন আবার রিমোট জব ও করতে পারবেন [বাসায় বসে অফিস করা]
৫। অন্যের অফিসে জব করতে না চাইলে নিজেই মার্কেট প্লেস এ কাজ করতে পারবেন।
৬। আপনি যত শিক্ষিত হবেন ততই আপনার জন্য ভালো তবে কম শিক্ষিত রাও চেষ্টা করলে অনেক ভালো করতে পারবে।
৭। আইটি জব সব সময় স্মার্ট জব। ইনকাম ও করতে পারবেন অনেক বেশি।
এছাড়াও আরো অনেক সুবিধা আছে যেগুলা বলে শেষ করা যাবে না। তবে একটা অসুবিধা আছে, আর সেটা হলো আপনাকে একটু পরিশ্রমী হতে হবে।
ইন্টারনেটে অনেক রিসোর্স থাকার ফলে আপনি সহজেই ফ্রিতে অনেক কিছু শিখে একজন আইটি এক্সপার্ট হতে পারবেন।
এখন একটু নিজেকে প্রমোট করি। আমি ২ বছরের বেশি সময় ধরে ট্রেনার হিসেবে কাজ করতেছি এবং একটি আইটি ফার্ম এ অনেকদিন ধরেই কাজ করতেছি। আমাদের আশাকরি। তবে ট্রেনিং দিতে গিয়ে অনেক অনেক খারাপ অভিজ্ঞতা হয়েছে আমার। নিচে সেগুলা আলোচনা করছি।
সবাই পড়াশুনার পেছনে লাখলাখ টাকা খরচ করেও শেষ পর্যন্ত বেকার হয়ে ঘুরে বেড়াই এবং লাখ টাকা ঘুষ দেয় চাকরি পাওয়ার জন্য। কিন্তু আমি যদি কাউকে বলি আপনি ১৫ হাজার টাকা খরচ করে এই ট্রেনিং টা করলে ট্রেনিং শেষে আমিই আপনাকে চাকরির ব্যবস্থা করে দেবো, তখন তার অনেক কষ্ট হবে নিজের স্কিল ডেভেলপ করতে এই ছোট আমাউন্ট টা খরচ করতে।
অনেকে ফ্রি ট্রেনিং করতে চাই। আপনি একটা জিনিস ভেবে দেখেছেন একটা ট্রেনিং সেন্টারে ট্রেনারকে প্রতি ক্লাসের জন্য টাকা দিতে হয়, আপনার জন্য পার্সোনাল একটা কম্পিউটার থাকে। বিশাল একটা ক্লাসরুম সেটআপ, আরো কত খরচ। তারপরও আপনি যদি ফ্রি বা কম খরচে শিখতে চাইবেন তখন নিজেকে খুব ই অপমানিত মনে হয়।
স্কুল কলেজের টিচাররা আপনার স্কিল ডেভেলপ করে দিবে কিন্তু চাকরির গ্যারান্টি দিবে না কিন্তু আমাদের মত মানুষ আপনাকে স্কিল ডেভেলপ করে দিব আবার চাকরিও দিয়ে দেবো, তাহলে আমরা একটা নুন্যতম সম্মান তো পেতে পারি। তবে সব থেকে দুঃখের ব্যাপার হলো সেই সম্মান টুকুও পাই না।
আইটিতে কাজ করতে হলে আপনাকে নিজে নিজে ই বেশি শিখতে হবে। কিন্তু আপনি ভালো একটা গাইডলাইন পেলে খুব দ্রুত অনেক ভালো অবস্থানে যেতে পারবেন। এজন্য আমি বলবো যে আপনি যার কাছ থেকেই গাইডলাইন নিন না কেনো সেই দিক নির্দেশনা দেয়া ব্যক্তিকে অবশ্যই যোগ্য সম্মান টা দিবেন।
আমি আবারো বলছি আপনি নিজে নিজে শিখতে পারেন, অন্য কোনো ট্রেনারের কাছ থেকে গাইড লাইন নিতে পারেন আবার আমার কাছেও আসতে পারেন তবে মোরাল অব দ্য স্টোরিঃ নিজেকে একজন স্কিলফুল পারসোন হিসেবে গড়ে তুলুন।
মেইন আর্টিকেলঃ এখানে ক্লিক করুন।
আমি ডেল নর। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 8 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 20 টি টিউন ও 2 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 8 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।