আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, ভালোই আছেন।
আজকে হাজির হয়ে গেলাম সেই বহু লিখিত এবং পঠিত একটি বিষয় নিয়ে- ফ্রিল্যান্সিং 🙂 আমার মনে হয় না বাংলাদেশে এমন কোন ব্লগ আছে যেখানে এই বিষয়ে লিখা হয় নি! তাই চিন্তা করলাম, আমিই বা বাদ যাই কেন- তাই লিখে ফেললাম একদম নতুন ফ্রিল্যান্স আগ্রহীদের জন্য। দেখে নিন কিয়াভবে শুরু করতে পারেন ফ্রিল্যান্সিং।
বর্তমানে ফ্রীল্যান্সিং একটি জনপ্রিয় কর্মক্ষেত্র। খুব সহজে এবং বিনা পুজিতে আপনি ফ্রীল্যান্সিং শুরু করতে পারেন। আমাদের দেশে অনেক প্রতিভা আছে, আছে অনেক সম্ভাবনা শুধু দরকার তাদেরকে সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করা। শুধু মাত্র সঠিক তথ্য এবং দিকনির্দেশনার অভাবে আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি। আমার এই লেখাতে আমি চেষ্টা করব, কিভাবে আপনি ফ্রীল্যান্সিং শুরু করবেন।
ফ্রীল্যান্সিং কি?
সহজ কথায় ফ্রীল্যান্সিং হল অন্য কার কাজ করে দেয়া। আমামদের দেশে ফ্রীল্যান্সিং বলতে আমরা বুঝি অন্য দেশের কাজ একটা মার্কেটপ্লেস থেকে যোগাযোগ করে, কাজ নেয়া এবং সেটা করা।
ফ্রীল্যান্সিং এর ক্ষেত্র - odesk. Elance, freelancer, আরও অনেক সাইট রয়েছে যেখানে আপনি বিনা মুল্লে নিবন্ধিত হতে পারেন এবং কাজ শুরু করতে পারেন।
ফ্রীল্যান্সিং এর সুবিধা- ফ্রীল্যান্সিং এর অনেক সুবিধা আছে, যেমন আপনি নিজে নিজের কাজ ঠিক করতে পারছেন, নিজের পছন্দ মত কাজ বেছে নেয়ার সুযোগ, মার্কেট সম্পর্কে ধারনা পাবেন, আন্তর্জাতিক মানের কোম্পানির সাথে কাজ করার সুযোগ, নিজের পরিচয় এবং কাজকে অন্যকে জানাতে পারছেন, অবশ্যই আপনি উপার্জন করছেন, আপনার দক্ষতা যাচাই করার সুযোগ পাচ্ছেন, সর্বোপরি এই বিশ্বায়নের যুগে নিজেকে প্রস্তুত করতে পারছেন।
কি কি ফ্রীল্যান্সিং করতে পারেন- অনেক ধরনের কাজ আছে, আপনি আপনার পছন্দ এবং যোগ্যতা অনুযায়ী যেকোনো কাজ করতে পারেন। তবে আপনি যে কাজটি করবেন, তার একটি নুন্নতম মান থাকা ভাল বলে আমার মনে হয়। ওয়েব ডিজাইন, প্রোগ্রামিং, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইযেসান, লেখালেখি, ডিজাইন করা, অ্যাপলিকেসান ডেভেলপমেন্ট করা ইত্যাদি আপনাকে ভিন্ন উচ্চতাই নিয়ে যেতে পারে। শুধু মাত্র টাকা উপার্জন করার জন্য ফ্রীল্যান্সিং করা এবং নিজের অমূল্য সময় নষ্ট করা একই কথা। আপনাকে অবশ্যই এমন কাজ বেছে নেয়া উচিত যেটা আপনার ভবিষ্যতে কাজে লাগবে। আপনি এমন কাজ করেন, যেটা দিয়ে আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন, গর্ব করতে পারবেন এবং ভবিষ্যতে আপনার কাজে লাগবে।
ফ্রীল্যান্সিং এর জন্য চাই সঠিক দিকনির্দেশনা – সঠিক দিকনির্দেশনা পেলে, আপনিও হতে পারেন একজন সফল ফ্রিলানসার। এক্ষেত্রে আমার পরামর্শ হল, গতানুগতিক কোন প্রথিষ্ঠান না গিয়ে, সফল ফ্রিলানসারদের সহযোগিতা নেয়া, তাদের কাছ থেকে সরাসরি হাতে কলমে শিক্ষা নেয়া, কেননা তারা কাজ করেছে , তারা জানে কথাই ভুল হয়, কোনটা করা ভাল আর কোনটা করা ঠিক না।
নিজেকে ফ্রীল্যান্সিংএর জন্য তৈরি করুন- প্রথমে কোন কিছু না জেনে, ফ্রীল্যান্সিং শুরু করা ঠিক না। প্রথমে নিজেকে তৈরি করুন এবং এরপর শুরু করুন। খুব ভাল হয়, আপনি যদি কোন একটা বা একাধিক কাজের উপর প্রশিক্ষন নেন। যেমন ধরুন, ওয়েব ডিজাইন এর কথা HTML, CSS দিয়ে আপনি কাজ শুরু করতে পারেন এবং কাজ করতে করতে নিজেকে আর দক্ষ করে তুলতে পারেন। কাজ করার জন্য সময় নির্বাচন, কমপিউটার এবং অন্য সব কিছু ঠিক করে নিতে হবে এবং সর্বোপরি নিজেকে কাজ করার উপযোগী করে তুলতে হবে এবং আমি আবার বলছি, এক্ষেত্রে প্রশিক্ষন এর কোন বিকল্প নেই। আপনার নিজের কিছু কাজের নমুনা, (Portfolio), কোন নিজস্ব ব্লগ, ফোরাম আপনাকে অন্নদের থেকে এগিয়ে রাখবে, এর যদি আপনার নিজস্ব ওয়েব পেইজ থাকে তাহলে অনেক ভাল হয়।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। 🙂 টেক-টিউন্স এ বর্তমানে টিউমেন্ট খরা চলছে 🙁 কোন টিউনেই টিউমেন্ট পাই না ১টা ২টার বেশী! আশা করি সবাই টিউমেন্ট করে লিখতে উৎসাহ দেবেন। ধন্যবাদ।
আমার ফেসবুক আইডিঃ এখানে ক্লিক করুন {আমি একজন আর্টিকেল রাইটার। কেউ আমাকে হায়ার করতে চাইলে আমার সাথে যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ}
সৌজন্যেঃ ব্লগিং ওয়ার্ল্ড :: ব্লগিং এর এক নতুন দুনিয়া {ব্লগিং সম্পর্কে কোন ধরনের হেল্প দরকার হলে এই গ্রুপে যোগ দিন। }
আমি প্রীতম চক্রবর্তী। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 39 টি টিউন ও 161 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
মাঝে মাঝে নিজেকে দেখলে মনে হয়, 'হায়! আরও কত কিছু করার বাকি আছে!'
সুন্দর পোষ্ট করার জন্য ধন্যবাদ।