মূল আলোচনায় যাওয়ার আগে দুটি উপদেশ দেই বিশেষ করে নতুনদের জন্য। ধারাবাহিকভাবে বিডি ফরেক্স প্রফেশনাল এর টিউন গুলো শেষ করুন কারন আমি টিউন গুলো এমন ভাবে করব যাতে করে আপনি শেখার ক্ষেত্রে মিসগাইড না হোন অর্থাৎ কোন বিষয় গুলোর পর কোন বিষয় গুলো জানতে হবে, সেটি মাথায় রেখেয় আমি টিউন সাজাবো। পাশাপাশি ভিবিন্ন রকম ফরেক্স রিসোর্স সাইট ভিজিট করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। কারন যত বেশি রিসোর্স আপনি টাচ রাখবেন তত ভালো ট্রেডার রুপে গড়ে উঠবেন। তাড়াহুড়ো করার কোন দরকার নাই, আস্তে আস্তে প্রসিড হোন, একটু সময় নিয়েই এগুতে থাকুন আপনি অবশ্যই ভালো করবেন, কারন তাড়াহুড়ো কিংবা অতি মাত্রার উৎসাহ আপনার খতির মূল কারন হতে পারে। তাই বারবারই একটা কথার উপর বেশি বেশি নজর দিচ্ছি, তা হল প্রথমে শিখুন, শিখুন এবং শিখুন ! আর প্রশ্ন করতে চাইলে কিংবা যদি ট্রেডারদের সাথে আপনার কোন সমস্যা বিষয়ক আলোচনা করে সমাধান নিতে চান তাহলে আপনার আলোচনা শুরু করুন।
যারা প্রথম পর্বটি পড়েননি তারা চাইলে প্রথম পর্ব পড়ে ধারাবাহিকতা রাখতে পারেন।
প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এবং লেনদেনের সহজলব্ধতার কারনে বিভিন্ন আর্থিক/অ-আর্থিক প্রতিষ্ঠান সহ বৈদেশিক মুদ্রার বাজারের প্রধান অংশগ্রহণকারীরা হল: ব্যাংক, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তিগত বিনিয়োগকারীরা ও ব্যবসায়ী। এবং ব্রোকার প্রতিষ্ঠান নানা রকম সুবিধা প্রধান এর মাধ্যমে বেপকভাবে লাভবান।
ব্রোকার কোম্পানিদের মূল উদ্দেশ্য হল ক্রেতা এবং বিক্রেতার সন্নিবেশনে স্প্রেড এর মাধ্যমে কমিশন আয় করা।
ফরেক্সে ২ প্রকার ব্রোকার বিদ্যমানঃ
এই প্রকার ব্রোকার Route তথা একটি Way’র মাধ্যমে আপনার ট্রেডটি ওপেন করে, এবং তাদের স্প্রেড সিস্টেম সাধারণভাবে ফিক্সড করা থাকে। ডিলিং ডেস্ক ব্রোকার মূলত স্প্রেডের মাধ্যমে ইনকাম করে এবং ট্রেডারদের প্রত্যেকটি ট্রেড ওপেন এর বিপরীতে নিজেরা আরেকটি ট্রেড ওপেন করে থাকে। এই ব্রোকারকে Market Maker Broker ও বলা হয়ে থাকে কারন তারা ‘মার্কেট মেইক’ করে অর্থাৎ যদি কোন ট্রেডার কোন কারেন্সি বায় অর্ডার করে তখন ব্রোকার ঐ কারেন্সির আরেকটি সেল (বিপরীত) অর্ডার করে এবং ট্রেডার যখন সেল অর্ডার করে তখন ব্রোকার তার বিপরীত বা বায় অর্ডারটি করে। এই নিয়মে ট্রেডাররা প্রতিনিয়ত একটা প্রাইস চেঞ্জ এর মধ্যে থাকে বা ট্রেডাররা বেশিরভাগ সময়ে রিয়েল কৌওটে অর্ডার করতে পারে না। তাই অর্ডার এর ক্ষেত্রে অনেক হয়ত লক্ষ্য করেছেন যে Re-Quote কথাটি আসে। মূলত এরা হল রিটেইল ব্রোকার আর এই সকল ব্রোকার আমাদেরকে কম ইনভেস্টমেন্টে ট্রেড করার সুবিধা দিচ্ছে বলে ওরাও বিনিময়ে কিছু নিয়ে যাচ্ছে। তবে এইসব ব্রোকাররা সব সময় চেষ্টা করে ট্রেডারদের রিয়েল কৌওটে অর্ডার মেইক করে দিতে। এই নিয়মে অর্থাৎ Hedge এর মাধ্যমে ট্রেডার এবং ব্রোকার উভয় সুবিধা লাভ করে থাকে।
চিত্রটি দেখুন আশা করছি বিষয়টা আরো পরিস্কার হয়ে যাবে......
এটা সাধারণ নিয়ম যেখানে ব্রোকাররা ট্রেডার এর ট্রেড এর বিপরীতে কোন ট্রেড ওপেন করে না শুধুমাত্র ওপেনকৃত ট্রেড থেকে কমিশন লাভ করে থাকে। তাই এইসকল ব্রোকারের ট্রেড অর্ডারে অতিরিক্ত কোন সময় লাগে না এবং Re-Quote করতে হয় না ট্রেডার রিয়েল কৌওটে অর্ডার মেইক করতে পারে। অনেকের মনে এখন প্রশ্ন জাগছে তাহলে আমরা NDD ব্রোকারে কেন ট্রেড করি না। আসলে NDD ব্রোকারগুলোর ট্রেডিং ইনভেস্টমেন্ট মোটামুটি হাই থাকে যার কারনে আমাদের মত লো-ইনভেস্টমেন্ট যাদের তারা ডিলিং ডেস্ক ব্রোকার ছাড়া কিছু চিন্তা করি না। তবে বিষয়টাতে খুব চিন্তার কিছু নাই কারন আপনি ভালো ট্রেডার হয়ে গেলে এই সব পার্থক্য আপনাকে খুব একটা ভাবাবে না।
নো-ডিলিং ডেস্ক ব্রোকারের মধ্যে আবার ২ ধরণের ব্রোকার আছেঃ
ECN: নো-ডিলিং ডেস্ক ব্রোকারের একটি টাইপ হল ECN ব্রোকার। আসলে ট্রেডিং মেকানিসম এর পার্থক্যর কারনে এইসব ব্রোকারের সৃষ্টি, এই প্রকার ব্রোকার অর্ডার মেইক করে ডিরেক্টলি ক্লায়েন্ট টু ক্লায়েন্ট রিস্পন্স কনসেপ্টে।
STP: আর এই প্রকার ব্রোকার অর্ডার মেইক করে ইন্টারব্যাংক প্রাইস আক্সিস্টিং লেভেলের মাধ্যমে সরাসরি ক্লায়েন্ট টু ব্যাংক তথা লিকুডিটি প্রোভাইডারদের মাধ্যমে।
সৌজন্যে : বিডিফরেক্সপ্রো.কম
আমি এম হাফিজ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 22 টি টিউন ও 67 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
চমৎকার, চালিয়ে যান………