আপনারা কেউকি অ্যামেরিকান National Security Agency (NSA) এর নাম শুনেছেন। আমার মনে হয় অনেক কম শুনেছেন কারন পত্রপত্রিকায়, বিভিন্ন নিউজি চ্যানেলে কখনোই এমন কোন সংস্থার নাম শুনেননি। অ্যামেরিকান সরকারও বহুদিন এ প্রতিষ্টানটির অস্তিত্ত্ব স্বীকার করে নি।
গত শতাব্দীতেও ৩% অ্যামেরিকান মাত্র এ প্রতিষ্ঠানটির কথা জানত। অনেকে এ প্রতিষ্ঠানটিকে কৌতুক করে বলে NSA মানে "No Such Agency".
প্রকৃত পক্ষে এ প্রতিষ্ঠানটির শুধু অস্তিত্ত্বই আছে এমন নয় এটি অ্যামেরিকান সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রভাবশালী। জানুয়ারি ৮, ২০০৮ এ প্রেসিডেন্ট বুশ অ্যামেরিকার সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যকার কম্পিউটার নেটওয়ার্কের পর্যবেক্ষন ও নিরাপত্তার প্রধান দায়িত্ব NSA কে প্রদান করেন। অ্যামেরিকান সরকার, অ্যামেরিকার Federal Bureau of Investigation (FBI), Central Intelligence Agency(CIA), Data Encryption Standard (DES), Internal Revenue Service (IRS), U.S. Law enforcement agencies এবং U.S. foreign policy adivisors সকলে তাদের যেকোন সিদ্ধান্ত নেয়ার ব্যাপারে NSA এর উপর নির্ভর করে।
NSA গত অর্ধশতাব্দী ধরে সারা বিশ্বের নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ এবং অ্যামেরিকান সরকারি সকল ক্লাসিফাইড তথ্য সংরক্ষন করে আসছে।
বর্তমানে এটি বিভিন্ন ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক রেডিও সম্প্রচার, মোবাইল যোগাযোগ, ইন্টারনেট, টেলিফোন কল এবং অন্যান্য যোগাযোগের মাধ্যমে আড়ি পাতার জন্য কাজ করে। তাছাড়ও এটি আমেরিকার বিভিন্ন মিলিটারি, কূটনৈতিক যোগাযোগ, বিভিন্ন স্পর্শকাতর যোগাযোগ এবং সরকারি গুরত্বপূর্ণ সকল যোগাযোগের নিরাপত্তা দিয়ে থাকে।
১৯৫২ সালের সালের ৪ঠা নভেম্বর রাত ১২:০১ মিনিটে অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রুমেন অর্ধ-শতাব্দী ধরে পৃথিবীর সবচেয় গুপ্ত এ প্রতিষ্ঠানটি স্থাপন করেন। এ প্রতিষ্ঠানটির প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সরকারি যোগযোগের নিরাপত্তা দেয়া এবং এবং বিদেশি যোগাযোগ ধরা এবং প্রয়োজনে বাধা দেয়া।
উপরের ছবিটি স্যাটেলাইট থেকে তোলা NSA এর হেডকোয়াটারের ছবি। বাল্টিমোর থেকে ২৪ কি.মি. দূরে মেরিল্যান্ডের ফোর্ট মিডেতে ৮৬ একর জমির উপর NSA এর এ প্রধান কার্যালয় খুবই সতর্কতার সাথে বনের মধ্যে লুকানো ছিল। এখানে প্রায় ১৮ হাজার গাড়ি পার্কিয়ের ব্যবস্থা আছে। বাল্টিমোর-ওয়াশিংটন পার্কের পর থেকে শুধু NSA এর কর্মকর্তা ছাড়া আর কেউ NSA এর কাছে প্রবেশ করতে পারে না।
এ হেডকোয়াটারটির বিল্ডিংয়ের আকার বিশাল। প্রায় ২ মিলিয়ন স্কয়ার ফিট। CIA এর হেডকোয়াটারের ডাবল। এর ভেতরে রয়েছে প্রায় ৮ মিলিয়ন ফিট টেলিফোনের তার। ৮০ হাজার স্কয়ার ফিট স্থায়ীভাবে লাগানো জানালা। এ বিল্ডিংয়ের ছাদে রয়েছে ৫০০ এরও বেশি এন্টেনা, বিশাল বিশাল রেডোম বা গল্ফ বলের মত বিশাল রাডার এন্টেনা।
এছাড়াও এ বির্ল্ডীংয়ের অভ্যন্তরে রয়েছে অসংখ্য কম্পিউটার। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এবং ব্যায়বহুল কোড ব্রেকিং কম্পিউটারও রয়েছে এখানে। এখানেই রয়েছে অ্যামেরিকান সরকারের যাবতীয় গোপন তথ্যের ভান্ডার অর্থাৎ ক্লাসিফাইড ডাটা ব্যাংক। অর্থাৎ অ্যামেরিকান সরকারের কাছে এর চেয়ে গুরত্বপূর্ণ আর কিছু হতে পারে না কারন এখানে সংরক্ষিত রয়েছে অ্যামেরিকার সকল অর্জন। একারনেই এর নিরাপত্তার ব্যাপারে অ্যামেরিকান সরকার একটুও কার্পন্য করেনি কখনো করবেও না।
বলতে গেলে এটি পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা, মাটি থেকে প্রায় ২১৪ ফিট গভীরে অবস্থিত এ ডাটা ব্যাংককে পারমানবিক বিস্ফোরনের মাধ্যমেও বিন্দু পরিমান ক্ষতি করা সম্ভব নয়।
এগুলো সম্পর্কে আমি পরের টিউনগুলোতে আরো বিস্তারিত লিখব। দয়া করে টিউনটি কেমন লাগলো জানাবেন। উক্ত টিউন সম্পর্কে কারো কিছু জানার থাকলে দয়া করে প্রশ্নকরে জেনে নিন।
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।
আমি TareqMahbub। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 15 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 47 টি টিউন ও 464 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
Programmer at Business Innovation & Incubation Center, Banani. Worked @ Harry & Michael IT Center as a Web Developer. Worked @ Kazi IT Center as a Web Developer, Graphic Designer, Virtual Assistant. Worked @ IQRA MODEL SCHOOL & COLLEGE as a full time teacher & typist. Student at American International...
Shotti chomotkar ekti tune. Tareq Vai apni area-51 er bapare ekti factual and informative tune korle, I think would be great.
http://techpark.webnode.com/
All sorts laptops@Affordable price