আমি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলছিআমি কলকাতা টিউনাকে একটি ইন্টারভিউ দিয়েছিলাম সেটা কি আপনি পড়েছেনআমার স্বকন্ঠে কবিতাপাঠ ভিডিও ক্লিপও আরও অনেক কিছু আছে

টিউন বিভাগ নির্বাচিত
প্রকাশিত
জোসস করেছেন

প্রতিটি শিশু তার জন্মের পর.তার বিকাশে তার বাড়ির পরিবেশ ভীষণ ভাবে দায়ী থাকে.আমার ক্ষেত্রেও তাই.
আমার জন্মদাতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং জন্মদাত্রী সারদা দেবী.
আমার জন্ম.৭ই মে, ১৮৬১ সালে.আমার মনে আছে সেদিন ছিল ২৫ বৈশাখ, ১২৬৮ সাল.সমস্ত বাঙালী বাংলা তারিখেই আমার জন্মদিন পালন করেন.

#

আজও আমি আপনাদের মনের মণিকোঠায় বেঁচে আছি.এবং চিরকাল থকব.কথা দিলাম.
আমার জন্মদিন ১৫০ বছর অতিক্রম করেছে.আমি আজ খুব খুশি.
আজ আমি আমার জন্মভিটের সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেব.

১

এই বাড়িতেই আমার জন্ম.
এই বাড়ির ঠিকানা চাই.
নিম্মে দেওয়া হলো.
মহাশূন্য.আকাশ গঙ্গা ছায়াপথ.সৌর পরিবার.পৃথিবী গ্রহ.এশিয়া মহাদেশ.ভারত দেশ.পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য.কলকাতা শহর.জোড়াসাঁকো.আর যাকেই বলবেন ঠাকুরবাড়ি দেখিয়ে দেবে.
আর উপরের ওই বাড়িটা.সবুজ গালিচা পেড়িয়ে আমার বাড়ির প্রবেশ পথ.
আপনাদের সবাইকে আমন্ত্রণ জানালাম.আমার বাড়িতে.সময় পেলেই আসবেন কিন্তু.

আমি আমার ঠিকানা বিস্তারিত জানালাম.
কারণ আমি তো এখন ভিন গ্রহের বাসিন্দা..অন্য কোন ছায়াপথে.
সেখানে আমার অনেক পরিচিত মানুষেরা আছেন তাদের জন্যই বিস্তারিত ঠিকানা দিলাম.যাতে পথ ভুলে না যান.

#

আমি তখন ১৯ কি ২০

২


আমি তখন যুবক.

৩
আমার স্ত্রী মৃণালিনী দেবীর সাথে আমি.
৪

#

ও আমি একটা কথা বলতে ভুলে গিয়েছি.আজ আমার ইন্টারভিউ নিতে কলকাতা টিউনার আসছে আমার কাছে.
আমিও প্রস্তুত হচ্ছি আমার ইন্টারভিউ দেবার জন্য.
দুপুরে এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেছে.বৈকালের শান্ত পরিবেশ.মনমু্গ্ধকর সবুজ গালিচা আমি কলকাতা টিউনারের জন্য অপেক্ষা করছি.
আমি আপন মনে গান গাইছি.

' দিন গুলি মোর সোনার খাঁচায় রইলো না, রইলো না
সেই যে আমার নানা রং এর দিন গুলি
কাঁন্না-হাসির বাঁধন, না না সইলো না, সইলো না
সেই যে আমার নানা রং এর দিন গুলি '.[ডাউনলোড_ হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের কন্ঠে]

এমন সময়.ডাক এলো.বিশ্বকবি আপনি বাড়ি আছেন নাকি..
আমি উওর দিলাম আছি.'এসো আমার ঘরের দ্বারে'
৫

কলকাতা টিউনার:- আমরা এগিয়ে চললাম ঠাকুর বাড়ির সামনের সবুজ গালিচার দিকে.(মাঠে বসে).কবি আপনি আমাকে এবার প্রশ্ন করার অনুমতি দিন.
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- অবশ্যই প্রশ্ন বানে বিদ্ধস্থ কর.আমি প্রসস্ত মনে উওর দেব.

কলকাতা টিউনার:- আপনার কাব্য রচনার বৈশিষ্ঠ গুলি কি কি?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- বিরাম হীন গতিশীল জীবনই হল আমার কবিস্বওার প্রধান বৈশিষ্ঠ.
ভাব থেকে ভাবান্তরে, এক উপলব্ধি থেকে অন্য এক উপল্ধিতে নিরন্তর অগ্রসর হয়ে চলাই আমার পরিণাম মুখি প্রতিভা.

কলকাতা টিউনার:- আপনার স্বকন্ঠে কবিতা পাঠ.নাটক সংলাপ.গান শোনাবেন.
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- আমি এই গুলি নিয়েই জীবিত আছি আপনাদের মাঝে.
আমার কবিতা পাঠ.'যুগে যুগে দূত পাঠায়েছ বারে বারে'.{ডাউনলোড.রবীন্দ্র কন্ঠে}

আমার নাটক সংলাপ.'বীর পুরুষ' নাটকের.{ডাউনলোড.রবীন্দ্র কন্ঠে}

আমার গান. 'তবু মনে রেখ'.{ডাউনলোড.রবীন্দ্র কন্ঠে}

কলকাতা টিউনার:- আপনি কি কি ছদ্মনাম ব্যবহার করতেন?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- আন্না কালি পাকড়াসী, দনুজমর্দন দেব, ভানুসিংহ.

কলকাতা টিউনার:- এবার কাব্যর কথায় আসি.আপনার লেখা প্রথম কাবিতার নাম কি?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- আমার প্রথম রচিত কবিতা 'অভিলাষ.আমার প্রথম স্বাক্ষর যুক্ত কবিতা 'হিন্দু মেলার উপহার'

কলকাতা টিউনার:- আপনি কোন কাব্য গ্রন্থের জন্য নোবেল প্রাইজ পেয়েছিলেন?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- আমি 'গীতাঞ্জলি'(১৯১০) কাব্য গ্রন্থের.
ইংরাজি অনুবাদ 'song offering' (সং অফারিং ১৯১২) গ্রন্থের জন্য ১৯১৩ সালে নোবেল প্রাইজ পাই

কলকাতা টিউনার:- আপনার নোবেল প্রাইজটা একবার দেখতে ইচ্ছা করছে.একবার দেখাবেন.
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- খুব দুঃখের সাথে জানাচ্ছি.আসল নোবেল প্রাইজটা চুরি হয়ে গেছে.তাই এখন তার ছবি দেখাই. কেমন.
আমিই প্রথম এশিয়ার নোবেল জয়ী.নোবেল প্রাইজ ও আমি.
৬

আমার এই নোবেল প্রাইজ চুরি হয়ে গেছে.আমি তাই মর্মাহত.
নিসঙ্গ পথিক আমি.
৭

কলকাতা টিউনার:- এই কথা শুনে আমি খুব মর্মাহত.তাই এক জন বাঙালী হিসাবে আমি লজ্জিত.
একটা প্রশ্ন করি.আপনার প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম কি?

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- প্রথম লেখা কাব্যগ্রন্থ 'বনফুল'.প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ 'কবি ও কাহিনী'.

কলকাতা টিউনার:- আপনার লেখা এযাবৎ কালের সর্বশ্রেষ্ঠ কাব্য গ্রন্থের নাম কি?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- 'চিত্রা'(১৮৯৬)__ এটিই আমার পরিণত মনের কাব্যগ্রন্থ

কলকাতা টিউনার:- মুক্তক ছন্দে লেখা কাব্য গ্রন্থ কোনটি? মুক্তক ছন্দ কি?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- 'বলাকা'(১৯১৬) হল আমার মুক্তক ছন্দে রচিত কাব্য গ্রন্থ.
মুক্তক ছন্দ প্রধানত অক্ষরবৃও ছন্দ রীতিতে রচিত.অনিয়মিত ও অসমদৈর্ঘের পঙতি সমন্বিত চরনান্তিক মিল যুক্ত আমার দ্বারা সৃষ্ট
যে ছন্দ বদ্ধ ভাবটি পংক্তি পর পংক্তি স্বচ্ছন্দে পর পংক্তিতে স্বচ্ছন্দে প্রবাহিত হয়.

কলকাতা টিউনার:- আপনার হাতের লেখা দেখাবেন..
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- কেন নয়.এই তো আমার হাতের লেখা.নিচেই আছে.
আমার ইরাজী ও বাংলা হতের লেখা.
৮
আমার পাণ্ডুলিপিতে কারুকার্য আমার নিজের হাতে.
৯

কলকাতা টিউনার:- আপনার বিরোধী কবি কে কে?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- এই রকম সরাসরি প্রশ্ন করা ঠিক নয়.আমার ব্যক্তি গত বিরোধী কেউ নেই.তবে রাবীন্দ্রিক স্টাইলের বিরোধীতা করেছেন অনেকই.
এই বিরোধীতা বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে.তাঁরা নতুন ভাবনাকে জন্ম দিয়েছেন.তাই তাই তাদের সাধুবাদ জানাই.তাঁদের নাম হল.
মোহিত লাল মজুমদার, যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত, কাজী নজরুল ইসলাম.

কলকাতা টিউনার:- আপনি কি সবসময় লিখতেন?.আপনার লিখছেন এমন কোন ছবি দেখাবেন?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- সব সময় কি লেখা যায় নাকি.আমি তো মানুষ.তবে একমাত্র ঘুমাবার সময় বাদে আমার মস্তিষ্ক সব সময় সৃষ্টি সুখে ব্যস্ত থাকতো.
আমার সেই সময় কার ছবি দেখুন আমি কেমন আমার টেবিলে লেখার সৃষ্টি সুখে ব্যস্ত হয়ে আছি.
১০
এইছবিটিকে আধুনিক বিজ্ঞান কেমন ডিজিটাল করেছে দেখুন.
১১

কলকাতা টিউনার:- আপনার কাব্য গ্রন্থ গুলিকে কতগুলি ভাগে ভাগ করেছেন?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- সেগুলিকে আমি ভাগ করি নি.আমার গবেষকরা (রবীন্দ্র গবেষকরা)ভাগ করেছেন.
শৈশব পর্ব, ঊন্মেষ পর্ব, ঐশ্বর্য পর্ব, ভাবনা পর্ব, গীতাঞ্জলী পর্ব, বলাকা পর্ব, অন্তরাগ পর্ব, লঘু হাস্য রসাত্মক কাব্য এবং গোধূলি পর্ব.

কলকাতা টিউনার:- আপনার বৃহত্তম ও শেষ প্রকাশিত কাব্য গ্রন্থ কোনটি?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- 'মহুয়া'(১৯২৯)হলো বৃহওম কাব্যগ্রন্থ.
জীবৎ কালে শেষ প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ 'জন্মদিনে'(১৯৪১).
মৃত্যুর পর শেষ প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ 'ছড়া'(১৯৪৩)

কলকাতা টিউনার:- আপনার লেখা শেষ কবিতাটির নাম কি? দুই লাইন যদি বলেন.
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- প্রথমেই বলে রাখি রোগশয্যায় আমার লেখার ক্ষমতা ছিল না.তা বলে সৃষ্টি থেকে থাকবে.তা হয় না.
আমি মুখে বলি আর শিষ্যা রানী চন্দ্র লেখেন.
কবিতাটির নাম হল__ 'প্রথম দিনের সূর্য'
'তোমার সৃষ্টির পথ রেখেছ আর্কীণ করি
বিচিত্র ছলনার জালে হে ছলনা ময়ী'

কলকাতা টিউনার:- আপনার নিজের হাতে আঁকা কিছু ছবি দেখাবেন.তাহলে খুব ভাল লাগবে.
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- কেন নয়.আমি চিত্রকরের ভূমিকায়.আমার নিজের হাতে আঁকা কতগুলি ছবি দেখুন.
১২

১৩

১৪

১৫

কলকাতা টিউনার:- খুব ভালো লাগলো.বিশ্বকবি.এবার আপনার প্রবন্ধের দিকে আসি.আপনার প্রথম প্রবন্ধ গ্রন্থ কোনটি.
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- প্রথম প্রবন্ধ গ্রন্থ হলো'পঞ্চভূত'(১৮৯৭)

কলকাতা টিউনার:- আপনার প্রথম প্রবন্ধ কোথায় প্রকাশ পায়?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- 'জ্ঞানাঙ্কুর' নামে মসিক পত্রিকায়.১৮৭৬ খ্রিষ্টাব্দে

কলকাতা টিউনার:-আপনার প্রবন্ধ গ্রন্থ গুলিকে কটি ভাগে ভাগ করা হয়? আপনার শেষ লিখিত প্রবন্ধ গ্রন্থ কোনটি.
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- সেগুলিকে ব্যক্তি গত এবং বস্তুগত এই দুই ভাগে ভাগ করা যায়.
আমার শেষ লিখিত প্রবন্ধ গ্রন্থ হল.'সভ্যতার সংকট'(১৯৪১)

কলকাতা টিউনার:- আপনার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একটা নামের পরিবার বৃক্ষ যদি দেন তাহলে উপকৃত হব.

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- অবশ্যই তৈরী আছে.এই তো নিছে দিলাম.
১৬

কলকাতা টিউনার:- খুব ভাল লাগল.এবার আপনার উপন্যাস এর সম্বন্ধে কিছু প্রশ্ন আছে.আপনার প্রথম উপন্যাস কোনটা?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- প্রথম অসমপূর্ণ উপন্যাস 'করুনা'(১৮৭৭-৭৮)
প্রথম সম্পূর্ণ উপন্যাস 'বউ ঠাকুরাণীর হাট'(১৮৭৩)

কলকাতা টিউনার:- আপনার উপন্যাস গুলিকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায়?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- প্রধানত চার ভাগে.১/ঐতিহাসিক উপন্যাস.২/দ্বন্দ্ব মূলক উপন্যাস.৩/বৃহত্তর সমস্যা মূলক উপন্যাস.৪/মিষ্টিক ও রোমান্টিক উপন্যাস

কলকাতা টিউনার:-বৃহওম, মহাকাব্যিক উপন্যাস কোনটা?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- গোরা (১৯১০)হল বৃহওম, মহাকাব্যিক উপন্যাস.

কলকাতা টিউনার:- খুব ভালো লাগছে আপনার সাথে কথা বলে.এবার আপনার নাটকের সম্বন্ধে.আপনার লেখা নাটক গুলিকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায়?

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- প্রধানত সাত ভাগে.১/গীতি নাট্য, ২/কাব্য নাট্য.৩/নিয়মানুগ নাটক, ৪/তও্ব প্রধান নাটক, ৫/রূপক সাংকেতিক নাটক, ৬/হাস্য রসাত্বক নাটক, ৭/নৃত্য নাটক

কলকাতা টিউনার:-আপনার একটা অটোগ্রাফ দিলে খুব ভালো লাগতো.বিশ্ব কবি দিন না.
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- ঠিক আছে.দিলাম.ইংলিশ ও বাংলায় অটোগ্রাফ দিলাম.
১৮
১৯

কলকাতা টিউনার:- খুব ভালো লাগল.আপনার সাথে আইন্টাইনের ও গান্ধিজীর দুর্লভ ছবি গুলি দেখাবেন.
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- আইন্টাইনের সাথে আমি.১৯৩০সালে বিদেশ সফর কালে ছবি
২০
মহাত্মা গান্ধীর সাথে আমি.
২১
কলকাতা টিউনার:- আপনার এত লেখা যদি আমি পড়তে চাই তাহলে আমি কি করে পড়ব.যদি আপনি বলে দেন.
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- এরও ব্যবস্থা আছে.এই খানে যান.আর যত খুশি আমার লেখা বই পড়ুন.আমার অপ্রকাশিত লেখাও পাবেন এখানে.

কলকাতা টিউনার:- আপনি কি জানেন আপনার লেখা গান কটি দেশের জাতীয় সঙ্গীত রূপে ব্যবহৃত হয়.যদি জানেন একটু বিস্তারিত বলেন যদি.
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- আমার লেখা গান ও সুর সরাসরি ভারতবর্ষ বাংলাদেশ ব্যবহার করে.
আর শ্রীলঙ্কা আমার লেখা গানের সিংহলি অনুবাদ ও আমার সুর ব্যবহার করে.

কলকাতা টিউনার:- একটু বিস্তারিত যদি বলেন.তাহলে বুঝতে সুবিধা হয়.
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- তাই হোক.নিন্মে বর্ণনা করে দিলাম.
22
ভারতের জাতীয় সঙ্গীত.
"জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে ভারতভাগ্যবিধাতা!
পঞ্জাব সিন্ধু গুজরাট মরাঠা দ্রাবিড় উৎকল বঙ্গ
বিন্ধ্য হিমাচল যমুনা গঙ্গা উচ্ছলজলধিতরঙ্গ
তব শুভ নামে জাগে, তব শুভ আশিষ মাগে,
গাহে তব জয়গাথা।
জনগণমঙ্গলদায়ক জয় হে ভারতভাগ্যবিধাতা!
জয় হে, জয় হে, জয় হে, জয় জয় জয় জয় হে। ".{ডাউনলোড.রবীন্দ্র কন্ঠে}
23
এই গানটি.'গীতবিতানের' স্বদেশ পর্বের ১৪ তম গান.
এই গানটি 'সঞ্চয়িতা' কব্যসংকলনে 'ভারত বিধাতা' নামের কবিতায় সংকলিত.
এই গানটি প্রথম গাওয়া হয় ১৯১১ সালের ২৭ ডিসেম্বর.কলকাতায় জাতীয় কংগ্রেসের ২৬ তম অধিবেশনে.
'জনগণমন' এই গানটিকে জাতীয় সঙ্গীতের স্বীকৃতি দেবার প্রস্তাব প্রথম রাখেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু..
অবশেষে ১৯৫০ সালের ২৪শে জানুয়ারি এই গানটি ভারতের জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে গ্রহন করা হয়
********************
24
"আমার সোনার বাংলা
আমার সোনার বাংলা,
আমি তোমায় ভালবাসি।

চিরদিন তোমার আকাশ,
তোমার বাতাস
আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি। ".{ডাউনলোড.ভিডিও ক্লিপ}

25
এই গানটি ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের পটভূমিতে রচিত.
এই গানটি ১৯০৫ সালের ৭ই আগষ্ট কলকাতার টাউন হলে প্রথম গাওয়া হয়.
১৯৭১ সালের ৩রা মার্চ এই গানটি বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে গ্রহন করা হয়.
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল স্বাধীন বাংলাদেশের সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে এই গান প্রথম জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে গাওয়া হয়.
************************

26
"আপা শ্রীলঙ্কা নম
নম নম মাতা
সুন্দর শ্রী বর্ণনী সুরনদি
অতি শুভ নামে লঙ্কা
ধন্য ধান্যে নেকে মাল
পালাথুরু পিরি জয় ভূমিয়ে".{ডাউনলোড}
27
এখানে বলে রাখা দরকার.এই গানটি সিংহলি ভাষায়.অনুবাদক আনন্দ সমরকুন.ইনি আমার সিংহলি ছাত্র.
১৯৩৮ সালে ইনি আমাকে অনুরোধ করেন শ্রীলঙ্কার জন্য একটি জাতীয় সঙ্গীত রচনা করতে.আমি একটি গান লিখে দিই.সুর এখনো একই আছে.
গানটি ১৯৫৩ সালে শ্রীলঙ্কান গেজেটে জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে গ্রহন করা হয়.

কলকাতা টিউনার:- খু্ব ভালো লাগল.আচ্ছা আপনি সবথেকে বেশি কষ্ট কখন পান.
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- আমার তৈরী সাধের শান্তিনিকেতে এখন আর শান্তি নেই.রাজনীতি এসে গেছে.
আমি বর্তমানে শিক্ষার সাথে রাজনীতিকে দেখে খুব কষ্ট পাই

কলকাতা টিউনার:- প্রতিটি মহান মানুষের মহা প্রস্থান বলে একটা দিন থাকে সেই দিনটি কি আপনি জানেন.কারণ কবিরা তো ক্রান্তাদর্শী
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- অবশ্যই, আমার ক্ষেত্রে সেই দিনটি হল.৭ই আগস্ট, ১৯৪১সাল, বাংলায় ২২ শ্রাবণ, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ.সমস্ত বাঙালী বাংলা তারিখেই আমার মহাপ্রস্থান পালন করেন.
28
* * *এই জায়গাটিই হলো আমার স্মৃতি সৌধ.মহাপ্রস্থানের পথ.নিমতলা মহা শ্মশানের নিমতলা ঘাট.উওর কলকাতা

কলকাতা টিউনার:-খুব ভালো লাগল.কবি গুরু আপনার সাথে কথা বলে.অনেক কিছু জানতে পারলাম.আপনার কোন ভিডিও ক্লিপ আপনি আমাকে দেখাবেন?

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- আমারও খুব ভাল লাগল.আমার ভিডিও ক্লিপ এখান থেকে ডাউনলোড করুন..আমার সাথে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুও আছেন.

কলকাতা টিউনার:-আমি আপনাকে শেষ প্রশ্ন করতে চাই.
"তুমি কি কেবল ই স্মৃতি, শুধু এক উপলক্ষ্য কবি?
হরেক উৎসবে হৈ হৈ
মঞ্চে মঞ্চে কেবলই ছবি
তুমি শুধু পঁচিশে বৈশাখ
আর বাইশে শ্রাবণ?"

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- না এই প্রশ্নের উওর আমি দেব না.আমি সমস্ত বাঙালীর কাছ থেকে এই উওর জানতে চাই.
টা টা.তবে এবার আমি আমার গ্রহে যাই.

কলকাতা টিউনার:- আমি অমৃত্যু আপনার কথা স্মরণ করে চলব কথা দিলাম.
আমার গভীর ভালোবাসা, হৃদিয়ের অন্তরস্থল থেকে উৎসর্গিকৃত করে দিলাম.আপনার প্রতি.

29
******************
******************
******************
30
"তুমি কি কেবলই ছবি, শুধু পটে লিখা।
ওই-যে সুদূর নীহারিকা
যারা করে আছে ভিড় আকাশের নীড়,
ওই যারা দিনরাত্রি
আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী গ্রহ তারা রবি,
তুমি কি তাদের মতো সত্য নও।
হায় ছবি, তুমি শুধু ছবি॥
নয়নসমুখে তুমি নাই,
নয়নের মাঝখানে নিয়েছ যে ঠাঁই-- আজি তাই
শ্যামলে শ্যামল তুমি, নীলিমায় নীল।
আমার নিখিল তোমাতে পেয়েছে তার অন্তরের মিল।
নাহি জানি, কেহ নাহি জানে--
তব সুর বাজে মোর গানে,
কবির অন্তরে তুমি কবি--
নও ছবি, নও ছবি, নও শুধু ছবি॥".[ডাউনলোড_ হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের কন্ঠে]

Level 0

আমি কলকাতা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 11 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 23 টি টিউন ও 534 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহিয়ান্‌ । নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি, সব দেশে সব কালে ঘরে-ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।- ---ফেসবুকে আমি http://www.facebook.com/pages/Kolkata-India/100002338894158 আমার ব্লক http://kolkata12345.blogspot.com/


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

পুরো ফাটিয়ে… আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে দাদা…

Level 0

খুউ-উব ভাল এবং তথ্যবহুল টিউন করার জন্য, ধন্যবাদ কলকাতা সাহেব।

    "পরম আত্মীয় বলে যারে মনে মানি
    তারে আমি কতদিন কতটুকি জানি।"

Level 0

এক্কেবারে ফাট্টাফাটি ! ! !

    "ভেবেছিলাম চেয়ে নেব,চাই নি সাহস করে —
    সন্ধ্যেবেলায় যে মালাটি গলায় ছিলে পরে,
    আমি চাই নি সাহস করে।"

great tune.very nice.you are a great tuner in techtunes.

    "সহসা রথ থেমে গেল আমার কাছে এসে,
    আমার মুখ পানে চেয়ে নামলে তুমি হেসে।"

Level 0

আরে মারাত্নক!!!!!!!। কি বললে টিউনার ও টিউন'র যথাযথ কমেন্ট হবে বুঝতে পারছি না!
একটা কথা জানাবেন, আপনি এই দুর্দান্ত টিউন লিখলেন কিভাবে???

    হয়তো কোন এক অজানা সৃষ্টি সুখের উল্লাসে এই ভাবে আমি লিখি……………….
    "ওরে,দুয়ার খুলে দে রে,বাজা শঙ্খ বাজা——
    গভীর রাতে এসেছে আজ আঁধার ঘরের রাজা"

Level 0

অসাধারন……চমৎকার………….সোজা প্রিয়তে………..ধন্যবাদ।

    "স্বপন আমার ভরেছিল কোন গন্ধে,
    ঘরের আঁধার কেঁপেছিল কী আনন্দে,"

অসাধারণ…………..!!!…..কিছু বলার ভাষা নেই……..

    "রূপ সাগরে ডুব দিয়েছি অরূপ রতন আশা করি;
    ঘাটে ঘাটে ঘুরব না আর ভাসিয়ে আমার জীর্ণ তরী।"

প্রায় সব রকমের মানবীয় চিন্তা-ভাবনা এবং অনুভূতিতে রবীন্দ্রনাথের সম্পর্ক ও সম্পৃক্ততায় আমি প্রায়শই মুগ্ধ হই…
এই Tune-তো ২৫শে বৈশাখ নির্বাচিত হবেই, তাই নির্বাচিত হওয়ার অগ্রীম অভিনন্দন…

২টি প্রশ্নঃ

১। আপনার Tune-গুলো অনেকটা Classical ধাঁচের, মানে যা কিনা কখনও পুরানো হবে না Typed, বারবার একদমে পড়া যায়, এটা আপনার ইচ্ছাকৃত নাকি হয়ে যায়?
২। আপনার Tune-এর বিষয় বস্তুর থেকেও লেখার Style বেশি জনপ্রিয়, এই সুন্দর Style-টি কি আপনার স্বকীয় নাকি Inspired By Someone Else?

    ১/ অবশ্যই ইচ্ছা কৃত….তবে ভালো মন্দ হয়ে যায়…
    ২/অবশ্যই আমার স্বকীয় ভাবনা……………

    "যে গান গানে যায় না শোনা সে গান যেথায় নিত্য বাজে
    প্রাণের বীণা নিয়ে যাব সই অতলের সভা মাঝে।"

Level 0

মন্ত্রমুগ্ধের মত পড়ে গেলাম।এত তথ্যবহুল আপনার টিউন যে না পড়ে শেষ করা যায় না।বহুমাত্রিকতা আছে আপনার টিউনে।প্রিয়তে রাখলাম।আরো আরো লেখা চাই।আপনার কাছে প্রত্যশা বেড়েই যাচ্ছে।
লেখাটি ষ্টিকি করা হোক।
ধন্যবাদ
বি:দ্র:আমার প্রথম রচিত কবিতা 'অভিলাষ'(১৮৫৭)…আমার প্রথম স্বাক্ষর যুক্ত কবিতা 'হিন্দু মেলার উপহার'(০১৮৫৭)

আমার মনে হয় এখানে ১৮৫৭ হবে না।সঠিক সময় আমার মনে নেই।আপনি একটু ভাল করে দেখে নেবেন।

    আপনি ঠিকই বলেছেন…………বাংলা সালেক ইংরাজীতে চেঞ্জ করতে গিয়েই এই ভুল হয়ে গিয়েছে…………
    পোষ্ট থেকে ডিলিট করে দিয়েছি……………..আপনি জানলে জানাবেন…..
    যত দূর জানি……হিন্দু মেলার উপহার ১২৮১ বঙ্গাব্দ মনে হয় ১৮৭৪ সাল…….'অভিলাষ' ও জানাবেন …..অপেক্ষায় রইলাম

    " আমি ভিক্ষা করে ফিরতেছিলাম গ্রামের পথে পথে,
    তুমি তখন চলেছিলে তোমার স্বর্গ রথে।
    অপূর্ব এক স্বপ্ন সম লাগতেছিল চক্ষে মম——"

এক কথাই আসাধারন 🙂

    "হৃদয়ে আজ ঢেউ দিয়েছে,খুঁজে না পাই কূল–
    সৌরভে প্রাণ কাঁদিয়ে তুলে ভিজে বনের ফুল।"

কি বলিব তোমায়……. আমি ভাষাহারা…….
দিলাম তোমায় তিনটি নয়ন তারা …..

    "নদীর মতো এসেছিলে গিরিশিখর হতে,
    নদীর মতো সাগর-পানে চল অবাধ স্রোতে।"

Level 0

তোমারি লেখাটি পড়িয়া ,মন ভরিলো আনন্দে নাচিয়া..

…………….ধন্যবাদ

    "একধারে তুমিই আকাশ, তুমি নীড়।
    হে সুন্দর নীড়ে তব প্রেম সুনিবিড়"

লেখাটি ষ্টিকি করা হোক।

    "পান্থ তুমি, পান্থজনের সখা হে,
    পথে চলাই সেই তো তোমায় পাওয়া।"

Level 0

ওরে বাবা…।অসাধারন।

    "প্রভাতে জাগিয়া উঠি মেলিনু নয়ন;
    দেখিনুম ভরিয়া আছে আমার কানন।।"

ওরে দাদা,তুমিই আমাদের টেকটিউনস এর রাজা।

    "সেই যুগযুগান্তের বিরাট স্পন্দন
    আমার নাড়ীতে আজি করিছে নর্তন।।"

একটুকু রইলেম চুপ করে ;
তার পর বললেম ,
'রাতের সব তারাই আছে
দিনের আলোর গভীরে ।'

    "বহুদিন হল কোন ফাল্গুলে ছিনু আমি তব ভরসায়,
    এলে তুমি ঘন বরষায়।
    আজি উওাল তুমুল ছন্দে
    আজি নবঘন -বিপুলমন্দে।"

Level 0

ভাইয়া মনে হয় বি গ্রুপের রক্ত নিয়ে টিউন করেন নি এখনো। অপেক্ষায় আছি। রক্তের গ্রুপ নিয়ে টিউন অসাধারণ ছিল।

    "ক্ষমা করো তবে ক্ষমা করো আয়োজনহীন পরমাদ,
    ক্ষমা করো যত অপরাধ।"

    Level 0

    ঃ(

    ……………………………….

Really……………It's a great collection

    "আজি আমাদেরই মতো;
    তারা গেছে,শুধু তাহাদের গান
    দু হাতে ছড়ায়ে করে গেছে দান__
    দেশে দেশে তার নাহি পরিমাণ"

ভাই কিভাবে যে এতো সুন্দর টিউন করেন। জানি না।

এরকম আরো সুন্দর সুন্দর টিউন নিয়ে হাজির হবেন আশা করি।

    "ধাও গান, প্রাণ-ভরা ঝড়ের মতন ঊর্ধ্ববেগে
    অনন্ত আকাশে।
    উড়ে যাক, দূরে যাক বিবর্ণ বিশীর্ণ জীর্ণ পাতা
    বিপুল নিশ্বাসে।"

আমার সবচেয়ে প্রিয় কবিতা আপনাকে dedicate করলাম।

এইখানে তোর দাদির কবর ডালিম-গাছের তলে,

তিরিশ বছর ভিজায়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে।

এতটুকু তারে ঘরে এনেছিনু সোনার মত মুখ,

পুতুলের বিয়ে ভেঙে গেল বলে কেঁদে ভাসাইত বুক।

এখানে ওখানে ঘুরিয়া ফিরিতে ভেবে হইতাম সারা

সারা বাড়ি ভরি এত সোনা মোর ছড়াইয়া দিল কারা।

সোনালি ঊষার সোনামুখ তার আমার নয়নে ভরি

লাঙল লইয়া ক্ষেতে ছুটিতাম গাঁয়ের ও-পথ ধরি।

যাইবার কালে ফিরে ফিরে তারে দেখে লইতাম কত

এ-কথা লইয়া ভাবী-সাব মোরে তামাশা করিত শত।

এমনি করিয়া জানি না কখন জীবনের সাথে মিশে

ছোট-খাটো তার হাসি-ব্যথা মাঝে হারা হয়ে গেনু দিশে।

বাপের বাড়িতে যাইবার কালে কহিত ধরিয়া পা

''আমারে দেখিতে যাইও কিন্তু, উজান-তলীর গাঁ।''

শাপলার হাটে তরমুজ বেচি দু-পয়সা করি দেড়ী,

পুঁতির মালার একছড়া নিতে কখনও হত না দেরি।

দেড় পয়সার তামাক এবং মাজন লইয়া গাঁটে,

সন্ধ্যাবেলায় ছুটে যাইতাম শ্বশুরবাড়ির বাটে!

হেসো না-হেসো না- শোন দাদু, সেই তামাক মাজন পেয়ে

দাদী যে তোমার কত খুশি হত দেখতিস যদি চেয়ে!

নথ নেড়ে নেড়ে কহিত হাসিয়া, ''এতদিন পরে এলে,

পথ পানে চেয়ে আমি যে হেথায় কেদে মরি আঁখিজলে''।

আমারে ছাড়িয়া এত ব্যথা যার কেমন করিয়া হায়,

কবর দেশেতে ঘুমায়ে রয়েছে নিঝঝুম নিরালায়!

হাতজোড় করে দোয়া মাঙ- দাদু, 'আয় খোদা দয়াময়,

আমার দাদীর তরেতে যেন গো ভেস্ত নসিব হয়।'

তারপর এই শূন্য জীবনে কত কাটিয়াছি পাড়ি

যেখানে যাহার জড়ায়ে ধরেছি সেই চলে গেছে ছাড়ি।

শত কাফনের শত কবরের অঙ্ক হৃদয়ে আঁকি,

গণিয় গণিয়া ভুল করে গণি সারা দিনরাত জাগি।

এই মোর হাতে কোদাল ধরিয়া কঠিন মাটির তলে,

গাড়িয়া দিয়াছি কত সোনামুখ নাওয়ায়ে চোখের জলে।

মাটিরে আমি যে বড় ভালবাসি, মাটিতে মিশায়ে বুক,

আয়- আয় দাদু, গলাগলি ধরি- কেঁদে যদি হয় সুখ।

এইখানে তোর বাপজি ঘুমায়, এইখানে তোর মা,

কাঁদছিস তুই? কী করিব দাদু! পরাণ যে মানে না।

সেই ফাল্গুনে বাপ তোর আসি কহিল আমারে ডাকি,

'বা-জান, আমার শরীর আজিকে কী যে করে থাকি থাকি।'

ঘরের মেঝেতে সপটি বিছায়ে কহিলাম, '' বাছা শোও''

সেই শোয়া তার শেষ শোয়া হবে তাহা কি জানিত কেউ?

গোরের কাফনে সাজায়ে তাহারে চলিলাম যবে বয়ে,

তুমি যে কহিলা, 'বা-জানরে মোর কোথা যাও দাদু লয়ে?'

তোমার কথার উত্তর দিতে কথা থেমে গেল মুখে,

সারা দুনিয়ার যত ভাষা আছে কেঁদে ফিরে গেল দুখে!

তোমার বাপের লাঙল-জোয়াল দু-হাতে জড়ায়ে ধরি,

তোমার মায়ে যে কতই কাঁদিত সারা দিনমান ভরি।

গাছের পাতারা সেই বেদনায় বুনো পথে যেত ঝরে,

ফাল্গুনী হাওয়া কাঁদিয়া উঠিত শূন্য-মাঠখানি ভরে।

পথ দিয়া যেতে গেঁয়ে পথিকেরা মুছিয়া যাইত চোখ,

চরণে তাদের কাঁদিয়া উঠিত গাছের পাতার শোক।

আথালে দুইটি জোয়ান বলদ সারা মাঠ পানে চাহি,

হাম্বা রবেতে বুক ফাটাইত নয়নের জলে নাহি।

গলাটি তাদের জড়ায়ে ধরিয়া কাঁদিত তোমার মা,

চোখের জলের গহিন সায়রে ডুবায়ে সকল গা।

উদাসিনী সেই পল্লী-বালার নয়নের জল বুঝি,

কবর দেশের আন্ধার ঘরে পথ পেয়েছিল খুঁজি।

তাই জীবনের প্রথম বেলায় ডাকিয়া আনিল সাঁঝ,

হায় অভাগিনী আপনি পরিল মরণ-বিষের তাজ।

মরিবার কালে তোরে কাছে ডেকে কহিল, 'বাছারে যাই,

'বড় ব্যথা র'ল, দুনিয়াতে তোর মা বলিতে কেহ নাই;

দুলাল আমার, জাদুরে আমার, লক্ষী আমার ওরে,

কত ব্যথা মোর আমি জানি বাছা ছাড়িয়া যাইতে তোরে।'

ফোঁটায় ফোঁটায় দুইটি গণ্ড ভিজায়ে নয়ন-জলে,

কী জানি আশিস করে গেল তোরে মরণ-ব্যথার ছলে।

ক্ষণপরে মোরে ডাকিয়া কহিল, 'আমার কবর গায়

স্বামীর মাথার মাথালখানিরে ঝুলাইয়া দিও বায়।'

সেই সে মাথাল পচিয়া গলিয়া মিশেছে মাটির সনে,

পরাণের ব্যথা মরে নাকো সে যে কেঁদে ওঠে ক্ষণে ক্ষণে।

জোড়মানিকেরা ঘুমায়ে রয়েছে এই খানে তরু-ছায়,

গাছের শাখারা স্নেহের মায়ায় লুটায়ে পড়েছে পায়।

জোনাকি মেয়েরা সারারাত জাগি জ্বালাইয়া দেয় আলো,

ঝিঁঝিঁরা বাজায় ঘুমের নূপুর কত যেন বেসে ভালো।

হাতজোড় করে দোয়া মাঙ দাদু, 'রহমান খোদা! আয়;

ভেস্ত নসিব করিও আজিকে আমার বাপ ও মায়!'

এই খানে তোর বু-জির কবর, পরীর মতন মেয়ে,

বিয়ে দিয়েছিনু কাজিদের বাড়ি বুনিয়াদি ঘর পেয়ে।

এত আদরেরর বু-জিরে তাহারা ভালোবাসিত না মোটে,

হাতেতে যদিও না মারিত তারে শত যে মারিত ঠোঁটে।

খবরের পর খবর পাঠাত, 'দাদু যেন কাল এসে

দু-দিনের তরে নিয়ে যায় মোরে বাপের বাড়ির দেশে।'

শ্বশুর তাহার কসাই চামার, চাহে কি ছাড়িয়া দিতে,

অনেক কহিয়া সেবার তাহারে আনিলাম এক শীতে।

সেই সোনামুখ মলিন হয়েছে ফোটে না সেথায় হাসি,

কালো দুটি চোখে রহিয়া রহিয়া অশ্রু উঠিছে ভাসি।

বাপের মায়ের কবরে বসিয়া কাঁদিয়া কাটাত দিন,

কে জানিত হায়, তাহারও পরাণে বাজিবে মরণ-বীণ!

কী জানি পচানো জ্বরেতে ধরিল আর উঠিল না ফিরে,

এইখানে তারে কবর দিয়েছি দেখে যাও দাদু! ধীরে!

ব্যথাতুরা সেই হতভাগিনীরে কেউ বাসে নাই ভালো,

কবরে তাহার জড়ায়ে রয়েছে বুনো ঘাসগুলি কালো।

বনের ঘুঘুরা উহু-উহু করি কেঁদে মরে রাতদিন,

পাতায় পাতায় কেঁপে উঠে যেন তারি বেদনার বীণ।

হাতজোড়া করি দোয়া মাঙ দাদু, 'আয় খোদা! দয়াময়!

আমার বু-জির তরেতে যেন গো ভেস্ত নাজেল হয়!'

হেথায় ঘুমায়ে তোর ছোট ফুপু, সাত বছরেরর মেয়ে,

রামধনু বুঝি নেমে এসেছিল ভেস্তের দ্বার বেয়ে।

ছোট বয়সেই মায়েরে হারায়ে কী জানি ভাবিত সদা,

অতটুকু বুকে লুকাইয়াছিল কে জানিত কত ব্যথা!

ফুলের মতোন মুখখানি তার দেখিতাম যবে চেয়ে,

তোমার দাদীর ছবিখানি মোর হৃদয়ে উঠিত ছেয়ে।

বুকেতে তাহারে জড়ায়ে ধরিয়া কেঁদে হইতাম সারা,

রঙিন সাঁঝেরে ধুয়ে মুছে দিত মোদের চোখের ধারা।

একদিন গেনু গজনার হাটে তাহারে রাখিয়া ঘরে,

ফিরে এসে দেখি সোনার প্রতিমা লুটায়ে পথের 'পরে।

সেই সোনামুখ গোলগাল হাত সকলি তেমন আছে,

কী জানি সাপের দংশন পেয়ে মা আমার চলে গেছে।

আপন হস্তে সোনার প্রতিমা কবরে দিলাম গাড়ি,

দাদু! ধর- ধর- বুক ফেটে যায়, আর বুঝি নাহি পারি।

এইখানে এই কবরের পাশে আরও কাছে আয় দাদু,

কথা কস নাকো, জাগিয়া উঠিবে ঘুম-ভোলা মোর যাদু।

আস্তে আস্তে খুঁড়ে দেখ দেখি কঠিন মাটির তলে,

দীন দুনিয়ার ভেস্ত আমার ঘুমায় কিসের ছলে!

ওই দুর বনে সন্ধ্যা নামিছে ঘন আবীরের রাগে,

অমনি করিয়া লুটায়ে পড়িতে বড় সাধ আজ জাগে।

মজিদ হইতে আযান হাঁকিছে বড় সকরুণ সুর,

মোর জীবনের রোজকেয়ামত ভাবিতেছি কত দূর।

জোড়হাতে দাদু মোনাজাত কর, 'আয় খোদা! রহমান!

ভেস্ত নসিব করিও সকল মৃত্যু-ব্যথিত-প্রাণ।

    ধন্যবাদ…….গ্রহণ করলাম………..
    কবিতাটির নাম 'কবর'
    কবি পল্লীকবি জসীম উদ্দীন……..(কবিতা ও কবির নাম উল্লেখ করে দিলাম পল্লীকবির প্রতি আমার শ্রদ্ধা জানাতে)—-
    ___
    ___এই অংশটি আপনার প্রিয় কবির জন্য………..আপনাকে
    এই কবিতাটি পল্লীকবি জসীম উদ্দীন লিখেছিলেন দশম শ্রেণীতে পড়ার সময়…….
    ১৯০৩ সালে ০১ জানুয়ারি বর্তমান বাংলাদেশে ফরিদপুর জেলার অম্বিকাপুর গ্রামে জন্ম …১৯৭৬ সালে ১৪ মার্চ তিরোধান…….
    'মাটির কান্না' কাব্য গ্রন্থ রুশ ভাষায় আনুদিত হয়………
    ধন্যবাদ

এই লভিনু সঙ্গ তব
সুন্দর হে সুন্দর!

    "একবার ভেবে দেখো এ পরানে ধরিয়াছে
    কত ভালোবাসা।"……

"একবার ভেবে দেখো এ পরানে ধরিয়াছে
কত ভালোবাসা।"

আরেকটা কষ্ট মনে রয়েছে তা হলো বৃটিশদের বিকৃত উচ্চারণে `ঠাকুর'কে `টেগুর' বলা হচ্ছে এখনও কেন। বোম্বে থেকে মুম্বাই, মাদ্রাজ থেকে চেন্নাই, ক্যালকাটা থেকে যদি কলকাতায় পরিবতর্ন করা হয় তাহলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-কে `টেগুর' না বলে `Thakur' কেন করা হয় না।

    http://www.barbarapijan.com/bpa/Writers/Rabindranath_Tagore_Signature.jpg
    রবীন্দ্রনাথ নিজে ইংরাজী নামে টেগোর’ লিখতেন………..উপরের ছবিতে আছে……….
    তাই তাঁর প্রতি সন্মান জানিয়ে ইংরাজী নামে এই পরিবর্তন করা হয় না……………
    আর শেক্সপিয়রের ভাষায় যদি বলতেই হয়…………..
    'নামে কী বা আসে যায়, গোলাপকে যে নামেই ডাকো না কেন, বিলাইবে সে সুবাস।'
    " এইমতো মেঘরূপে ফিরি দেশে দেশে
    হৃদয় ভাসিয়া চলে উওরিতে শেষে"

প্রথমেই বলে নেই যে অসাধারন পোস্ট ! অসাধারন ! কিন্তু, খুব দুঃখিত, এটাকে টিউন বলতে পারছি না।
কেন? আমার মনে হয় টিটি কোন সাহিত্য ফোরাম বা এটাইপের কিছু না। এটি সম্পূর্ণই একটি টেকনোলজি within একটি সাইট আমার মনে হয়, আপনি টিটির মত টিউন করুন যা টিটির লক্ষ্য ও উদ্দ্যেশ্যকে সাপোর্ট করে।
——
অফ টপিকঃ আপনার লেখা অনেক চরম। কিন্তু টিটির সাথে খাপ খায় না। আপনি বরং http://somewhereinblog.net ওয়েব সাইটটি ট্রাই করুন।
ধন্যবাদ

    ভাই আমিও আপনার কথার সমর্থন করি | মডারেটরদের কাছে আমার অনুরোধ, হয় এধরনের লেখা প্রকাশ হওয়া বন্ধ করুন নতুবা টেকটিউনের মূলধারা পাল্টে এটাকে general blog site হিসাবে ঘোষণা করুন |

    সাথে কলকাতা ভাই কে বলতে চাই, এত সমৃদ্ধ লেখা খুব কমই দেখেছি | আমি কোনমতেই আপনাকে ছোট করতে চাইনা |

Level 0

Bai khob shondor.ak kothi Oshadaron.

Level 0

বাংলাদেশের মানচিত্রের পূরোটা জুড়ে শেষ পর্যন্ত ভারতের পতাকা উড়ায়েই দিলেন? আবার সেটা আমাদের সবার প্রিয় techtunes-এ নির্বাচিত টিউনেও প্রচার করলেন? আমাদের হৃদয় কাঁপল না এটা দেখে? বিবেকবানরা একটু ভেবে দেখবেন কি, কি ম্যাসেজ বহন করে এই ছবি?

    ভাই, অর্ধেক গ্লাস পানি না দেখে বরংচ অর্ধেক গ্লাস খালি দেখছেন?…

    আমাদের পতাকাও উনি Tune-এ দিয়েছেন, তাছাড়া নিজের দেশের প্রতি প্রেম, পৃথিবীর যেকোন জায়গায় দাঁড়িয়ে দেখানো- কোনও অপরাধ নয় বরং অধিকার…

    (ব্যক্তিগত অভিমত…)

    Level 0

    @ondecent
    Bhai aishob faltu pechal badden

    very nice tune thanks কলকাতা bro………

    ondecent @ সহমত

Level 0

যে রবিন্দ্রনাথ ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে নিজে মিছিল পর্যন্ত করেছে তারই জয়গানে আমরা কতটা আবেগ নিয়ে মেতে উঠেছি!!! তাকে আজ আমরা যেন আমাদের প্রাণের কবি বানিয়ে নিয়েছি!

এটা কোন টিউন হইল? লেখা লেখির জন্য protom-aloblog.com এ যান।

    আপনি এই Link-টি একবার Check করে আসুন…

    https://www.techtunes.io/category/featured/

    আর আপনার ভাষা এমন কেন? উপরে হিমায়িত দিহান ভাই-ও প্রায় একই রকম বক্তব্য দিয়েছেন, তবে তার ভাষাটা অনেক ভালো ছিল…

    (ব্যক্তিগত অভিমত…)

বরাবরের মত চমৎকার পোষ্ট।
কলকাতা দাদার প্রতি অনুরোধ, আপনি কারও কথায় প্রভাবিত হয়ে টেকটিউনসে লেখা বন্ধ করবেন না।আপনার স্টিকি পোষ্টগুলোই প্রমান করে টেকটিউনস পরিবার আপনার সাথে।

    "একখানি ছোটো খেত, আমি একেলা___
    চারি দিকে বাঁকা জল করিছে খেলা।"

টেকটিউনস নীতিমালা
https://www.techtunes.io/terms/
১.১ টেকটিউনসে প্রকাশিত সকল টিউন নৈতিক ও প্রযুক্তি সংক্রান্ত হতে হবে। সৃজনশীল, তথ্যবহুল ও মানসম্মত টিউনও টেকটিউনসে প্রধান্য পাবে।
==============================
আমি কলকাতা বলছি………….আমার একটা কবিতা খুব ভালো লাগে…………..
কবিতাটি আপনাদের সাথে ভাগ করে নিলাম………………………….
কবিতাটা কেমন তা আপনারা মনে মনে বুঝতে পারবেন………..
কবিতাটির নাম___

'অধম ও উত্তম'

"কুকুর আসিয়া এমন কামড়
দিল পথিকের পায়
কামড়ের চোটে বিষদাঁত ফুটে
বিষ লেগে গেল তায়।

ঘরে ফিরে এসে রাত্রে বেচারা
বিষম ব্যথায় জাগে,
মেয়েটি তাহার তারি সাথে হায়
জাগে শিয়রের আগে।

বাপেরে সে বলে ভর্ৎসনা-ছলে
কপালে রাখিয়া হাত,
“তুমি কেন বাবা, ছেড়ে দিলে তারে
তোমার কি নেই দাঁত !”

কষ্টে হাসিয়া আর্ত কহিল
“তুই রে হাসালি মোরে,
দাঁত আছে বলে কুকুরের পায়
দংশি কেমন করে !

কুকুরের কাজ কুকুর করেছে
কামড় দিয়েছে পায়,
তা ব’লে কুকুরে কামড়ানো কি রে
মানুষের শোভা পায় ?”___________সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত

    ১.১ টেকটিউনসে প্রকাশিত সকল টিউন নৈতিক ও প্রযুক্তি সংক্রান্ত হতে হবে। সৃজনশীল, তথ্যবহুল ও মানসম্মত টিউনও টেকটিউনসে প্রধান্য পাবে।

    এখানে "প্রযুক্তি সংক্রান্ত" ব্যাপারটা নিশ্চয়ই খেয়াল করছেন 😀

দাদা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্বন্ধে আমার কিছু প্রশ্ন ছিলঃ

১/ তেনার স্ত্রীর আসল নাম কি ?
২/তেনার সর্বশেষ বংশধর কত সনে মারা যায়?
৩/তেনার বংশ শিড়িতে তেনার পিতামহের পূর্ব জনদের পরিচয় কি এবং তেনাদের নাম কি?

যদি কিছু মনে না করেন তাহলে আমার সামান্য প্রশ্ন ৩টার উওর জানালে কৃতঙ্গ থাকবো।
আরও কিছু জানার ছিল তা উওর পাওয়ার পর জানাবো।
ধন্যবাদ

Level 0

দাদা আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ । আমার বাসা কুষ্টিয়াতে । মাঝে মাঝে প্রানের টানে ছুটে যায় শিলাইদহে (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরেব কুঠিবাড়িতে )।

টেকটিউন্সে এ টিউন না করলেই ভালো হত। দুধের মধ্যে ছনার মত লাগছে। তা আবার নির্বাচিত। 😛
যদিও সামু বা অন্যান্য ব্লগে করলে সব ফাটিয়ে দিতেন।

Level 0

Onek shundor post. Dhonnobad bhai k 🙂

Level 0

Jodi poster Quality bola hoi, "tobe +"
but jodi jaiga/ Category dhora hoi tahole 'Fully wrong'
valo laguk r nai laguk ami bolte badhdho hossi je vul jaigai vul post koresen.
website : https://www.techtunes.io/ =[Technology Tunes/ Post]
https://www.techtunes.io/ =[Literature??????]

বিভাগ : প্রতিবেদন ?????
ট্যাগ : একের ভিতর সব?????, ডাউনলোড????, পঁচিশে বৈশাখ?????, প্রতিবেদন?????, বাইশে শ্রাবণ?????
Technologyr Majhe Boisakh directly releted noy.

ধন্যবাদ অসাধারণ টিউনের জন্য…
আমি একটি এন্ড্রয়ড এপ তৈরি করেছি, বিক্রয়[ডট]কম এর অল্টারনেটিভ হিসেবে। ইচ্ছে হলে ট্রাই করে দেখতে পারেন।
এপটির ফীচার সমূহঃ
* কোনো রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই এড পোস্ট করতে পারবেন
* দিনে আনলিমিটেড এড পোস্ট করতে পারবেন
* লোকেশন বেইসড এড সার্চ করতে পারবেন
* কোন হিডেন চার্জ নেই, একদম ফ্রী
* ইনশা আল্লাহ, আমি যতদিন বেঁচে থাকব, অতদিন সার্ভিসটা ফ্রী রাখব
* ইউজার ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস
* ছোট APK সাইজ ( মাত্র ৩ এমবি)
.
গুগল প্লে ডাউনলোড লিঙ্কঃ https://play.google.com/store/apps/details?id=p32929.buysellbd
APK ডাউনলোড লিঙ্কঃ http://tiny.cc/buy_sell_bd
.
এপটি ডাউনলোড করে দয়াকরে একটি হলেও এড পোস্ট করুন। অনেক খুশি হব। আগাম ধন্যবাদ…

সময় হলে শেষের কবিতা (Shesher Kabita) উপন্যাসটি পড়ে দেখতে পারেন
গুগল প্লে ডাউনলোড লিঙ্কঃ https://play.google.com/store/apps/details?id=com.ShesherKabita.com&pageId=none