সবাই কে আমার সালাম। আশা করি সবাই ভালই আছেন। আমি গত ১৮ ডিসেম্বর আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন যাই এবং ১৮ জানুয়ারি আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন থেকে ঢাকা ফিরেছি। এই একটা মাসে আমি অনেক অদ্ভুদ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। এতদিন যে সব জিনিস থিউরী পড়েছি, তা বাস্তবে দেখে আমি অবাক !! আমরা যে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছি যা ইচ্ছা তাই ভাবে !!, কিন্তু এটা উৎপাদনে করতে যে এত কাহিনি আমার আগে এত জানা ছিলো না। আমি আমার এই লেখায় আপনার সাথে শেয়ার করবো আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশনে সম্পর্কে আমার কিছু অভিজ্ঞতা।
আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন বাংলাদেশ এর মধ্যে উৎপাদনে (বর্তমানে প্রায় ৬০০ মেগাওয়াট) দিক দিয়ে সবচেয়ে বড় পাওয়ার স্টেশন এবং উৎপাদন ক্ষমতার(৭২৪ মেগাওয়াট)দিক দিয়ে ২য় স্থানে আছে (প্রথম স্থানে আছে ঘোরাশাল পাওয়ার স্টেশন, উৎপাদন ক্ষমতার ৯৫০ মেগাওয়াট এবং বর্তমান উৎপাদন করতেছে প্রায় ৪৫০ মেগাওয়াট। আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন বর্তমানে ৮ টি ইউনিট কাজ করতেছে।১৯৬৬ সালে তৎকালিন সরকার আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন করার কথা সিদ্ধান্ত নেয়। আশুগঞ্জ পাশেই তিতাস গ্যাস ফিল্ড এবং মেঘনা নদী থাকার কারনে আশুগঞ্জকে উপযুক্ত জায়গা মনে করা হয় এবং ৩১১.১২ একর জমির উপর স্থাপন করা হয় আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন। ১৯৭০ সালে প্রাথমিক অবস্থায় জার্মান সহযোগিতায় ৬৪ মেগাওয়াট ৬৪ মেগাওয়াট করে ১২৮ মেগাওয়াট এর ইউনিট-১ ও ইউনিট-২ স্থাপন করা হয়।
এরপর ১৯৮২ সালে ইউকের সহযোগিতায় জিটি-১ ইউনিট এবং ১৯৮৪ সালে চালু হয় জিটি-২ চালু হয়। এরপর ১৯৮৬ সালে স্থাপন করা হয় সি.সি.পি.পি বা কম্বাইন সাইকেল পাওয়ার প্লান্ট। জিটি-১ বা জিটি-২ এর এগজাস্ট এর তাপ কে কাজে লাগিয়ে সি.সি.পি.পি বা কম্বাইন সাইকেল পাওয়ার প্লান্ট পরিচালন করা হয়। এতে কোন অতিরিক্ত ফুয়েল ব্যয় হয় না।
১৯৮৬ সাল থেকে ১৯৮৮ সাল পযন্ত আর তিনটি ইউনিট চালু হয় (ইউনিট-১, ইউনিট-২, ইউনিট-৩)। অবশ্য এদের কাজ শুরু হয় অনেক আগেই ইউনিট-৩ ও ইউনিট-৪ এর কাজ শুরু হয় ১৯৮৪ সালে এবং ইউনিট-৫ এর কাজ শুরু হয় ১৯৮৫সালে।
এরপর ২০০০ সালে বাংলাদেশ সরকার এটাকে কম্পানি করে দেয়। এটি ২০০০ এর ২৮জুন কম্পানি হিসাবে রেজিস্ট্রেশন করে, রেজিস্ট্রেশন নং C-40630 (2328)/2000 dt. 28.06.2000 এসময় এর ৫১% শেয়ার বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বা (BPDB) রেখে বাকী ৪৯% শেয়ার Ministry of Finance, Ministry of Planning, Power Division, MOPEMR & Energy Division, MOPEMR of GOB এর জন্য ভাগ করে দেয়। এ সময় তারা তিন সদস্য এর একটি ম্যানেজমেন্ট টীম গঠন। বর্তমানে এখানে আছে Managing Director হিসাবে আছে ইঞ্জিনিয়ার ওবাইদুল খালেক এবং ২ জন Director হলেন মো সোহারাফ আলি খান (ফিন্যান্স) এবং ইঞ্জিনিয়ার মো নরুল আলম (টেকনিক্যাল)।
ইউনিটের নাম | উৎপাদন ক্ষমতার | বর্তমান উৎপাদন | টারবাইনের ধরন | স্থাপন সাল ও দেশ |
ইউনিট -১ | ৬৪ মেগাওয়াট | ৬৪ মেগাওয়াট | স্টিম টারবাইন | ১৯৭০ সাল জার্মানী |
ইউনিট -২ | ৬৪ মেগাওয়াট | ৬০ মেগাওয়াট | স্টিম টারবাইন | ১৯৭০ সাল জার্মানী |
ইউনিট -৩ | ১৫০ মেগাওয়াট | ১০৫ মেগাওয়াট * | স্টিম টারবাইন | ১৯৮৬ সাল জাপান,কোরিয়া |
ইউনিট -৪ | ১৫০ মেগাওয়াট | ১৪০ মেগাওয়াট ** | স্টিম টারবাইন | ১৯৮৭ সাল জাপান,কোরিয়া |
ইউনিট -৫ | ১৫০ মেগাওয়াট | ১৪০ মেগাওয়াট | স্টিম টারবাইন | ১৯৮৮ সাল জাপান,কোরিয়া |
জিটি-১ | ৫৬ মেগাওয়াট | ৪০ মেগাওয়াট | গ্যাস টারবাইন | ১৯৮২ সাল ইউ.কে |
জিটি-২ | ৫৬ মেগাওয়াট | ৪০ মেগাওয়াট | গ্যাস টারবাইন | ১৯৮৪ সাল ইউ.কে |
সি.সি.পি.পি*** | ৩৪ মেগাওয়াট | ১৮ মেগাওয়াট | স্টিম টারবাইন | ১৯৮৬ সাল ইউ.কে |
* ইউনিট-৩ এর টারবাইন ব্লাড এর সমস্যার কারনে ১৫০ মেগাওয়াট এর জায়গায় ১০৫ পাওয়া যাচ্ছে
** ইউনিট-৪ আমরা অবস্থান কালে ওভারহলিং চল ছিলো
***সি.সি.পি.পি মানে কম্বাইন সাইকেল পাওয়ার প্লান্ট
সামনে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন অনেক পরিকল্পনা আছে। ইউনিট-৩ এর টারবাইন ব্লাড পরিবর্তন করা হবে, এতে আর ৪৫ মেগাওয়াট এর মত পাওয়া উৎপাদন বাড়বে। এবং বর্তমানে ৫০ মেগাওয়াট এর একটি গ্যাস ইঞ্জিন চালিত পাওয়া প্লান্ট নির্মান করা হচ্ছে, এবং জুলাই থেকে এর কার্যক্রম শুরু হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। ২টি কম্বাইন সাইকেল পাওয়ার প্লান্ট (১৫০ মেগা ওয়াট ও ৪৫০ মেগাওয়াট) এর স্থাপন নিয়ে আলোচনা চলছে, ইতি মধ্যে জমি নির্বাচন করা হয়েছে। আশা করা যায় ২০১৩ এর মধ্যে কাজ হয়ে যাবে।
আর জানতে আপনারা আশুগঞ্জ এর ওয়েবসাইট দেখুনঃ http://www.apscl.com
এতখন আমি আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন নিয়ে কথা বললাম এবার আসি কিভাবে এই মূল্যবান বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। এখন কথা হল যারা এই নিচের লেখাটা বুঝতে হলে আপনাদের কিছু জিনিস সম্পর্কে সামন্য ধারনা থাকতে হবে যেমনঃ টারবাইন, বয়লার, জেনারেটর, কনন্ডেসর , আমি নিচে এ নিয়ে আলোচনা করলাম।
জেনারেটর এমন একটা যন্ত্র বা মেশিন, যার সাহায্যে যান্ত্রিক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ শক্তি উৎপন্ন করা হয়। আর এই বিদ্যুৎ শক্তি উৎপন্ন জন্য একটি চুম্বক-ক্ষেত্র এবং একটি আর্মেচার যার উপরি ভাগে তারের কয়েল প্যাচনো থাকে এবং যাকে যান্ত্রিক শক্তির মাধ্যমে চুম্বক-ক্ষেত্রে ঘুরানো হয়। আর যে যন্ত্রে মাধ্যমে একে ঘুরানো হয় তাকে প্রাইম মুভার বলে,যেমন টারবাইন।এই প্রাইম মুভার স্টিম, ডিজেল, পেট্রোল এমন কি বিদ্যুতিক মোটর হতে পারে।
টারবাইন এমন একটা প্রাইম মুভার বা মেশিন যাতে প্রবাহীর ক্রমাগত ভরবেগের পরিবর্তন দিয়ে ঘূর্ণন গতি পাওয়া যায়। অনেক ধরনের টারবাইন পাওয়া যায়, যেমনঃ স্টিম টারবাইন, ওয়াটার টারবাইন, গ্যাস টারবাইন ইত্যাদি। এর মধ্যে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশনে ৬ ইউনিট এ স্টিম টারবাইন এবং বাকী ২ টিতে গ্যাস টারবাইন ব্যবহার করা হয়। স্টিম টারবাইন টারবাইন একটা আদর্শ প্রাইম মুভার এবং এর বহুবিধি ব্যবহার ও দেখা যায়। বড় বড় স্টিম টারবাইন গুলো পাওয়ার প্লান্টে জেনারেটর পরিচালনার জন্য ব্যবহার করা হয় এবং ছোট ছোট টারবাইন গুলো দিয়ে পাম্প, ফ্যান চালানো যায়। স্টিম টারবাইন ০.৫ হতে ২০০০০০ পযর্ন্ত HP বা হর্স পাওয়ার হতে পারে।
নিরাপত্তার ব্যবস্থা সহ যে আবদ্ধ পাত্রের ভেতর পানি রেখে তাতে তাপ প্রয়োগ করে স্টিম উৎপাদন করা হয় তাকে বয়লার বলা হয়। বয়লার সাধারনত ২ ধরনের হয়ে থাকে, যথা (ক) ফায়ার টিউব বয়লার এবং (খ) ওয়াটার টিউব বয়লার। ফায়ার টিউব বয়লার গঠন প্রানালী জটিল এবং ব্যয়বহুল, খুব কম গতিতে স্টিম উৎপাদন এছাড়া এটা বিস্ফরন হলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান বেশি তাই বাংলাদেশে ওয়াটার টিউব বয়লার ব্যবহার করা হয়। ওয়াটার টিউব বয়লারের আগুন বাহিয়ে থাকে এবং পানি টিউব এর ভিতর থাকে আর ফায়ার টিউব বয়লারে আগুন টিউব এর ভিতর এবং পানি টিউব এর বাহিরে থাকে।
স্টিম টারবাইন কে ঘুরিয়ে যখন বেড় হয়, তখন এই এগজস্ট স্টিমকে ঠান্ডা করার কাজে কনডেন্সার ব্যবহার করা হয়। এটি মাধ্যমে ঠান্ডা পানি স্টিম এর সংস্পর্শে ঘনীভূত হয়ে করে পানিতে পরিনত করা হয়।অর্থাৎ স্টিম কে পানি করে পুনরায় ফিড ওয়াটার হিসাবে বয়লারে সরবারহ করা হয়। একে আমরা হীট একচেঞ্জার ও বলে থাকি। দু ধরনের কন্ডেন্সার বেশি দেখা যায় , ১) জেট কনডেন্সার ২) সারফেস কনডেন্সার। তবে বর্তমানে সারফেস কনডেন্সার বেশি জনপ্রিয় তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র গুলোতে।
আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশনের স্টিম উৎপাদন করতে ব্যবহার করা হয় মেঘনা নদীর পানি। প্রথমে মেঘনা নদী হতে পাম্পের মাধ্যমে পানি আনা হয় এবং একটি বেসিং এ রাখা হয়। কারন নদীর পানিতে বিভিন্ন ধরনের কঠিন তরল ও গ্যাস দূষিত বস্তু ধারন করে এবং সে জন্য এই দূষিত পানিকে শোধন করার প্রয়োজন হয়। এই পানিতে বিভিন্ন ধরনের লবন, যেমন- সোডিয়াম, কার্বোনেট, সালফার ক্লোরাইড অফ ক্যালশিয়াম, ইত্যাদি এছাড়া এই পানিতে অ্যালুমুনিয়া ও সিলিকা কাদা থাকে যা বয়লারে অনেক ক্ষতি সাধন করে যেমন তলানী জমা হয়, ক্ষয় হয়, ভংগুরতা দেখা দেয়। এজন্য পানিকে বেসিং নিয়ে একে থিতানো হয় যার, তারপর পানি থেকে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক দ্রব দূর করার জন্য রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটানো হয়। এরপর একে ডিমিনারাইজ করা হয়। এসময় এই পানিকে ডেমি ওয়াটার বলা হয়। এই পানি তখন অনেক মুল্যবান হয়ে যায়।
পানিকে শোধন করে সে পানি পাম্পের মাধ্যমে বয়লারে আনা হয়। এখানে ওয়াটার টিউব বয়লার ব্যবহার করা হয় বলে পানিকে টিউব মধ্যে প্রবাহিত করা হয় এবং FDF এর মাধ্যমে বাতাস এবং ফুয়েল হিসাবে মিথেন (CH4) গ্যাস বার্নারে নেওয়া হয় এবং বার্ন করা হয়, এখানে গ্যাস সাপলাই দেয় তিতাস গ্যাস। এ সময় পানি স্টিমে পরিনত হয়। এ সময় স্টমের তাপমাত্রা থাকে প্রায় ১৭০-১৭৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং চাপ থাকে প্রায় ৩০ বার এর মত। এরপর স্টিম কে বয়লার ড্রাম নেওয়া হয়। এরপর SH দিয়ে স্টিমকে প্রেরন করা হয়। SH তাপ দেওয়ার ফলে এর তাপমাত্রা প্রায় ৫২০-৫২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়ে যায় এবং চাপ প্রায় ১৩৫-১৩৮ বার হয়ে যায়। এবার এই স্টিম কে HPT তে দেওয়া হয় এবং HPT কে ঘুরিয়ে এগজাস্ট দিয়ে যে স্টিম বের হয় তাকে RH এ নেওয়া হয়। বের হয়ার সময় স্টিমের তাপমাত্রা কমে গিয়ে প্রায় ৩৩০-৩৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয় এবং চাপ হয় ৩২ বার হয়।
একে RH এর মাধ্যমে পুনরায় তাপ দিয়ে স্টিমের তাপমাত্রা প্রায় ৫২০-৫২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়ে যায় এবং চাপ প্রায় ১৩৫-১৩৮ বার। এবার এই স্টিম IPT তে দেওয়া হয় এবং এরপর LPT তে দেওয়া হয়।এ সময় টারবাইন জেনারেটর কে ঘুরাতে শুরু করে। এ সময় জেনারেটর প্রায় ৩০০০ RPM ঘুরে। অর্থাৎ প্রতি মিনিটে ৩০০০ হাজার বার জেনারেটর ঘুরতেছে। এবার LPT হতে এগজাস্ট স্টিম পাইপ দিয়ে কনডেন্সার প্রবেশ করে সে সময় স্টিমের প্রায় ৪৪-৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়ে যায় এবং চাপ প্রায় ০.১ বার হয়। এবার একে কনডেন্সার দিয়ে নিয়ে LPH1 এবং LPH2 তে নেওয়া হয় এবং এ সময় তাপমাত্রা প্রায় ১২৫-১৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়ে যায় এবং চাপ এখানে অনেক কম থাকে। এবার এই স্টিম কে ডিয়ড়েটর এ নেওয়া হয় এবং সেখান থেকে BFP এর মাধ্যমে HPH1 ও HPH2 হয়ে বয়লার ড্রামে যায় এবং তাকে আবার টারবাইনে প্রেনন করা হয়। নিচে আমি আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশনের ইউনিট ৫ এর একটি কম্পিউটার স্কিনশর্ট দিয়ে দিলাম আশা করি এটা দেখে কিছু বুজবেন।
বিদ্যুৎ উৎপাদন হলে তাকে স্টেট-আপ ট্রান্সফরমারের মাধ্যমে ট্রান্সমিশন লাইনে পাঠানো হয়। এবার বিভিন্ন সাবস্টেশন এর মাধ্যমে ডিস্টিবিউশন করা হয় এবং ডিস্টিবিউশন লাইন থেকে আমরা এই মহা মুল্যবান বিদ্যুৎ ব্যবহা করি।
জানি না আপনাদের সাথে কতটুকু শেয়ার করতে পারলাম। তবে আপনার এখান থেকে একটু কিছু শিখে থাকলে আমার টিউন সার্থক হবে। আর আপনারা চাইলে আমি গ্যাস টারবাইন, নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট, ওয়াটার পাওয়ার প্লান্ট নিয়ে টিউন করবো। সবাই ভাল থাকবেন। খোদা হাফেজ...................
আমি ফাহিম রেজা বাঁধন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 15 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 116 টি টিউন ও 1427 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
Domain, Hosting, WebDesign, Logo Design, SEO: http://w3solutionsbd.com
অনেকদিন পর এসেই মেগা টিউন???
অসংখ্য ধন্যবাদ……