মাইন্ড আপলোডিং | মানুষের ব্রেইন কম্পিউটারে আপলোড করে পরে কি কোন ভিন্ন বডিতে ডাউনলোড করা সম্ভব? এ আর সায়েন্স ফিকশন নয়, আসছে ২০৪৫ সালেই!

সময়ের পরিবর্তনের সাথে আমরা আমাদের ব্রেইনকে বিভিন্ন প্রযুক্তির সাথে তুলনা করে আসছি—আগে ঘড়ি, টেলিফোন, ক্যালকুলেটর এবং বর্তমানে কম্পিউটারের সাথে মানুষের ব্রেইনকে তুলনা করা হয়। যদিও আমাদের ব্রেইন আমাদের বানানো সকল প্রযুক্তি থেকে সম্পূর্ণ আলাদা ভাবে কাজ করে। আমরা মানুষেরা অনেক অসাধাদ্ধ সাধন করতে সক্ষম হয়েছি এবং বর্তমানে নিউরাল নেটওয়ার্ক এর মতো প্রযুক্তির পেছনে ছুটছি আর ভবিষ্যতে পৌঁছে যাবো মহাকাশের আরো গভীরে।

কিন্তু আমাদের রয়েছে একটিই সীমাবদ্ধতা, বলতে পারেন সকল প্রাণীকূলের একটিই ফ্যাক্ট—”প্রত্যেকটি জীবকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করতে হয়”। অর্থাৎ আমরা মরে যাই, আর আমরা মৃত্যুকে আটকাতে সক্ষম নয়। মৃত্যুকে ঠেকানোর কথা বাদ দিয়ে চলুন বিষয়টিকে আরেকভাবে ভাবা যাক। আচ্ছা বলুন তো কেমন হয়, যদি আপনার ব্রেইনের সম্পূর্ণ ডিজিটাল ভার্সন তৈরি করা যায় এবং সেটিকে কম্পিউটারে সংরক্ষিত করা যায় এবং পরে এই সমস্থ ডাটা কোন আর্টিফিশিয়াল বডিতে প্রবেশ করানো যায়? হ্যাঁ প্রসেসটা অনেকটা এই রকম “কোন কম্পিউটারে কোন পেনড্রাইভ থেকে সমস্থ ডাটা কপি করে রাখলেন এবং পরে প্রয়োজন অনুসারে সেই ডাটা গুলোকে সংরক্ষন বা অন্য কোন মিডিয়াতে ডাউনলোড করে দিলেন”। তবে মানুষের চেতনা কি কম্পিউটারে আপলোড করা সম্ভব? জি হ্যাঁ, এমনি কিছু ক্রেজি ধারণা নিয়ে মাইন্ড আপলোডিং (Mind Uploading) প্রযুক্তির উপর কাজ করা হচ্ছে। এমনকি স্যার স্টিফেন হকিং এর মতে ২০৪৫ সালের মধ্যেই আমরা এই প্রযুক্তি ব্যস্তবে দেখবে পাবো। তো চলুন অসাধারণ এই প্রযুক্তির সম্পর্কে সমস্থ কিছু জেনে নেওয়ার চেষ্টা করা যাক।

মাইন্ড আপলোডিং | অমরত্ব

ব্রেইনচিরকাল বেঁচে থাকা—মূলত এটিই এই প্রযুক্তির মূল উদ্দেশ্য, তাই এই প্রযুক্তিকে অমরত্ব প্রযুক্তিও (Immortality Technology) বলা হয়।আমাদের দেহে কোটি প্রকারের কোষ রয়েছে। আমাদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই কোষ গুলো ধীরেধীরে নিজে নিজেই রিপেয়ার হওয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে, ফলে আমাদের দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা আর আগের মতো থাকে না এবং বিভিন্ন রোগ ব্যাধি শরীরে বাসা বেঁধে নেয় এবং ধীরেধীরে আমরা মৃত্যুর দিকে অগ্রসর হই। এখন মৃত্যুকে এড়াতে প্রয়োজন আর্টিফিশিয়াল কোষ (যে কোষ কখনোই বৃদ্ধ হবে না) তৈরি করা এবং আমাদের আসল কোষ পরিবর্তন করে আর্টিফিশিয়াল কোষ শরীরে প্ল্যান্ট করা—যেটা আরো জটিল প্রযুক্তি।

তবে বিজ্ঞানীরা অমরত্ব লাভ করার আরেক মাধ্যম খুঁজে নিয়েছে, তা হলো আমাদের ব্রেইনের রহস্য ভেদ করে সমস্ত ব্রেইনের ডিজিটাল ভার্সন তৈরি করে কম্পিউটারে আপলোড করে রাখা এবং কোন বডিতে সেই ব্রেইন ডাটা ডাউনলোড করে দেওয়া। সায়েন্স অনুসারে আমরা প্রত্যেকটি প্রাণী আমাদের মস্তিস্কেই বেঁচে থাকি। আমাদের অনুভূতি, বুদ্ধিমত্তা, মন, চেতনা ইত্যাদি সবকিছুই আমাদের মস্তিষ্কেই বাসা বেঁধে থাকে। সুতরাং যদি কোনভাবে কারো মস্তিষ্ক কপি করে নেওয়া সম্ভব হয় (যদিও এটা শুনতে উদ্ভট লাগে) তবে সে চিরকাল বেঁচে থাকতে পারে—কেনোনা এতে তার চালচলন, বুদ্ধি, অনুভূতি সবই সংরক্ষিত থাকবে, যেমনটা একটি কম্পিউটারের হার্ডড্রাইভ ক্লোন করে আরেকটি সম্পূর্ণ আলাদা ফিজিক্যাল কম্পিউটারে লাগানোর পরেও মনে হয় আপনি একই কম্পিউটার ব্যবহার করছেন।

এই প্রযুক্তির মাধ্যমে বিজ্ঞানিদের উদ্দেশ্য হলো অন্যকারো পারসোনালিটিকে একটি সম্পূর্ণ আলাদা বডিতে প্রবেশ করিয়ে তার ক্লোন হিসেবে তাকে বাচিয়ে রাখা—যে কিনা সম্পূর্ণ আগের ব্যক্তির হুবহু ভার্সনে কাজ করবে। কিন্তু বিরাট প্রশ্ন হচ্ছে, আমাদের ব্রেইনকে কি আমরা কম্পিউটারে আপলোড করতে পারবো, মানে মাইন্ড আপলোডিং বা মানুষের চেতনাকে ডিজিটাইজ করা কতটুকু সম্ভব? এই সমস্থ বিষয়টি সায়েন্স ফিকশন বা কোন হলিউড মুভির মতো মনে হলেও বর্তমানে এই প্রযুক্তিকে সফল করার লক্ষ্যে ২০৪৫ ইনিশিয়েটিভ নামে একটি প্রোজেক্ট চলছে এবং বিজ্ঞানীরা মনে করেন ২০৪৫ সালের মধ্যেই আমরা সফলভাবে অমরত্ব প্রযুক্তি হাসিল করে নেব। কিন্তু সর্বপ্রথম আমাদের কি করতে হবে? আমাদের সম্পূর্ণ মস্তিষ্কের ব্যাকআপ তৈরি করতে হবে! কিন্তু কীভাবে বা কোন প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেটি সম্ভব হবে? কেনোনা কম্পিউটার এবং আমাদের ব্রেইন সম্পূর্ণ আলাদা সিস্টেমে কাজ করে। তাহলে কীভাবে সম্ভব?

মানুষের মস্তিষ্ক এবং চেতনা

মস্তিষ্কমানুষের মস্তিষ্ক এবং এর কাজ করার ধরন সত্যিই এই দুনিয়ার মধ্যে অত্যন্ত আশ্চর্যকর জিনিষ গুলোর মধ্যে একটি। আমাদের মাথায় কোন ইউএসবি পোর্ট নেই যে, এতে আপনি ক্যাবল লাগাবেন এবং সকল ডাটা কম্পিউটারে ট্র্যান্সফার করে নেবেন। আবার আপনার মস্তিষ্ক এবং কম্পিউটারের কাজ করার সিস্টেম সম্পূর্ণ আলাদা। আপনার মস্তিষ্ক অবশ্যই ডিজিটাল ফরম্যাটে কাজ করে না, তাই মস্তিস্কর সকল তথ্য কম্পিউটারের কাছে মিনিং লেস। তখনই কেবল কোন ডাটা কম্পিউটারে সংরক্ষিত রাখা সম্ভব যখন সেটিকে ডিজিটাইজ করা হবে। কিন্তু মস্তিষ্ককে কীভাবে ডিজিটাইজ করা সম্ভব? এটি কোন সার্কিট বা ইলেক্ট্রনিক চিপ নয়—বরং এতে রয়েছে অনুভূতি, চেতনা ইত্যাদি আর এই সমস্ত কিছু একত্রে জীবন্ত এবং গরম ব্যায়োলজিক্যাল একটি অঙ্গে বদ্ধ রয়েছে, যা আমাদের মাথার ঘিলু নামে পরিচিত।

আপনার দেহে মস্তিষ্ক এমন একটি উপাদান যা আপনার মানুষ হওয়ার অস্তিত্বকে বহন করছে এবং আপনাকে প্রতিনিয়ত বুঝিয়ে দিচ্ছে আপনি মানুষ এবং আপনি কি কি করতে পারেন। মানুষের মস্তিষ্কে ১০০ বিলিয়নের (তবে ৫০ বিলিয়ন থেকে ৫০০ বিলিয়ন পর্যন্ত থাকতে পারে) মতো অতিক্ষুদ্র কোষ থাকে—যাকে নিউরন বলা হয় এবং প্রত্যেকটি নিউরন একে অপরের সাথে কানেক্টেড রয়েছে। এই নিউরন গুলোর প্যাটার্ন এবং একে অপরের সাথে কানেক্টেড থাকার সিস্টেমের উপর নির্ভর করে আপনার কোন তথ্যকে প্রসেস করা। এই পদ্ধতির উপর আপনার মেধা, চেতনা, বুদ্ধিমত্তা ইত্যাদি সবকিছুই নির্ভর করে। কোন তথ্য প্রসেস হওয়ার সময় সেটি বিভিন্ন নিউরন হয়ে অতিক্রান্ত করে এবং আপনাকে একটি শেষ সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সাহায্য করে—ঠিক যেভাবে নিউরাল নেটওয়ার্কে কাজ করানো হয়।

মাইন্ড আপলোডিং কীভাবে কাজ করে?

আগেই বলেছি, আমাদের মস্তিষ্ক অনেক কমপ্লেক্স একটি জিনিষ এবং এর চাইতেও কমপ্লেক্স ব্যাপার হলো আমাদের ইমোশন। মানুষের ইমোশন কম্পিউটারের মাধ্যমে ডিটেক্ট করা এতোটা সহজ ব্যাপার নয়। যদিও বর্তমানে বিভিন্নভাবে মানুষের মস্তিষ্ক স্ক্যান করা এবং কম্পিউটারকে বোঝানোর অনেক প্রযুক্তি রয়েছে। একটি প্রযুক্তিতে মানুষের মস্তিষ্কের রক্ত প্রবাহের ধারার উপর নির্ভর করে একটি থ্রিডি ইমেজ তৈরি করা হয় এবং একটি কম্পিউটারকে প্রশিক্ষণ দেওয়া আছে যে, সে এই থ্রিডি ইমেজ থেকে ডিটেক্ট করতে পারে যে মানুষটি এই মুহূর্তে ঠিক কোন জিনিসের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে মস্তিষ্কটি কি অনুভব করছে এটি ডিটেক্ট করা এতোটা সহজ কাজ নয়।

মাইন্ড আপলোডিং mind uploadingযাই হোক, কোন মস্তিষ্ক ডিজিটাইজ বা কপি করার জন্য প্রয়োজন পড়বে মস্তিষ্কটির সম্পূর্ণ ম্যাপ, যেটিকে ব্রেইন ম্যাপ বলতে পারেন। যেখানে বর্ণিত থাকবে প্রত্যেকটি নিউরন একে অপরের সাথে কীভাবে সম্পর্ক যুক্ত রয়েছে এবং কীভাবে কাজ করছে বা একে অপরের সাথে সিগন্যাল আদান প্রদান করছে। কিন্তু এখানে ভুলে গেলে চলবে না যে আমাদের মস্তিষ্কে ১০০ বিলিয়নের মতো নিউরন রয়েছে। তবে বৈজ্ঞানিকভাবে এবং তাত্ত্বিকভাবে দেখতে গেলে মানুষের ব্রেইন ম্যাপ তৈরি করা সম্ভব। ইতিমধ্যেই বিজ্ঞানীরা কেঁচোর ব্রেইন ম্যাপ থেকে রোবট বানাতে সক্ষম হয়েছে। তারা কেঁচোর ব্রেইনের ডিজিটাল ভার্সন তৈরি করে কম্পিউটারে আপলোড করে সেই ডাটাকে রোবটে ডাউনলোড করে দিয়েছে, ফলে একটি রোবট সম্পূর্ণ কেঁচোর ব্রেইনে কাজ করছে। মস্তিষ্ক ইলেক্ট্রিক্যাল সিগন্যালের উপর কাজ করে আর এই সিগন্যাল গুলোকে একত্রিত করে ডিজিটাল ফরম্যাটে পরিণত করা সম্ভব—যাতে মাইন্ড আপলোডিং বা মস্তিষ্ককে কম্পিউটারে আপলোড করা যায়। কেঁচোর মস্তিষ্কে ৩০২টি নিউরন থাকে এবং প্রত্যেকের মধ্যে ৭,০০০ নিউরন ইন্টারকানেকশন থাকে। বিজ্ঞানীরা এই নিউরন গুলোর একটি নিখুদ মডেল তৈরি করে এবং এর নিউরাল নেটওয়ার্ক গঠনের উপর ভিত্তি করে একটি রোবট বানাতে সক্ষম হন। “the Lego worm robot” লিখে গুগল করলে এই ব্যাপারে আরো বিস্তারিত জানতে পারবেন।

তাত্ত্বিকভাবে, এই একই প্রসেস ব্যবহার করে মানুষের মস্তিষ্কও ম্যাপ করা এবং সেখান থেকে ডাটা ডিজিটাইজ করে কম্পিউটারে আপলোড করা সম্ভব। কিন্তু মানুষের মস্তিকের ক্ষেত্রে আরো অধিক আঁকার নিয়ে কাজ করতে হবে—১০০ বিলিয়ন নিউরন এবং এদের মধ্যেকার ১০০ ট্রিলিয়ন কানেকশন। তবে এতো সুবিশাল পরিমান নিয়ে কাজ করাটা সত্যিই অনেক কমপ্লেক্স।

একবার ব্রেইন ম্যাপ তৈরি করা সম্ভব হয়ে গেলে প্রয়োজন পড়বে আরেকটি হুবহু আর্টিফিশিয়াল ব্রেইন তৈরি করার। যেখানে ১০০ বিলিয়ন আর্টিফিশিয়াল নিউরন তৈরি করতে হবে এবং এক একটির সাথে কোটির কানেকশন নিশ্চিত করতে হবে। তারপরে আমাদের জানতে হবে যে, কীভাবে মস্তিষ্কে নতুন স্মৃতি রাইট হয় এবং কিভাবে কোন মেমোরিকে ইরেজ বা ডিলিট করা যেতে পারে। এর পরে আমরা মস্তিষ্কে ফলস (False) মেমোরি রাইট করতে পারবো।

তো এখন ধরুন আমরা মস্তিষ্ক রীড এবং রাইট করার ক্ষমতা পেয়ে গেলাম, তাহলে নেক্সট স্টেপ কি হবে? এখন কাজ হলো জাস্ট একটি ব্রেইন থেকে আরেকটি ব্রেইনে সমস্ত ডাটা গুলোকে কপি করা। কিন্তু মানুষের মস্তিষ্ক বা যেকোনো মস্তিষ্ক আর কম্পিউটার হার্ডড্রাইভ এক জিনিষ নয়। বিজ্ঞানিদের মতে আমাদের মস্তিকের সমস্ত মেমোরি প্রায় ২.৬ মিলিয়ন গিগাবাইটের সমান। এতো বিশাল পরিমানের ডাটা ট্র্যান্সফার করাও এক বিশাল মাথা ব্যাথা। ইউএসবি ৩.০ কানেকশনে এই পরিমান ডাটা কপি হতে লাগাতার ৮০ দিনের উপর প্রয়োজন এবং থান্ডারবোল্ড ৩ কানেকশনে সপ্তাহর উপর সময় লেগে যাবে। আবার শুধু ডাটা প্ল্যান্ট করে দিলেই হবে না, মস্তিষ্কের প্রপার ম্যাপ লাগবে, যার মাধ্যমে প্রত্যেকটি নিউরন দ্বারা সেই ডাটা গুলোকে প্রসেস করা সম্ভব হয়।

সুবিধা

এতক্ষণে নিশ্চয় আন্দাজ করতে পেড়েছেন যে এই প্রযুক্তি কীভাবে কাজ করে এবং আমরা এই প্রযুক্তি থেকে আর কতটা দূরে। এবার চলুন ভেবে দেখা যাক সেই দুনিয়ার কথা বা ২০৫০ সালের কথা যেখানে আমাদের কাছে মাইন্ড আপলোডিং প্রযুক্তি বা ইমর্টালিটি প্রযুক্তি ব্যাস্তবে থাকবে। এথেকে আমরা কি সুবিধা গুলো পাবো? এই প্রযুক্তি নিয়ে চিন্তা করা যতোটা ক্রেজি এই প্রযুক্তি ব্যস্তবে আসার পরে কি কি হতে পারে সেটা কল্পনা করা আরো দ্বিগুণ ক্রেজি। একে তো আপনার পারসোনালিটি কখনোই মরবে না, অর্থাৎ আপনার ব্যায়োলজিক্যাল বডি মরে গেলেও আপনার আর্টিফিশিয়াল বডি বেঁচে থাকবে অমর হয়ে। সেখানে হুবহু আপনার ফিলিংস থাকবে, আপনার বুদ্ধিমত্তা থাকবে এবং আপনার সকল চেতনা থাকবে। হাজার বছরের পরের সভ্যতাকেও আপনি দেখতে পারবেন। হতে পারে অন্য মস্তিষ্ক থেকে ডাটা কপি করে আপনার ইন্টেলিজেন্স লেভেলকে আরো বাড়ানো যেতে পারে। আপনার মস্তিস্ক থেকে সকল অস্থিরতা দূর করে আপনাকে হ্যাপি লাইফ প্রদান করা যেতে পারে। এতো শুধু শুরুর দিকের কল্পনা, পৃথিবীর উপর যখন এর প্রভাব নিয়ে ভাববেন সেটা এক অফুরন্ত কল্পনা হবে যেটা এই ছোট আর্টিকেলে বর্ণনা করা সম্ভব হবে না।

শেষ কথা

মাইন্ড আপলোডিং প্রযুক্তির উপর অনেক ইউনিভার্সিটি, অনেক বিজ্ঞানী, দেশের সরকার ইত্যাদি কাজ করছে এবং অলরেডি এই প্রজেক্টের উপর কোটি ডলার খরচ হয়ে গেছে। বিজ্ঞানিদের আশানুরূপ ফল পাওয়া গেলে সৌভাগ্যবশত আপনি আমি বেঁচে থাকতেই এই প্রযুক্তি দেখতে পাব। তো আপনার কি মনে হয়, ২০৪৫ সালের মধ্যে এই প্রযুক্তিকে ব্যস্তব রুপ প্রদান করা সম্ভব হবে? আপনি যদি অমর হোন তো কি করবেন? আজকের এই ক্রেজি আর্টিকেলের উপর আপনাদের সকলের ক্রেজি সব টিউমেন্ট কামনা করছি। নিচের টিউমেন্ট সেকশনে যান এবং এই প্রযুক্তি সম্পর্কে আপনার মতামত আমাদের সকলের সাথে বর্ণিত করুন।

Level 6

আমি তাহমিদ বোরহান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 177 টি টিউন ও 680 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 43 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।

আমি তাহমিদ বোরহান। টেক নিয়ে সারাদিন পড়ে থাকতে ভালোবাসি। টেকটিউন্স সহ নিজের কিছু টেক ব্লগ লিখি। TecHubs ব্লগ এবং TecHubs TV ইউটিউব চ্যানেল হলো আমার প্যাশন, তাই এখানে কিছু অসাধারণ করারই চেষ্টা করি!


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level New

এইসব চিন্তা করাও গুনাহ। মৃত্যু হবেই, অমরত্ব চাই না।

    জানিনা আপনার কেন এই প্রযুক্তি পছন্দ হয়নি 🙂
    আসলে ফিউচার টেক নিয়ে নাড়াচাড়া করতে এবং জানতে বেশ ভালো লাগে, আর মানুষ যখন এরকম কোন অসাধ্য সাধন করার দিকে এগোই তখন একজন মানুষ এবং প্রচণ্ড টেক পাগল হিসেবে ব্যাপারটা খুঁটিয়ে না দেখলে শান্তি হয় না।
    আর বিজ্ঞান চর্চা ও প্রযুক্তির সাহায্যে সামনে এগিয়ে যাওয়াকে আমি পাপ মনে করি না 🙂

    ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য 🙂

    Level 0

    এরকম সংকির্ন চিন্তাভাবনা বাদ দেয়াই ভালো

ভালো লাগছে 🙂 প্রযুক্তি আগিয়ে যাক আরো 🙂
এমন আরো পোস্ট দিবেব আশাকরি
@মুন ভাই বললেন যে এই গুলা চিন্তা করা গুনা কিন্তু ভাই কনো কিছু চিন্তা না করলে নতুন কিছু আসবে কি করে ? একটা সমায় মানুষ হার্ট এটাক করে মারা গেলে মানুষ ভাবতো ভুতে গলা টিপে মারছে 🙂 প্রযুক্তি সেটার সমাধান দিয়েছে । সমাধান দিয়েছে সেগুলা নিয়ে চিন্তা করার জন্যই।

এই রকম হইলেতো ভাই আমি আমারে পাচ-ছ্য় কপি কইরা ফালামু্‌………।।লুল

আমি আমার দুই কপি বানামু, তার পর সেই দুটো কে বলবো আরো দুটো বানাতে। তারপর যে চারটা হবে তারা তারা নিজেদের কপি বানাবো হলো ৮।
তারপর ৮*২=★★*২=★★*২=★★*২=(সংখ্যাটা নিশ্চই ★★★ তিন অংকের হবে,, তারপর ৪,৫,৬,৭,৮,৯,১০…………………….১০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০ তারপর গোগল,,,,,,, ভাই কেউ হিসেব করে দিন টাইম কতো লাগবে???

    নিজের এতো কপি বানিয়ে কি করবেন? অহহ… হ্যাঁ… সাথে আপনার জিএফ এর কপি বানিয়েন 😛 নাইলে বিপদ হয়ে যাবে 😛 😀

    (জাস্ট জোকিং)

মাইন্ড ব্লোইং…………!!! মাস্ট নেক্সট নির্বাচিত পোস্ট হওয়া উচিৎ!!

Amar bissas bigganira borojor manuser j atta ace eita proman & Er bistar ghotate pare… But Human Body Teksoy Korate parbe na…. !

    বিজ্ঞানে আত্মার কোন অস্তিত্ব নেই, তবে তারা এক ইঁদুরের মাথা কেটে আরেক ইঁদুরের মাথায় লাগিয়ে সফলভাবে পরিক্ষা করতে সক্ষম হয়েছে। সাথে জীবন্ত প্রানির মস্তিষ্কের হুবহু রোবট বানানোও সম্ভব হয়েছে। সুতরাং আমরা এই প্রযুক্তি গুলো থেকে আর বেশি দূরে নয়।

Level 0

এরকম হলে মানুষ আর মানুষ থাকবে না । তখন মানুষ নামের প্রাণীটির জন্য অন্য কোন নাম রাখা হবে ।

    ব্যাট, এরকমটা তো হবেই। কেনোনা এ আর কোন স্বপ্ন নয়, ব্যস্তব প্রযুক্তি!

খুব সুন্দর লেখা, অনেক অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য। তবে টিউনের শেষে আপনি প্রশ্ন করেছেন,আপনার কি মনে হয়, ২০৪৫ সালের মধ্যে এই প্রযুক্তিকে ব্যস্তব রুপ প্রদান করা সম্ভব হবে? ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয় না ২০৪৫ সালের মধ্যে এই প্রযুক্তি বাস্তব রূপ প্রদান করা সম্ভব হবে।

পোস্ট টা পড়লাম। আসলে আগেই একটা ম্যাগাজিনে দেখেছিলাম ২০৪৫ এ বিজ্ঞানীরা অমরত্ব আনতে পারবে নাকি!! যাই হোক, এখানে এতো কিছুর সুবিধা আমাদের জানালেন কিন্তু অসুবিধা টা জানালেন না কেন? নাকি আপনিই এর অসুবিধা গুলার তথ্য সঙ্গগ্রহ করেন নি?? যেহেতু প্রযুক্তির এই বিষয় টা নিয়ে ঘাটাঘাটি করেছেন তাই একটা বই পড়ার পরামর্শ দিচ্ছি… মুহাম্মদ জাফর ইকবাল এর ক্রেনিয়াল বই টা পড়ে দেখেন। এই বইয়ে অমরত্ব এর বিষয় টা মেইন কাহিনি না হলেও এখানে মাইন্ড আপলোডিং এর বিষয় টা আছে। এটা পড়লে এই বিষয়ে এর সুবিধা ও অসুবিধাও জানতে পারবেন…

    হ্যাঁ মাইন্ড আপলোডিং এর অসুবিধা তো রয়েছেই, সবচাইতে বড় ব্যাপার হচ্ছে এটি কুদরতের খিলাফ। তারপরে আমার ব্যাক্তিগত ভাবে মনে হয় এই প্রযুক্তি আসলে মানবতার কমতি ঘটবে, সাথে মানুষ অন্যের দ্বারা পরিচালিত হতে আরম্ভ করবে।
    আসলে এই আর্টিকেলে আমি শুধু এই প্রযুক্তির সম্ভবনা নিয়ে আলোচনা করেছি, যেগুলো আমার কাছে নতুন এবং অসাধারণ লেগেছে। পরে সময় পেলে অবশ্যই এর সমস্ত অসুবিধা গুলো নিয়ে আলোচনা করে আর্টিকেল লিখে ফেলবো। আর তোমার পরামর্শ করা বইটির জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, অবশ্যই পড়ে দেখবো!

ধন্যবাদ অসাধারণ টিউনের জন্য…
আমি একটি এন্ড্রয়ড এপ তৈরি করেছি, বিক্রয়[ডট]কম এর অল্টারনেটিভ হিসেবে। ইচ্ছে হলে ট্রাই করে দেখতে পারেন।
এপটির ফীচার সমূহঃ
* কোনো রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই এড পোস্ট করতে পারবেন
* দিনে আনলিমিটেড এড পোস্ট করতে পারবেন
* লোকেশন বেইসড এড সার্চ করতে পারবেন
* কোন হিডেন চার্জ নেই, একদম ফ্রী
* ইনশা আল্লাহ, আমি যতদিন বেঁচে থাকব, অতদিন সার্ভিসটা ফ্রী রাখব
* ইউজার ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস
* ছোট APK সাইজ ( মাত্র ৩ এমবি)
.
গুগল প্লে ডাউনলোড লিঙ্কঃ https://play.google.com/store/apps/details?id=p32929.buysellbd
APK ডাউনলোড লিঙ্কঃ http://tiny.cc/buy_sell_bd
.
এপটি ডাউনলোড করে দয়াকরে একটি হলেও এড পোস্ট করুন। অনেক খুশি হব। আগাম ধন্যবাদ…