হ্যালো, আমি মহামতি মাসুম। প্রথমেই সেইসব উচ্চাকাঙ্ক্ষাী, সীমাহীন স্বপ্নবাজদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে নেই যাঁদের অবদানে আমরা পেয়েছি এই প্রযুক্তির স্বর্গরাজ্য। সেইসব দার্শনিক ও কল্পকাহিনী লেখক যারা সময়ের আগেই জন্মেছিলেন আর আমাদেরকে দেখিয়েছেন স্বপ্ন। গ্যালিলিও,আইনস্টাইন,জুল-ভার্ন,আর্থার সি ক্লার্ক,আইজ্যাক আজিমভ,এইচ জি ওয়েলস ও রে ব্রডবেরি হলেন তাদের কয়েকজন। তাঁরা নিজ চোখে দেখে যেতে পারেননি, কিন্তু তোমরা নতুন প্রজন্ম অনেক ভাগ্যবান।তাই আমার পরামর্শ হল "স্বপ্ন দেখ,সীমা লঙ্ঘন করে বেশী বেশী দেখ" এখন চল, কিছু স্বপ্ন দেখা যাক।
●●আয়রন ম্যান কে ? :আয়রন ম্যান (টনি স্টার্ক) একটি কাল্পনিক কমিক চরিত্র।চরিত্রটি তৈরি করেছিল লেখক ও সম্পাদক স্যার স্ট্যান লি।
সে একজন ধনকুবের ফুর্তিবাজ, শিল্পপতি এবং প্রতিভাবান প্রকৌশলী। সে অপহৃত হবার সময় বুকে মারাত্মক আঘাত পায়। তার বন্দিকর্তারা তাকে দিয়ে জোর করে একটি ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণ করার চেস্টা চালায়। সে পরবর্তীতে একটি বর্ম তৈরি করে যা তার জীবন বাঁচায় এবং বন্দিদশা থেকে মুক্তি দেয়। পরিবর্তিতে সে বর্মটি সংস্কার করে আয়রন ম্যান হিসাবে দুনিয়া রক্ষায় ব্যবহার করে।
(ভিডিওতেঃ এম আই টি তে টনি স্টার্কের বক্তৃতা। B.A.R.F প্রোগ্রাম (এটি ব্যাথাময়, দুঃখের স্মৃতি কে পরিবর্তিত ভাবে প্রদর্শন করতে পারে,যাতে ব্যক্তি এই অভিজ্ঞতা থেকে উত্তরণে সক্ষম হয়) এর কার্যক্রম প্রদর্শন।এক প্রকার কৃত্রিম বাস্তবতা ।
স্বপ্ন অনেক দেখা হল, এখন বাস্তবতায় ফিরে আসা যাক।সাম্প্রতিক সময়ের প্রায় প্রস্তুত কিছু ডিভাইস/প্রযুক্তি হল; ফ্লাইবোর্ড এয়ার, জেটম্যান জেটপ্যাক ও এক্সো বায়োনিকস এর এক্সো জিটি।এই কাটিং এজ্ টেকনোলজি তিনটির সমন্বয়ে তুমি পাবে আয়রনম্যানের অনুভূতি (অন্তত তেমনটার আশা করা যায়)।
●● ফ্লাইবোর্ড এয়ারঃ
(ভিডিওতেঃ গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড এর অফিসিয়াল ভিডিও।)হোভারবোর্ড উড্ডয়নে সর্বোচ্চ দূরত্ব অতিক্রমের গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডটি ফ্রাঙ্কি জাপ্তার। ফ্রাঙ্কি জাপ্তা, জাপ্তা রেসিং এর কর্ণধার। জাপ্তা রেসিং এর ৪ বছরের পরিশ্রমের ফসল হল FLYBOARD® AIR। ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত জাপ্তা রেসিং পানি-চালিত অনেক ডিভাইসের উন্নয়ন ঘটিয়েছে (বিশেষ করে ওয়াটার স্কেটস)। ফ্লাইবোর্ডটি তিনটি অংশে বিভক্ত।বোর্ড,জ্বালানী ট্যাঙ্ক ও রিমোট। রিমোটটি দ্বারা বোর্ডটির ৪ টি টার্বো ইঞ্জিনের জ্বালানী নিয়ন্ত্রণ করা যায়।পার্শ্বের টার্বোইঞ্জিন দুটি এটিকে স্থিতিশীল রাখে। ভেতরের ৪ টি টার্বোইঞ্জিনের প্রতিটি ২৫০ হর্সপাওয়ার; সর্বমোট ১০০০ হর্সপাওয়ার। ভারসাম্য স্থিতিশীল রাখার জন্য এতে ড্রোনের মত লজিক বোর্ড ও নতুন অ্যালগরিদম ব্যবহার করা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য এতে প্যারাসুট রয়েছে।৩০ এপ্রিল ২০১৬ এর রেকর্ডে এটি,সমতল থেকে ৫০ মিটার উচ্চতায় থাকা অবস্থায় ২২৫২ মিটার অতিক্রম করেছে। এটি সর্বোচ্চ ১০,০০০ ফুট উচ্চতায় সর্বোচ্চ ১৫৯ কিঃ মিঃ/ প্রতি ঘণ্টা (৯৩.২মাইল/ প্রতি ঘণ্টা) গতিতে চলতে পারে। এর জ্বালানী কেরসিন এবং স্বয়ংক্রিয় উড্ডয়ন ১০ মিনিট।এটি ২০১৭ তে বাজারে আসতে পারে।
●● জেটম্যানঃ সুইস আর্মির প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বৈমানিক ও বিমান বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী ইয়াভেস রসি "জেটম্যান" এর আবিষ্কর্তা।এটা আসলে একটি কার্বন ফাইবারের পাখা ওয়ালা ব্যাকপ্যাকযুক্ত স্যুট (অত্যাধুনিক জেটপ্যাক)।জেটম্যান এর সবিস্তার বিবরণীঃ ইঞ্জিনের প্রকারঃ জেটক্যাট পি ৪০০ (পাখার সাথে লাগানো ৪ টি);ইঞ্জিন থ্রাস্টঃ ৮৮ পাউন্ড / প্রতি ইঞ্চি;সর্বোচ্চ গতিঃ ১৪০-১৭০ কিলো নট (গড়ে ২০০ মাইল/প্রতি ঘণ্টা);ওজনঃ ১৫০ কেজি (পাখার ওজন ৫৫ কেজি),পাখার দৈর্ঘ্যঃ ২ মিটার।জ্বালানীঃ কেরসিন।২০০৭ সাল থেকে এর উন্নয়ন কাজ চলছে। নিরাপত্তার জন্য এতে প্যারাসুট রয়েছে।২০১১ সালে ইউনাইটেড স্টেটস এর ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনেস্ট্রেশন (এফএএ) এটিকে উড়োজাহাজ হিসেবে নির্ধারণ করেছে এবং ৪০ ঘণ্টা উড্ডয়ন পরীক্ষার পর লাইসেন্স প্রদান করেছে।অক্টোবর ২০১৫ তে রসি ও ভিন্স রিফেট দুবাইয়ে আমিরাতস এয়ারবাস এ৩৮০ এর সাথে ৪০০০ ফুট উচ্চতায় পাল্লা দিয়ে মিডিয়ায় আলোচিত হয়েছিল।এই স্ট্যান্টটি জেটম্যান দুবাই ও এমিরাটস এয়ারলাইনসের যৌথ পরিকল্পনায় সম্পন্ন হয়।এটি ২০১৭ তে বাজারে আসতে পারে।
(ভিডিওতেঃ ফরাসি বিমান বাহিনীর সাথে গত সপ্তাহের একটি মহড়া।)
●● এক্সো জিটিঃএটি আসলে একটি এক্সোস্কেলিটন, যা শারীরিক ভাবে অক্ষম ব্যক্তিদেরকে সাহায্য করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু এটি সধারন মানুষের ক্ষমতাও বৃদ্ধি করতে পারে। বেশী সময় ধরে বাবহারের জন্য এর পেছনে রয়েছে পুনঃচার্জযোগ্য ২ টি লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি।তোমার উচ্চতা অনুযায়ী এর, হিপ ওয়াইডথ অ্যাডজাস্ট করতে পারবে। চাইলে সর্বোচ্চ পরিমাণ হাঁটু ভাজও করতে পারবে। এর সবচেয়ে নিম্নাংশটি তোমার গোড়ালিকে সাপোর্ট দেবে ও শরীরকে স্থিতিশীল রাখবে এবং স্যুটের ওজন সরাসরি মাটিতে ছড়িয়ে দিবে, সুতরাং তুমি কোন অতিরিক্ত ওজন অনুভব করবে না। এটি সাচ্ছন্দে ব্যবহার করতে পার, কারণ এটি শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্রম ও নড়াচড়াকে কোনভাবেই ব্যাহত করে না।এর ভেরিঅ্যাবল অ্যাসিষ্ট স্মার্ট সফটঅয়্য্যর মুহূর্তের মধ্যে স্যুটের সর্বত্র শক্তি পৌছায়।
HULC :মার্কিন সেনাবাহিনী তাদের সৈন্যদের জন্য নির্দিষ্ট দুরুত্ব হেঁটে যেতে ও বেশি ওজন বহন করার প্রযুক্তি উন্নত করেছে। ‘ডিফেন্স অ্যাডভান্স রিসার্চ প্রজেক্ট এজেন্সি’ এবং হার্ভাড ইউনিভার্সিটি’ একই সাথে রোবোকপ স্টাইলের ভারউত্তোলন করার গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে (DARPA WARRIOR WEB)।হিউম্যান উনিভারসাল লোড ক্যারিয়ার এইচ ইউ এল ছি) এর মূল উন্নয়নকারী হল এক্সো বায়োনিকস। ২০০৯ সালে লকহেড মার্টিন একটি চুক্তির মাধ্যমে এর উন্নয়নে অংশগ্রহণ করে। এই স্যুটটিকে সৈনিকদের জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি করা হয়েছে। এর নমনীয় ডিজাইন স্বাভাবিক কার্যক্রম ও নড়াচড়াকে কোনভাবেই ব্যাহত করে না, যা বিশেষ মুহূর্তে যোদ্ধাদের জন্য অতি প্রয়োজনিয়।স্যুটে থাকা মাইক্রো কম্পিউটার ও সেন্সর নড়াচড়াকে চিহ্নিত করে ও শরীরের সাথে চলতে সাহায্য করে।এর টাইটেনিয়ামের কাঠামো ও হাইড্রোলিক শক্তি ব্যবহারের কারনে সৈনিকের ক্ষমতা, দৃঢ়তা ও দক্ষতা কয়েকগুন বর্ধিত হয়। এর মডিউলারিটি'র কারনে এর অংশগুলোকে সহজেই স্থানান্তর ও রিপ্লেস করা যায়।এটি সৈনিকদেরকে দীর্ঘ সময় ধরে, ৯০ কেজিরও বেশী ওজন বহন করার সুবিধা দেয়।এর মাধ্যমে সৈনিকরা ভারী গোলা-বারুদ/ অস্ত্র বহন ও সংযোজন এবং যুদ্ধ ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক সহজেই সরাতে পারবে। এবং বেশী পরিশ্রম না করেই দীর্ঘ সময় ধরে দীর্ঘ দূরত্ব দৌড়াতে পারবে।সাম্প্রতিক সময়ে, ইউ এস আর্মি ন্যাটিক সোলজার রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং একে মূল্যায়ন করেছে এবং এর নিয়ন্ত্রণ সফটঅয়্য্যরের উন্নয়ন ও ব্যাটারি লাইফ বর্ধিত (৮ ঘণ্টা) করা হয়েছে।
(ভিডিওতেঃ HULC এবং ২০১৬ সালে ৯ টি এক্সোস্কেলিটনের ব্যবহার।)
●● বিবিধ ডিভাইস /গ্যাজেটঃ
(ভিডিওতেঃ ত্রিমাত্রিক হলোপোর্টেশনের ব্যবহারযোগ্যতা প্রদর্শন।)
মাইক্রোসফট হলোপোর্টেশন ও কর্টানা :
মাইক্রোসফট হলো-লেন্স একটি অগমেন্টেড রিয়্যালিটি হেডসেট।অগমেন্টেড রিয়্যালিটিতে মূলত তুমি যে দুনিয়াই থাক, ঠিক সেই দুনিয়াই থাকা অবস্থায় তোমার চারপাশে নতুন নতুন বস্তু তৈরি করতে পারবে।এটি এমন একটি বিশেষ সুবিধা যার মাধ্যমে মানুষ একসাথে একই সময়ে একের অধিক স্থানে উপস্থিত থাকতে পারে। মনে কর, আমি বর্তমানে আমার ঘরে দাঁড়িয়ে কথা বলছি, এবং এই সময়ের মধ্যে আমি যদি তোমার সামনেও একই ভাবে উপস্থিত হয়ে কথা বলি তবে চিন্তা করে দেখ এটি কতটা আশ্চর্যের একটি বিষয় হবে ? এমনকি তুমি ঘরের বাইরে চলমান থাকা আবস্থাতেও হলোপোর্টেশন করতে পারবে (ওয়াই-ফাই ক্ষেত্রের মধ্যে থাকতে হবে)। তবে হলোগ্রাফিক কথোপকথন করতে চাইলে ২টি ত্রিমাত্রিক কামেরার প্রয়োজন হবে। হলো-লেন্স এর সবিস্তার বিবরণীঃর্য্য্যম ২ গিগা বাইট, ১ গিগা বাইট HPU (হলগ্রাফিক প্রসেসিং ইউনিট); প্রসেসরঃ৩২বিট (১ গিগাহার্জ),পর্দাঃ ২.৩ মেগা পিক্সেল ওয়াইডস্ক্রিন,স্টোরেজঃ৬৪ গিগা বাইট,ও এসঃ উইন্ডোজ হলোগ্রাফিক, ওজন ঃ৫৭৯ গ্রাম, কানেক্টিভিটিঃ৮০২.১১, ব্লুটুথঃ৪.১, কামেরাঃ২.৪ মেগা পিক্সেল।এটি ২ ডিসেম্বর থেকে জাপানে পাওয়া যাবে।
কর্টানা হলো একটি ভার্চূয়াল বুদ্ধিমান ব্যক্তিগত সহকারী। ভয়েস কমান্ড দিয়েই এর দ্বারা অনেক কাজ করে নেয়া যায়। দিক নির্দেশনা নেয়া,তথ্য অনুসন্ধান করা বা আবহাওয়ার খবরও এর মাধ্যমে নেয়া যায়। এ ছাড়াও নোট নেয়া,নটিফিকেসন্স দেয়া,গুরুত্বপূর্ণ কিছু স্মরণ করে দেয়ার কাজও পারে। এটি আলাদা আলাদা ব্যবহারকারীর কণ্ঠস্বর চিনতে পারে; এমনকি বিং এর সার্চ রেজাল্ট এর উপর ভিত্তি করে প্রশ্নের উত্তরও দিতে পারে। "ফোরস্কয়ার " এর সহায়তায় এটি নিকটবর্তী ভাল রেস্টুরেন্ট ও স্থানীয় আগ্রহউদ্দিপক বিষয় সমন্ধে পরামর্শ দিতে পারে।"লিফক্স" এর সহায়তায় এটি ঘরের স্মার্ট বাতিও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।এর মধ্যে সঙ্গীত চিনতে পারার একটি সার্ভিসও রয়েছে।
ফ্লরিয়ন jyw-1312: ফ্লরিয়ন jyw-1312 একটি নাইট গগলস যা দিয়ে তুমি অন্ধকারেও ২৫ ফুট দূরত্ব পর্যন্ত দেখতে পাবে।এছাড়াও এতে ২টি এল ই ডি ফ্ল্যাশলাইট আছে।এটি তুলনামূলকভাবে অনেক সস্তা।
GPNVG-18:একদম অন্ধকারে দীর্ঘ দূরত্ব পর্যন্ত দেখার জন্য গ্রাউন্ড প্যানারমিক নাইট ভিসন গগলস (GPNVG-18),একটি নিখুঁত ডিভাইস। এতে আছে অত্যাধুনিক ৯৭° দৃষ্টিক্ষেত্র যা চারপাশ সম্বন্ধে বিস্তারিতভাবে পর্যবেক্ষণের সুযোগ করে দেয়।তৃতীয় প্রজন্মের এই নাইট ভিসন গগলসটি দিয়ে ১X জুম এবং ১৮ ইঞ্চি থেকে অসীম দূরত্ব পর্যন্ত ফোকাস করতে পারবে।ওজন মাত্র ৭৬৫ গ্রাম। "এল - থ্রী ওয়ারিঅর সিস্টেম "এটি তৈরি করে শুধুমাত্র মার্কিন সেনাবাহিনির জন্য।
(ভিডিওতেঃGPNVG ও স্ট্র্র্রিমলাইট সুপার ট্যাক ব্যবহার করে একদম অন্ধকারেও তুমি পাবে এরকম নিশ্চিন্তে গাড়ী চালানোর অভিজ্ঞতা)
স্ট্র্র্রিমলাইট সুপার ট্যাক আই আর : এটি আসলে একটি অবলোহিত রশ্মির এল ই ডি ফ্ল্যাশলাইট, যার আলো খালি চোখে কোন মানুষ দেখতে পায়না। এটি শক প্রুফ এবং এর ২০,০০০ ঘণ্টা লাইফটাইম রয়েছে। উচ্চ ক্ষমতার CR123A লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি বিশিষ্ট এই ফ্ল্যাশলাইটির ওজন মাত্র ২০০ গ্রাম। দূর থেকে নিয়ন্ত্রণযোগ্য এবং এক হাতে ব্যবহারের জন্য এতে বিশেষ সুবিধা রয়েছে।এটিও তুলনামূলকভাবে অনেক সস্তা।
ডবি পকেট ড্রোন :(ভিডিওতেঃ ডবি পকেট ড্রোন এর উড্ডয়ন)। এটি তৈরি করেছে "জিরোটেক"। এতে রয়েছে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন কোয়াডকোর ২.৩ গিগাহার্জ প্রসেসর,অ্যাড্র্রিনো ৩৩০ গ্রাফিক্স, ২ গিগাবাইট র্যাম ও ১৬ গিগাবাইট স্টোরেজ। ১৩৫মিঃমিঃ *৬৭ মিঃমিঃ এই ড্রোনটির ওজন মাত্র ১৯৯ গ্রাম (ব্যাটারি সহ)। এর ১৩ মেগা পিক্সেলের ক্যামেরা ও ডু ফান অ্যাপ ব্যবহার করে অন্তরীক্ষ থেকেই উচ্চ মাত্রার (4208×3120) সেলফি তুলতে পারবে। এছাড়াও ৭৫° দৃষ্টিক্ষেত্র ও 1080 p; 4k সমর্থন করায় তুমি দীর্ঘ এলাকা জুড়ে উচ্চ মাত্রার অকম্পিত ভিডিও ধারণ করতে পারবে। এটি ডুয়াল ব্যান্ড ওয়াই-ফাই (২.৪ ও ৫ গিগাহার্জ) সমর্থন করে।এটি সমুদ্র সমতল থেকে সর্বোচ্চ ৩,০০০ মিটার উচ্চতায় এবং সর্বোচ্চ ২৮ কিঃমিঃ গতিবেগে (প্রতি ঘণ্টা) উড়তে পারে। ফেস রেকগনিসন সুবিধা থাকায় এটি ভিড়ের মধ্যেও চলন্ত ব্যক্তি বা বস্তুুকে স্বয়ংক্রিয় ভাবে অনুসরণ করতে পারে, এবং অটো ট্র্যাক করে ১০ সেকেন্ড করে সংক্ষিপ্ত ভিডিও ধারণ করতে পারে।এটি নিরাপদ ও ঝামেলা মুক্ত উড্ডয়নের জন্য এতে অত্যাধুনিক পজিশনিং ব্যাবস্থা রয়েছে এবং এটি এক ক্লিকেই টেক-অফের স্থানে ফিরে আসতে পারে।
অ্যাপল ওয়াচঃ "অ্যাপল ওয়াচ সিরিজ ২" সেপ্টেম্বর ২০১৬ তে বাজারে এসেছে।এতে রয়েছে বিল্ট ইন জি পি এস,পানিরোধী ব্যাবস্থা (৫০ মিটার নিচেও), দ্রতগতির ডুয়াল কোর প্রসেসর ,আম্বিয়েন্ট লাইট সেন্সর এবং সিরজ ১ এর চেয়ে বড় আকৃতির দ্বিগুণ উজ্জ্বল পর্দা (৩১২ * ৩৯০ পিক্সেল, ৩২৬ ডি পি আই)। এছাড়াও রয়েছে "সিরি " কে প্রশ্ন করে উত্তর নেয়া, অ্যাপ ডক ও কাস্টমাইজেবল ওয়াচফেস, হার্ট রেট সেন্সর, ব্রিথ অ্যাপ এবং তৃতীয় পক্ষের স্বাস্থ্য অ্যাপও রয়েছে। এতে অ্যাপল এস ২ চিপ, ওয়াচ ও এস ৩, ৫১২ মেগাবাইট ডি র্যাম,৮ গিগাবাইট স্টোরেজ, পাওয়ার ভি আর গ্রাফিক্স কার্ড, ব্লুটুথ ৪.০ ও ওয়াই-ফাই ৮০২.১১ রয়েছে।আরও আছে টাচ প্রযুক্তি সম্পন্ন দ্বিতীয় প্রজন্মের রেটিনা ডিসপ্লে।পূর্ণাঙ্গ চার্জ হতে এ ঘড়িতে সময় লাগবে প্রায় ২ ঘণ্টা ৫০ মিনিট। একবার চার্জে একটানা ১৮ ঘণ্টা চলবে এ ঘড়ি। তবে অন্যান্য সেবা বন্ধ থাকলে চলবে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত। ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রায় হাজারেরও বেশি অ্যাপস যুক্ত করা হয়েছে এ অ্যাপল ওয়াচে। এ ছাড়া ফেসবুক, ইন্সটাগ্রামসহ জনপ্রিয় প্রায় সব অ্যাপই ব্যবহার করা যাবে। চাইলে গাড়ি থেকে হোটেল রুমের দরজা পর্যন্ত লক করা যাবে এর মাধ্যমে। সাধারণ বৈশিষ্ট্যের মধ্যে ফোন রিসিভ করা, হেলথ ট্র্যাকিং সঙ্গে অ্যাপল পে ফিচারও যুক্ত করা হয়েছে এ ঘড়িতে।
ইহাং ১৮৪ঃ(ভিডিওতেঃ ইহাং ১৮৪ এর ডেমনেস্ট্রেশন।)তুমি যদি নিরাপত্তা বিষয়ে বেশী সচেতন হও, তাহলে ইহাং ১৮৪ তোমার জন্য সর্বোত্তম। ইহাং ১৮৪ একটি উড়ন্ত বাহন/পাসেঞ্জার ড্রোণ (স্বল্প থেকে মধ্যম দূরত্বের পরিবহণ ব্যবস্থা)। এটি ছি ই এস ২০১৫ তে প্রথম প্রদর্শিত হয়।" নিরাপত্তা " হল এর প্রধান বৈশিষ্ট্য। এটি বিদ্যুৎচালিত। যদি এর এক সেট পাওয়ার সিস্টেমে বিভ্রাট ঘটে, তবুও এটি তার উড্ডয়ন প্রক্রিয়া ও যাত্রীকে নিরাপদ রাখতে পারে।এর ফেইল-সেফ সিস্টেম রয়েছে। এর যেকোনো কম্পোনেন্ট এর যান্ত্রিক ত্রুটি/বিচ্ছিন্ন হলেও এটি নিকটবর্তী এলাকায় দ্রুত নিরাপদ অবতরণ করতে পারে। এর কমুউনিকেসন্স সিস্টেম এনক্রিপটেড এবং প্রতিটি বাহনের স্বতন্ত্র "কি" রয়েছে।এর স্বয়ংক্রিয় উড্ডয়ন বাবস্থা রয়েছে, যাতে ১ ক্লিকে নিখুঁতভাবে টেক-অফ ও নির্ধারিত পথে অবতরন করতে পারে। এই প্রক্রিয়ার জন্য এর স্বতন্ত্র ও সহজ একটি অ্যাপ রয়েছে।বাহনটি সবসময় কমান্ড সেন্টারের সাথে যুক্ত থাকে। অত্যান্ত বাজে আবহাওয়ার সময় কমান্ড সেন্টার একে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টেক-অফে বাধা প্রদান করে। এর বহন ক্ষমতা ১০০ কেজি। গড় গতিবেগঃ ১০০ কিঃমিঃ/প্রতি ঘণ্টা। এটি ২০১৭ তে বাজারে আসবে।
টি ১১ প্যারাস্যুটঃ টি ১১ প্যারাস্যুট সিস্টেম হল নেক্সট জেনারেশন প্যারাসুট সিস্টেম যা ইউ এস,কানাডিয়ান আর্মি ও ফরাসি ডিফেন্স ফোর্স ব্যবহার করে। এর নিরাপত্তা ব্যাবস্থা অনেক উন্নত।এর ওপেনিং শক অনেক কম। এটি সর্বোচ্চ ৬ সেকেন্ডেই খুলে যায় এবং উন্নত নিয়ন্ত্রণ ব্যাবস্থা রয়েছে। এটি সর্বোচ্চ ১৮১.৪ কে জি বহন করতে পারে এবং অবতরণের গতি অনেক কমেয়ে দেয়।
এখন 👍 "নির্বাচিতটিউন মনোনয়ন" ও SHARES এ এ ক্লিক কর।😁
দয়া করে সুচিন্তিত টিউমেন্ট কর। তোমাদের গঠনমূলক টিউমেন্টই আমাকে টিউন করার প্রেরনা যোগায়। বিদায়।
আমি মহামতি মাসুম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 3 টি টিউন ও 28 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
Wikim(p)edian, Product Reviewer at Medium.com | কম্পিউটার বিজ্ঞান এ স্নাতক সম্পন্ন করেছি। ইংরেজী ভাষা হতে অনুবাদ ও রুপান্তরে আমার দক্ষতা রয়েছে। প্রযুক্তি এবং তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব বিষয়াবলীতে যথেষ্ট জানাশোনা আছে। পপ সংস্কৃতি ও নার্ড বিষয়াবলীতে আগ্রহ ও নেশা রয়েছে। সমমনা ব্যক্তিদের সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা আড্ডা দিতে পারি।https://s.id/masum
onak thanks.