রক্ত রক্তের গ্রুপ আরএইচ ফ্যাক্টর ও সুস্থ সন্তান সবার পড়া উচিত

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আমি ভাল আছি। আমি আজকে আপনাদের যে বিষয়টি শেয়ার করব তা হল আমাদের শীরের একটি উপাদান রক্ত তা সম্পর্কিত কিছু তথ্য। বেশি কথা না বলে মূল আলোচনায় চলে আসি।

রক্ত :

রক্ত কি? প্রশ্নটির উত্তর সাধারণভাবে দিলে বলা যায় শরীরের কোন অংশে কেটে গেলে লাল রঙের যে তরল পদার্থ বের হয়ে আসে তাই রক্ত। ইহা স্বাদে লবণাক্ত, অস্বচ্ছ, ঈষৎ ক্ষারীয় ও আঠালো চটচটে তরল পদার্থ। একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষের দেহে গড়ে ৫ থেকে ৬ লিটার রক্ত থাকে। প্রধানত অস্তিমজ্জায় রক্ত উৎপন্ন হয়।
রক্তের উপাদান : রক্ত প্রধানত দুটি উপাদান নিয়ে গঠিত। যথা :

  • ১। রক্তরস বা প্লাজমা
  • ২। রক্ত কণিকা

রক্তরস :

রক্তের হালকা হলুদ বর্ণের তরল অংশকে রক্তরস বা প্লাজমা বলে। এই রক্তরসে রক্তকণিকা ভাসমান অবস্থায় থাকে। রক্তরসে পানির পরিমাণ ৯২%। এছাড়াও রক্তরসে গ্লুকোজ, অ্যামাইনো এসিড, ফ্যাটি এসিড, গ্লিসারল, আমিষ (যেমন : অ্যালুবুমিন, ফিব্রিনোজেন), খনিজলবণ, হরমোন, ভিটামিন, ইউরিয়া, এন্টিবডি, অক্সিজেন, কার্বনডাইঅক্সাইড ও অন্যান্য বর্জ্য পদার্থ।

রক্তকণিকা :

রক্তরসের মধ্যে ছড়ানো বিভিন্ন ধরনের কোষকে রক্তকণিকা বলে। রক্তের ৪৫% হলো রক্তকণিকা। মানুষের রক্তে তিন ধরনের কণিকা থাকে। যথা :

  • ১। লোহিত রক্তকণিকা
  • ২। শ্বেত রক্তকণিকা
  • ৩। অনুচক্রিকা


১। লোহিত রক্তকণিকা : লোহিত রক্তকণিকা ক্ষুদ্রাকার, দ্বিঅবতল চাকতির মত। এরা নিউক্লয়াসবিহীন। হিমোগ্লোবিনর নামক একপ্রকার রঞ্জক পদার্থ থাকার কারণে কণিকাগুলো লাল দেখায়। দেহে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ২০ লক্ষ কণিকা তৈরি হয়। একটি লোহিত কণিকার গড় আয়ু ৪ মাস।
লোহিত রক্তকণিকা
শ্বেত রক্তকণিকা : শ্বেত রক্ত কণিকা নির্দিষ্ট আকার বিঞীন ও নিউক্লিয়াস যুক্ত। সুস্থ মানব দেহে প্রতি কিউবিক মিলিলিটার রক্তে ৬০০০ থেকে ১১০০০ শ্বেত কণিকা থাকে।
শ্বেত রক্তকণিকা
অনুচক্রিকা : অনুচক্রিকা সবচেয়ে ক্ষুদ্র রক্তকণিকা। এরা গোল, ডিম্বাকার বা বৃত্তের মত এবং গুচ্ছাকারে থাকে। এতে নিউক্লিয়াস থাকে না। এএদের গড় আয়ু ৫ থেকে ১০ দিন।

রক্তের কাজ :

  • ১। রক্ত সারা দেহে পানি ও তাপের সমতা রক্ষা করে।
  • ২। লোহিত রক্তকণিকা হিমোগ্লোবিনের মাধ্যমে ফুসফুস থেকে কোষে কোষে অক্সিজেন পরিবহণ করে।
  • ৩। শ্বেত রক্তকণিকা ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায়য় রোগজীবাণু ধ্বংস করে দেহকে সুস্থ রাখে।
  • ৪। দেহের কোন স্থান কেটে গেলে অনুচক্রিকা সে সস্থানে রক্ত জমাট বাঁধায়। ফলে ক্ষতস্থান থেকে রক্তপাত বন্ধ হয়।
  • ৫। রক্তরসের মাধ্যমে কার্বন ডাইঅক্সাইড, ইউরিয়া, হজমকৃত খাদ্যবস্তু(যথা : গ্লুকোজ, অ্যামিনো এসিড, ফ্যাটি এসিড, গ্লিসারল), হরমোন ইত্যাদি দেহের বিভিন্ন অংশে পরিবাহিত হয়।

রক্তের গ্রুপ :

অস্ট্রিয়া বংশোদ্ভূত আমেরিকান বিজ্ঞানি কার্ল লেন্ডস্টেইনার ১৯০১ খ্যীস্টাব্দে মানুষের লোহিত রক্তকণিকায় প্লাজমা মেমব্রেনের বাইরের দিকে এন্টিজেন নামক প্রোটিনের অস্তিত্ব আবিস্কার করেন। এই এন্টিজেন সাধারনত দুই ধরনের হয় যথা : এন্টিজেন এ এবং এন্টিজেন বি। কোন একজন মানুষের লোহিত রক্তকণিকায় এন্টিজেন এ অথবা এন্টিজেন বি অথবা এন্টিজেন এ ও বি উভয়ই উপস্থিত থাকতে পারে অথবা এন্টিজেন এ ও বি উভয়ই অনুপস্থিত থাকতে পারে। মানুষের লোহিত রক্তকণিকায় এন্টিজেনের উপস্থিতি ও অনুপস্তিতির উপর ভিত্তি করে বিজ্ঞানী তার্ল লেন্ডস্টইনার ১৯০১ ক্রীস্টাব্দে মানুষের রক্তের যে শ্রেনীবিন্যাস করেন তাকে রক্তগ্রুপ বা এবিও রক্তগ্রুপ বলে। এজন্য ১৯৩০ খ্রীস্টাব্দে তিনি চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার পান।

মানুষের লোহিত রক্ত কণিকায় যেরূপ এন্টিজেন থাকে তারসাথে সামঞ্জস্য রেখে রক্তরস বা প্লাজমায় এন্টবডি নামক বিশেষ ধরনের প্রোটিন থাকে। মানুষের প্লাজমায় দুই ধরনের এন্টিবডি থাকে, যথা : ১। এন্টিবডি এ ২। এন্টিবডি বি।

এভাবে এন্টিজেন ও এন্টিবডির উপস্থিতির উপর ভিত্তি করে সমগ্র মানবজাতির রক্তকর চারটি গ্রুপে ভাগ করা হয়। যথা : এ, বি, এবি এবং ও।

যে নির্দিষ্ট ব্যক্তির রক্তে যে এন্টিজেন নেই, শুধু সেই এন্টিবডি সেখানে পাওয়া যাবে। অর্থাৎ এ গ্রুপে এ এন্টিজেন, বি গ্রুপে বি এন্টিজেন এবং এবি গ্রুপে এ ও বি উভয় এন্টিজেন থাকে। ও গ্রুপের রক্তে কোন এন্টিজেন নেই কিন্তু রক্তরসে এ ও বি দুরকম এন্টিবডিই থাকে। প্রতিটি এন্টবডি তার সমগোত্রীয় এন্টিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে রক্তকে জমাট বাঁধায় অর্থাৎ এন্টিবডি এ, ্এন্টিজেন এ এর সাথে এবং এন্টিবডি বি, এন্টিজেন বি এর সাথে বিরূপ বিক্রিয়া ঘটায়। এজন্য রক্ত গ্রহণ ও প্রদানের পূর্বে অবশ্যই রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করতে হয়। চলুন দেখি কে কোন গ্রুপকে রক্ত দিতে পারবে এবং কার কাছ থেকে রক্ত নাতে পারবে :

এ গ্রুপের রক্তের এন্টিবডি বি গ্রুেপর লোহিত কণিকাকে জমিয়ে দেয়। তদ্রূপ বি গ্রুপের রক্তের এন্টিবডি এ গ্রুপের রক্তের লোহিত কণকাকে জমিয়ে দেয়। কিন্তু এবি গ্রুপের রক্তের প্লাজমায় কোন এন্টিবডি না থাকায় অন্য গ্রুপের রক্তকে জমাতে পারে না। এজন্য এবি গ্রুপধারী মানুষ যেকোন গ্রুপের রক্ত গ্রহণ করতে পারে। তাই এবি গ্রুপকে সর্বজনীন গ্রহীতা গ্রুপ বলা হয়।

আবার ও গ্রুপের রক্তের লোহিত কণিকায় কোন এন্টিজেন না থাকায় অন্য যে কোন গ্রুপের রক্তের সাথে সহজেই মিশতে পারে। তাই ও রক্ত গ্রুপের মানুষ যেকোন গ্রুপধারী মানুষকে রক্ত দিতে পারে। এজন্য ও গ্রুপকে সর্বজনীন দাতা গ্রুপ বলা হয।
উল্লেখ্য যে, ও গ্রুপ অন্য সকল গ্রুপকে রক্ত দিতে পারে কিন্তু অন্য কোন গ্রুপ থেকে রক্ত গ্রহণ করতে পারে না এবং এবি গ্রুপ অন্য সকল গ্রুপ থেকে রক্ত গ্রহণ করতে পারে কিন্তু অন্য কাউকে রক্ত দিতে পারে না।

চলুন দেখি রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করার কিছু ছবি :





Rh ফ্যাক্টর : কার্ল লেন্ডস্টেইনার এবং এ. এম উইনার ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে রেসাস বানর এর লোহিত কণিকায় এক ধরনের এন্টিজেন আবিষ্কার করেন। এই এন্টিজেনকে রেসাস এন্টিজেন বা রেসাস ফেক্টর বা Rh ফ্যাক্টর বলে। পরবর্তীতে মানুষের লোহিত রক্ত কণিকাতেও এদের উপস্থিতি নিশ্চিত করেন। গবেষণায় প্রমানিত হয়েছে যে প্রায় ৮৫% মানুষের লোহিত রক্ত কণিকায় আর এইচ ফ্যাক্টর বিদ্যমান থাকে। যেসব মানুষের লোহিত রক্ত কণিকায়্‌ আরএইচ ফ্যাক্টর বিদ্যমান থাকে তাদের রক্তগ্রুপকে আরএইচ পজেটিভ এবং যেসব মানুষের লোহিত রক্ত কণিকায় আরএইচ ফ্যাক্টর অনুপস্থিত থাকে তাদের রক্তগ্রুপকে এরএইচ নেগেটিভ বলা হয়। যেমন : এ পজেটিভ, এ নেগেটিভ, বি পজেটিভ, ও পজেটিভ, এবি নেগেটিভ ইত্যাদি। প্রধানত দুই ক্ষত্রে আরএইচ ফ্যাক্টর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, যেমন :

  • ১। আরএইচ নেগেটিভ রক্তগ্রুপ বিশিষ্ট কোন রোগীর দেহে আরএইচ পজেটিভ গ্রুপের রক্তের সঞ্চারণ ঘটালে দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই রোগীর দেহের প্লাজমায় আরএইচ নেগেটিভ এন্টিবডি সৃষ্টি হয়। ঐ রোগী যদি পরবর্তীতে কখনও আরএইচ পজেটিভ গ্রুপের রক্ত গ্রহণ করে তাহলে আরএইচ নেগেটিভ এন্টিবডির প্রভাবে গৃহীত রক্তের লোহিত কণিকাগুলো নষ্ট হয়ে যাবে। এতে বিভিন্ন অসুবিধাসহ রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। অবশ্য গ্রহীতা যদি পরবর্তীতে আরএইচ পজেটিভ গ্রুপের রক্ত গ্রহণ না করে তবে রক্ত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।
  • ২। আরএইচ নেগেটিভ রক্তগ্রুপ বিশিষ্ট মহিলার সাথে আরএইচ পজেটিভ রক্তগ্রুপের কোন পুরুষের বিয়ে হলে তাদের সন্তান জন্মের ক্ষেত্রে আরএইচ ফ্যাক্টর অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। জেনেটিকভাবে আরএইচ পজেটিভ অবস্থা আরএইচ নেগেটিভ অবস্থার উপর প্রকট হওয়ায় এই দম্পত্তির প্রথম সন্তান আরএইচ পজেটিভ হবে। এই শিশু মাতৃগর্ভে থাকাকালীন সময়ে মায়ের রক্তে আরএইচ নেগেটিভ এন্টিবডি সৃষ্টি হবে। প্রথমবার গর্ভধারণকালে আরএইচ নেগেটিভ এন্টিবডি যথেষ্ট পরিমাণে উৎপাদিত না হওয়ায় শিশুর কোন ক্ষতি হয় না এবং এই শিশু জীবিত থাকে। কিন্তু দ্বিতীয় বা পরবর্তী সময়ে আরএইচ পজেটিভ সন্তান ধারণকালে পূর্বে উৎপাদিত মায়ের রক্তের আরএইচ নেগেটিভ এন্টিবডি অমরার মাধ্যমে ভ্রুণে প্রবেশ করে এবং ভ্রুণের লোহিত কণিকাগুলো ধ্বংস করতে থাকে। এতে ভ্রুণ বিনষ্ট হয়, গর্ভপাত ঘটে বা সদ্যজাত শিশুর মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে। এ অবস্থায় শিশু জীবিত থাকলেও তার দেহে প্রচন্ড রক্তাল্পতা এবং জন্মের পর জন্ডিস রোগ দেখা দেয়। তাই বিয়ের আগে হবু বর কণের রক্ত পরীক্ষা করে নেয়া উচিত এবং উভয়েরই একই আরএইচ ফ্যাক্টরভুক্ত অর্থাৎ হয় উভয়ই আরএইচ পজেটিভ নয়তো উভয়েরই আরএইচ নেগেটিভ দম্পতি হওয়া উচিত।

পরিশেষে বলা যায় রক্ত দান বা গ্রহণ করার সময় শুধু রক্তের গ্রুপই নয় রক্তের আরএইচ ফ্যাক্টর নির্ণয় এবং রক্তে জীবাণুর উপস্থিতি সম্বন্ধেও পরীক্ষা করা উচিত। জরুরী রক্ত গ্রহণ বা দানের দরকার হলে দাতা ও গ্রহীতার রক্তের গ্রুপ জানা না থাকলে ও এবং আরএইচ নেগেটিভ রক্ত গ্রহণ বা দান করাই উত্তম।

Level 0

আমি ছাত্র ও শিক্ষক। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 11 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 54 টি টিউন ও 1010 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

তুমি যদি শিক্ষিত হও,অশিক্ষিতকে আলো দেবে। না পারলে তুমি অহংকার করবেনা,তুমি দূর্ব্যবহার করবেনা,বিনয়ের সঙ্গে কথা বলবে,তুমি শিক্ষিত বলেই এ তোমার অতিরিক্ত দায়।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ,এমন একটি টিউন করার জন্য।

ধন্যবাদ। আমি জীববিজ্ঞানের ছাত্র না তাই এগুলো যানার সুযোগ পেতাম না। অন্তত রকের গ্রুপ চেক করা শিখে গেলাম। কিন্তু আর এইচ ফেক্টর কিভাবে চেক করব?

    রক্তকে পজেটিভ ও নেগেটিভ এই ভাবে যে ভাগ করা হয তাই মূলত আএইচ ফ্যাক্টর । আরও বিস্তারিত জানার জন্য কোন ডাক্তারের কাছে যেতে পারেন ।

সুন্দর হয়েছে । অনেক কিছু শিখলাম আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আছা same grp এর পুরুষের ও মহিলার বিয়ে হলে সন্তানের কি কোন ক্ষতি হয় ?

    আপনি যদি এ পজেটিভ গ্রুপের হন তবে এ নেগেটিভ গ্রুপের কোন মেয়েকে বিয়ে করেন তবে সমস্যা হতে পারে । কিন্ত উভয়ই যদি এ পজিটিভ বা উভয়ই যদি এ নেগেটিভ হন তবে সমস্যা নাই ।আপনাকে ধন্যবাদ ।

    না হয় না।

ভাই এন্টিজেন কোন প্রোটিন নয়, এটি কার্বোহাইড্রেট জাতীয় পদার্থ। চমৎকার টিউনের জন্য আপনি অবশ্যই ধন্যবাদের দাবীদার। তবে ব্লাডগ্রুপ বিবেচনায় রাখলে Rh (-ve) মেয়েদের বিয়ে দেয়া ঝামেলার হয়ে যাবে। Anti D ইন্জেকশন থাকায় ইদানীং সমস্যা তেমন প্রকট হয় না।

    এন্টিজেন = মিউকোপলিস্যাকারাইড জাতীয় পদার্থ (উচ্চ মাধ্যমিক প্রাণীবিজ্ঞান – গাজী আজমল, গাজী আসমত)।
    এন্টিজেন = এক প্রকার প্রোটিন (স্নাতক মৌলিক প্রাণিবিজ্ঞান – মো: আবদুল আলীম),
    আমি কয়েকটি ওয়েবসাইটে এন্টিজনকে প্রোটিন হিসেবে লেখা পেয়েছি । আপনাকে ধন্যবাদ মন্তব্য করা ও একটি তথ্য দেয়ার জন্য ।

    দেশী রাইটারদের কথায় বিশ্বাস করবেন না। ওনারা বিভিন্ন জায়গা থেকে Copy paste করে কথা বলেন। গাইটন বা গ্যাননের লেখা Human Physiology থেকে ভালো তথ্য পাবেন। ধন্যবাদ।

    ধন্যবাদ আপনাকে তথ্যের একটি উৎসের কথা জানানোর জন্য ।

    “নেট মাস্টার” কে বলছি – এন্টিজেন প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট বা অন্য যে কোন পদার্থ হতে পারে। যা আমাদের শরীরের অংশ নয় তা ই “এন্টিজেন”

    আর ব্লাডগ্রুপ বিবেচনায় রাখলেও Rh (-ve) মেয়েদের বিয়ে দেয়া ঝামেলার হবে না। কারন Anti D ইন্জেকশন দিয়ে Rh incompatibility রোধ করা যায়।

    সৈকত কে বলছি: ফিজিওলজিক্যালি আমরা যেটিকে ফরেনপার্টিকেল বা ফরেনবডি বলি আপনি সেটির সাথে ব্লাড এন্টিজেনকে গুলিয়ে ফেলেছেন। শরীরের অংশ নয় যেটি (কোনো ট্রান্সপ্লান্ড অগার্ন হতে পারে বা বাইরে থেকে কিছু ঢুকতে পারে) কে ফরেনবডি হিসেবেই আপনি ফিজিওলজিতে পড়েছেন।

    আর Rh টপিকে বলিঃ ধরুন আপনি প্রচার চালালেন Rh (-ve) মেয়েদের Rh (+ve) ছেলেদের বিয়ে করা যাবেনা। আপনার এই প্রচারণায় অনেকে ভয় পাবে Rh (-ve) মেয়েদের বিয়ে করতে কারণ আমরা বাঙ্গালী ও ওষুধ ইন্জেকশনে আমাদের ফোবিয়া আছে। দেশের মেক্সিমাম লোক Anti-D ইন্জেকশনের নামই জানেনা, যারা জানেন তারাও ব্যাপারটিকে ক্যাচাল মনে করবেন। তাই এধরণের প্রচারণা Rh (-ve) মেয়েদের বিয়ের জন্য আমাদের দেশের পেক্ষাপটে ক্ষতিকর। আপনি যদি চিকিৎসক হন তাহলে বুঝবেন আমাদের দেশের লোকদের সাইকোলজি।

    তাই আমি লেখককে বলেছিলাম, Rh (-ve) মেয়েদের বিয়ে করা যাবে না এমন প্রচারণা না করার জন্য। কারণ বর্তমান পেক্ষাপটে Rh (-ve) ও Rh (+ve) কোনো ব্যাপারই না Anti-D ইন্জেকশন থাকায়। বৃথা মানুসের অন্তরে Rh (-ve) মেয়েদের বিরুদ্ধে একটি মনোভাব তৈরী করার দরকার কি??

অসম্ভব ভাল একটা টিউন করলেন স্যার,
আপনাকে প্রানঢালা শুভেচ্ছা এত সুন্দর একটি টিউন উপহার দেয়ার জন্য।
এই বিষয়ে আরো আরো টিউন চাই আগামিতে।
ভাল থাকবেন।

    আপনাকে ধন্যবাদ । এক বছরের জন্য ট্রেনিং এ যাচ্ছি ১ জানুয়ারী থেকে । দোয়া করবেন । এসময়টাতে টেকটিউনে নিয়মিত আসতে পারবনা । তবে ফাঁকে ফাঁকে চেষ্টা
    করব ভাল কিছু টিউন করার ।

অনেক অনেক ধন্যবাদ,
অনেক সুন্দর একটি টিউনস উপহার দেয়ার জন্য।

খুবই ভাল টিউন। আপনাকে এক কোটি ধন্যবাদ।

আপনাকে এক বিলিয়ন ধন্যবাদ ।

না জানি কত সময় লাগছে ?

অসাধারন। ধন্যবাদ ভাইয়া।

আপনাকে ও ধন্যবাদ ।

ধন্যবাদ।
কিন্তু আমি দেখেছি বক্ত তিন ফোটা নেয় ।
আপনি ২ ফোটা দেখিয়েছেন।
বুঝলাম না।

    এ ব্যাপারে আমি বলতে পারছিনা ভাই । তবে আমি দুই ফোঁটার কথা বলেছি তা শুধু গ্রুপ বের করার জন্য । যেমন – এ গ্রুপ, বি গ্রুপ, এবি গ্রুপ এবং ও গ্রুপ । আর আপনি
    যে তৃতীয় ফোঁটার কথা বলছেন তা সম্ববত আরএই চ ফ্যাক্টর বের করার জন্য নেয়া হয় ।

    ৩য় ফোটা রক্ত নেয়া হয় Rh ফ্যাক্টর পজিটিভ না নেগেটিভ তা দেখার জন্য।

    ধন্যবাদ সৈকত ভাই ।

ভাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। অনেক অজানা বিষয় জানতে পারলাম।

Level 0

জানা ছিল,সবার কাজে আসবে,তবে আমি বুঝলাম কে এখানে “মনোনয়ন নয়” ভোট দিল।আজব!!!

    Level New

    ভাই বিশ্বাস করেন আমি দেই নাই।

    মনে হয় ভুল করে কেউ দিয়ে ফেলেছে । আর নয়তো সে কট্টর প্রযূক্তিভিত্তিক টিউনার ।

    Level New

    সহমত

    Level 0

    @রাজঃ হা হা হা।
    @ছাত্র ও শিক্ষকঃ ভাই,প্রযক্তি বলতে কি খালি কম্পিউটার ভিত্তিক বা খালি যন্ত্র-টন্ত্রভিত্তিক লেখাকেই বুঝায়।এই টিউনটাতো হবুহু প্রযুক্তির সাথে যায়।

    ভাই এবার সত্যিই একটু কষ্ট পেলাম । প্রথমবার মনোনয়ন নয় এর ঘরে এক দেখে কিছু মনে করি নাই কিন্তু এবার দুইটা দেখে কষ্ট পেলাম ।

বিষয়টা এত সহজে উপস্থাপন করা যায় আপনার লিখা না পড়লে বুঝতে পারতাম না।
আশা করি সামনে আরও বেশি উপকারি টিউন করবেন।

Level New

প্রযুক্তিগত টিউন ছাড়া আমার পড়া যতগুলো টিঊন টিটিতে ভালো লেগেছে এটা আপাদত সর্বশ্রেষ্ঠ।

আপনাকে ধন্যাবাদ দিলে ছোট করা হবে। এই কঠিন বিষয়টা যে এত সুন্দর আর সহজভাবে জানতে পারব কখনো কল্পনাই করিনি।
আর আপনার টিউন দেখে আমার একটু গর্ববোধ হচ্ছে কারণ আমার রক্ত কিন্তু “ও+” (সবাইকে রক্ত দিতে পারব)।
তবে আরেকটা জিনিস মনেহয় লিখেননি সেটা হল আমার রক্ত + না – কিভাবে বুঝব?

    আপনার + । আপনার মেইলে উত্তর পাঠিয়েছি ।

    আমিও O+

    আপনাকে জানিয়ে রাখি, আসলে 0+ গ্রুপ সর্বজনীন দাতা ব্যাপারটা থিউরিটিক্যালী সত্য। বাস্তবে কখনো এটি ব্যবহার করা হয়না। রোগী মূমূর্ষ হলেও না। ব্লাড ট্রান্সফিউশনের হ্যাজার্ড অনেক বেশী। একই গ্রুপের রক্ত যেমনঃ A+ গ্রুপের কাছ থেকে A+ নিলেও বহু ঝামেলা হয়, সেক্ষেত্রে অন্য গ্রুপ ট্রান্সমিট করার কথা কেউ চিন্তাতেও আনে না। সর্বজনীন দাতা, গ্রহীতা ব্যাপারটা ব্যবহারিক দিক থেকে সত্য নয়।

    রক্ত গ্রুপ Rh + না – তা জানার জন্য ৩য় ফোটা রক্ত নিয়ে তাতে AntiD antibody দিয়ে পরীক্ষা করা হয়। ব্লাড গ্রুপিং করলে একসাথে আপনাকে আপনার রক্তের গ্রুপ এবং রক্তের গ্রুপ Rh + না – তা জানিয়ে দিবে।

হাসান স্যার এত সুন্দর টিউন এর জন্য আপানাকে ধন্যবাদ । চালিয়ে যান ।

নির্বাচিত টিউনের জন্য মনোনীত করলাম।
আপনার টিউন পড়ে মনে হচ্ছে আমি টেকনিসিয়ান হইয়ে গেছি

Level 0

হাসান ভাই,এত সুন্দর টিউন এর জন্য আপানাকে ওনেক ধন্যবাদ

very nice and heplful tune, thanks

ভাল চালিয়ে যান স্যার।

Hasan Vhai
apner Tuning pata parasi, Balo Likhasen Thank U…. Forhad

ধন্যবাদ ফরহাদ ভাই ।

Apner Tuning Balo Likhasen ……Forhad

Sochetonota sistir jonno beshi beshi a rokom tune dorkar. Dhonnobad.

খুবই চমতকার লাগলো। ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ দরকারী একটা জিনিষ শেয়ার করার জন্য

Nothing to say. Just awesome !!! Learned a lot of things from ur post brother but we r not used to check the blood before getting marriage. I think that we should make aware of our people to check the blood detail TO GET A HEALTHY NEXT GENERATION.

বিয়ের বিষয়টা পরিষ্কার হতে চাচ্ছিলাম (বিয়ে ভাল ভাবে নেই)। স্যার আপনাকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করব না।

আপনিতো আমাদের সকলের স্যার হয়ে গেছেন। *********অভিনন্দন স্যার**********
আর টেকটিউনস কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ এমন একটি গুরুত্বপুর্ণ টিউন নির্বাচিত করার জন্য।

    ধন্যবাদ । আমরা সবাই সবার শিক্ষক । কর্তৃপক্ষকে আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ।

ha vai ami to ekon blood group find out korte parbo!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! thanks

Level 0

এক কথায় অসাধারন হইছে । আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ । এই রকম টিউন ভবিষ্যতে আরো চাই ।

Level 0

এধরনের লেখা টেকটিউনকে আরো সমৃদ্ধ করবে। আপনার কাছে আরো সুন্দর সুন্দর স্বাস্থ্য বিষয় লেখা প্রত্যাশা করছি। ভাল থাকুন সুস্থ্য থাকুন। ধন্যবাদ……….।

Level 0

অসাধারন।

অসাধারন টিউন, ধন্যবাদ

রক্তের গ্রুপের ব্যাপারে আমার যে ভাসা ভাসা জ্ঞান ছিল তা আজ সত্যিই দূর হয়েছে। আমি আপনার টিউন থেকে অনেক কিছু-ই জানলাম। যা জানাটা আমাদের সকলের-ই দরকার। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এই সুন্দর টিউনটি আমাদের উপহার দেয়ার জন্য… 🙂

অসাধারন টিউন।
RH ফ্যাক্টর বের করার উপায় দিলে আরও সুন্দর হত।

ধন্যবাদ

    রক্ত গ্রুপ Rh + না – তা জানার জন্য ৩য় ফোটা রক্ত নিয়ে তাতে AntiD antibody দিয়ে পরীক্ষা করা হয়। ব্লাড গ্রুপিং করলে একসাথে আপনাকে আপনার রক্তের গ্রুপ এবং রক্তের গ্রুপ Rh + না – তা জানিয়ে দিবে।

আপনাকে ধন্যাবাদ অসাধারন টিউন এর জন্য

Thank u very much for this good Tune. Continue tuning.
I am Nure Alam Sir, from Narayanganj

Level 0

Will there be any problem if husband is B -ve and wife is B +ve ? if any, how to overcome?

Level 0

অনেক সুন্দর একটি টিউন…. ধন্যবাদ
অনেক তথ্য জানা গেল ..

Level 0

ধন্যবাদ আপনাকে…….

প্রথমে আমার তরফ থেকে….আপনাকে নমষ্কার জানাই
আপনার টিউনটি সাধারনের মাএা অতিক্রম করেছে……আমি অসাধারণ বলব না…..
আপনার টিউনে রক্ত সম্বন্ধে ৭০% বলা আছে….আমার না জানা কথাও আছে…….
কিন্তু ৩০% অপূর্ণ রয়ে গেলো…..
যদি আমি কোন দিন রক্ত নিয়ে টিউন করি…তাহলে সেই টিউনে আপনার লিঙ্কটি রাখবো…আগাম অনুমতি নিয়ে রাখলাম…
তবু বলতে হয়…একটি বিশেষ দিক দিয়ে এটি ১০০% সম্পূর্ণ
সুস্হ থাকুন
ধন্যবাদ……

    আসলেই কিছুটা অপূর্ণতা রয়ে গেছে । আমি চেষ্টা করেছি খুব সহজ ভাবে তুলে ধরতে যাতে সবার কাছে ব্যাপার টা বোধগম্য হয় ।
    তাই জটিল কিছু বিষয় বাদ দিতে হয়েছে । আমার অপূর্ণতা যদি পূরণ করে কোন টিউন করেন তবে খুব খুশি হব । ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ।

আরএইচ নেগেটিভ রক্তগ্রুপ বিশিষ্ট পুরুষের সাথে আরএইচ পজেটিভ রক্তগ্রুপের কোন মহিলার বিয়ে হলে তাদের সন্তান জন্মের ক্ষেত্রে কি হবে ?? জানালে উপকৃত হবো .

    সমস্যা হবে না ।

    আরএইচ নেগেটিভ রক্তগ্রুপ বিশিষ্ট পুরুষের সাথে আরএইচ পজেটিভ রক্তগ্রুপের কোন মহিলার বিয়ে হলে তাদের সন্তানের ক্ষেত্রে কোন সমস্যা হবে না।

আপনি কি ইন্টারমিডিয়েট পড়েন?? নাকি পড়ান?

Level 0

Dear sir,
so many thanks for this tune. Truth is always truth. waiting for next valuable Tunes from you. Again thanks.

ধন্যবাদ “ছাত্র ও শিক্ষক” ভাইকে তার সুন্দর এই টিউনটির জন্য। আপনার টিউনটি যথেস্ট সুন্দর হয়েছে, তারপরো যে দু একটি সংশোধনী প্রয়োজন বলে আমার মনে হয়েছে তা উল্লেখ করে দিচ্ছি, আশা করি সবার কাজে লাগবে।

১। “ও গ্রুপ অন্য সকল গ্রুপকে রক্ত দিতে পারে কিন্তু অন্য কোন গ্রুপ থেকে রক্ত গ্রহণ করতে পারে না এবং এবি গ্রুপ অন্য সকল গ্রুপ থেকে রক্ত গ্রহণ করতে পারে কিন্তু অন্য কাউকে রক্ত দিতে পারে না ।” – এই কথাটি থিউরিটিক্যালী সত্য। বাস্তবে এটি সম্ভব নয়। ABO গ্রুপের কেউ যদি কাউকে রক্ত দেয় তবে সে ক্ষেত্রে “রক্তরস” এবং “রক্ত কনিকা” দুটোই দিতে হয়, আর এখানেই সমস্যা দেখা দেয়। “এবি গ্রুপের রক্তের প্লাজমায় কোন এন্টিবডি না থাকায় অন্য গ্রুপের রক্তকে জমাতে পারে না ।” এ কথা ঠিক তবে অন্য যেকোন গ্রুপের রক্ত গ্রহণ করলে সেই গ্রুপের এন্টিবডি এবি গ্রুপের এন্টিজেনকে জমিয়ে দিবে । তাই সর্বজনীন দাতা, গ্রহীতা ব্যাপারটা ব্যবহারিক দিক থেকে সত্য নয়।

আমরা যদি শুধু RBC বা লোহিত রক্ত কনিকা transfusion এর কথা চিন্তা করি তাহলে সর্বজনীন দাতা, গ্রহীতা ব্যাপারটা প্রযোজ্য হতে পারে।

২। রক্তের গ্রুপ নির্নয়ে ৩য় ফোটা রক্ত নেয়া হয় Rh ফ্যাক্টর পজিটিভ না নেগেটিভ তা দেখার জন্য। রক্ত গ্রুপ Rh + না – তা জানার জন্য ৩য় ফোটা রক্ত নিয়ে তাতে AntiD antibody দিয়ে পরীক্ষা করা হয়। ব্লাড গ্রুপিং করলে একসাথে আপনাকে আপনার রক্তের গ্রুপ এবং রক্তের গ্রুপ Rh + না – তা জানিয়ে দিবে।

৩। Rh নেগেটিভ রক্তগ্রুপ বিশিষ্ট পুরুষের সাথে Rh পজেটিভ রক্তগ্রুপের কোন মহিলার বিয়ে হলে তাদের সন্তানের ক্ষেত্রে কোন সমস্যা হবে না।

৪। “আরএইচ নেগেটিভ রক্তগ্রুপ বিশিষ্ট মহিলার সাথে আরএইচ পজেটিভ রক্তগ্রুপের কোন পুরুষের বিয়ে হলে তাদের সন্তান জন্মের ক্ষেত্রে আরএইচ ফ্যাক্টর অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে ।জেনেটিকভাবে আরএইচ পজেটিভ অবস্থা আরএইচ নেগেটিভ অবস্থার উপর প্রকট হওয়ায় এই দম্পত্তির প্রথম সন্তান আরএইচ পজেটিভ হবে । এই শিশু মাতৃগর্ভে থাকাকালীন সময়ে মায়ের রক্তে আরএইচ নেগেটিভ এন্টিবডি সৃষ্টি হবে ।প্রথমবার গর্ভধারণকালে আরএইচ নেগেটিভ এন্টিবডি যথেষ্ট পরিমাণে উৎপাদিত না হওয়ায় শিশুর কোন ক্ষতি হয় না এবং এই শিশু জীবিত থাকে ।” – শিশু মাতৃগর্ভে থাকাকালীন সময়ে মায়ের রক্তে আরএইচ নেগেটিভ এন্টিবডি সৃষ্টি হয় না, আর প্রথমবার গর্ভধারণকালে আরএইচ নেগেটিভ এন্টিবডি উৎপাদিত ই হয় না। ১ম বাচ্চা হ্ওয়ার সময় মা এবং বাচ্চার রক্তের মিশ্রন ঘটে, যার ফলে বাচ্চার এন্টিজেন মা এর দেহে প্রবেশ করে তার দেহে এন্টিবডি তৈরি করতে উদ্বুদ্ধ করে। ২য় সন্তানের ক্ষেত্রে উক্ত এন্টিবডি অমরা অতিক্রম করে ২য় বাচ্চার রক্তে প্রবেশ করে লোহিত কনিকা কে ধ্বংশ করে। উল্রেখ্য যে এন্টিজেন অমরা অতিক্রম করে যেতে পারে না, কিন্তু এন্টিবডি পারে।

আশা করি এই সংশোধন সবার কাজে লাগবে।
লেখক “ছাত্র ও শিক্ষক” ভাইকে আবারো ধন্যবাদ।

    আপনাকে অনেক ধন্যবাদ কিছু প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়ার জন্য । আমি মন্তব্য এডিট করে দিয়েছি । কিন্তু ৪নং পয়েন্টের ব্যাপারে একটু দ্বিমত আছে । দয়া করে দেখুন –
    উচ্চ মাধ্যমিক জীববিজ্ঞান (গাজী আজমল, গাজী আজমত)- ১৯৮ পৃষ্ঠা।
    স্নাতক মৌলিক প্রাণিবিজ্ঞান (মো: আবদুল আলীম) – ২৬৬ পৃষ্ঠা ।

ধন্যবাদ এমন সুন্দর টিউন করার জন্য। ভাল থাকবেন। আগামিতে আরও ভাল টিউন করবেন।

Level 0

শিখলাম অনেক কিছু। ধন্যবাদ আপনাকে।

Level 0

বাচঁতে হলে জানতে হবে…….ধন্যবাদ আপনাকে।

ভাই ছেলের আরএইচ (-) আর মেয়ের আরএইচ (+) এক্ষেত্রে কি কোন প্রবলেম হবে :O