স্কুলে থাকা অবস্থায় বড় ফুপা আমার জন্মদিনে জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়ক একটি বই উপহার দিয়েছিলেন।"মহাকাশে মহামিলন" বইটিতে নাসা ও সোভিয়েত ইউনিয়নের কয়েকটি মিশনের সচিত্র বিবরন ছিল এবং মহাকাশে নাসাকে উদ্ধার করতে গিয়ে নাসা ও সোভিয়েত এর অ্যাস্ট্রোনেটরা কিভবে দুটো মহাকাশযানে সংযোগ স্থাপন করেছিল তারও সচিত্র বর্ননা ছিল। মোদ্দাকথা বইটা ছিল আমার স্বপ্নের একটা বই। সেই থেকে জ্যোতির্বজ্ঞানের প্রতি আমার ভালো লাগা শুরু। কিন্তু আজ পর্যন্ত খুব কমই জানতে পেরেছি এই বিষয়ে। আমার মনে হয় জ্যোতির্বিজ্ঞানের ভান্ডার কখনো শেষ হবার নয়। গুগল আর্থ আসার পর তো ঘন্টার ঘন্টা বসে থাকাটা নেশার মত হয়ে গিয়েছিল।
এরপর অনেকদিন হয়ে গেছে জ্যোতির্বজ্ঞান আর গুগল আর্থ নিয়ে ঘাটাঘাটি করা হয় না। আজ সন্ধা থেকে বসে ছিলাম গুগল আর্থ আর জ্যোতির্বজ্ঞান নিয়ে। মেন মনে ভাবছিলাম ইন্টেরেসটিং কিছু পাওয়া গেলে টেকটিউনারদের সাথে শেয়ার করব। আর সৌভাগ্যবশত পেয়েও গেলাম।
নিচের ছবিটি হাবল টেলিস্কোপ দিয়ে তোলা। এটি মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সীর লিনিয়ার এজে (edge) অবস্থিত একটি ভ্যারিয়েবল স্টার V838 Monocerotis. আমি দেখে রীতিমত টাশকি খেয়েছি। এমনও কি সম্ভব? তাহলে নিজেই দেখে নিন
কি আজব না ? আপনি চাইলে গুগল আর্থ দিয়ে ও ব্যাপারটা দেখতে পারবেন।
আমি দুঃসাহসী টিনটিন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 16 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 200 টি টিউন ও 1531 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 34 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
মানুষ হিসেবে তেমন আহামরি কেউ নই আমি। সাটামাটা জীবনটাই বেশী ভালো লাগে। আবার মাঝে মাঝে একটু আউলা হতে মন চায়। ভালো লাগে নিজেকে টিনটিন ভাবতে .... তার মত দুঃসাহসী হতে মন চায় ..... কিন্তু ব্যক্তি জীবনে অনেকটা ভীতুই বটে ..... অনেক কিছুই হাতছাড়া হয়ে গেছে জীবনে এই কারনে ..... আবার...
সত্যিই অবার করার মত। ধন্যবাদ আপনাকে।