[উবুন্টু টিউটরিয়াল] আলাদা পার্টিশন করে ধাপে ধাপে উবুন্টু ইন্সটল – একটি সম্পূর্ণ টিউটরিয়ালের চেষ্টা

টিউন বিভাগ নির্বাচিত
প্রকাশিত
জোসস করেছেন

উবুন্টু সাধারনত দুইভাবে ইন্সটল করা হয় - উবি দিয়ে উইন্ডোসের ভেতর ইন্সটল আর আরেকটি আলাদা পার্টিশন করে উবুন্টু ইন্সটল। দূরে বসে নতুন কেউ যদি আমাকে বলেন " উবুন্টু কিভাবে ইন্সটল করব? " আমি তখন ভাবনাহীন উপায় উবি দিয়ে করতে বলে দেই। সাথে এ ও বলি, যদি উবুন্টুতে পুরোপুরি ট্রান্সফার হতে চান তবে ফ্রেশ ইন্সটলই ভালো, আর উবি দিয়ে ইন্সটল করলে ডিস্ক পারফর্‌ম্যান্সে সামান্য হেরফের হতে পারে। তাছাড়া নিয়মিত ব্যবহার করলে উবিন কোন সমাধানই না। তাই আলাদা পার্টিশন করে উবুন্টু ইন্সটলের টিউটরিয়ালটাই শুধু দিলাম। এই টিউটরিয়ালে অনেক স্ক্রীন-শট ব্যবহার করা হয়েছে - লোড হতে সময় নিতে পারে। ইচ্ছা করলে টিউটরিয়ালটা পিডিএফ ফরম্যাটে ডাউনলোড করে রাখতে পারেন।

আমাদের কাজ দুইটা -

  • ১। উবুন্টুর জন্য পার্টিশন করা।
  • ২। উবুন্টু ইন্সটল করা।

উবুন্টুর জন্য দুইটা পার্টিশন লাগে, একটা উবুন্টূর ইন্সটলেশন পার্টিশন, আরেকটার নাম সোয়াপ পার্টিশন (উইন্ডোসের ভার্‌চুয়াল মেমরির কাজ এখানে করে সোয়াপ, এতে সুবিধা হল আপনি যদি উবুন্টু আর লিনাক্স মিন্ট ইন্সটল দেন তবে তারা দুজনেই ব্যবহার করবে একই সোয়াপ। অন্যদিকে উইন্ডোসের প্রত্যেকটা ইন্সটলেশন আলাদা আলাদা ভার্‌চুয়াল মেমরি স্পেস ব্যবহার করবে - হার্‌ডডিস্কের কি নিদারুন অপচয়!)
উবুন্টু ইন্সটলের জন্য সর্‌বনিম্ন ৫ জিবির একটা পার্টিশন হলেই হয়। তবে কাজের সুবিধার জন্য আমার রিকমেন্ডেশন থাকবে ১০ জিবির ইন্সটলেশন পার্টিশন আর ১ জিবি সোয়াপ।

আপনি যদি উইন্ডোসে থেকেই পার্টিশন করেন তবে শেষের একটা ড্রাইভ (ধরুন G: আপনার হার্‌ডডিস্কের শেষ ড্রাইভ তবে G: কে ভেঙ্গে দুইটা ড্রাইভ বানান - একটা হবে ১০ জিবি, আরেকটা ১ জিবি। যেহেতু শেষ ড্রাইভ ভেঙ্গে আপনি উবুন্টুর জন্য যায়গা খালি করছেন বলে আমি ধরে নিচ্ছি এবং সে অনুসারেই এই টিউটরিয়ালটা লিখেছি তাই শেষ ড্রাইভ বিষয়টা অনেক গুরুত্বপূর্ণ)

চলুন কাজ শুরু করি -

    • প্রথমে আপনার বায়োস থেকে ফার্‌স্ট বুট ডিভাইস সিডি/ডিভিডি করে নিন (করা না থাকলে)। উবুন্টু সিডি ঢুকিয়ে রিস্টার্‌ট দিন। সিডি থেকে বুট হবে।
    • আপনাকে ভাষা নির্‌বাচন করতে বলবে - ইংরেজী নির্‌বাচন করে এন্টার দিন (বাংলা ও ব্যবহার করতে পারেন)
    • আপনাকে একটা মেন্যু দিবে এমনঃ
      Try ubuntu without any change to your computer
      Install Ubuntu
    • যারা যারা আগেই পার্টিশন করে নিয়ে নিয়েছেন তারা সিলেক্ট করবেন Install Ubuntu আর সোজা চলে যাবে এই টিউটরিয়ালের ইন্সটলেশন অংশে। আর যারা পার্টিশন করেননি তারা সিলেক্ট করবেন Try ubuntu without any change to your computer।

তবে আমার রিকমেন্ডেশন থাকবে উবুন্টু থেকেই পার্টিশন করা। এটা সহজ এবং এতে ঝামেলাও কম হয়।

পার্টিশন করার কাজঃ

(Try ubuntu without any change to your computer এর পর থেকে)

Try ubuntu without any change to your computer সিলেক্ট করার পর উবুন্টু লাইভ বুট হবে। এখান থেকে আপনি সব কাজ করতে পারবেন, কিন্তু আমাদের উদ্দেশ্য পার্টিশন করা।

  • বুট হওয়ার পর উবুন্টুর ডেস্কটপ আসবে। সেখানে উপরে থাকা System মেন্যু তে গিয়ে Administration থেকে Partition Editor এ যান। লিনাক্স মিন্টে Mint মেন্যুতে All Application এ ক্লিক করুন। তারপর Administration থেকে Gparted এ যান।

নতুন পার্টিশন করার জন্যতো জায়গা দরকার, আর সেটা আসতে হবে আপনার আরেকটা পার্টিশন ভেঙ্গেই! আগে পার্টিশন ভেঙ্গে নেই.

(পার্টিশন তিন রকমঃ প্রাইমারি, এক্সটেন্ডেড আর লজিক্যাল। উবুন্টুর ইন্সটলের ড্রাইভটা লজিক্যাল হলেও সমস্যা নাই। তবে আমরা কাজের সুবিধার জন্য শেষ পার্টিশন বেছে নিবো, এটাকেই পার্টিশন করব। )

  • Partition Editor খুলার পর পার্টিশনের লিস্ট দেখাবে। শেষ পার্টিশনটাতে রাইট বাটন ক্লিক করুন - Resize/Move নামে একটা অপশন পাবেন তাতে ক্লিক করুন। রিসাইজের উইন্ডো আসবে।

  • এখানে ড্রাইভের এরোকে বামে টেনে প্রয়োজনমত কমিয়ে নিন, অথবা Free Space Following এ যতটুকু স্পেস কমাতে চান তা দিন। আমাদের দরকার ১০+১ = ১১ জিবি = ১১২৬৪ এম বি। এতটুকু কমিয়ে নিন। Resize/Move এ ক্লিক করে রিসাইজ করে নিন।
  • এবার আমাদের খালি যায়গা ব্যবহার করে দুইটা নতুন পার্টিশন করব। খালি যায়গায় রাইট বাটন ক্লিক করে New এ ক্লিক করুন। নতুন পার্টিশন করার উইন্ডো আসবে।

  • এখানে ডিফল্ট ভাবে পুরো স্পেস (১১ জিবি) থাকে, টেনে ডানদিকে ১ জিবি খালি করুন বা Free space Following এ ১ জিবি = ১০২৪ মেগা করে নিন।
    Create as এ Logical Partition থাকবে - পরিবর্‌তনের দরকার নেই।
    File System থেকে ext3 সিলেক্ট করুন। ল্যাপটপ হলে ext4।
    Add বাটনে ক্লিক করে পার্টিশনটা এড করে নিন।

  • বাকি খালি যায়গায় আবার উপরের মত নতুন পার্টিশন করুন। এখানে প্যারামিটার কিছু পরিবর্‌তন হবেঃ
  • Create as এ Logical (একদম শেষ পার্টিশন হলে Primary করতে পারেন) সিলেক্ট করে নিন।
  • File System এ সিলেক্ট করুন swap।
  • Add বাটনে ক্লিক করে পার্টিশনটা যোগ করে দিন। ব্যস! আমাদের পার্টিশনের কাজ শেষ!

উবুন্টু ইন্সটলেশনঃ

আশা করি আপনার এখন দুইটা পার্টিশন আছে। একটা ১০ জিবির ext3 পার্টিশন আরেকটা ১ জিবির swap. চলুন ইন্সটল করে নেই। যারা উবুন্টুতে পার্টিশন করেছেন তারা ডেস্কটপে থাকা "install" বাটনে ক্লিক কঅরে ইন্সটল চালু করেন। আর যারা উইন্ডোসে পার্‌টীশন করে "Install Ubuntu" দিয়েছেন তাদেরতো ইতোমধ্যে চালু হয়েই গিয়েছে।

  • প্রথম উইন্ডোটা Location এর। Region এ সিলেক্ট করুন Asia. City এ সিলেক্ট করুন Dhaka। (ধরে নিচ্ছি আপনি বাংলাদেশে এবং টাইম জোন ঢাকা, এখানে চিটাগাং ও পাবেন!)
    Forward দিন।

  • আপনাকে ভাষা নির্‌বাচন করতে বলবে। ইংরেজী নির্‌বাচন করুন - বাংলা ব্যবহার করলে প্রথম বার উল্টা-পাল্টা লাগতে পারে! Forward দিন।

  • এর পর পাবেন Keyboard Layout। USA সাজেস্ট করা আছে। সেটাই রেখে দিন। ইচ্ছা করলে বাংলাদেশের কি-বোর্‌ডও ব্যবহার করতে পারেন। Forward দিন। পার্টিশন ম্যানেজার খুলবে। ধাপটা একটু সাবধানে করবেন।

  • আপনাকে চারটা আপশন দিবে (যদি উইন্ডোস আগে থেকেই থাকে)
    • Install them side, choosing between them all startup. (এই অপশনে হার্‌ডডিস্ক ২ ভাগ হয়ে যাবে!)
    • Use the entire disk (পুরো ডিস্ক উবুন্টকে দিয়ে দিবে!)
    • Use the largest continuous space (সবচেয়ে বড় খালি যায়গা)
    • Specify pertition manually (এটাই আমাদের দরকার। এটা সিলেক্ট করুন)।
    • Forward দিন।

  • সকল পার্টিশনের লিস্ট পাবেন। আমাদের ১০ জিবির পার্টিশনটা বের করে সিলেক্ট করুন। Edit Partition এ ক্লিক করুন। একটা নতুন উইন্ডো পাবেন।

  • Use as এ ext3 না থাকলে ext3 Journaling file system করে দিন। ল্যাপটপ ব্যবহারকারীরা ext4 পার্টিশন বানালে ext৪ সিলেক্ট করবেন।
  • Format the partition এর বক্সে ক্লিক করে দিন।
  • Mount Point এ একটা ব্যাক স্ল্যাশ "/" সিলেক্ট করুন। (ইউনিক্স/লিনাক্স টাইপ সিস্টেমে "/" হল রুট পার্টিশন)
  • OK করে বেরিয়ে আসুন।

যারা উবুন্টুতে পার্টিশন করেছেন আর swap পার্টিশন করেছেন তাদের এটা করার দরকার নাই। যারা উইন্ডোসে করেছেন তাদের ১ জিবির পার্টিশনটা swap করতে হবে।

  • ১ জিবির পার্টিশনটা সিলেক্ট করে Edit Partition এ যান।
  • Use as এ swap area সিলেক্ট করে নিন।
  • Format the partition এর বক্সে ক্লিক করে দিন।
  • OK করে বেরিয়ে আসুন।

এর পরের ধাপ ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে -

    Whats your name এ আপনার পুরো নাম দিতে পারেন।

  • What name do you want to use to login? এ আপনি যে নাম দিলে লগ-ইন করতে চান তা দিন। সব ছোট হাতের অক্ষরে.
  • পাসওয়ার্‌ডের পাশাপাশি দুটো ঘরে দুইবার আপনার পাসওয়ার্‌ড দিন। পাসওয়ার্‌ড কিন্তু খুবই জরুরী মনে রাখবেন।

নীচের দুটো অপশন আছে -

  • Log in automatically & Require a password to log in. ডিফাল্ট ভাবে Require a password to log in দেয়া থাকে।
  • Log in automatically দিলে স্টার্‌টের সময় ইউজারনেম পাসওয়ার্‌ড চাইবে না, সরাসরি উবুন্টু ডেস্কটপ চালু হয়ে যাবে।
  • এর পরের ধাপে ইন্সটলেশন জানতে চাইবে উইন্ডোস থেকে কোণ কিছু ইম্পোর্‌ট করবে কিনা। এটা আপনার ইচ্ছা।

  • এর পরের ধাপে উবুন্টু ইন্সটলেশনের সময় কি কি পরিবর্‌তন কঅরতে যাচ্ছে তার একটা সারাংশ দেখাবে। আপনার সিলেক্ট করা দুইটা ডিস্ক ফরম্যাট হচ্ছে কিনা খেয়াল করে দেখে নেবেন।

Install বাটনে ক্লিক করুন। ইন্সটল শুরু হবে। মোটামুটি ১০/১৫ মিনিটের মত সময় লাগবে ইন্সটল হতে। ইন্সটল শেষ হলে আপনাকে ডিস্ক বের করে বলবে রিস্টার্‌ট দেয়ার জন্য।

রিস্টার্‌ট দিয়ে অবশ্যই উবুন্টুতে লগ-ইন করবেন। আমি আবারো বলছি সরাসরি উবুন্টুতে লগ-ইন করবেন উইন্ডোসে না, এসময় উবুন্টু ইন্সটলেশন পরবর্‌তি কিছু কাজ করে, সেজন্য এটা জরুরী।

ব্যস! উবুন্টু ইন্সটল হয়ে গেল। স্বাগতম উবুণ্টুর জগতে!

লেখাটা পূর্বে আমার ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগে প্রকাশিত।

Level New

আমি জামাল উদ্দিন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 9 টি টিউন ও 194 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

ধন্যবাদ আপনাকে । আচ্ছা ঊবুন্ডু চালাতে র‌্যাম এবং হার্ড-ডিস্ক requirement কী/?

খুব ভাল হয়েছে। তবে আমি মনে করি যারা windows থাকল সাথে সাথে উবুন্তু ব্যাবহার করল। এটা হলে ভাল হয়। এই ধরনের ইনস্টল কি ভাবে করব? একটু আলোচনা করলে ভাল হয়। আপনাকে ধন্যবাদ।

    ভাইয়া , আমি কিন্তু সেটাই আলোচনা করেছি । উইন্ডোসের পাশাপাশি কিভাবে উবুন্টু ইন্সটল করতে হবে 🙂

    আর যদি উইন্ডোস একদম বাদ দিতে চান পিসি থেকে তাইলে উইন্ডোসের ড্রাইভটাতেই সরাসরি সেটাপ দিয়ে দেবেন . ব্যস !

জামাল ভাই, চমৎকার টিউন হয়েছে। আমি উবুন্টু ইনষ্টলের আগে আপনার টিউনটি পেলে এতো সমস্যায় পড়তাম না। আমার মতো নতুন ইউজাররা গুলিয়ে ফেলতে পারে। উবুন্টুকে ভয় পেতে পারে। এ টিউনটিকেই এডিট করে অর্থাৎ পার্টিশন সেকশনটা বাদ দিয়ে শুধু ইনস্টলেশন অংশটি আরও সহজ ও ছোট করে নতুন ইউজারদের জন্য আর একটি টিউন করা যায় কিনা, ভেবে দেখুন। প্রয়োজনে শুধু পার্টিশন নিয়ে আরও একটি টিউন করবেন, সেটাও নতুন ইউজারদের কথা মাথায় রেখে।

    সেভাবে করলে একটা সমস্যা হচ্ছে – পার্টিশনিং আর প্রথমবার উবন্টু ইন্সটল এতোটাই অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত যে বাদ দেবার উপায় নাই । তবে যেহেতু পার্টিশনিং আর ইন্সটলেশন আংশ আলাদা রাখা হয়েছে আশা করি সমস্যা হবে না ।

    তবুও আপনার কথা ভেবে দেখবো , ভালো থাকবেন ।

ষ্টিকি করার মতোই পোষ্ট। 😀

    জামাল ভাই, আপনার প্রতিটি পোষ্ট এ পূর্বের পোষ্ট এর লিঙ্ক সমুহ দিয়ে দিলে উবন্টুর জন্যি ভাল।
    একজন মানুষ কে পাইরেসি থেকে মুক্ত করতে পারলেই সেটাও একটা অর্জন।
    আশা করি আপনি বুঝেছেন আমি কি বলতে চাই।
    😀 😀

    আরও পড়ুন অংশটা দেখেছেন ? 🙂 সেখানে কিন্তু আমার আগে দুটো পোষ্ট দেখাচ্ছে , তাই ভাবলাম এখানে আলাদা করে যোগ করে আর বড় না করি 🙂

    তবে পুরো সিরিজটা শেষ করে সবগুলো পোষ্টে যোগ করে দেবো । টেকটিউনসের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল পোষ্ট প্রিয়তে রাখা যায় না । রাখা গেলে আসলেই বেশ সুবিধা হত সবার জন্য ।
    ধন্যবাদ পরামর্শের জন্য , ভাল থাকবেন 🙂

    আমি আরো একবার আবেদন করেছিলাম পোষ্ট প্রিয়তে রাখার পদ্ধতি চালু করার কথা,আবারও আবেদন করছি আসলেই পদ্ধতিটা খুবই উপকারি আশা করছি কর্তৃপক্ষ সু-দৃষ্টি দিবেন এই ব্যপারে।

    একবার পোষ্ট প্রিয়তে রাখার একটা ঠ্যাক দেওয়া উপায় দেখিয়েছিলাম এখানে তবে এটা যে কারো কাজে আসেনি তা কমেন্ট দেখলেই বোঝা যায় 😐

টিউন টা জটিল হয়েছে।উবুন্টু সেট আপ দেয়ার জন্য আর মনে হয় কিছু লাগবে না

সবাইকে “উবুন্টুর মুশকিল আসান” ব্লগে স্বাগতম। উবুন্টু নিয়ে বিভিন্ন ট্রিকস, টিপস জানার জন্য

    তারেক ভাই , আপনার করা ব্লগটা আসলেই চমতকার । আমার প্ল্যান আছে শেষ টিউনটাতে উবুন্টুর মুশকিল আসান , আমাদের প্রযুক্তি আর উবুন্টু ফোরাম নিয়ে বিস্তারিত লিখবো 🙂
    ভালো থাকবেন ।

    জামাল ভাই, এইটা মুশকিল আসান-এ দিয়ে দেন। আগের একটা আছে, বেশ পুরোনো হয়ে গেছে। ভাল করে লিখেছেন, সবাই বুঝতে পারবে সহজে।

    আরে আমি তো খেয়াল-ই করিনি এইটা আগেই তো দিয়ে রাখছেন ঐখানে। হে হে হে

জামাল উদ্দিন ভাই, আমি সাইভার ক্যাফে লিনাক্স মিন্ট ব্যবহার করতে চাই। কিন্তু যাবতীয় প্রোগ্রাম ইন্সটল করা
যাবে কিনা।আর ভিবিন্ন ড্রাইভার কি পুর্বের সিডি দিয়ে ইনষ্টল করা যাবে কি?

    খুবই ভালো বিষয় , তবে একটু বলবেন ঠিক কি কি সফটওয়্যার ব্যবহার করতে চাচ্ছেন ?
    সাইবার ক্যাফেতে সাধারণত –

    ১. ব্রাউজার ( ফায়ারফক্স , ক্রোম , অপেরা )
    ২. অপেন অফিস ( লেখালেখি , স্প্রেডশিট , প্রেজেন্টেশন )
    ৩. এমপ্যথি ( যেকোন ক্লায়েন্টে কথা বলা , চ্যাট করা )
    ৪. স্কাইপ ( কথা বলা , চ্যাট করার জন্য ) – এগুলোই ধরা হয় । সাথে গান শোনা, মুভি দেখা তো আছেই ।

    এর বাইরেও কী কোন সফটওয়্যার ব্যবহার করেন ?

    আর উবুন্টু বা লিনাক্স মিন্টে কোন ড্রাইভার ইন্সটল করা লাগে না । সব ড্রাইভার সরাসরিই পায় । তাই ড্রাইভার নিয়ে চিন্তা করার কোন দরকারই নাই 🙂

Level 0

দারুন হয়েছে, রেখে দিলাম কাজে লাগতে পারে। ধন্যবাদ আপনাকে।

    আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ । এখনই ইন্সটল করতে না চাইলে উবুন্টু লাইভ সিডিতে চালিয়ে দেখতে পারেন – আশা করি ভালো লাগবে । উবুন্টুর সব সিডিই ( একটা টেক্সট বেজড ইন্সটলার আছে , কিন্তু ব্যবহার হয় না বললেই চলে ) কিন্তু লাইভ ! 🙂

যেমন, easy cafe ,deep freez. windows live massenger,yahoo, java sun.paltalk
আর আপুনি বলেছেন ইন্সটল শেষে পাসওয়ার্ড দিতে হবে। কিন্তু আমার তো পাসওয়ার্ড দিলে সমস্যা হবে।পাসয়ার্ড না দেওয়ার উপায় বলবেন।

    একটা একটা করে আসি –

    ১. ইজিক্যাফে – এটা পুরো উইন্ডোস ভিত্তিক সফটওয়্যার । এর লিনাক্স কোন পার্টও নাই । তাই ইজিক্যাফে ব্যাবহার করতে পারবেন না । তবে চিন্তার কিছু নাই , লিনাক্সের জন্য সফটওয়্যার আছে 🙂
    যদি সার্ভার ভিত্তিক কোন সমাধান চান তবে আছে CybOrg ( http://sourceforge.net/projects/cyborg/ ) , আর ডেস্কটপ ভিত্তিক সমাধানের জন্য আছে – Cafe Con Leche ( http://ccl.sourceforge.net/ ) 🙂
    আরেকটা জিনিস , easy cafe এর কিন্তু কিছু সমস্যা আছে – এখানে দেখুন ( http://egyptianvulture.blogspot.com/2008/03/easycafe-weakness.html )

    ২. Deep Freez – এটার কোন দরকারই নাই 🙂 উবুন্টু বা লিনাক্স মিন্টে প্রত্যেকটা ইউজার একাউন্টে আলাদা আলাদা ভাবে সেটিংস ব্যবহার করা হয় ।
    এখন একটা জিনিস খেয়াল করুন আপনি ইন্সটলের সময় যে একাউন্ট করছেন সেটা কিন্তু একটা এডমিনিসট্রেটর একাউন্ট – সেই একাউন্টের পাসওয়ার্ড দিয়ে সব করতে পারবেন । কিন্তু এর পর যত একাউন্ট করবেন সেগুলোকে আপনি দরকার মত ক্ষমতা দিতে পারবেন – সাধারণত ইউজার একাউন্টকে কোন সফট ইন্সটল বা সিস্টেম ফাইল পরিবর্তনের সুযোগ দেয়া হয় না । আপনি সাধারণভাবে একটা ইউজার একাউন্ট করে নিতে পারেন যা সব সময় চলবে – ক্লায়েন্টরা ব্যবহার করবে । আপনি যখন কিছু করতে যাবেন তখন আপনার একাউন্ট ব্যবহার করবেন । ব্যস , সমস্যার সমাধান । আর যদি ইউজার একাউন্ট সেটিংসে অটো লগ-ইন অন করে দেন তবে আপনার পাসওয়ার্ড নিয়েও সমস্যা থাকছে না ।

    ৩. windows live massenger – এর উবুন্টু / লিনাক্স ইকুইভ্যালেন্ট হিসাবে আছে – aMSN , Emesene

    ৪. yahoo এর জন্য আছে – Empathy 🙂

    ৫. Sun Java: আপনার কী মনে হয় জাভা ছাড়াই একটা অপারেটিং সিস্টেম চলছে 🙂 সফটওয়্যার সেন্টারে Sun java 6 লিখলেই পেয়ে যাবেন ।

    ৬.প্যালটকঃ শুধু এই যায়গাটাতেই আটকা ! প্যালটকরে জন্য কোন লিনাক্স ক্লায়েন্ট নাই 🙁 তবে Wine দিয়ে চালিয়ে দেখতে পারেন ।

    উল্লেখ্য , Wine দিয়ে উইন্ডোসের সফটওয়্যারগুলো উবুন্টুতে চালানো যায় ।

    আরেকটা চমতকার ক্যাফে ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার mkahawa (http://sourceforge.net/projects/mkahawa/ ) । এটাও দেখতে পারেন 🙂

চমৎকার! টিউটোরিয়াল গুলো save করে রাখতেছি । অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ( এল জি ই ডি ) এর অফিসের কাজ করার জন্য একটা সফটওয়্যার আছে। নাম- RSEPS. এ সফটওয়্যার দিয়ে সাধারণত স্টীমিটের বিল সংক্রান্ত কাজ করা হয়।
Microsoft office xp যদি পিসিতে ইন্সটল না থাকে এটা চালানো যায় না। কারন এটা MDE ফরমেট এর ফাইল। মানে microsoft Acess MDE database হিসেবে থাকে।
Microsoft office xp আশা করি লিনাক্স এ চলবে না, তাহলে এ RSEPS সফটওয়্যারটা win xp তে microsoft office ছাড়া চলার কোন প্রক্রিয়া দেখছি না।
এ জিনিসটা যদি আরো একটু বিশালভাবে চিন্তা করি, মানে এলজিইডি তাদের সব পিসি উবুন্টু দিয়ে চালাতে চায়। তাহলে শুধু মাত্র ঐ কারণে তারাও এক্সপি ছাড়তে পারবে না।

    ঐ সফটওয়্যারটা নিয়ে ( ঠিক সফট বলা উচিত কিনা জানি না , আসলে একটা ডাটাবেজ – অফিস একসেস বেজড ) একসময় বেশ নাড়াচাড়া করেছিলাম । কিন্তু অফিস-একসেস বেজড সল্যুশন কখনই কোন ভালো সমাধান না । কেনো ? একটা সফটওয়্যারের উপর নির্ভর করে বানানো জিনিসটা শুধু একটা ঠেকা দিয়ে কাজ চালানোর মত জিনিস । যদি সরকারকে অনলাইন ভিত্তিক অফিস ব্যবস্থা তৈরি করতে হয় তবে অবশ্যই নিজেরা সফট ডেভেলপ করত হবে – আর ডাটাবেজ হিসেবে অবশ্যই মাইএসকিউএল ।

    অবশ্য Microsoft office xp লিনাক্সে চলবে না এটাও ঠিক না । ওয়াইন দিয়ে প্রায় সবই চালানো যায় 🙂 এখানে ( http://www.wine-reviews.net/microsoft/running-ms-office-2003-under-linux-with-wine.html ) দেখুন Microsoft office xp ২০০৩ চলছে লিনাক্সে 🙂

বস একটা টিউন।যদিও সেট আপ আমি জানি তারপর ও পিডিএফ আকারে রেখে দিলাম। কার ও উপকারে যদি লাগে।
ধণ্যবাদ।

নতুন পার্‌টিশন করার জন্যতো জায়গা দরকার , আর সেটা আসতে হবে আপনার আরেকটা পার্‌টিশন ভেঙ্গেই হবে।তাহলে এইখানে কি পূরাতন ড্রাইভ এর কথা বলছেন?
আর যদি তাই না হয় তা হলে আমার হার্ডডিস্কের টোটাল স্পেস কোথায় দেখতে পাবো।ঊইন্ডোজ়েনতুন করে ফরমেট করলে, সব পার্টিশন ভাংগার পর টোটাল হার্ডডিস্কের একটা
স্পেস দেখায়। কিন্তু এইখানে পার্টিশন এর ব্যাপারটা ক্লিয়ার হতে পারলাম না।

    আমি অবশ্যই পুরাতন ড্রাইভের কথা বলছি – আপনি নিশ্চয়ই শুধু উবুন্টু ইন্সটল করার জন্য আরেকটা ড্রাইভ কিনে আনবেন না । শুধু তাই না , এই টিউটরিয়ালে আমি ধরে নিয়েছি আপনি উইন্ডোসের পাশাপাশি উবুন্টু ব্যবহার করবেন মানে ডুয়েল বুট করবেন ।

    ৩ নাম্বার স্ক্রীণশটটা একটু দেখুন – ( http://jamal919.files.wordpress.com/2010/03/03.png ) পুরো হার্ডডিস্কের পার্টিশনগুলো কিভাবে আছে তা গ্রাফিক্যালি দেখাচ্ছে কিন্তু ! উপরের দিকে দেখুন আপনার সিলেক্ট কনা ড্রাইভের ( পার্টিশনের না ) পুরো সাইজ দেখাচ্ছে – /dev/sda 298.09 GiB .
    আবার নীচে দেখুন যে লিস্ট দেখাচ্ছে সেখানে আলাদা আলাদা করে প্রত্যেকটা পার্টিশনের সাইজ দেখাচ্ছে 🙂

    উবুন্টু ইন্সটলেশন পুরাই গ্রাফিক্যাল – মাউস দিয়ে ক্লিক করে করে কাজ করবেন । এক্সপি এর মত কী-বোর্ড দিয়ে নয় ! আপনি স্ক্রীণশটগুলো একটু ভালো করে দেখুন – আশা করি বুঝতে পারবেন ।

অসাধারন একটা,টিউন জামাল ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন একটা মান সম্পন্ন টিউন উপহার দেয়ার জন্য,আশা করছি অনেকেই আপনার এই টিউন থেকে উপকৃত হবেন,আমিও আপনার টিউনটা সংগ্রহে রেখে দিলাম সুযোগ পেলে অবশ্যই ট্রাই করব,সাম্য ভাই বলেছে ষ্টেকি করার মতন টিউন কিন্তু আমি বলব শুধু ষ্টেকি নয় এটা নির্বাচিত করার মতনও টিউন।এখন টেকটিউন্স কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছা হলেই হল।

microsoft office xp যদি লিনাক্সে চলে তাহলে তো আমার আব্বুর RSEPS ও চলার কথা। কি বলেন?
শুধু মাত্র RSEPS এর জন্যই এক্সপি এর বেড়াজালে বন্দি ।
আচ্ছা আপনার কাছে কি RSEPS বা এই জাতীয় microsoft Acess MDE database গুলা আছে? যদি থেকে থাকে তাহলে নিশ্চয় office xp ও ইন্সটল করা আছে। আমি শুধু ইনফরমেশন চাই, যে rseps চালাতে পারব নাকি? যদি আপনি জেনে থাকেন তাহলে বলবেন।

    আমার কাছে এখন ডাটাবেজ গুলো নেই । এবং বাসায় কখনও চালাইও না । তবে এগুলো কোন সমস্যা ছাড়াই চলে বলে জানি ।

    মাইক্রোসফট অফিস এক্সপি এর ইকুইভ্যালেন্ট কাজ (মানে লেখালেখি , স্প্রেডশিট , প্রেজেন্টেশন , ডাটাবেজ এসব কাজ ) এর জন্য উবুন্টুতে দেয়া হয় অপেন-অফিস.অর্গ । অপেন -অফিস. ডাটাবেজে .mdb ফাইল সরাসরিই খুলে , অফিস এক্সপি র কাছে যেতে হয় না । তবে আমি শিউর না .mde ফাইলও সরাসরি খুলে কিনা । আর এখন কোন ডাটাবেজ না থাকায় টেষ্ট করেও দেখতে পারছি না ।

একটি টিউন প্রকাশ করার মধ্যে কিন্তু একজন টিউনারের কাজ শেষ নয়।এটাদিয়ে শুরু আর এই কাজ তখনি শেষ হবে,যখন পাঠকদের কোন প্রশ্নের রিপ্লাই দিবে। অত্যান্ত ধৈয্য
সহকারে।তখনি তাহার টিউন পরিপুর্নতা পায়। এই ধরনের মানসন্মত টিউনারধের মধ্য, জামালউদ্দিন ভাইয়ে সেরা একজন।যার টিউন পড়ে খূবেই তৃপ্তি পাওয়া যায়।
আমি মনে করি টেকটিউনিস এর সকল টিউননারকে,জামাল ঊদ্দিন ভাইকে ফলো করা উচিত।তাহলে এই ফোরামের মান আরো ওনেক উচু পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া সম্বভ।
আশা করি আমার এই মন্ত্যব্যের জন্য কোন টিউনার ভাই মনে কষ্ট নিবেন না।

    কথা সত্য। একটা টিউন প্রকাশ করার পর ভিজিটর এর সব কঠিন প্রশ্নের উত্তর দেয়া চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার, এক্ষেত্রে জামাল ভাই অবশ্যই সেরা।

    জামাল@ ভাইয়া, আমি সত্যিই জানি না উবুন্টু ব্যবহার করলে পিসিতে কেন ভাইরাস আক্রমন করবে না। এ ব্যাপারে যদি একটা বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিতেন অথবা টিউন করতেন ভাল হত।

    ভাইয়েরা , আপনারা তো আমাকে শরমিন্দার মাঝে ফেলে দিলেন । কত ভালো ভালো টিউনাররা এখানে লেখেন , আমিতো তাদের কাছে নস্যি । কী যে লিখি , মাঝে মাঝে আমার নিজেরই বুঝতে কষ্ট হয় । আচ্ছা বাদ দিন ওসব …

    আউয়াল ভাইকে স্পেশাল থ্যাংস উবুন্টু/লিনাক্স মিন্ট ব্যবহারে আগ্রহের জন্য । আপনার চমতকার কমেন্টগুলোর জবাব থেকে অন্য অনেকেরও প্রশ্নের জবাব হয়ে গেলো । এই তো চাই … আবারও ধন্যবাদ ভাইয়া , ভালো থাকবেন ।

    @স্বাধীন ভাই ( নামটা আমি অনুমান করেছি , নিক থেকে ) ব্যাপারটা অনেক বড় , এবং পুরো বিষয়টা ব্যাখ্যা করার জন্য লিনাক্সের সাথে আগে পরিচয় থাকলে খুব সুবিধা হয় । লিনাক্সে ভাইরাস না ধরার মূল কারন – লিনাক্স আর উইন্ডোসের এক্সিকিউটেবল ফরম্যাট এক না হওয়া এবং লিনাক্সের জন্য ভাইরাস লেখা হলেও তা প্রবেশ করতে পারে না কারণ লিনাক্সে ফাইল সিস্টেমের ফাইলের ক্ষেত্রে “কে সম্পাদনা করতে পারবে” তার জন্য খুব কঠোর নিয়ম মানা হয় । এছাড়াও আরো অনেক কারণ আছে – একদিন গুছিয়ে সব লিখতে চেষ্টা করব ।
    ভালো থাকবেন ।

Level 0

ধন্যবাদ জামাল উদ্দিনকে চমতকার টিউনের জন্যে 🙂

অভিনন্দন নির্বাচিত হওয়ার জন্য।

আমি উবুন্টু CD পেয়েছি। 😀 আমি ভাবতেও পারিনি এত তাড়াতাড়ি CD পাবো। রেজিস্ট্রেশন করার দুই সপ্তাহ এর মধ্যে CD পাঠিয়ে দিয়েছে সেই লন্ডন থেকে!!! যা কিনা সম্পুর্ন ফ্রি!!!
এমন যাদের সার্ভিস তাদের জিনিষ যে ভাল হবে তা আর চিন্তা করে বলা লাগে না।
আপনার টিউন দেখে সাহস জোগাচ্ছি। যে কোন দিন ব্যবহার করা শুরু করে দিতে পারি।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

    তাই তো দেখছি !

    আপনি ইন্সটল না করেও কিন্তু উবুন্টুর স্বাদ নিতে পারেন । উবুন্টুর সব সিডিই লাইভ , মানে আপনি ইন্সটল না করেও মোটামুটি সব কাজ করতে পারবেন । শুধু সিডি থেকে বুট করুন – তারপর Try Ubuntu সিলেক্ট করুন ।
    আবারও ধন্যবাদ , ভালো থাকবেন 🙂

    মডুকে ধন্যবাদ নির্বাচিত করার জন্য ।

    হাসান যোবায়ের (আল-ফাতাহ্)@ কোথায় রেজিস্ট্রেশন করছেন? জামাল ভাই এর টিউনে তো রেজিস্ট্রেশনের কোন ব্যাপার খেয়াল করি নি, ওনি তো ডাউনলোড করার জন্য লিঙ্ক দিয়েছিলেন।

    @স্বাধীন ভাই , এই টিউনের প্রথম অংশে তো ফ্রী সিডির ব্যাপারে লিখেছিলাম , চোখে পড়েনি হয়ত ( ডাউনলোড অংশ বেশী বড় ছিল তো )।

    @স্বাধীন ভাই জামাল ভাইয়ের টিউনটি দেখুন। যদি আরও বিস্তারিত চান তাহলে শাকিল ভাইয়ের এই টিউনটি দেখুন
    https://www.techtunes.io/linux/tune-id/4873/

চেষ্টা করে দেখি কাজ হয় কিনা….
উইবি দিয়ে ইন্সটল করেছিলাম…. কিন্তু কাজ হয় নাই…

ফেসবুকে আপনাকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছি…. সম্ভব হলে এক্সেপ্ট কইরেন….
‘মেঘ রোদ্দুর’ (http://www.facebook.com/shuvo006)

জামাল ভাই একটা কথা না বলে পারছিনা যে আপনি অসম্ভব দারুণ লিখেন। যা হোক উবুন্টু নিয়ে আপনার কাছ থেকে এডভান্স ইউজারদের জন্য কিছু লিখা আশা করছি। যেমন উবুন্টু দিয়ে লিনাক্সের হাতেখড়িটা যেন ঠিক মতো হয়।

    আমি সাধারণত উবুন্টু বা লিনাক্সের ট্রিক্স নিয়েই লিখি আমার ব্লগে । এডভান্সড লেখা আসলে একটা আপেক্ষিক ব্যাপার , তাইনা ? তার চেয়ে ভালো হয় “সমস্যা-সমাধান ” এই ভাবে কাজ করলে । একটা সমস্যা আসলো – তার সমাধান করা হল এই ভাবে পাওয়ার ইউজার হওয়া সহজ ।
    শুনে ভালো লাগল আমার হাতের এইসব কাঠখোট্টা টেকি লেখা ভালো লেগেছে – আসলে টেকি লেখকদের লেখার হাত খুব খারাপ 🙂
    ভালো থাকবেন ।

কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ টিউনটি নির্বাচিত করার জন্য।

আমার খুব কাজে আসবে …ধন্যবাদ।

জামাল ভাই, আমি ম্যানড্রিভা ইনসটল করার পর উবুন্টু আর বুট হছছে না। সাহায্য করুন…..।

    আপনি উবুন্টু লাইভ সিডি থেকে গ্রাব ২ রিস্টোর করে নিন – এই ( http://wp.me/pCYpp-82 ) টিউটরিয়ালটা দেখতে পারেন ।

    গ্রাব রিষ্টোর করার পর আপনি উবুন্টুতে ঢুকেত পারবেন । তবে লিস্টে বাকি অপারেটিং সিস্টেম নাও পেতে পারেন সেক্ষেত্রে উবুন্টুর টারমিনালে নীচের কমান্ড চালান –
    sudo update-grub

    কাজ হয়ে যাবে আশা করি 🙂

Level 0

jamal vai,ubuntu install korar por ….windows ta rekhe ubuntu aber remove korte cai….tahole ki korbo?

    এই সমাধানটা দেয়া আসলেই আমার জন্য কঠিন 🙁 যাই হোক জানতে চাইছেন বলে জানাই –
    আপনার কাছে উইন্ডোস এক্সপি এর ইন্সটলেশন সিডি থাকলে তা লাগিয়ে বুট করুন । বুট হবার পর বিভিন্ন ফাইল লোড করে নানা কাজ করার জন্য বলবে । সামনে এগিয়ে যান , যখন ইন্সটল করার জন্য ড্রাইভ সিলেক্ট করতে বলবে তখন Quit দিয়ে বেরিয়ে আসুন ( ইন্সটল দিতে হবে না ) । এবার দেখুন আপনার শুধু উইন্ডোস ফিরে এসেছে ।

    উইন্ডোসের কোন পার্টিশন ম্যানেজার দিয়ে উবুন্টুর জন্য করা ড্রাইভটা মার্জ করে নিন । কাজ শেষ !

আপনার দেয়া লিন্ক টা থেকে কাজ হয়নাই, তবে এই টিউটোরিয়ালটায়(http://forum.amaderprojukti.com/viewtopic.php?f=42&t=5149) কাজ হয়েছে। এটা আপনার লিন্কের কমেন্ট থেকে পাওয়া।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
শান্তিতে থাকুন।

    কাজ হয়েছে জেনে ভালো লাগল । তবে আমি যতদূর জানি ১ম লিন্কের মত করলেও কাজ করে ( মন হয কোন অংশ মিস করে ছিলেন বা ঐ পার্টিশনটা আগে মাউন্ট করে নেন নি ) । যাই হোক ভালো থাকবেন 🙂

জামাল ভাই : আমি ইনটারনেট একটিভ করতে পারছিনা।আমি টিক মত করছি কিনতু হচছে না ।

    আপনি যদি একটু ডিটেইলস জানাতেন তাহলে সুবিধা হত – যেমন কেমন কানেকশন ব্যবহার করছেন . ডায়ালআপ , মোবাইল ইন্টারনেট , না ব্রডব্যান্ড । ব্রডব্যান্ড হলে ইউজারনেম পাসওয়ার্ডে কানেকশন না আইপি বসাতে হয় এই সব আরকি ।

    একটু ডিটেইলস জানান , দেখি চেষ্টা করে পারি কিনা .. ভালো থাকবেন ।

    ১।আমি broadband ব্যবহার করি।আমি usb থেকে run করেছি।আমি add এ prees করে ip address/subnet mask/gateway দিছি।আর এক টা DNS use করছি। alternet DNS server পাইনাই।এবং mac address বসায়ছি। আসে নাই।

    ২।আমি office এ qubee ব্যবহার করি। wifi ত কিছু করতে হয় না auto ip asign হয়।তাহলি কি কিছু করতে হবে?

    ৩।আরেক টা বড় স্যমসা ২টা আলাদা লাইন তাই বার বার configure change করতে হয়।উপায় আছে কি মুক্তির?

    ধ্যনবাদ আপনাকে reply করার জন্য।

    ১. আপনি সেকেন্ডারি ডি.এন.এস.টা একটা সেমিকোলন দিয়ে বদিয়ে দিন – দেখতে এমন হবে –
    প্রাইমারী ডি.এন.এস;সেকেন্ডারি ডি.এন.এস.
    আরেকটা বিষয় হলো কোন প্রকসি সেটিং করতে হয় কিনা – করতে হলে টা করে নিন .
    ২. কিউবি ব্যবহার করিনি তাই বলতে পারছি না ; আপনি একটু টেস্ট করে জানান না 🙂 ?
    ৩. দুইটা আলাদা লাইন বলতে কী বুঝাচ্ছেন – দুইটা আলাদা ল্যান লাইন ? বারবার কনফিগার করতে হবে কেন ? দুইটার জন্য দুইটা আলাদা কানেকশন বানাবেন , তাইলেই তো হলো

    যখন কানেকশন প্লাগ করবেন তখন দুইটা কানেকশনই দেখাবে – যেটা ইচ্ছা বেছে নিবেন – তবে একটা ব্যাপার !যখন কানেকশন বানাবেন তখন connect automatically থেকে ঠিক উঠিয়ে দেবেন . তাহলেই আর সমস্যা হবে না .

ভাই পরে এই পার্টিশন আবার আগের জাগায় জোরা লাগাব কি করে? তাছাড়া আমি উইন্ডোজ বাদ দিয়ে শুধু উবুন্টু ব্যবহার করতে চাই, কিভাবে ইনিষ্টল করব দয়া করে বলবেন?

    এই টিউটরিয়ালটা খেয়াল করুন । আপনি ১০ জিবির পার্টিশনটা রেখেছিলেন উবুন্টু ইন্টলের জন্য আর সেটার Mount Point এ একটা ব্যাক স্ল্যাশ “/” সিলেক্ট করেছিলেন । যেহেতু আপনি আর উইন্ডোস ইন্সটল করবেন না তাই আপনি যে ড্রাইভে উইন্ডোস ইন্সটল দেয়া আছে ( সাধারণত প্রথম ড্রাইভটাই ) সেটাতে Use as – ext4 Journaling File System দেবেন আর Mount Point এ একটা ব্যাক স্ল্যাশ “/” সিলেক্ট করে দেবেন ।

    সোয়াপ সোয়াপের যায়গায় থাকবে – সমস্যা নাই ।

    আগের উবুন্টুর পার্টিশনটা আপনি ড্রাইভে জোড়া লাগিয়ে ফেলতে পারেন । পার্টিশন এডিটর খুলে ড্রাইভটা সিলেক্ট করে Delete করে দিন । তারপর যে পার্টিশনটা বড় করবেন সেটা ( যেখান থেকে ভেঙে এনছিলেন সেটাই হবে ) সিলেক্ট করে রিসাইজ দিন । ডান দিকে টেনে বড় করে Ok করুন । Apply করে দিন । ব্যস হয়ে গেল ভাই ।

    যদি সমস্যা হয় তবে জানাবেন ।

Level 2

ভালো প্রচেষ্টা চালিয়ে যাও

জামাল ভাই আমি তো শেষ, উবুন্তু ইনিষ্টল করার পর দেখি মাইকম্পিউটারের ভেতর আমার D:, E:, F: ইত্যাদি ড্রাইভগুলো আর নেই। ঐসব ড্রাইভে আমার অনেক কিছু ছিল, আমার কম্পিউটারের হার্ড ডিক্স কি ফর্মেট হয়ে গেছে? দয়া করে কিছু করেন আমি কি ঐগুলো আবার ফেরত আনতে পারবে না? (আমার অবস্থা খুব খারাপ)

    ইন্সটলের সময় পার্টিশনিং কোনটা সিলেক্ট করেছিলেন – Manual ?

    উবুন্টু আলাদা পার্টিশন করে ইন্সটল করেছিলেন তো ? তাইলে ভয়ের কিছু নাই । আপনার সব ভালোভাবেই আছে । আপনি Places এ যান । সেখানে গিয়ে দেখুন আপনার ড্রাইভের নাম দেখাবে । যে ড্রাইভটা খুলতে চান সেটাতে ডাবল ক্লিক করুন । পাসওয়ার্ড চাইবে , দিয়ে দেবেন । এরপর খোলার কথা ।

    আর উবুন্টুতে D: E: এভাবে থাকে না । নাম দিয়ে থাকে ।

    Level 0

    ভাই আজ আমি উইবুন্টু ইন্সটল দিয়েছিলাম পরে দেখি আমার সি, ডি ড্রাইভগুলো নেই তখন আমি গুগল সার্চ করে ইএসইয়াস পার্টিশন মেনেজার ইন্সটল করে পার্টিশন রিকভার করে আমার সি ও ডি ড্রাইভ গুলো পাই। চাইলে আপনি এটা চেক করে দেখতে পারেন যদি উপকৃত হন তবে আমার মনে হবে আমার টউনটি সার্থক হয়েছে। ধন্যবাদ

ভাই আমি উবুন্তুর ওয়েবসাইটে ( http://www.ubuntu.com/desktop/get-ubuntu/download ) চার নম্বরে যেভাবে দেওয়া আছে সেভাবেই ইনিষ্টল করেছি। Places এ কোন ড্রাইভের নাম দেখাচ্ছে না। (আমি মনে হয় শেষ হয়ে গেছি)

    আপনি ঐখানের টিউটোরিয়াল অনুসরণ করতে গেলেন যে ভাই ? ঐখানের টিউটোরিয়াল অনুসারে যদি করেই থাকেন তবে সত্যি দুঃখের সাথে বলছে হচ্ছে আপনি আপনার পুরো ড্রাইভ ফরম্যাট করে ফেলেছেন 🙁 🙁

    মাত্র কিছুদিন আগে আমার হার্ডডিস্কটা বিদ্যুতের সমস্যার কারণে ক্রাশ করেছিলো – আমি বুঝতে পারছি আপনার অবস্থা . কিন্তু কী আর করার ? কেন যে এই বোকামিটা করতে গেলেন 🙁

উবুন্টুতে বাংলা লায়ন কিংবা কিউবি ব্যবহার করা যাবে কিনা। গেলে কিভাবে জানালে ধইন্যাবাদ দিব।

Level 0

vaia ami internet taka ubuntu-10.04.2-alternate-amd64 download korace kinto instal korta parce na. dvd burn korace .ata kesar somosca

গুছানো ডিটেইলস বর্ননা্।