"ওয়েব ডিজাইন" আমার স্বপ্নের ক্যারিয়ার। শুধু আমার না। হয়তো আপনার এবং আপনার এবং আপনারও! অনেকেরই স্বপ্নের ক্যারিয়ার এই ওয়েব ডিজাইন। অনেকে স্বপ্ন দেখে ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে জীবনে সফল হবার। হয়তো আপনিও দেখেছেন। আমি ও দেখেছি, এখনো দেখি।
স্বপ্ন শুধু দেখার বিষয় নয়। স্বপ্ন পূরণ করার মাঝেই পূর্ণ সার্থকতা। জীবনে সেই ব্যক্তি সার্থক এবং সফল যে তার স্বপ্ন পূরণ করেছে। আমরা অনেক সপ্নই দেখি। সব হয়তো পূরণ করা সম্ভব নয়। তবে চেষ্টা করতে দোষ কি? অন্তত বলতে পারবো, না! আমি আমার স্বপ্ন পূরণের চেষ্টা করেছি। আপনার স্বপ্ন আপনি মার্ক জুকারবারগের মত সফল ব্যক্তি হবেন। কিন্তু একবার ভেবে দেখেছেন? আপনি এই স্বপ্ন পূরণ করার জন্য কি কখনো চেষ্টা করেছেন? তাহলে ভাবুন কিভাবে আপনার স্বপ্ন পূরণ হবে? ভাবুন কিভাবে আপনি সফল হবেন? অনেকে হয়তো চেষ্টা করতে চেয়েও পর্যাপ্ত গাইডলাইন এর অভাবে বা অন্য কোন সমস্যায় করতে পারেননি। অথবা চেষ্টা করেও সফল হননি। কিন্তু মনকে একটা সান্ত্বনা দেয়া যায় "আমি চেষ্টা করেছি " আপনি মার্ক জুকারবারগ হবার চেষ্টা যদি করে থাকেন, মার্ক জুকারবারগ হতে না পারলেও অন্তত মেহেদী হাসান (বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় এবং সবচেয়ে বড় বাংলা টেকনোলজি ব্লগিং সাইট টেকটিউনস এর প্রতিষ্ঠাতা) বা সায়েদা গুলশান ফেরদোউস জানা (বাংলাদেশের প্রথম বাংলা কমিউনিটি ব্লগ সামহোয়ারিন ব্লগ এর প্রতিষ্ঠাতা) হতে পারবেন। আপনার সফলতা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনার চেষ্টা এবং পরিশ্রম এর উপর।
আপনি আপনার সপ্ন পুরনে সচেষ্ট হোন, সফলতা আপনাকে খুঁজে নিবে।
আপনার স্বপ্ন ওয়েব ডিজাইন এ ক্যারিয়ার গড়ার। আপনি স্বপ্ন দেখুন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ওয়েব ডিজাইনার হবার। আপনি স্বপ্ন দেখুন বাংলাদেশের সেরা একজন ওয়েব ডিজাইনার হবার। এবং সেই স্বপ্ন পূরণে পরিপূর্ণ চেষ্টা করুন। আপনার লক্ষ থাকবে আপনার স্বপ্ন, সফলতা আপনাকে খুঁজে নিবে।
আমি ওয়েব ডিজাইন এ ক্যারিয়ার নিয়ে ধারাবাহিক টিউন লিখবো। কি করতে হবে, কি করবেন না, কিভাবে করবেন, কেন করবেন ইত্যাদি আরো অনেক প্রশ্নের উত্তর পাবেন আশা করি। যারা ওয়েব ডিজাইন কি তাও বুঝেন না তাদের কেও সহজে বুঝিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবো। সময় নিয়ে ধৈর্য ধরে টিউন গুলো পড়ুন। আমি বলছি "হতাশ হয়ে ফিরতে হবে না" অবশ্যই উপকৃত হবেন। আর আমার টিউন পড়ে কেউ উপকৃত হলেই আমি সার্থক।
একজন মানুষের মনে সর্বপ্রথম সাধারণ যে প্রশ্ন টি আসবে, সেটি হল ওয়েব ডিজাইন কি?
একটি ওয়েবসাইট এর দৃশ্যমান অংশ তৈরি করাই ওয়েব ডিজাইন।
আপনি একটি ওয়েবসাইট এ যা দেখতে পান তা তৈরি করাই ওয়েবডিজাইন। একটি ওয়েবসাইট দেখতে কেমন হবে, এর ব্যাকগ্রাউন্ড এর রং কি হবে, ব্যাকগ্রাউন্ড এ কোন ছবি থাকবে কিনা, থাকলে কি ছবি থাকবে। লেখা কত বড় হবে, কেমন স্টাইল এর হবে, কি রঙের হবে। ইত্যাদি নির্ধারণ করাই ওয়েব ডিজাইন। ওয়েব ডিজাইন এর কাজ ওয়েবসাইট এর দৃশ্যমান অংশ নিয়ে কাজ করা। যেমন ধরুন ফেসবুক, এর রং নীল বাম পাশে ছবি বা অনেক সময় ভিডিও থাকে। উপরে লগিন বক্স। ডানে সাইনাপ বক্স। আবার গুগল দেখুন। এর এসব কিছুই নেই। মাঝে একটি লোগো এবং এর নিচে সার্চ বক্স। এরকম প্রতিটা ওয়েবসাইট দেখতে ভিন্ন হয় কেন? এদের ডিজাইন এর কারনে। প্রত্যেক ওয়েবসাইট আলাদা ভাবে ডিজাইন করা হয়। প্রত্যেকের বিশেষ বৈশিষ্ট্য সহ বিশেষ ইউনিক ডিজাইন হয়।
কিছু ভাষা ব্যবহার করে ওয়েব ডিজাইন করা হয়। এসব ভাষাকে কম্পিউটার এর ভাষা বা ওয়েব পেজ এর ভাষা ও বলতে পারেন। মানুষের যেমন আলাদা ভাষা আছে, সে তার ভাষা বোঝে। তেমনি ওয়েব পেজ এর ও আলাদা ভাষা আছে এবং সে সেই ভাষা বোঝে। ওই ভাষায় তাকে যা বলা হবে সে তাই করবে। যদি বলা হয় তোমার রং পাল্টাও সে তা পালটে দেবে। আপনাকে ওয়েব ডিজাইন করতে হলে এসব ভাষা জানতে বা শিখতে হবে। আর এসব ভাষা কম্পিউটার এ লিখে ওয়েব পেজ তৈরি করা হয়। কয়েকটি ওয়েব পেজ নিয়েই একটি ওয়েবসাইট। অনেক সময় মাত্র একটি পেজ নিয়েই একটি ওয়েবসাইট হতে পারে।
Webcoachbd.com এ এভাবে বলা হয়েছেঃ
ওয়েব ডিজাইন কি
ওয়েব ডিজাইন হচ্ছে একটা ওয়েবসাইটের জন্য বাহ্যিক গঠন তৈরী করা। ওয়েব ডিজাইনারের মুল কাজ একটা সাইটের জন্য টেমপ্লেট (ওয়েবপেজ) বানানো, এখানে কোন এপ্লিকেশন থাকবেনা। যেমন লগিন সিস্টেম, নিউজলেটার সাইনআপ, পেজিনেশন, ফাইল আপলোড করে ডেটাবেসে সেভ করা, ইমেজ ম্যানিপুলেশন, যদি সাইটে বিজ্ঞাপণ থাকে তাহলে প্রতিবার পেজ লোড হওয়ার সময় বিজ্ঞাপণের পরিবর্তন এগুলি এপ্লিকেশন, ওয়েব এপ্লিকেশন। এসব তৈরী করতে হয় প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ দিয়ে। কোন প্রকার এপ্লিকেশন ছাড়া একটা সাইট তৈরী করা এটাই ওয়েব ডিজাইন, এধরনের ডিজাইনকে বলতে পারেন স্টাটিক ডিজাইন। ওয়েব ডিজাইনের জন্য এই ধারনাটি সাধারনত ব্যবহৃত হচ্ছে।
আমরা প্রথমেই যে ভুলটি করি, সেটি হল ওয়েব ডিজাইন আর ডেভেলপমেন্ট কে গুলিয়ে ফেলি। ওয়েব ডিজাইন আর ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সম্পূর্ণ আলাদা জিনিস। ওয়েব ডিজাইন কি আমি তা বলেছি। আসলে আমরা ডিজাইন বলতে কি বুঝি? কোন কিছু তৈরি করাই ডিজাইন, আর একটি ওয়েবপেজ এর দৃশ্যমান অংশ তৈরি করা হচ্ছে ওয়েব ডিজাইন। আর ওয়েব ডেভেলপ হচ্ছে ওয়েবসাইট এর প্রান দেয়া অর্থাৎ কাজ করার শক্তি দেয়া। একটি সহজ এবং মজার উদাহরণ দেখুন, এখানে গাড়ি কে ওয়েবসাইট মনে করুনঃ
ধরুন একটি গাড়ি বানাতে হবে। এখন একজন গাড়িটি দেখতে কেমন হবে, উচ্চতা, প্রস্থ, রং, ইত্যাদি ঠিক করবে। এবং সে অনুযায়ী গাড়ি বানাবে। এখন যে গাড়ি ডিজাইন করলো এবং বানালো সে হচ্ছে ওয়েব ডিজাইনার এবং এই গাড়ি ডিজাইন করে বানানোটা ওয়েব ডিজাইন।
আরেকজন গাড়িতে ইঞ্জিন লাগিয়ে গাড়ির সব তার জোড়া দিয়ে ইঞ্জিন, লাইট ইত্যাদি ঠিক করে গাড়িটিকে চলার উপযোগী করে তুল্ল। গাড়িটি কিভাবে চলবে, কি চাপলে কি কাজ করবে। কোন দিকে ঘুরালে কোন দিকে ঘুরবে। ইত্যাদি সব ঠিক করলেন তিনি। এক্ষেত্রে তিনি হচ্ছেন ওয়েব ডেভেলপার। আর এই গাড়িতে প্রাণ দেয়াটাই ওয়েব ডেভেলপমেন্ট।
ফেসবুক দেখতে কেমন, কই ছবি থাকবে, কই চ্যাট বক্স থাকবে, কই হোম বাটন থাকবে, কোনটার রং কেমন হবে ইত্যাদি হচ্ছে ওয়েব ডিজাইন এর কাজ। আর ফেসবুক এ স্টেটাস লিখে দিলেই তা সবার কাছে পৌঁছে যাবে, ইমেইল পাসওয়ার্ড দিয়ে লগিন ক্লিক করলেই লগিন হয়ে যাবে। কিছু লিখে লাইক এ ক্লিক করলে একটা লাইক যোগ হবে এবং মালিকের কাছে লাইক এর নোটিফিকেশন চলে যাবে, ইত্যাদি ডেভেলপমেন্ট এর কাজ।
ধরুন একটি মানুষকে আপনি দেখতে পাচ্ছেন। তার হাত আছে, পা আছে, মাথা আছে, গোলগাল মুখ, দেখতে সুন্দর। এটাই হচ্ছে তার ডিজাইন। আবার আপনি দেখতে পাচ্ছেন সে হাটতে পারে, কথা বলে, বিভিন্ন কাজ করে, খেলা করে, তাকে কিছু করতে বললে করে, কোন প্রশ্ন করলে জবাব দেয়। এটা হচ্ছে তার ডেভেলপমেন্ট।
আশা করছি বুঝে গেছেন। এবার আর হয়তো ডিজাইন আর ডেভেলপমেন্ট কে এক করে বা গুলিয়ে ফেলবেন না। এবং এটাও হয়তো বুঝে গেছেন যে ওয়েব ডিজাইন থেকে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কঠিন? মাটি দিয়ে একটা মানুষ (মূর্তি) বানানো সহজ, কিন্তু তাতে প্রাণ দেয়া সহজ নয় (এক্ষেত্রে সম্ভব নয়, উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে)
Webcoachbd.com এ এভাবে বলা হয়েছেঃ
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কি
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট হচ্ছে ওয়েবসাইটের জন্য এপ্লিকেশন তৈরী করা। লগিন সিস্টেম, নিউজলেটার সাইনআপ, পেজিনেশন, ফাইল আপলোড করে ডেটাবেসে সেভ করা, ইমেজ ম্যানিপুলেশন, যদি সাইটে বিজ্ঞাপণ থাকে তাহলে প্রতিবার পেজ লোড হওয়ার সময় বিজ্ঞাপণের পরিবর্তন এগুলি এপ্লিকেশন, ওয়েব এপ্লিকেশন। এখানে যে এপ্লিকেশনগুলির উল্লেখ করেছি এধরনের আরো হাজারো এপ্লিকেশন আছে, ওয়েব ডেভেলপারকে এসব এপ্লিকেশন তৈরী করতে হবে। যদি ফ্রিল্যান্সিং করেন তাহলে ক্লাইন্টের চাহিদা অনুযায়ী এমনও এপ্লিকেশন তৈরী করা লাগতে পারে যার অস্তিত্ব পৃথিবীতে নেই। এই বিষয়টি বেশি চ্যালেন্জিং এবং ডাইনামিক। অর্থ্যাৎ আপনাকে এপ্লিকেশন ডিজাইন করতে হবে। তাই ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কে আরও সুনির্দিষ্ট করে বলা যায় ওয়েব এপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট।
এখন আপনি ওয়েব ডিজাইন শিখবেন না ওয়েব লেভেলপমেন্ট শিখবেন সেটা ঠিক করুন। যদি সিদ্ধান্ত হয়ে থাকে 'ওয়েব ডিজাইন' তবে টিউনটি পড়তে থাকুন। অবশ্য আপনি যদি ওয়েব ডেভেলপিং ও শিখতে চান তাও আপনাকে মোটামোটি ওয়েব ডিজাইন জানতে হবে। অর্থাৎ এর কোন বিকল্প নেই! সুতরাং ডিজাইনার হন আর ডেভেলপার. টিউন পড়ে যান, উপকৃত হবেন। আমি আপনাকে হাত ধরে শুরু করিয়ে দিবো এবং সফলতার রাস্তা দেখিয়ে দিবো। এরপর বাকিটা পথ আপনাকে নিজ পায়ে হাটতে হবে। অবশ্য মাঝ পথে হোঁচট খেলে কি করতে হবে সে ব্যবস্থা ও আমি বলে দিবো। তাই চেয়ারের সাথে নিজেকে দড়ি দিয়ে বেধে টিউন পড়া চালিয়ে জান।
ওয়েব ডিজাইন সম্পর্কে জানার পর আপনার মনে প্রথম যে প্রশ্ন টি আশার কথা সেটি হল আমি ওয়েব ডিজাইনার কেন হব? ওয়েব ডিজাইনার হয়ে আমার লাভ? লাভ অবশ্যই আছে! লাভ ছাড়া কি কেও কখনো কোন কাজ করে? হয়তো আপনিও করবেন না। তাই আপনাকে লাভ গুলো আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে দেই, তাহলে আপনার ওয়েব ডিজাইন হবার আগ্রহ অনেক গুন বেড়ে যাবে - গ্যারান্টি!
প্রথমেই আসি আয় প্রসঙ্গে। এটাই হয়তো আপনার প্রথম চিন্তা! আমার আয় কত হবে ওয়েব ডিজাইন শিখলে? আচ্ছা তাহলে আসুন কিছু তথ্য জেনে নেইঃ
একজন ওয়েব ডিজাইনার এর গড় বেতন ৭৭, ০০০ ডলার। সর্বনিম্ন বেতন ৪০, ০০০ডলার এবং সর্বোচ্চ বেতন ৮৫, ০০০ ডলার।
কিছু উচ্চ বেতন প্রদানকারী দেশঃ
কিছু নিম্ন বেতন প্রদানকারী দেশঃ
সুত্র - about.com ও indeed.com
বাংলাদেশ এর কোন ফার্ম এ একজন ওয়েব ডিজাইনার এর বেতন প্রায় ১৫০০০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫০০০০ টাকা পর্যন্ত!
এবার নিশ্চই ওয়েব ডিজাইনার হবার ইচ্ছা শক্তি বেড়ে গেছে? 😀 দারান. আরো বাকি আছে!
রয়েছে ফ্রিল্যান্স মার্কেট প্লেস এ কাজ করার সুযোগ। ফ্রিল্যান্স মার্কেট প্লেস এ আপনি কাজ করতে পারেন একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে। ফ্রিল্যান্স মার্কেট প্লেস এ একজন ওয়েব ডিজাইনার এর ঘন্টায় রেট সর্বোচ্চ ৫০ ডলার পর্যন্ত (প্রায়) এর বেশি ও হতে পারে! মোটামোটি নতুনদের ঘন্টায় রেট ৪-৫ ডলার (ভালো মানের ওয়েব ডিজাইনার)। . অর্থাৎ প্রতিদিন ৫ ঘন্টা কাজ করলে আপনার প্রতিদিন ২৫ ডলার এবং মাসে ৬০০ ডলার অর্থাৎ প্রায় ৪৮০০০ টাকা 😀
(ফ্রিল্যান্সিং, মার্কেট প্লেস ও ওডেস্ক নিয়ে ৫ম পর্বে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। )
এছাড়া আপনি ওয়েব ডিজাইন এর উপর ব্লগিং করে অর্থাৎ লেখালেখি করে আয় করতে পারেন মাসে ৫০০০০ হাজার টাকার বেশি। এক্ষেত্রে আর্টিকেল লিখে বিক্রি করে বা নিজের ব্লগ এ টিউন করে আয় করতে পারেন। নিজের ব্লগ হলে গুগল এডসেন্স থেকে ভালো আয় করতে পারবেন। এ নিয়ে আমার এই টিউন টি দেখতে পারেনঃ একই সাথে ওয়েব ডিজাইন শিখুন এবং পাশাপাশি ভালো আয় করুন - "গোপন রহস্য"
এছাড়াও আরো অনেক সুযোগ সুবিধা রয়েছে ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে কাজ করার। আপনি একটি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আপনি বিভিন্য থীম বানিয়ে বিক্রি করতে পারেন। বিভিন্ন ইফেক্ট বানিয়ে বিক্রি করতে পারেন। ওয়েবসাইট লেয়াউট বানিয়ে বিক্রি করতে পারেন। কোন ফরেইন অফিস এ অনলাইন এই চাকরী করতে পারেন।
আপনার একটি মুক্ত স্বাধীন ক্যারিয়ার হবে। একটি উন্নত ক্যারিয়ার হবে। ভার্চুয়াল জগতে একটি অন্য রকম পরিচয় সৃষ্টি হবে। পাবেন প্রচুর সম্মান।
ওয়েব ডিজাইনার হতে হলে আগে আপনাকে ওয়েব ডিজাইন সম্পর্কে জানতে হবে। ওয়েব ডিজাইন সম্বন্ধে ভাল মত বুঝতে হবে। আমি আশা করছি এই টিউন এ আমি মোটামোটি বোঝাতে পেরেছি। এবার আপনি ভেবে দেখুন, ওয়েব ডিজাইন কি আপনার ভালো লাগে? এর প্রতি কি আপনার সত্যিকার অর্থে আগ্রহ আছে? এই ভাল লাগা বা আগ্রহের কারণ যদি হয় শুধু আয় করা বা টাকার লোভ তাহলে ওয়েব ডিজাইন শেখার বা ওয়েব ডিজাইনার হবার কথা ভুলে যান। আর যদি সত্যি সত্যি মন থেকে আপনার ওয়েব ডিজাইন ভাল লাগে এবং আগ্রহ আছে। তাহলে আপনি ওয়েব ডিজাইনার হতে পারবেন।
ওয়েব ডিজাইনার হতে হলে আপনাকে সবার আগে নিজেকে প্রস্তুত করে নিতে হবে। নিজেকে কিভাবে প্রস্তুত করবেন সেটা নিয়ে আমি পরের পর্বের একটি টিউনে আলোচনা করেছি।
প্রথমেই আপনাকে কাজ শিখতে হবে। অনেক সময় আর পরিশ্রম দিতে হবে। পরিশ্রম এর কোন বিকল্প নেই। যেকোনো কাজেই আপনাকে সফল হতে হলে অনেক পরিশ্রম করতে হবে। ওয়েব ডিজাইন নিয়ে ঘাটাঘাটি করুন। ওয়েব ডিজাইন নিয়ে যত পারবেন জানার চেষ্টা করুন।
নিজের মনকে স্থির করুন, লক্ষ্য স্থির করুন। আপনার লক্ষ একটাই আপনাকে একজন ভালো এবং সফল ওয়েব ডিজাইনার হতে হবে। ধীরে ধীরে মনোযোগ সহকারে কাজ শিখতে থাকুন, শেখার পাশাপাশি যা শিখেছেন তা নিয়েই কাজ করুন। নিজে নিজে এসব নিয়ে ঘাটাঘাটি করুন, বিভিন্ন ব্লগ পড়ুন, বই পড়ুন, ধৈর্য হারিয়ে ফেলবেন না। ধৈর্য যেকোনো কাজের ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ধৈর্য সহকারে কাজ শিখতে থাকুন আর করতে থাকুন।
আমি আছি ফেসবুক এঃ Rakibul Hasan
আমি কম্পিউটার লাভার। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 101 টি টিউন ও 1258 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 20 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
Also known as "Raiku Saiko". React.js & Javascript Developer. Former Wordpress Developer, Front-end Designer. Technology Addicted.
ভালোই লিখেছেন…