ফেসবুক লাইক শেয়ার বাড়ান এখনি

ফেসবুকে আইডি আছে অথছ ফেসবুক লাইক নিয়ে চিন্তিত নয়, এমন কাউকে আজকের দিনে খুজে পাওয়া ভার। আর ফেসবুক পেইজের এডমিন মানেই নানান ধরনের চিন্তা; কিভাবে পেইজে প্রমোট করবেন, লাইক বাড়াবেন, শেয়ার করাবেন…… ইত্যাদি সকল চিন্তার অবসর ঘটানোর জন্য টেকপ্রেমী  সাইলেন্টম্যান আজকে আমাদের সামনে কয়েকটি গুরুত্বপুর্ণ কিছু ফেসবুক পেইজ লাইক বাড়ানোর উপায়/টিপস যা না পড়লেই নয়…
ফেসবুকে পন্যের প্রসার এখন বড় বড় সব কোম্পানী ই করছে। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ব্র্যান্ড কোকাকোলা তাদের ১৭% কাস্টমার ফেসবুকের মাধ্যমে আনছে। তাই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এখন প্রতিটা ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের বিপননের অন্যতম অঙ্গ।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বলতে আমরা বুঝি ফেসবুক, টুইটার, গুগল+ এ পন্য বা সেবার প্রচারনা ও গ্রাহকের চাহিদা বোঝা। আর এ জন্যে একটি ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের থাকতে একটা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম যেমন ফেসবুক পেইজ। আর এই ফেসবুক পেইজে তাদের লক্ষ থাকে যত বেশি লাইক বা সাবস্ক্রাইবার আনা যায় যাতে তাদের পন্যের প্রসার মানুষ ঘরে বসেই জানতে পারে। আর ফেসবুক পেইজে লাইক পাওয়ার জন্যে একটি ব্যাবসা বা ব্যক্তি কে কিছু পদ্ধতী অনুসরন করতে হয়।
পদ্ধতী গুলো হতে পারে পেইজে টিউনের ধরন, টিউনের আকার, ছবি বা ভিডিও যেগুলো সবচেয়ে বেশি লাইক এবং শেয়ার হয়। ফেসবুকে মানুষ সেই সময়েই বসে যখন তাদের অবসর সময় আর এটা হল পিক আওয়ার মানে সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত। আর এই সময়েই ফেসবুকে সবচেয়ে বেশি লাইক হয়।
ফেসবুকে কিভাবে সহজ পদ্ধতী অনুসরন করে বেশি লাইক ও শেয়ার পেতে পারেন তার একটি ধারনা দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়া এক্সপার্ট ড্যান যারেলা। তার অনুসন্ধানি প্রতিবেদনে তিনি বেশ কয়েকটি সফল পদ্ধতীর অবতারনা করেছেন যা আপনাদের জন্যে নিম্নে তুলে ধরা হয়েছে :
টিউনের ধরন
যারেলা অনুসন্ধান করে দেখেছেন ফেসবুক পেজে ছবিতেই সবচেয়ে বেশি লাইক, টিউমেন্ট এবং শেয়ার হয়। তবে এই ৩ টি কাজের মধ্যে কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে যা নিচের চিত্রে দেখতে পাবেন।
ফেসবুক লাইক ও শেয়ার বেশি বেশি পাবার উপায়
টিউনের আকার
ফেসবুক পেজে লিংক না দিয়ে টিউন দিলে সেটা সবচেইয়ে বেশি লাইক এবং শেয়ার হয়। এর মধ্যে যে টিউন গুলো সবচেয়ে বেশি লম্বা সেগুলো সবচেয়ে বেশি শেয়ার হয়।
নিজেকে সূত্র হিসেবে ব্যবহার করা
পেইজে কোনো টিউনে আপনি নিজেকে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করুন যেমন “আমি দেখেছি” বা “আমি বিশ্বাস করি” এরকম ভাবে। এই ধরনের টিউনে গ্রাহকের আস্থা বাড়ে এবং বেশি বেশি শেয়ার হয়।
টিউনের সেন্টিমেন্ট
যে টিউন গুলো নিরপেক্ষ ভাবে লেখা হয়, মানে হল যে টিউন গুলো সূস্পষ্ট ও নয় আবার অস্পষ্টও নয় এই ধরনের টিউন গুলো কম লাইক পায়। নেগেটিভ টিউন গুলো সবচেয়ে বেশি টিউমেন্ট পায় পজেটিভ টিউন গুলোর থেকে।
টিউনের সময়
যে টিউন গুলো দিনের শেষে করা হয়, সেগুলো বেশি লাইক, টিউমেন্ট এবং শেয়ার পায় কারন এই সময়ে মানুষ কাজ শেষে বাড়িতে ফেরে এবং পার্সোনাল লাইফে প্রবেশ করে। এই সময়টাকে পিক আওয়ার বলে, সাধারনত সন্ধ্যা ৬ টা থেকে রাত ৮ তা পর্যন্ত।
টিউনের দিন
যারেলার তথ্য মতে ছুটির দিনে তথা শনি এবং রবিবারে টিউন গুলোতে বেশি বেশি লাইক, শেয়ার এবং টিউমেন্ট হয়। বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এই সময়টা হবে শুক্র এবং শনিবার।
ফেসবুকে মার্কেটিং বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। ছোট ব্যাবসা থেকে শুরু করে বড় বড় ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান গুলো ফেসবুকে তাদের পন্যের প্রচারনা চালিয়ে সফল হচ্ছে। তবে এই মার্কেটিং এর জন্যেও পরাশোনা করতে হবে কারন আপনি আপনার ব্যাবসার জন্যে কাস্টমার খুজতে বের হয়েছেন।

Level 2

আমি ওয়েব মাস্টার। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 7 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 46 টি টিউন ও 1 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 4 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 2 টিউনারকে ফলো করি।

আমি রাকিব। ভালো লাগে টেকটিউন কে ভালোবাসি বললে ভালো হয় , আর তাই বার বার ফিরে আসি। নতুন কে জানার টানে। নতুন কে জানানোর টানে।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস