ক্যামেরার শুরু থেকে শেষের ইতিহাস

যে কোন ধরনের সাধারণ বা দুর্লভ মূহুর্তকে স্মৃতির পাতায় সারা জীবনের জন্য ফ্রেম বন্দী করে রাখতে, বা বিভিন্ন নিরাপত্তার প্রয়োজনে ছবি তোলার কোনো বিকল্প নেই। একটি ছবির মাধ্যমেই একজন মানুষের অব্যক্ত সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনার অনুভূতি প্রকাশ পায়। আর এই ছবি তুলতে যেই জিনিস টি প্রয়োজন তা হচ্ছে ক্যামেরা। এই ক্যামেরার ছবি গুলোই আমাদের জীবনের অনেক মূল্যবান সব স্মৃতিকে নতুন ভাবে মনে করিয়ে দেই। আর বর্তমান যুগে ছবি তুলতে ভালোবাসেনা এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুঃসাধ্য। আর বর্তমান সময়ে তো যেকোন জায়গায় যেকোন সময়ে সেলফি তোলাই সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কারণ এই ছবির মাধ্যমেই আমাদের প্রতিদিনের অসাধারণ সব সুন্দর মুহূর্তকে আমরা ফ্রেমে বন্দী করে রাখি।

কিন্তু আমরা কি এটা জানি আজকের যে ক্যামেরায় ছবি তুলে আমাদের সব মূল্যবান স্মৃতিকে ফ্রেমে আটকে রাখি সেই ক্যামেরাটি কিভাবে এল? কিভাবে এর জন্ম হল? কেই বা ক্যামেরার আবিষ্কারক?

ক্যামেরার আবিষ্কার
সভ্যতার প্রথম দিকে প্রাচীন কালের মানুষরা নিজেদের অবয়ব বা বিভিন্ন প্রাকৃতিক দৃশ্য ধরে রাখার জন্য নানা ভাবে চেষ্টা করতে থাকে। তারপর এক সময় শুরু হয় কাগজ ও রং তুলির ব্যবহার করে হবহু মানুষ বা প্রাকৃতিক দৃশ্যের চিত্র ক্যানভাসে ধরে রাখার চেষ্টা করতে থাকে। এরপর বড় বড় চিত্রশিল্পীরা তাদের রং তুলির আচড়ে ইতিহাস খ্যাত কিছু শিল্প কর্ম আকেন। ধীরে ধীরে মানুষের সভ্যতার উন্নতি হতে থাকে। পরবর্তী তে অনেক গবেষণা ও পরিশ্রমের ফসল আজকের এই আধুনিক ক্যামেরা।

আজ আমরা যে ক্যামেরার মাধ্যমে এত সুন্দর সব ছবি তুলছি আজ থেকে প্রায় এক হাজার বছর আগেও তা কল্পনাই করা যেত না। তখন কেও এই ক্যামেরা নিয়ে কখনও ভেবেছে বলে মনে হয় না। পরবর্তীতে মানব সভ্যতার সাথে সাথে ক্যামেরা আবিষ্কার হলো। তবে কবে, কখন এটি আবিষ্কার হল তা সঠিক ভাবে বলা যাচ্ছে না। আর ক্যামেরা আবিষ্কারের কৃতিত্ব সঠিক ভাবে কাওকে দেয়া যাচ্ছে না তবে এটা বলা যায় যে, বহু মানুষের শ্রম ও পরিশ্রমের ফসল আজকের এই ক্যামেরা। প্রথমেই আপনাদের জানাই ক্যামেরা শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ ‘কামারা’ (kamara) থেকে, যার অর্থ করলে দাঁড়ায় খিলানযুক্ত কুঠরি। এটি সর্বপ্রথম ব্যবহৃত হয়েছিল ১৭০৮ সালে। ক্যামেরার বদৌলতে জন্ম হয়েছে ফটোগ্রাফির। ফটোগ্রাফি শব্দটিও এসেছে গ্রিক দুটি শব্দ থেকে- fos অর্থ লাইট বা আলো আর grafo অর্থ আঁকানো। ১৮৩৯ সালে স্যার জন এফ. ডব্লিউ. হার্সেল প্রথম ব্যবহার করেন শব্দটি।

১০২১ সালে ইরাকের বিজ্ঞানী ইবন আল হাইতাম আলোক বিজ্ঞানের ওপর সাত খণ্ডের একটি বই লিখেছিলেন আরবি ভাষায়, এর নাম ছিল কিতাব আল মানাজির। সেখান থেকে ক্যামেরার উদ্ভাবনের প্রথম সূত্রপাত। ১৫০০ শতাব্দীতে এসে চিত্রকরের একটি দল তাদের আঁকা ছবিগুলোকে একাধিক কপি করার জন্য ক্যামেরা তৈরির প্রচেষ্টা চালায়।

পৃথিবীর প্রথম ক্যামেরা
তারপর অবস্কিউরা নামে বিশেষ প্রযুক্তিতে একটি অন্ধকার বাক্সের মধ্যে ছোট ছিদ্রের মাধ্যমে সূর্যের আলো ঢোকানো হয়। বক্সের অন্য প্রান্তে প্রতিফলিত চিত্র থেকে শিল্পীরা হুবহু ছবি আঁকতে পারতেন। এটা ১৫৪৪ সালের ঘটনা। এর ধারাবাহিকতায় ১৫৫০ সালে জিরোলামো কারদানো নামের জার্মানির একজন বিজ্ঞানী ক্যামেরাতে প্রথম লেন্স সংযোজন করেন। তখন ক্যামেরায় এই লেন্সটি শুধু মাত্র ছবি আঁকার কাজে ব্যবহার করা হতো। তখনও আবিষ্কৃত ওই ক্যামেরা দিয়ে কোনো প্রকার ছবি তোলা সম্ভব হয়নি। কারণ ওই ক্যামেরাকে সফল রূপ দিতে আরও অনেক বছর সময় লেগেছিল।

ক্যামেরার ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ বছর ছিলো ১৮২৬ সাল। ওই সালেই প্রথমবারের মতো আলোকচিত্র ধারণের কাজটি করেন জোসেপ নাইসপোর নিপস নামক এক বিজ্ঞানী। প্রথমে জোসেফ নাইসফোর নিয়েপস এ থেকে রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে তা ধাতব পাত্রে ফুটিয়ে তোলার ব্যবস্থা করেন। এ পদ্ধতিতে একটি ছবি তুলতে আট ঘণ্টা লাগলেও তা আবার কিছুক্ষণ পর অদৃশ্য হয়ে যেত। পরবর্তীতে তিনি পাতলা কাঠের বাক্সের মধ্যে বিটুমিন প্লেটে আলোর ব্যবহার করে ক্যামেরার কাজটি করেন। সে হিসেবে জোসেপ নাইসপোর নিপসকে প্রথম ক্যামেরা আবিষ্কারক ধরা যায়।

নিপসের তৈরি ক্যামেরা অবস্কিউরারকে আরও আধুনিক করার জন্য, অবস্কিউরারের বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠার জন্য আরেক বিজ্ঞানী লুইস দাগের এটি নিয়ে নানান গবেষণা শুরু করেন। তার গবেষণার ফলে তিনি অবস্কিউরার এর এক্সপোজার মাত্র ৩০ মিনিটে আনতে ও একে দীর্ঘস্থায়ী করতে সক্ষম হন। বিজ্ঞানী জোসেপ নাইসপোর নিপস ও বিজ্ঞানী লুইস দাগের ১৮২৯ সাল থেকে দুজনেই ক্যামেরাটির আধুনিকরণ নিয়ে যৌথ ভাবে কাজ শুরু করেন।

তারপর ১৮৩৯ সালে বিজ্ঞানী জোসেপ নাইসপোর নিপস মারা যাওয়ার পর বিজ্ঞানী লুইস দাগের আরও অনেক গবেষণার করে ক্যামেরাটিকে একটি সুবিধা জনক পর্যায়ে নিয়ে আসে এবং তিনি আরও অনেক কারযকর পদ্ধতি আবিষ্কার করতে সক্ষম হন। পরে বিজ্ঞানী লুইস দাগের নিজের নামের সাথে মিল রেখে আধুনিক অবস্কিউরারটির নাম দেন দাগেরোটাইপ (Daguerreotype)। দাগেরোটাইপের বিশেষত্ব হল এই পদ্ধতিতে ছবিকে একটি সিলভার প্লেটেড কপার পাতের উপর স্থাপন করা হয়। এরপর এটিকে পালিশ করার পর আয়োডিন দ্বারা লেপন করে প্লেটে একটি আলোক সংবেদনশীল পৃষ্ঠ তৈরি করা হয়। এরপর সেই প্লেটটিকে ক্যামেরায় স্থাপন করে কিছু সময়ের জন্য এক্সপোজ করে সিলভার ক্লোরাইডের দ্রবণে ধুয়ে নিলেই ছবি ‍পুরোপুরি প্রস্তুত। এই ১৮৩৯ সালকে মূলত আলোকচিত্রের বষ হিবাবে কাউন্ট করা হয়।

১৮৩৯ সালে বিজ্ঞানী লুইস ও নিপ্সের সন্তান দাগেরোটাইপটি ফরাসি সরকারের কাছে বিক্রি করে দেন। আর এর পদ্ধতি নিয়ে তারা একটি বই লিখেন। এর পরপরই দাগেরোটাইপ ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ নানান দেশে অনেক জনপ্রিয়তা পায়। ১৮৫০ সালের মধ্যে এর জনপ্রিয়তা এত বাড়ে যে, নিউইয়র্কে প্রায় ৭০টি দাগেরোটাইপ এর স্টুডিও তৈরি হয়।
তবে দাগেরোটাইপের কিছু সমস্যা ছিল আর প্রধান সমস্যাটি হচ্ছে এটি থেকে মূল ছবিটির কোন কপি ছবি বানানো যেত না। আর এই সমস্যা সমধানের জন্য গবেষণার কাজ শুরু করেন বিজ্ঞানী উইলিয়াম হেনরি ফক্স টালবোট। তিনি ছিলেন একজন ইংরেজ গণিতবিদ ও বিজ্ঞানী লুইসের সমসাময়িক। তিনিই সর্বপ্রথম নেগেটিভ ছবি আাবষ্কার করেন। তারপর ১৮৪০ সালে তিনি বিজ্ঞানী লুইস দাগের ক্যামেরা দাগেরোটাইপের আধুনিক সংস্করণ ক্যালোটাইপ আবিষ্কার করেন এবং পেটেন্ট লাভ করেন ১৮৪১ সালের দিকে। আর ক্যালোটাইপ আবিষ্কারের ফলে মূল ছবি থেকে কপি ছবি করার সমস্যাটির সমাধান হয়। প্রথমে এই ক্যালোটাইপ থেকে পাওয়া যায় নেগেটিভ কপি। এই নেগেটিভ কপি থেকে কন্ট্যাক্ট প্রিন্ট তৈরি করে ছবির আরেকটি কপি তৈরি করা যেত। আর একে বিজ্ঞানী টালবোট মানে আবিষ্কারকের নামানুসারে অনেকে টালবোটাইপও বলে। গ্রিক শব্দ ক্যালোটাইপের অর্থ সুন্দর ছবি।

কোডাক ব্রাউনি এবং ফটোগ্রাফিক ফিল্মের জন্ম
১৯ শতকের শেষের দিকে ১৮৮০ সালে জর্জ ইস্টম্যান প্রতিষ্ঠা করেন ইস্টম্যান ড্রাই প্লেট এন্ড ফিল্ম কোম্পানি। ইস্টম্যানকেই বলা হয় ফটোগ্রাফিক ফিল্মের আবিষ্কারক। ১৮৮৫ সালে পেপার ফিল্ম আর ১৮৮৯ সালে সেলুলয়েড ফিল্ম উৎপাদন শুরু করেন তিনি। ফটোগ্রাফিক ফিল্ম ব্যবহার করে ১৮৮৮ সালে বাজারে আনেন তার বানানো ক্যামেরা কোডাক। ক্যামেরাটি ছিল অতি সাধারণ আর এটির লেন্সটি ছিল একদম ফিক্সড করা। ১৯০০ সালে তারা আরও একটি ক্যামেরা বাজারে ছাড়ে যার নাম ছিল কোডাক ব্রাউনি। এটি ছিল অনেক বেশি সস্তা আর এই ক্যামেরার মাধ্যমেই স্ন্যাপশটের সূচনা ঘটে। ব্রাউনি অত্যন্ত জনপ্রিয়তা পায় এবং বিপুল পরিমাণে এর বিক্রি হয়।

ফ্ল্যাশলাইট এবং রঙিন ছবি

ক্যামেরা আবিষ্কার হওয়ার পর থেকে সূর্যের আলো ছাড়া ছবি তোলা সম্ভব ছিল না। কারণ তখনও ফ্লাস লাইট বা অতিরিক্ত কোন আলোর ব্যবহার করে ছবি তোলা শুরু হয়নি। যার ফলে অন্ধকারে বা খারাপ আবহাওয়াতে ছবি তোলা একেবারে অসম্ভব ছিল। আর তখনই প্রয়োজন পড়ে কৃত্রিম আলোর প্রয়োজনীয়তা। আর এর ফলাফল মুঠোফোনগুলোর ফ্ল্যাশলাইট পর্যন্ত পৌঁছেছে। ১৯২৫ সালে অস্ট্রিয়ান বিজ্ঞানী পল ভিয়েরকটার ম্যাগনেসিয়ামকে বৈদ্যুতিকভাবে জ্বালান একটি গ্লাস গ্লোবের মধ্যে। সর্বপ্রথম ফ্ল্যাশলাইট বাজারে আসে ১৯৩০ সালে, যেটি তৈরি করেছিল জার্মান কোম্পানি হাউজার। উনিশ শতক থেকেই রঙিন ছবি প্রস্তুত করার চেষ্টা করতে থাকেন বিজ্ঞানীরা, কিন্তু বিশ শতকের আগে তা বাণিজ্যিকভাবে সম্ভব হয়নি।

১৮৬২ সালে দুজন ফরাসি বিজ্ঞানী লুইস ডুকোস ডি হরোন এবং শার্লেক ক্রস বেশকিছু রঙিন ফটোগ্রাফি পদ্ধতি আবিষ্কারের জন্য পেটেন্ট লাভ করেন। প্রথম কালার প্লেট বাজারে আসে ১৯০৭ সালে। কিন্তু ইতিহাসের প্রথম রঙিন ছবিটি ১৮৬১ সালে ফ্রেমে আবদ্ধ করেন স্কটিশ পদার্থবিদ জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল, যিনি বিখ্যাত হয়ে আছেন ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিজম নিয়ে কাজ করার জন্য।

টিএলআর এবং এসএলআর

এ এস এল ক্যামেরা
পরবর্তী ক্যামেরা আবিষ্কারের মাধ্যমে শুরু হয় সিঙ্গেল ল্যান্সের ব্যবহার। এই ক্যামেরাটির মাধ্যমে ছবি তোলার আগে ভিউ ক্যামেরার ফাইন্ডারে দেখা যাচ্ছে। এই ক্যামেরাতে একটি সমস্যা ছিল এতে দুটি ল্যান্স ব্যবহার করতে হতো। একটি ল্যান্স ভিউ ফাইন্ডারের জন্য, অন্যটি ছবি তোলার জন্য। ১৯২৮ সালে ফ্র্যাংক এবং হেইডেক প্রথম টিএলআর তৈরি করেন। আর ১৯৩৩ সালে একটি জার্মান কোম্পানি Ihagee Exakta নামের একটি এস এল আর ক্যামেরা প্রথম বাজারে আনে। এতে ছিল ১২৭টি রোলফিল্ম। ১৯৫২ সালে জাপানের বাজারে আসে আসাহিফ্লেক্স, তৈরি করে অপ্টিকাল আসাহি কোম্পানি, যেটি পরবর্তীতে পেন্ট্যাক্স ক্যামেরা নামে পরিচিতি পায়। এতে ব্যবহার করা হয়েছিল ৩৫ মি.মি. ফিল্ম। এরপর থেকে একে একে এস এল আর ক্যামেরার জগতে প্রবেশ করতে থাকে ক্যানন, ইয়াসিকা, নাইকনের মতো ক্যামেরা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। নাইকন এফ সিরিজ নিয়ে এসএলআর এর বাজারে প্রবেশ করে।

ডিজিটাল এসএলআর ক্যামেরা
ডিজিটাল ক্যামেরা যে আমাদের কাছে কতটা গুরুত্ব পূর্ণ তা নতুন করে বলা কিছু নেই। ইঞ্জিনিয়ার সিটভেন জে স্যাসন সর্বপ্রথম ১৯৭৫ সালে ডিজিটাল ক্যামেরা আবিষ্কার করেন। ডিজিটাল ক্যামেরাটির ওজন ছিল ৪ পাউন্ড (৩.৬ কিলোগ্রাম), এর রেজুলেশন ছিল.০১ মেগাপিক্সেল। সাদা কালো এই ক্যামেরাটির মাধ্যমে প্রায় ২৩ সেকেন্ড রেকর্ড করা যেত। পরে তা ২৩ সেকেন্ড ক্যামেরাতে প্লেব্যাক করার সুযোগ ছিল। ১৯৯০ সালে প্রথম ডিজিটাল ক্যামেরা ডি ওয়াই ক্যাম মডেল ১ বাজারে আসে। তার মূল্য ছিল ৬০০ মার্কিন ডলার। পরে ১৯৯৪ সালে আপ্যল তাদের প্রথম ডিজিটাল ক্যামেরা অ্যাপল কুইক টেক (Apple Quick take) বাজারে আনে। ডিজিটাল ক্যামেরার আজকের বর্তমান যে প্রেক্ষাপট, তার শুরু হয়েছিল ইস্টম্যানের কোডাক কোম্পানির ইঞ্জিনিয়ার স্টিভেন জে স্যাসনের হাত ধরেই। আর এভাবেই আস্তে আজকের যে ডি এস এল আর ক্যামেরা মানুষের হাতের মুঠোয়। তবে আরেকটা বিষয় নিশ্চিত ভাবে বলা যায় ভবিষ্যতের ক্যমেরা হবে আরও অনেক আধুনিক যেখানে থাকবে অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তির ব্যবহার।

Level 0

আমি সৌরভ ধর। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 1 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 4 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস