বেসিক ইলেক্ট্রনিক্স Let’s Learn about electronics form the beginning

ইলেক্ট্রনিক্স প্রজেক্ট বা জটিল কোনো সার্কিট নিয়ে কাজ করার পূর্বে আমাদেরকে ইলেক্ট্রনিক্সের গোড়া বা ভিত্তি মজবুত করতে হবে।

সংক্ষেপে ইলেক্ট্রনিক্স হলো এমন একটি বিষয় যেখানে ইলেক্ট্রন এর উপরে নানা ধরনের কার্যকলাপ ঘটানো হয়। বিভিন্ন কম্পোনেন্ট এর ভিতরে এর প্রবাহের দিক ও মান নিয়ন্ত্রন করা হয়। সাধারনত সেমি কন্ডাক্টর ও অর্ধপরিবাহি পদার্থের তৈরি ডিভাইসগুলি দিয়েই এ কাজ করা হয়। সহকারী হিসেবে কন্ডাক্টরও ব্যবহার হতে পারে।

ইলেক্ট্রনিক্স জগত টা গঠিত হয়েছে এরকম অনেকগুলো কম্পোনেন্টের সমস্বয়ে। এই কম্পোনেন্টসমূহ ছাড়া আমাদের পক্ষে ইলেক্ট্রনিক্স শেখা অসম্ভব। তাই আজকের আলোচ্য বিষয় সেসকল ইলেক্ট্রনিক্স কম্পোনেন্ট --

  1. রোধক বা রেজিস্টার
  2. ধারক বা ক্যাপাসিটর
  3. আবেশক বা ইন্ডাকটর
  4. ডায়োড
  5. ট্রানজিস্টার
  6. ট্রান্সফর্মার
  7. সমাকলিত বর্তনী বা আইসি

এছাড়া লাইট, মটর, সুইচ, প্রাবাহ তার সহ আরো বেশ কিছ অতি পরিচিত ডিভাইস ব্যবহারিত হয়ে থাকে।

এখন আমরা উপরোক্ত কম্পনেন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত তবে সহজ ভাষায় জানবো।

  1. রোধক বা রেজিস্ট্যান্সঃ

    রোধক বা রেজিস্টর (Resistor) তড়িৎ বর্তনীতে (Electric Circuit) ব্যবহৃত, দুই প্রান্ত বিশিষ্ট একপ্রকার যন্ত্রাংশ। এর কাজ হল তড়িৎ প্রবাহকে (Electric Current) রোধ করা বা বাধা দেয়া। তড়িৎ বর্তনীতে থাকা অবস্থায় রোধক তার দুই প্রান্তের মধ্যে বিভব পার্থক্য (Potential Difference) সৃষ্টি করার মাধ্যমে প্রবাহকে বাধা দেয়। অর্থাৎ প্রবাহে বাধাদানকারী ডিভাইসই রোধক।

  2. ধারক বা ক্যাপাসিটর

    ধারক বা ক্যাপাসিটরঃ ক্যাপাসিটর বা ধারক একটি বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ। দুইটি পরিবাহী পাতের মাঝে একটি ডাই-ইলেকট্রিক অপরিবাহী পদার্থ নিয়ে এটি গঠিত। ডাই-ইলেকট্রিক এমন একটি পদার্থ যা বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের প্রভাবে পোলারায়িত হতে পারে। এ পদার্থ হতে পারে বা কাচ, সিরামিক, প্লাস্টিক বা শুধুই বাতাস।

  3. ইন্ডাক্টর বা আবেশক

    ইন্ডাক্টর বা আবেশক বা কয়েল (ইংরেজি: Inductor বা Choke বা Coil) : পরিবাহী তার (wire) পরিবেস্টিত উপাদান যার কেন্দ্রীয় অংশ (core) সাধারনতঃ লৌহ বৈশিষ্ট (ferrous) হয়, কেন্দ্রতে অলৌহ উপাদান (non-ferrous material) বা বায়ু (air) থাকতে পারে। উপাদানটি বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিক বর্তনীতে ব্যবহৃত হয়। এটির মধ্যদিয়ে চলতড়িৎ শক্তি সঞ্চালনে এর চারপাশে তড়িচ্চুম্বকীয় আবেশসৃষ্টি হয় ও ফলে বিদ্যুৎশক্তি বাধাপ্রাপ্ত (inductive reactance) হয়। আবেশককে চুম্বকীয় বর্তনীর রোধ হিসেবে ধরা যায়।

  4. ডায়োড

    ডায়োড (ইংরেজি: Diode): একটি দুই প্রান্ত বিশিষ্ট ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রাংশ যা বর্তনীতে কেবল মাত্র একদিকে তড়িৎপ্রবাহ হতে দেয়। এছাড়াও বৈদ্যুতিক উপায়ে ধারকত্ব নিয়ন্ত্রন (ভ্যারিক্যাপ) এবং বিকিরণ, নিঃসরণ ও কম্পন সংবেদী ইলেকট্রনিক সুইচ তৈরিতে ডায়োড ব্যবহৃত হয়। তড়িৎশক্তির আকর্ষণীয় উৎস সৌর কোষও মূলত এক ধরনের আলোক-সংবেদী ডায়োড।

    ডায়োড মূলত একটি নির্দিষ্ট দিকের তড়িৎ প্রবাহকে সহায়তা করে এবং তার বিপরীত দিকের তড়িৎ প্রবাহকে বাধা প্রদান করে। এই ধরনের একদিকে প্রবাহিত করার প্রবণতাকে রেকটিফিকেশন বলা হয়ে থাকে যা এসি কারেন্ট থেকে ডিসি কারেন্টে তৈরি এবং রেডিও সংকেতের মর্মোদ্ধারের প্রথম ধাপ।

  5. ট্রানজিস্টর

    ট্রানজিস্টর (Transistor): একটি অর্ধপরিবাহী কৌশল যা সাধারণত অ্যামপ্লিফায়ার এবং বৈদ্যুতিকভাবে নিয়ন্ত্রিত সুইচ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কম্পিউটার, সেলুলার ফোন এবং অন্য সকল আধুনিক ইলেকট্রনিক্সের মূল গাঠনিক উপাদান হিসেবে ট্রানজিস্টর ব্যবহার করা হয়। দ্রুত সাড়া প্রদানের ক্ষমতা এবং সঠিক সম্পূর্ণ সঠিকভাবে কার্য সাধনের ক্ষমতার কারণে এটি আধুনিক ডিজাটালবা অ্যানালগ যন্ত্রপাতি তৈরীতে বহুল ব্যবহৃত হচ্ছে। নির্দিষ্ট ব্যবহারগুলোর মধ্যে রয়েছে ইলেকট্রনিক অ্যামপ্লিফায়ার, সুইচ, ভোল্টেজ নিয়ন্ত্রক, সংকেত উপযোজন এবং ওসিলেটর। আলাদা আলাদাভাবে ট্রানজিস্টর তৈরি করা যায়। আবার সমন্বিত বর্তনীরঅভ্যন্তরে একটি অতি ক্ষুদ্র স্থানে কয়েক মিলিয়ন পর্যন্ত ট্রানজিস্টর সংযুক্ত করা যায়।

  6. ট্রান্সফর্মার

    ট্রান্সফরমার বা ট্রান্সফর্মার একটি গতিহীন নিশ্চল বৈদ্যুতিক যন্ত্র (কোনো গতিশীল যন্ত্রাংশ নাই) যা বিদ্যুৎ শক্তিকে একটি বৈদ্যুতিক বর্তনী থেকে অপর একটি বৈদ্যুতিক বর্তনীতে একই কম্পাংকে স্থানান্তর করে। এ.সি. (Alternating Current) ব্যবস্থায় কম ভোল্টেজকে বেশি ভোল্টেজে বা বেশি ভোল্টেজকে কম ভোল্টেজে রূপান্তর করার জন্য ট্রান্সফর্মার ব্যবহৃত হয়। কম থেকে বেশি ভোল্টেজে রূপান্তরের জন্য ব্যবহৃত ট্রান্সফর্মারকে "স্টেপ-আপ ট্রান্সফর্মার" বা "উচ্চধাপী ট্রান্সফর্মার" এবং বেশি থেকে কম ভোল্টেজে রূপান্তরের জন্য ব্যবহৃত ট্রান্সফর্মারকে "স্টেপ-ডাউন ট্রান্সফরমার" বা "নিম্নধাপী ট্রান্সফর্মার" বলা হয়।

  7. সমাকলিত বর্তনী/ সমন্বিত বর্তনী /আইসি

    একটি সমন্বিত বর্তনী (ইংরেজি: Integrated circuit ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট):  অর্ধপরিবাহী(semi conductor) উপাদানের উপরে নির্মিত অত্যন্ত ক্ষুদ্র ইলেকট্রনিক বর্তনী। এটি মাইক্রোচিপ, সিলিকন চিপ, সিলিকন চিলতে, আইসি (IC, অর্থাৎ Integrated Circuit-এর সংক্ষিপ্ত রূপ) বা কম্পিউটার চিপ নামেও পরিচিত।

    সমন্বিত বর্তনী মনোলিথিক বা এক-ঔপাদানিক এবং হাইব্রিড বা সংকর হতে পারে। একটি হাইব্রিড আইসি হল সার্কিট বোর্ডের উপরে ভিন্ন ভিন্ন অর্ধপরিবাহী বস্তু ও প্যাসিভ উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত ক্ষুদ্র ইলেক্ট্রনিক সার্কিট।

বেসিক কম্পনেন্টস সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে.

Level 0

আমি নিশাত মাহমুদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর 8 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 12 টি টিউন ও 1 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস