দীর্ঘ জল্পনা কল্পনার পর শেষ হলো RMA RoboRace 2013 । ৩০ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া প্রতিযোগিতাটি শেষ হয় ২ মে । RMA RoboRace 2013 কে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বসেছিলো সমগ্র বাংলাদেশের রোবটিক্স প্রেমী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা। প্রতিযোগিতার আয়োজনে ছিলো চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবো মেকাট্রনিক্স অ্যাসোসিয়েশন (RMA)। প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি (BUBT)বিশ্ববিদ্যালয়ের “সাইবারট্রন” দলটি। প্রথম ও দ্বিতীয় রানার আপ যথাক্রমে আয়োযোক চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(CUET) এর “ইইভিএ” এবং ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (DUET) এর “ডুয়েট হারবিনজারস্”।
প্রতিযোগিতাটিতে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশের প্রায় ১৬ টি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৭ টি টিম রেজিস্ট্রেশন করে। বেশ কয়েকবার তারিখ পেছানোর পর গত ৩০ এপ্রিল সন্ধায় পর্দা ওঠে RMA RoboRace এর ২য় আসরের।
এক নজরে দেখে নেয়া যাক RMA RoboRace 2013 এর Demo ভিডিওটি।
৩০ এপ্রিল সন্ধা ৬:০০ বাজে। চুয়েটের RoboRace Ground এ চলছে এক অন্যরকম উৎসবের আয়োজন। না, এটা কোন সাংস্কৃতিক বা ধর্মীয় উৎসব নয়, তারপরও ছিলো উৎসব মুখোর পরিবেশ। ততক্ষণে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ টি টিম RMA RoboRace 2013 তে অংশ গ্রহণের জন্য চলে এসেছে। প্রতিটা টিমই নিজেদের মেধা, প্রযুক্তিগত জ্ঞান আর পরিশ্রমের মাধ্যমে তৈরি করেছে নিজেদের রোবট। এদিকে RoboRace Ground এর চতুর্দিকে শতশত উৎসুক শিক্ষার্থী, মিডিয়া কর্মী আর প্রযুক্তিপ্রেমীদের ঢল নেমেছে। সবাই প্রস্তুত, মাইকে ঘোষনা এলো প্রথম RMA RoboRace 2013-14 এর শুভ উদ্বোধনের। সবাই করতালি দিয়ে অভিনন্দন জানালো। এর পর শুরু হলো প্রতিযোগিতা। প্রথমেই নাম এলো রুয়েট ম্যাক্রোস আর ডুয়েট হারবিনজারস্ এর। উভয় দলই তাদের রোবট নিয়ে প্রস্তুত। শুরু হলো রেস, সবাই বেশ উপভোগ করছিলো, একে একে ডুয়েট হারবিনজারস্ টিমের রোবটটি ৩০ পয়েন্ট অর্জন করে ফেলেছে, রুয়েট ম্যাক্রোসও বেশ ভালোই এগিয়ে চলেছে। সবাই করতালির মাধ্যমে, এবং চিৎকার করে রেসটি উপভোগ করছে।
এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে টেনশন, উৎকন্ঠা করণ, রুয়েট ম্যাক্রোসের রোবটটি তার ট্রাক ছেড়ে বেরিয়ে এসে ঘুরতে শুরু করেছে, ততক্ষণে ডুয়েট হারবিনজারস্ এর রোবটটি মাথা উচু করে এগিয়ে চলেছে ট্রাকের মাঝে থাকা ব্রিজটি অতিক্রম করতে। হটাৎ সবাইকে হতবাক করে দিয়ে রোবটটি ব্রিজের উপর থেকে পরে গেল। এভাবেই বিভিন্ন নাটকীয় ঘটনার মধ্যদিয়ে শেষ হলো ১৬ দলের রোবটের প্রদর্শনী। হিট রাউন্ডের খেলা শেষে সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট CUET এর ঘরের টিম “ইইভিএ” এর।
১৬ টি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৭ টি টিম রেজিস্ট্রেশন করলেও RMA RoboRace 2013 তে অংশ গ্রহণ করে মোট ১৬ টি দল। তাই হিট রাউন্ডটি হয়ে পরে আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। প্রত্যেকটি দলই পরবর্তী নক-আউট রাউন্ডের জন্য নির্বাচিত হয়। সারারাত ধরে প্রতিটি টিম তাদের রোবটকে নক-আউট রাউন্ডের জন্য প্রস্তুত করতে কাজ করেন। কেউ সোল্ডারিং আইরন দিয়ে সার্কিট তৈরি করছে, কেউ ব্যস্ত স্ট্রাকচার মেরামত করতে, কেউ প্রোগ্রাম পরিবর্তন করে রোবটের কার্যক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। এ যেন অন্য রকম এক রাত, অনেকেই কাজের ফাঁকে ফাঁকে গান গাচ্ছেন, মজা করছেন, প্রয়োজনে একে অন্যকে প্রয়োজনীয় উপকরণ দিয়ে সহযোগিতা করছেন। চুয়েটের বেশ কয়েক জন প্রাক্তন বড়ভাই এসে সকল টিমের খোঁজ খবর নিলেন, সবাইকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিলেন।
পরদিন ১ মে দুপুর ৩ টার পরে শুরু হলো নক-আউট রাউন্ডের প্রতিযোগিতা। বেশির ভাগ টিমের জন্যই নক-আউট রাউন্ড বেশ হতাশা ব্যঞ্জক ছিলো। প্রতিযোগিতাটি দিনের বেলায় হওয়ায়, বেশিরভাগ রোবটের সেন্সরগুলো সূর্যের আলোতে ঠিকমতো কাজ করছিলো না। অনেক গুলো টিম তাদের প্রতিপক্ষ অনুপস্থিত থাকায় সরাসরি কোয়ার্টার ফাইনালে চলে যায়।একটা দুইটা রোবট বাদে প্রায় সবগুলো রোবটা ঠিকমতো কাজ করছিলো না। এরই মাঝে শেষের দিকে চমক দেখায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি (BUBT)বিশ্ববিদ্যালয়ের “সাইবারট্রন” দলটি। তাদের রোবট ২ মিনিট ৪৪ সেকেন্ডে রেস সম্পন্ন করে পূর্ণ ২০০ পয়েন্ট অর্জন করে। ১৬ টি টিম থেকে নক-আউট রাউন্ড শেষে মোট ৮ টি দল মনোনীত হয় কোয়ার্টার ফাইনালের জন্য।
২ মে RMA RoboRace 2013 এর শেষ দিনে অনুষ্ঠিত হয় কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমি ফাইনাল এবং ফাইনাল রাউন্ডের প্রতিযোগিতা। ডুয়েট হারবিনজারস্ টিমকে কেন্দ্র করে শেষ দিনে নাটকীয় মূহর্তগুলো জমজমাট হয়ে ওঠে।
হিট রাউন্ডে প্রথম অংশ গ্রহণকারী দুটি দল রুয়েট ম্যাক্রোস এবং ডুয়েট হারবিনজারস্ আবার মুখোমুখি হয় কোয়ার্টার ফাইনালে। ডুয়েট হারবিনজারস্ ১৪০ পয়েন্ট নিয়ে সেমি ফাইনালে পৌছেঁ যাওয়ায় রুয়েট ম্যাক্রোসকে কোয়ার্টার ফাইনালেই থামতে হয়। রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই দলটি হিট রাইন্ড এবং নক-আউট রাউন্ডে ভালো করলেও কোয়ার্টার ফাইনালেই তাদের বিদায় নিতে হয়। নক-আউট রাউন্ডে ৭ নম্বরে থাকা ডুয়েট হারবিনজারস্ এর এই প্রদর্শনী সবাই প্রানভরে উপভোগ করে। এর পর “চুয়েট ইইভিএ” তাদের প্রতিপক্ষ না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় সেমিফাইনালে পৌঁছে যায়। এরপর বিইউবিটি সাইবারট্রন দলটি চুয়েট ড্রিম থিয়েটার দলের সাথে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় এবং সেমিফাইনালে পৌঁছায়। সেমিফাইনালের শেষ প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয় “উৎসুক চুয়েট” এবং “সাইকো এস 5 চুয়েট” এর মধ্যে । তখনো তাদের রোবট সঠিকভাবে কাজ করছিলো না । শেষ পর্যন্ত “সাইকো এস 5 চুয়েট” সেমি ফাইনালে পৌঁছায়। ডুয়েট হারবিনজারস্ এবং "চুয়েট ইইভিএ" উভয়ের পয়েন্ট ১৪০ হলেও বিচারক মন্ডলীর রায়ে "চুয়েট ইইভিএ" কে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম এবং ডুয়েট হারবিনজারস্কে ২য় ঘোষণা করা হয়।
সেমি ফাইনালের প্রথম রেসটি ছিলো প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ প্রতিদ্বন্দীতা পূর্ণ এবং নাটকীয় একটা রেস। ইতোমধ্যেই সবাই বুঝে নিয়েছিলো যে রেস সম্পূর্ণ করার মতো সামর্থ ডুয়েট হারবিনজারস্ এবং বিইউবিটি সাইবারট্রন দলের উভয় রোবটেরই রয়েছে। সবাই উৎসাহিত করছে এবং অপেক্ষায় আছে হাই ভোল্টেজ ম্যাচটি দেখার জন্য। শুরু হলো রেস। সফলতার সাথে সকল বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে চলেছে দুই দলের রোবট। ডুয়েট হারবিনজারস্ এর রোবটটি যখন অবজেক্ট গ্রিপ করে রেসের এন্ডিং পয়েন্টে রাখা বাক্সের কাছে পৌছে গেছে তখন সময় অতিক্রান্ত হয়েছে ২ মিনিট ৩০ সেকেন্ড, অন্যদিকে বিইউবিটি সাইবারট্রন দলের রোবটটি অনেকটাই পেছনে। দর্শক, সমর্থক, প্রতিযোগী সবাই ধরেই নিয়েছে যে ডুয়েট হারবিনজারস্ ফাইনালে পৌঁছে গেছে। কিন্তু সবাইকে হতাশ করে রোবটটি অবজেক্টটি ফেললো বাক্সের কর্ণারে, এবং অবজেক্টটি গড়িয়ে বাইরে পরে গেল। এরই সাথে শেষ হয়ে গেলো ডুয়েট হারবিনজারস্ এর ফাইনালে পৌঁছানোর স্বপ্ন। ততক্ষণে বিইউবিটি সাইবারট্রন দলের রোবটটি ২ মিনিট ৩৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে রেস সম্পূর্ণ করে পৌঁছে যায় ফাইনালে।
দর্শকদের অনেকের মতামত সেমি ফাইনালের এই প্রথম প্রতিযোগিতাটি ছিলো RMA RoboRace 2013 এর সবচেয়ে সেরা আকর্ষণ।
এর পর “চুয়েট ইইইভিএ” প্রতিযোগিতা করে “সাইকো এস 5 চুয়েট” এর সাথে। সাইকো এস 5 চুয়েট এর রোবটটি তখনো অসম্পূর্ণ ছিলো, কারণ তাদের রোবটে অবজেক্ট গ্রিপ করার মতো কোন টেকনোলজি ছিলো না। তাই "চুয়েট ইইভিএ " খুব সহজেই সেমি ফাইনাল থেকে ফাইনালে পৌঁছে যায়।
RMA RoboRace 2013 এর ফাইনালটি সেমিফাইনালের ম্যাচটির মত এতবেশি প্রতিদ্বন্দীতা পূর্ণ ছিলোনা, তারপরেও বিইউবিটি সাইবারট্রন টিমের প্রদর্শনী সবাইকে মুগ্ধ করেছে। ফাইনালে বিইউবিটি সাইবারট্রন টিমের রোবট ২ মিনিট ১৬ সেকেন্ড সময় নিয়ে রেস সম্পূর্ণ করে পরাজিত করে “চুয়েট ইইভিএ” টিমের রোবটকে। দিন শেষে চ্যাম্পিয়ন “বিইউবিটি সাইবারট্রন” আর রানার্স-আপ “চুয়েট ইইভিএ” । দর্শক, সমর্থক, শিক্ষক মন্ডলী, মিডিয়া কর্মী সবাই সেরা এই দুটি দলকে অভিনন্দন জানায়। “বিইউবিটি সাইবারট্রন” এবং “চুয়েট ইইভিএ” উভয় দলের সদস্যরাও প্রতিযোগিতায় তাদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে পেরে খুঁশি।
মেয়েরাও যে রোবটিক্সে পিছিয়ে নেই তার একটা বাস্তব উদাহরণ টিম "চুয়েট ইইভিএ " । প্রথম দিন থেকেই দারুন পারফর্ম করে সকলের মনে স্থান করে নিয়েছিলো "চুয়েট ইইভিএ "।
৩য় স্থান নির্ধারণী ম্যাচকে কেন্দ্র করে নাটক জমে ওঠে, “ডুয়েট হারবিনজারস্” ইতোমধ্যেই মাঠ থেকে তাদের রোবট সরিয়ে নিয়েছে। তারা আর ৩য় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে অংশ গ্রহণ করতে আগ্রহী নয়। দর্শক সমর্থক আর প্রযুক্তি প্রেমিদের অনুরোধে শেষ মূহর্তে “ডুয়েট হারবিনজারস্” তাদের রোবট নিয়ে মাঠে ফিরে এলে, সবাই করতালি দিয়ে তাদের অভিনন্দন জানায় । সবাই অরো একটা ভালো রেস দেখার জন্য প্রস্তুত। সবাইকে অবাক করে দিয়ে “ডুয়েট হারবিনজারস্” এর রোবট সফলভাবে রেস সম্পূর্ণ করে মাত্র ২ মিনিট ৬ সেকেন্ডে। যেটা ছিলো RMA RoboRace 2013 এর সবচেয়ে সেরা রেকোর্ড পারফরম্যান্স । ডুয়েট হারবিনজারস্ আরো একবার তাদের দক্ষতার প্রমাণ করলো। দর্শক, সমর্থক, শিক্ষক মন্ডলী, মিডিয়া কর্মী সবাই তাদের এই সেরা পারফরম্যান্সকে করতালির মাধ্যমে অভিনন্দিত করেন।
ডুয়েট হারবিনজারস্ দুর্ভাগ্যক্রমে ফাইনালে অংশ গ্রহণ করতে না পারলেও তাদের টেকনোলজির দক্ষতা আর সৃজনশীলতার প্রদর্শনী দর্শকদের হৃদয় জয় করে নিতে সক্ষম হয়েছে। এই প্রাপ্তি প্রতিযোগিতায় প্রথম হওয়ার থেকে কোন অংশে কম নয়। প্রতিযোগিতায় নিয়মের বেড়াজালে পরে, অনেক সময়ই দক্ষতার মূল্যায়ন সঠিকভাবে করা সম্ভব হয় না। কিন্তু নান্দনিকতা, সৃজনশীলতা, পরিশ্রম আর দক্ষতার জয় সব সময়ই হয়। RMA RoboRace 2013 এ এসে ডুয়েট হারবিনজারস্ সেটাই প্রমান করেছে।
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি (BUBT)বিশ্ববিদ্যালয়ের “সাইবারট্রন” দলটির সদস্যরা হলেন সালসেং মরং, আবু সায়েম মোহাম্মদ, মীর মাজেদুর রহমান, দীপক কুমার বর্মণ ও রিয়াদুল ইসলাম।
প্রথম রানার আপ আয়োযোক চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(CUET) এর “ইইভিএ” দলটির সদস্যরা হলেন Nadia Tabassum, Rebeka Sultana ,Afsana Rahman, Fatema Choudhury এবং Afrida Alam ।
দ্বিতীয় রানার আপ ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (DUET) এর “ডুয়েট হারবিনজারস্” সদস্যরা হলেন রূপায়ন হালদার, মিজানুর রহমান,অসীম কুমার পাল, শরিফুল ইসলাম এবং হাবিবুর রহমান।
আমি অসীম কুমার পাল। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 15 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 147 টি টিউন ও 469 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 17 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি অসীম কুমার পাল। ইলেকট্রনিক্স এবং ওয়েব ডিজাইনকে অন্তরে ধারণ করে পথ চলতেছি। স্বপ্ন দেখি এই পৃথিবীর বুকে একটা সুখের স্বর্গ রচনা করার। নিজেকে একজন অতি সাধারণ কিন্তু সুখী মানুষ ভাবতে পছন্দ করি।
চমৎকার একটি টিউনের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। বাংলাদেশে বাচ্চাদের জন্য এরকম একটা প্রতিযোগিতা করলে ভাল হতো। তবে টেকটিউন্সে ভাল টিউনের কদর নেই। এ পর্যন্ত মাত্র ১ জন প্রিয়তে নিয়েছে আর ১৯৫ বার দেখা হয়েছে। ফ্রি ইন্টারনেট নিয়ে একটা পোস্ট দিলে এতক্ষনে নির্বাচিত হয়ে যেত। ভাল একটি পোস্টের জন্য আপনাকে অসম্ভব ধন্যবাদ।