আন্তর্জাতিক ভাষা হওয়ার সুবাদে ইংরেজি রগুরুত্ব অনস্বীকার্য। কিন্তু বিদেশি ভাষা হওয়ার কারণে এটি অনেকের কাছেই আতঙ্কের কারণ। অনেক মেধাবী ছাত্রকেও দেখা যায় গণিতসহ নানা জটিল বিষয়ে পারদর্শী হয়েও ইংরেজি আতঙ্কে ভুগতে। এর প্রধান কারণ উপযুক্ত পদ্ধতিতে ইংরেজি না শেখা।
যেহেতু ভাল কাজ পাওয়াসহ নানা কারণে ইংরেজি তে পারদর্শী হওয়ার গুরুত্ব খুব বেশি, তাই শিক্ষিতদের কাছে এই দক্ষতা অর্জনের স্বপ্ন সার্বজনীন।
উপযুক্ত পদ্ধতি বা কৌশল যেকোনো দক্ষতা অর্জনের পথকে সুগম করে। ইংরেজি তে দক্ষতা অর্জনের ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য। ইংরেজি তে যথাযথ দক্ষতা অর্জনে অভিজ্ঞতা ও গবেষণালব্ধ এমন কিছু কৌশল হচ্ছে-
১। চিন্তাতে সংযোগ ঘটাতে হবে ইংরেজি র:
চিন্তা হলো কর্মের উৎসস্থল। তাই কোনোকিছুকে যদি চিন্তাতে ঠাঁই দিতে পারা যায় সেভাবে, সেটাতে দক্ষ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় বহুগুণ। ইংরেজি শেখার ক্ষেত্রেও কথাটা সমভাবে প্রযোজ্য। চিন্তার প্রাথমিক সৃষ্টি মাতৃভাষাতে হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে এই সৃষ্ট চিন্তাকে ইংরেজি তে রূপদানের চর্চা করতে হবে। যেমন, আপনার ভাবনায় আসলো, 'আমি আজ নদীতে মাছ ধরতে যাবো'৷ আপনি সাথে সাথে ভাবুন, এই কথাটার ইংরেজি কী হতে পারে? এটির ইংরেজি আপনার না জানা থাকলে জেনে নিন কোনো মাধ্যম থেকে। আর এখন এই অনলাইনের যুগে শেখার মাধ্যমতো আপনার হাতের মুঠোয়!
এভাবে আপনার চিন্তা-প্রসূত কথাগুলোর ইংরেজি করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। আর এই অভ্যাস এক পর্যায়ে আপনাকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে, যখন আপনার চিন্তার সৃষ্টিও হতে পারে ইংরেজি তে।
২। ইংরেজি পেপার/ম্যাগাজিন পড়ুন: এর ফলে বর্তমানে প্রচলিত ওয়ার্ড/ফ্রেজ ও সেন্টেন্স প্যাটার্নের সাথে আপনি আপডেট থাকার সুযোগ পাবেন।
৩। ইংরেজি শোনার অভ্যাস করুন: এতে আপনার লিসেনিং পাওয়ার ইম্প্রুভ হবে। ইংরেজি তে বিভিন্ন খবর শোনা বা অন্যান্য অডিও/ভিডিও উপভোগ করা চর্চায় রাখুন।
৩। গ্রামারকে রাখুন আয়না হিসেবে: আপনি যখন কাজে বের হন বা কাজ শেষ করে ফেরেন, তখন আয়নাতে নিজেকে দেখেন। একজন কাজের মানুষ কিন্তু সবসময়ই আয়না নিয়ে ব্যস্ত থাকেননা।
ইংরেজি চর্চার ক্ষেত্রেও গ্রামারকে সেভাবে ব্যবহার করুন। আপনার চর্চিত বিষয়গুলো মাঝেমধ্যে গ্রামারের আয়নায় দেখে নিন এবং সে আলোকে ভুলগুলো শুধরান। কিন্তু সবসময়ই যদি আপনি গ্রামার নিয়ে তটস্থ থাকেন, তাহলে ফ্লুয়েন্সি আপনার আসবেনা। তাই অভ্যাস করুন ফ্লুয়েন্সির আর গ্রামারের আয়নায় মাঝেমধ্যে পরখ করুন আপনার ফ্লুয়েন্সির শুদ্ধতার স্বরূপ।
৪। ইংরেজি গান-গল্প-কবিতা: গান, গল্প ও কবিতা উপভোগের বিষয়। এসব উপভোগের বিষয়গুলো যদি আপনি ইংরেজি তে নিয়ে আসতে পারেন, তবে তা আপনার দক্ষতা অর্জনের পথকে আরও মসৃণ করে দেবে। প্রথম প্রথম আপনি সে স্বাদ না পেলেও একসময় তা পেয়ে যাবেন নিশ্চিত।
৫। যেকোন শব্দের অন্যান্য রূপ সম্পর্কে জানা:
যেকোন শব্দের বেশকিছু রূপ থাকে। এবং একই শব্দের অনেক রকম ব্যবহার হতে পারে। খুব সহজ কোন উদাহরণ যদি দেই, ইংরেজি “get” শব্দের মানে পাওয়াও হতে পারে। আবার বুঝতে পারা অর্থেও এটা ব্যবহার করা হয়। এরকম বেশ কিছু শব্দ আছে, যার অনেক রকম মানে দাঁড়ায়। শুধু তাই না, একই শব্দ বাক্যভেদে ভিন্ন অর্থ বহন করে।
তাই, শব্দের এই ভিন্ন ভিন্ন রূপ জানতে হবে। এবং সেইসাথে ব্যবহারও করতে হবে।
৬। শব্দের সাথে Phrase শেখা: ইংরেজি তে দক্ষ হতে শব্দের পাশাপাশি ফ্রেজেও সমৃদ্ধ হওয়া জরুরি। ইংরেজি যাদের ফার্স্ট ল্যাংগুয়েজ তাদের সাথে অন্যদের পার্থক্য শুধু ফ্লুয়েন্সিতে না। বরং শব্দচয়ন এবং কথার ধরনেও। তাই এই পার্থক্য কমিয়ে আনতে আমাদের শব্দের পাশাপাশি ফ্রেজের ব্যবহারও করতে হবে যথাযথ।
যেমন, আমরা হয়তো কেউ কেমন আছে জানতে চাইব, “How are you” বলে। সেই একই কথা একজন স্থানীয় হয়তো জানতে চাইবে “What’s up” বলে।
তাই, শুধু শব্দ নয়, পাশাপাশি Phrase বা Expression শেখার গুরুত্বও খুব বেশি।
৭। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলা: এ পদ্ধতিটি কনফিডেন্স ও সঠিক বডিল্যাঙ্গুয়েজ শেখার উত্তম উপায়। কোন বডিল্যাঙ্গুয়েজ তুলনামূলক বেশি দৃষ্টিনন্দন, তা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চর্চা করলে নিজেই বোঝা যায়। আর এই বোধ বাড়িয়ে দেয় আপনার কনফিডেন্স লেভেল, যা আপনার দক্ষতা অর্জনের পূর্বশর্ত।
আশা করা যায়, এই পদ্ধতিসমূহ অবলম্বন করে যেকেউ হয়ে উঠতে পারে ইংরেজি তে দক্ষ ও আত্মবিশ্বাসী।
আমি মোঃ ইফরান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 2 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 2 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।