বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য পড়ার কোন বিকল্প নেই। বিসিএস এর জন্য আপনাকে পড়তে হবে জানতে হবে। সব মাধ্যম থেকে জ্ঞান আরোহন করতে হবে। সাম্প্রতিক বিষইয়ে জ্ঞান অর্জনের জন্য পত্রিকা ও কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সই ভালো।
বাংলাঃ বাংলার প্রস্তুতির জন্য মূলত চর্যাপদ, শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য, বিভিন্ন মঙ্গলকাব্য, রোমান্টিক কাব্য, নজরুল, রবীন্দ্রনাথ, মধুসূদন, বঙ্কিম, বিদ্যাসাগর, মীর মশাররফ, বেগম রোকেয়া, দীনবন্ধু, জসীমউদ্দীন, কায়কোবাদ, ফররুখ আহমেদ, মুনীর চৌধুরী, জহির রায়হান, শহীদুল্লা কায়সার, ওয়ালীউল্লাহ, শরৎচন্দ্র, শামসুর রাহমান, নির্মলেন্দু গুণ সুফিয়া কামাল সহ আধুনিক ও সমসাময়িক কবি-সাহিত্যিকদের জন্ম-মৃত্যু, উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম, বিভিন্ন পুরস্কার লাভ ইত্যাদি বিষয়ে গভীর জ্ঞান থাকতে হবে। এ ছাড়া ব্যাকারনের বিভিন্ন প্রকার শব্দ, ধ্বনি, বর্ণ, সন্ধি, ণ-ত্ব বিধান, ষ-ত্ব বিধান, পদপ্রকরণ, বাক্যসংকোচন, অশুদ্ধি সংশোধন, বানানরীতি—এসব বিষয়ে সম্যক জ্ঞান থাকলে বাংলা অংশে ভালো নম্বর পাওয়া যাবে।
ইংরেজি: ইংরেজিতে ভালো করার জন্য Tense, Voice, Narration, Right from of verb, Preposition, Antonym, Synonym, Analogy, Transformation of sentences. Correction of Sentence, Phrases and Idioms, Spelling ইত্যাদি বিষয়ে ভালো প্রস্তুতি নিতে হবে। এ ছাড়া বিশ্বসাহিত্যের উল্লেখযোগ্য কবি, নাট্যকার ও সাহিত্যিকদের প্রধান সাহিত্যকর্ম সম্পর্কে জানতে হবে।
গণিত: গণিতের জন্য গড়, অনুপাত-সমানুপাত, ঐকিক নিয়ম, সরল-সুদকষা, লাভ-ক্ষতি, পরিমাপ, বীজগণিতের সাধারণ সূত্রাবলি, মাননির্ণয়, উৎপাদক, সূচক, সাধারণ জ্যামিতি—এসব বিষয়েই প্রশ্ন করা হয়। মাধ্যমিক পর্যায়ের গণিত চর্চা করলে সহজেই এসব সমস্যার সমাধান সম্ভব।
বিজ্ঞান: বিজ্ঞানের পস্তুতির জন্য চুম্বক ও চুম্বকের ধর্ম, নিউটনের সূত্রাবলি, আলোর প্রতিফলন, প্রতিসরণ, উদ্ভিদ বিজ্ঞান ও প্রাণি বিজ্ঞানের সাধারণ বিষয়াবলি, প্রচলিত কিছু রোগব্যাধি যেমন: ক্যানসার, এইডস, হেপাটাইটিস, বিভিন্ন প্রকার ভিটামিনের উৎস ও অভাব জনিত রোগ, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তির মৌলিক ধারণা—এসব বিষয়ে জানতে হবে। ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণীর পর্যন্ত সাধারণ বিজ্ঞানের বই অধ্যয়ন করলে বিজ্ঞানে ভালো নম্বর পাওয়া যাবে।
সাধারণ জ্ঞান: সাধারন জ্ঞানের পরিধি ব্যাপক। তারপও সাধারন জ্ঞানের বিভাগকে দুটি অংশে ভাগ করতে পারেন (বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক)। সাধারন জ্ঞানের বাংলাদেশে অংশের পস্তুতি জন্য আপনি বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান, নদী, খাল, বিল, বন, পাহাড়, প্রাকৃতিক সম্পদ, প্রাচীন বাংলার ইতিহাস, সুলতানি ও মোগল আমলের ইতিহাস, ভাষা আন্দোলন, ’৫৪-এর নির্বাচন, ৬ দফা, ’৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান, ’৭০-এর নির্বাচন এবং মুক্তিযুদ্ধ, বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় খেতাব, সংবিধান এসব বিষয়ে পূর্নাঙ্গ ধারনা নিতে হবে ভাল করার জন্য। আর আন্তর্জাতিক অংশের জন্য বিশ্বের নানা প্রান্তের ভৌগোলিক অবস্থান, চুক্তি, সনদ, যুদ্ধবিগ্রহ, জাতিসংঘসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংগঠন, বিভিন্ন দেশের মুদ্রা, রাজধানী, ভাষা, পূর্ব নাম, জাতীয় প্রতীক ও সংসদের নাম, সরকার-ব্যবস্থা, আন্তর্জাতিক সীমারেখা, বিশ্বের উল্লেখযোগ্য নদনদী, পাহাড়-পর্বত, খনি, নানা ক্ষেত্রে আলোচিত-সমালোচিত ব্যক্তিত্ব এবং সমসাময়িক নানা প্রসঙ্গের ধারনা নিতে হবে।
উপরে আলোচিত বিষয়গুলো পড়াশুনা করে আপনি আপনার জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে পারেন বিসিএস বা ভর্তি পরীক্ষার জন্য। তবে সব কিছু জানার পরও বিসিএস বা ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করার জন্য আরেকটা চ্যালেঞ্জ থেকে যায় সেটা হল confusing পশ্নের উত্তর। এই confusing পশ্নের উত্তরের জন্য আমরা অনেক সময় জানা প্রশ্নের ভূল উত্তর দিয়ে আসি। আর এ থেকে পরিত্রানের উপায় বার বার পরীক্ষা দেওয়া। বার বার পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আপনি অনলাইনে Mcq Exam এ যেকোন সময়ে সাধারন জ্ঞানের উপর পরীক্ষা দিতে পারেন।
আমি বৃষ্টি ইসলাম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 2 টি টিউন ও 2 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
ভাই ভার্সিটি এডমিশন নিয়ে একটা টিউন হলে ভালো হতো ^_^