এইচএসসি পরীক্ষায় ফলাফল বিপর্যয়! মুষড়ে পড়া ছাত্র-ছাত্রীদের করণীয়।

Level 7
সুপ্রিম টিউনার, টেকটিউনস, ঢাকা
————————–— بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ ————————–—

সুপ্রিয় টেকটিউনস কমিউনিটি, সবাইকে আমার আন্তরিক সালাম এবং শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি এইচএসসি পরীক্ষায় ফলাফল বিপর্যয় এবং মুষড়ে পড়া ছাত্র-ছাত্রীদের করণীয় শীর্ষক আমার আজকের টিউন।

গতকাল বের হয়েছে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল। প্রতি বছর যেখানে ফলাফল বের হলে আনন্দের একটা বন্যা বয়ে যায় এবার সেরকমটা হচ্ছে না। কারন অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী ফলাফল পায়নি। এইচএসসি পরীক্ষার জন্য যদিও এটা খুব বেশি ব্যতিক্রমি ঘটনা না। কারন যারা এসএসসিতে অনেক ভালো করে তাদের অনেকেই মুই কি হনুরে টাইপ মনোভাবের জন্য এইচএসসিতে ডাব্বা মারে। যাহোক, সব কিছুর উর্ধ্বেও এবারের চিত্রটাকে একটু ভিন্ন ভাবেই দেখতে হবে। যদিও রাজনীতিক অনেক মতভেদ এখনই তৈরী হয়ে গেছে দেশের দুই প্রভাবশালী দলের মধ্যে। কিন্তু রাজনীনিক বিতর্ক যেখানেই শেষ হোক না কেন ফলাফল কিন্তু অরাজনৈতিক ছাত্র-ছাত্রীদের উপরই পড়েছে। আমরা সব সময় বলি পরীক্ষার ফলাফল কখনো কারও ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারেনা। কিন্তু কারও ভাগ্য পরিবর্তন হোক আর না হোক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা কিন্তু এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের উপর অনেকাংশেই নির্ভর করে। আপনি যতো বড় মেধাবী হোন না কেন পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপ হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার যোগ্যতায় অর্জন করতে পারবেন না। তখন হয়তো মনের আক্ষেপে বলতে হবে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বুঝতেই পারলো না কতো বড় একজন মেধাবী কে হারালো।

রাজনীতিকরা ফলাফল বিপর্যয়ের কারণগুলো উদঘাটন করতে থাক কিন্তু ছাত্র-ছাত্রীদের সেই সব বিষয়ে না ভাবলেও চলবে। কারন ফলাফলকে এখন আর বদলে দেওয়ার সুযোগ নিই। সুযোগ এতোটুকুই রয়েছে যেটুকু রেজাল্ট এতোদিনে সঞ্চিত হয়েছে সেটাকে যথাযথভাবে কাজে লাগানো। তবে এক্ষেত্রে আবেগকে কাজে না লাগিয়ে একটু বাস্তব মুখি চিন্তা করতে হবে। এ বিষয়ে কিছু উদাহরণ এবং আমার ব্যক্তিগত পরামর্শগুলো উল্লেখ করছি-

অতিরিক্ত আবেগ এবং নিজের সম্পর্কে উচ্চাকাংখা থাকা যাবে না

  • আমার এক দূর সম্পর্কের ভাগনে ছোটবেলা থেকেই খুব মেধাবী ছিলো। তো তার স্বপ্ন ছিলো সে ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার হবে। কিন্তু এইএইচসি ফলাফল প্রকাশের পর তার যে অবস্থা দাড়ালো তাতে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্নে গুড়েবালি। আমি বললাম, ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হওয়াটাই জীবনের বড় কথা না। তুমি বরং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ট্রাই করো। আর তাছাড়া ঢাকার ভেতরে যেহেতু প্রতিযোগিতা অনেক বেশি সেহেতু ঢাকার বায়রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যদি পরীক্ষা দাও তাহলে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তো বেচারা বলে, তুমি আমাকে এতো নিচে নামার পরামর্শ কি করে দিলে বুঝলাম না। আমি রেজাল্ট খারাপ করেছি তো কি হয়েছে? আমার মেধা তো কমে যায় নি। তার কথা সত্য, প্রত্যেকটি ভর্তি পরীক্ষায় সে অনেক ভালো করেছে। কিন্তু রেজাল্ট এর সাথে যখন পরীক্ষার নাম্বার যোগ করা হয় তখন আর তার ভর্তি হওয়ার সুযোগ থাকে না। যাহোক, শেষ পর্যন্ত তার কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ হয়নি।

  • সুতরাং এক্ষেত্রে আবেগকে প্রাধান্য না দিয়ে নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী যদি সে চেষ্টা করতো তাহলে হয়তো সে মোটামুটি ভালো কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারতো। এ ক্ষেত্রে করণীয় কি?

বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক চিন্তা না করে চান্স পাওয়া নিয়ে ভাবতে হবে

  • কেউ একজন হয়তো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দেখতে গেছে আর এসে বলছে আরে এটা একটা বিশ্ববিদ্যালয় হলো? এরচেয়ে আমাদের স্কুল অনেক বড়। এ টাইপের চিন্তা করাটা বোকামি ছাড়া আর কিছু না। আরে ব্যাটা আগে চান্স পাও তারপর এসব বলো। অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার আগে অনেক উল্টা পাল্টা কথা বলে। আরে, আমি পড়বো ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে! ওখানে মানুষ পড়ে? এইসব কথা না বলে নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পরীক্ষা দাও। একটা বিষয় সব সময় মনে রাখা উচিৎ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা হলো বাঘের সাথে সিংহের লড়াই। নিজে মুরগি হয়ে থাকলে এখানে নাক না গলানোটাই ভালো।

সুযোগ থাকলে দ্বিতীয়বার এইচএসসি পরীক্ষা দাও

  • বিশ্ববিদ্যালয়ে খারাপ রেজাল্ট এর কারনে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার চাইতে এইচএসসি পরীক্ষা দ্বিতীয়বার দেওয়া অনেক ভালো। এক্ষেত্রে আপনার রেজাল্ট ভালো আসবে এবং সংশ্লিষ্ট কোর্স সম্পর্কে আপনার ধারনা সুষ্পষ্ট হবে। এক্ষেত্রে লজ্জার কিছু নেই। জীবনে অনেক বড় একটা লাফ দেওয়ার আগে একটু পিছিয়ে যেতেই হয়।

বিভাগ পরিবর্তন করা যেতে পারে

  • এ কথা সত্য যে বিজ্ঞান অনুষদ কিংবা বানিজ্য অনুষদের চাইতে মানবিক অনুষদে ভর্তির সুযোগ পাওয়া তুলনামূলকভাবে সহজ। কারন এই অনুষদে প্রতিযোগিতা কম কিন্তু আসন তুলনামূলকভাবে বেশি। তাই বিজ্ঞান কিংবা বানিজ্য বিভাগের ছাত্ররা খুব সহজেই এই অনুষদে চান্স পেতে পারে। মনে রাখবে চাকরীর সময় খুব কমই বিষয়ভিত্তিক বিষয় বিবেচনা করা হয়। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে অনেকেই ব্যাংকে জব করে। সুতরাং সাবজেক্ট নিয়ে মাতামাতি না করাটাই ভালো।

চাকরীর সুযোগ থাকলে হাতছাড়া করবে না

  • হয়তো ভাবছো এখনি কি চাকরীর সময় হয়ছে নাকি? কিন্তু আসলে বাস্তবতা যতোটুকু দেখেছি তাতে কেউ কেউ অনার্স মাস্টার্স শেষ করে এসে এইচএসসি পাশের সরকারী চাকরীর জন্য অ্যাপ্লাই করে। সুতরাং তুমি যদি পড়াশোনায় মোটামুটি লেভেলের হয়ে থাকো তাহলে এখনই চাকরীর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। নাহলে পরে দেখবে আমও যাবে আবার বস্তাও খুঁজে পাবে না।

সবচেয়ে বড় কথা হলো, রেজাল্টের পর অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীরা অধিক আবেগী হয়ে পড়ে। তাদের কাছে বাস্তবতার চাইতে আবেগটা বেশি বড় হয়। অনেকে নিচের ট্র্যাক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আমি আশা করবো তোমাদের যাতে এরকম না হয়। জীবনটা শুধুই তোমার হলেও এ জীবনকে নষ্ট করার অধিকার তোমার নেই। কারন তোমার বাবা মা তোমাকে নিয়ে অনেক বড় স্বপ্ন দেখে ফেলেছে। তারা স্বপ্নে যদি হাতি দেখে থাকে এবং তোমার সামর্থের মধ্যে যদি হাতি না থাকে তাহলে অন্তত তাদের একটা মহিষ এনে দাও। তোমাকে নিয়ে যাদের এতো স্বপ্ন তাদেরকে একেবারে রিক্ত হস্তে রাখবে না প্লিজ।

শেষ কথা

টিউনটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অথবা বুঝতে যদি কোন রকম সমস্যা হয় তাহলে আমাকে টিউমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। কারন আপনাদের যেকোন মতামত আমাকে সংশোধিত হতে এবং আরো ভালো মানের টিউন করতে উৎসাহিত করবে। আর টিউনটিকে মৌলিক মনে হলে এবং নির্বাচিত টিউন হওয়ার উপযুক্ত মনে হলে নির্বাচিত টিউন মনোনয়ন দিতে ভুলে যাবে না যেন। সর্বশেষ যে কথাটি বলবো, আসুন আমরা কপি পেস্ট করা বর্জন করি এবং অপরকেও কপি পেস্ট টিউন করতে নিরুৎসাহিত করি। সবার সর্বাঙ্গিন মঙ্গল কামনা করে আজ এখানেই শেষ করছি। দেখা হবে আগামী টিউনে।

আপনাদের জন্য » সানিম মাহবীর ফাহাদ

➡ ইমেইলে আমার সকল টিউনের আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করুনঃ টেকটিউনস » সানিম মাহবীর ফাহাদ 🙄

Level 7

আমি সানিম মাহবীর ফাহাদ। সুপ্রিম টিউনার, টেকটিউনস, ঢাকা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 11 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 176 টি টিউন ও 3500 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 159 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

আগে যা শিখেছিলাম এখন তা শেখানোর কাজ করছি। পেশায় একজন শিক্ষক, তবে মনে প্রাণে টেকনোলজির ছাত্র। সবার দোয়া প্রত্যাশি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

“জীবনে অনেক বড় একটা লাফ দেওয়ার আগে একটু পিছিয়ে যেতেই হয়।” – কথা সত্য

জীবন যুদ্ধে এগিয়ে যাওয়াটাই এখন প্রাধান্য, সেহেতু দ্বিতীয়বার চেষ্টা অনেক সময় ভালো ফল নিয়ে আসে না। আর এইচএসসিতে বিভাগ পরিবর্তন মানে আরও ২ বছর, যেটা অনেক সময় কাম্য না।
তবে চাকরীর সুযোগ কারও হাত ছাড়া না করলেও যেন উচ্চ শিক্ষাটা চালিয়ে যায়। জীবনে কোন সময় কোন সুযোগ আসে এটা কেউ বলতে পারে না। আর বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রাধান্য না দিয়ে যেখানে তার মনঃপুত সাব্জেক্ট পাবে সেটাকে মূল্যায়ন করা উচিত। তবে ঢাকার বাইরে যাওয়ার চেয়ে ঢাকায় থেকে পড়লে সুযোগ তুলনামুলক বেশিই পাবে। এটাও সবার মাথায় রাখতে হবে। আর বাস্তব ভিত্তিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা বেশি থাকলে দোষ নাই!!
ধন্যবাদ!! 🙂

    টিউনটি কাদের জন্য এবং টিউনের বিষয় বস্তু বুঝতে আপনার সামান্য ভুল হয়েছে। আমি টিউনটি করেছি তাদের জন্য যারা ফলাফল খারাপ করেছে।

    বিভাগ পরিবর্তনটা আমি এইচএসসি লেভেলে করতে বলিনি। আমি বুঝাতে চাইছি এডমিশনের ক্ষেত্রে বিভাগ পরিবর্তন। সায়েন্স পড়ে কলা অনুষদে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যাপারে। আর দ্বিতীয়বার পরীক্ষায় ভালো ফলাফল আসে না এটা ভুল ধারনা। চেস্টা করলে সবই হয়।

    তাছাড়া আকাঙ্খা যতোই উচ্চ থাক রেজাল্ট খারাপ হলে ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়াটা আকাশ কুসুম ভাবার মতোই। সুতরাং আবেগী হয়ে জীবন চলবে না। কারন জিপিএ ৫ এর যেখানে ছড়াছড়ি সেখানে খারাপ রেজাল্ট করে ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়া কঠিন। কারন এক্ষেত্রে রেজাল্টের স্কোর অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

    যেহেতু টিউনটি খারাপ রেজাল্ট যারা করেছে তাদের নিয়ে সেহেতু ঢাকার ভেতরে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পাওয়াটা দুরূহ বলতে হবে। যদিও প্রাইভৈট এর ব্যাপারটা আলাদা। সেখানে ঢাকার বায়রে থাকার প্রশ্নই আসে না।

    দুধ আনতে জগ নিয়ে যেতে হয় গামছা নিয়ে যাওয়াটা কখনোই বাস্তব ভিত্তিক হতে পারে না। বর্তমানে প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রটা বুঝতে হবে। তাই না?

      রেজাল্ট খারাপ করলেই যে নিজের ইচ্ছা মাটিতে মেশাবে এটা ঠিক না। একটা কাগজ মানুষের লাইফে সব হলে কৃষি বিজ্ঞান পড়ে এই জাতির প্রধান চালিকা শক্তি কারা বদলাবে।
      আর জীবনে ১-২ টি বছরের কি গুরুত্ব আমরা এখন না বুঝলেও কিছুদিন পরে ঠিকই বুঝতে পারি, যেটা আর করার পাত্র থাকে না।
      সেহেতু যা আছে তা নিয়ে স্বপ্ন দেখতে ক্ষতি নেই; নিজস্ব মতবাদ।
      আর দুধ আনতে জগ না নিয়ে গেলেও মেধা থাকলে বাড়ি দুধ চলে আসে অনেক সময়। 🙂

        আমি বলেছি দ্বিতীয়বার ভার্সিটি পরীক্ষার চাইতে এইচএসসি দেওয়া ভালো। কেন ভালো এর বাস্তব প্রমাণ আছে। তবে যতো নীতিকথা আছে সেগুলো বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে প্রযোজ্য না। আপনি তাহলে প্রত্যেক বছর লাখ লাখ ছাত্র-ছাত্রীর ব্যার্থতার কারনগুলো ব্যাখ্যা করুন। কেন তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেনা। এতো স্বপ্ন এতো মেধা কোথায় হারিয়ে যাচ্ছে? যা আছে তাই নিয়ে স্বপ্ন দেখতে ক্ষতি নেই। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির সুযোগ কে কতো বড় স্বপ্ন দেখেছে সেটা দেখে দিবে না। কার কতো ভালো রেজাল্ট আছে সেটা দেখে দিবে। কয় বছর থেকে রেজাল্ট ভিত্তিক ভর্তির গুঞ্জন শুনেন নাই নাকি?

        আপনার সাথে পুরোপুরি একমত

এবার আমরা পুরোটা রাজনৈতিক চালের শিকার। এটা অন্তত নিশ্চিতভাবে বলা যায়। খুব আফসোস হয়, উনাদের স্বার্থের জন্য আমাদের ফলে আনন্দের বন্যাও বয়ে যেতে পারে আবার সেটার উল্টোও হতে পারে। সত্যিকারেই যদি এটা আমাদের পড়াশুনার ঘাটতির জন্য হতো তাহলে সেটা আমরা মেনে নিতাম। কিন্তু আসলে তা নয়। এটা আমাদের পড়াশুনার সত্যিকারের রূপ নয়। এটা আমাদের প্রান প্রিয় নেতা নেত্রীদের ইচ্ছার প্রতিরূপ। পরীক্ষা না নিয়ে রেজাল্ট ঘোষনা করলেও অনেকটা শান্তনা পেতাম।

যাই হোক, ধন্যবাদ ফাহাদ ভাই, আমাদের জন্য মূল্যবান কিছু পরামর্শ দেয়ার জন্য। আমার জন্য দোয়া করবেন। 🙁

    যতোটুকু শুনা যাচ্ছে সেখানে বিরোধী দলের দরতাল অবরোধকেই বেশি দায়ী করা হচ্ছে। তবে ফলাফল বিপর্যয়টা দুঃখজনক 🙁

No Comments 🙂

বিল গেটস্ অার স্টিভ জবসের দৃষ্টান্ত দেয়া ভীষণ জরুরী এ কলি যুগে 🙂

নতুবা ভবিষ্যতে দেশের দুরবস্থা দেখার মতো লোকের অভাবও দেখা দিতে পারে 🙁

অনুপ্রেরণামূলক টিউনের জন্য টাঙ্গাইলের রসমালাই/কালোজাম, নাটোরের কাচাগোল্লা ও বগুড়ার দই লন 🙂

    বিল গেটস কিংবা স্টিভ জবস কিন্তু একজন করেই জন্মেছে। জীবনে বড় হতে গেলে অনুপ্রেরণার চাইতে ইচ্ছা শক্তিটাই বড়। টিউমেন্টের জন্য ধন্যবাদ।

আহারে এমন একটা লেখা আগে পাইলে তো আমিও সেকেন্ড বার একটা ট্রাই করতাম। জীবন হইত সুন্দর। এমন লেখার অভাব ছিল সেই সময়। আফসোস!
ভালো লিখেছেন। কথাগুলো এখন শুনলেই হয় যারা ভুক্তভোগী।

আসলে যারা যোগ্য তারাই ভালো রেজাল্ট করেছে ৷ যারা খারাপ করেছে তাদের মাঝে যদি ভালো করার আকাঙ্খা থাকে সত্যিকার অর্থে থাকে তাঁরা অব্যশই পারবে ৷ তবে পাশ করার জন্য পড়লে পাশ নাও করতে পারে ৷ তবে যারা জ্ঞান অর্জনের জন্য পড়বে তাদেরকে সফলতার পিছনে ছুটতে হবে না সফলতাই তাদের পিছনে ছুটবে

টিউনটি যারা খারাপ রেজাল্ট করেছে তাদের অনেক উপকারে আসবে যদি তারা বাস্তবটাকে মেনে নেই। ধন্যবাদ এত সুন্দর ১টা টিউন উপহার দেবার জন্য

ধন্যবাদ।সুন্দর টিউন।

খুব সুন্দর একটা টিউন। কথাগুলো কাজে লাগাবো।

ধন্যবাদ টিউন করার জন্য ফাহাদ ভাই। হ্যা আমিও আপনার সাথে সহমত। এই রকম আমার অনেক পরিচতি জনই আছেন।