বিশ্বের প্রথম সবচেয়ে বড় বাংলা টেকনোলজি সৌশাল নেটওয়ার্ক – টেকটিউনসে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি আমি টেকটিউনার রিদম দত্ত।আজকে আপনাদের সামনে একটি বেতিক্রম-ধর্মী টিউন উপস্থাপন করতে জাচ্ছি।
বিশ্বের সৃষ্টির পর থেকে আজ পর্যন্ত অনেক গনিতবিদের জন্ম হয়েছে তাঁদের প্রত্যেকেই গণিতের কঠিন সমস্যা গুলোর সমাধান এবং সূত্র তৈরি করেছেন সুতারং তাঁদের প্রত্যেকের কাছেই আমারা কৃতজ্ঞ। তবে একটি বিষয় গনিত এর সূত্র,সমস্যা যেমন বেশি ঠিক তেমনি মেধাবী গণিত বিদ এর সংখ্যা রয়েছে অসংখ্য আজ আমি আপনাদের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ১০ জন গণিত বিদদের সম্পর্কে বলব।
চলুন এক নজরে দেখে নেয়া যাক সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ১০ জন গণিত বিদদের নাম
তিনি প্রাচীনকালের শ্রেষ্ঠ পদার্থবিদ ও গণিতবিদ ছিলেন। তাঁর জম্ম খ্রিস্টপূব ২৮৭ সালে।পৃথিবীর সর্বকালের তিন শ্রেষ্ঠ গণিতবিদের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়। তিনি সংখ্যাতত্ত্ব ও বীজগণিতের উন্নয়নে বেশ কিছু কাজ করেছেন। কিন্তু পদার্থবিদ্যা ও জ্যামিতিতে তাঁর অবদান সবচেয়ে বেশি। প্রাচিন পদার্থবিদদের মধ্যে তিনিই প্রথম সার্থকভাবে পদার্থ বিজ্ঞানে গণিত ও জ্যামিতির ব্যবহার শুরু করেন। তাঁকে অনুসরণ করেই পরবর্তীতে বিজ্ঞানীরা বিজ্ঞানে প্রায় সকল শাখাতে গণিতের ব্যাপক ব্যবহার শুরু করেন। তিনি খ্রিস্টপূব ২১২ সালে মৃত্যু বরণ করেন।
তাঁর প্রধান অবদানগুলো হলোঃ
তিনি সর্বকালের শ্রেষ্ঠ পদার্থবিদ। পদার্থবিজ্ঞানের প্রয়োজনে যখন যে গাণিতিক সূত্র প্রয়োজন হতো তিনি নিজেই তা আবিষ্কার করে নিতেন। গতিসূত্র ও ক্যালকুলাসের জন্য তিনি সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত। পৃথিবীর সর্বকালের তিন শ্রেষ্ঠ গণিত বিদের মধ্যে তিনি হলেন দ্বিতীয় একজন। তাঁর জগতবিখ্যাত প্রিন্সিয়া ম্যাথমেটিকা গ্রন্থটি পদার্থবিদ্যার বলবিদ্যার উপর রচিত হলেও এটি মুলত গণিত ভিওিক একটি আমর গ্রন্থ। গণিত পদার্থ হিসেবে ইংল্যান্ডের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী হিসেবে স্যার আইজাক নিউটন চির আমর হয়ে আছেন। তাঁর জম্ম হয় ৪ জানুয়ারি ১৬৪৬ খ্রীস্টাব্দে England এর Woolsthorpe,Lincolnshire জায়গায়। মৃত্যু ৩১ এ মার্চ লন্ডন,ইংল্যান্ড।
তাঁর প্রধান অবাদানগুলো হলোঃ
জোহান কার্ল ফ্রেডরিচ (Gauss) এর জন্ম গ্রহন করেন ১৭৭৭ সালে। তিনি গণিতের প্রায় সকল শাখায়ই সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছেন এবং সবচেয়ে বেশি মৌলিক আবিস্কার সম্পাদন করেছেন। তাই তিনি বিশ্বের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ গণিতবিদের মর্যাদা লাভ করেছেন। তাঁকে গণিতের যুবরাজ বলা হয়। গণিতশাস্ত্রে তাঁর বিশাল অবদানের জন্য তাঁকে গণিত সম্রাটও বলা হয়ে থাকে। যে গাউস, গণিত নিউটন ও আকিমিডিসকে পৃথিবীর সর্বকালের তিন শ্রেষ্ঠ গণিতবিদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, তিনিই সেই প্রথম স্থান অর্জনকারী জার্মানির যোহান কার্ল ফেডরিচ গাউস। তিনি মুলত বিশুদ্ধ গণিতের রাজা। ছোটবেলা থেকেই তাঁর গণিত মেধার পরিচয় পাওয়া যায়। পরিসংখ্যানে পরিমিত বিন্যাস সৃজনের জন্য তিনি ১৮৫৫ সালে মৃত্যু বরণ করেও পরিসংখ্যানবিদদের কাছে চির অমর হয়ে আছেন।
তাঁর প্রধান আবিষ্কারগুলো হলোঃ
তাঁকে সুইজারল্যান্ড - রাশিয়ার শ্রেষ্ঠ গণিতবিদ মনে করা হয়। তিনিও গাউসের মতো গণিতের প্রায় সকল শাখায় মৌলিক আবদান রাখেন।তাঁর জম্ম ১৫ এপ্রিল ১৭০৭ সালে Basel,Switzerland। জায়গায় হয়। তাঁর গণিতকর্মগুলো সর্বাধিক সৌন্দর্যমন্ডিত। তাঁর আবিষ্কৃত আয়লার সমীকরণটি পৃথিবীর সর্বাধিক সুন্দর সমীকরণ বলা হয়। (এই সমীকরণটি পাঁচ নাম্বার অবদান তালিকার নিচে দেয়া আছে)। তাই তাঁকে গণিত ইতিহাসের সর্বাধিক সৃজনশিল গণিত বিদ বলা হয়। তিনি গণিতকে এতই ভালবাসতেন যে, গণিত চর্চা করতে করতে তিনি শেষ জীবনে সম্পূর্ণ অন্ধ হয়ে যান। এবং এই অন্ধ অবস্থায়ই গণিত এর উপর অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেন।মৃত্যু ১৮ সেপ্টেম্বর ১৭৮৩ সালে St Petersburg,Russia তে হয়।
তাঁর প্রধান আবদান গুলো হলঃ
জার্মানীর জগতখ্যাত আলবার্ট আইনসটাইন কে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ তত্ত্বীয় পদার্থবিদ বলা হয়। তাঁর শ্রেষ্ঠ কর্ম হল আপেক্ষিক তত্ত্ব। তিনি অ-ইউক্লিডীয় জ্যামিতির উপরও কাজ করেছেন। পদার্থবিজ্ঞানের কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞানে, ভরশক্তির সমতাতত্ত্ব, স্থানকালের জ্যামিতি,আলোর ফটো ইফেক্ট প্রভিৃতির বিষয়ের তাঁর গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার রয়েছে। তাঁর E=mc2সূত্র থেকেই পারমানবিক বোমা আবিষ্কৃত হয়। তাঁকে তাঁকে সর্বাধিক ট্যালেন্ট বিজ্ঞানী বলা হয়। কারন তিনি আপেক্ষিক তত্ত্বের মাধ্যমে চিরায়ত বলবিজ্ঞানের বহুকালের বহু তত্ত্বকে সীমাবব্দতায় নিয়ে আসেন। এমন কি সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী নিউটনের বহু গবেষণাকে ও তিনি সীমিত করে দেন। তাঁর জন্ম ১৪ মার্চ ১৮৭৯ খ্রিস্টাব্দে,ULM,Wirttemberg,Germany,মৃত্যুঃ১৮ এপ্রিল ১৯৫৫ সালে Priceeton New jersey,USA
আল-খোয়ারেজমি আধুনিক বীজগণিতের জনক শ্রেষ্ঠ আরব গণিতবিদ।তিনি ইরাকের বাগদাদে ৭৮০ সালে জন্ম নেন। তাঁর শ্রেষ্ঠ অবদান হলো। আল জাবর মুকাবেলা নামক বইটি,যা পৃথিবীতে এযাবৎ বীজগণিতের উপর সর্বাধিক প্রভাশালী। এই বইটি ইউক্লিডের দি এলিমেন্ট ও নিউটনের প্রিন্সিপিয়া ম্যাথমেটিকা বই দুটির সাথে তুলনা করা যায়। তাঁর বইতে বীজগণিতের চিরায়ত সূত্রগুলি, হিন্দু -আরবীর সংখ্যামালা, সমীকরণ সমাধানের বিভিন্ন পদ্ধতিসহ বীজগণিতের বহু মৌলিক বিষয় গুছানোভাবে লেখা হয়। এই বইটি ইউরোপ গিয়ে ল্যাটিন ভাষায় অনুবাদ হয়ে পরে অ্যালজ্যাবরা নামে সারা পৃথিবীতে ছডিয়ে পড়ে। আল -খোয়ারেজমি ৮৫০ সালে মৃত্যু বরণ করেন।
মিশরীয় গণিতবিদ ইউক্লিডের জন্ম খ্রীস্টপূর্ব ৩২৫।তিনি জ্যামিতির জনক। তাঁর চিত ১৩ খন্ডের দি এলিমেন্টস বইটিকে জ্যামিতির বাইবেল বলা হয়। তাঁর এই বইটি প্রায় ২০০০ বছর যাবৎ ইউরোপের সকল হাইস্কুল পাঠ্যবই হিসেবে হিসেবে নির্ধারিত ছিল। জ্যামিতি ছাড়া ও তিনি আপটিক্স ও ডিভিশন আব স্কেলের উপর কিছু গণিত কর্ম করেন। সম্পাদন করেন। (Died: About 265 BC in Alexandria,Egypt)
১৮৫৭ সালে কার্ল পিয়ারসন ইংল্যান্ডে জন্ম গ্রহন করেন। তিনি ইংল্যান্ডের শ্রেষ্ঠ গণিত - পরিসংখ্যানবিদ ছিলেন। পরিসংখ্যানের বেশিরভাগ গানিতিক সুত্রাবলী তিনিই আবিষ্কার করেন। তাঁকে গাণিতিক পরিসংখ্যানের স্থপতিও বলা যায়। গণিত শাস্ত্রে নিটন -আকিমিডিস সর্বকালের শ্রেষ্ঠ তিনজন,তেমনি গাউস -পিয়ারসন -ফিশার এই তিনজনকে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ পরিসংখ্যানবিদ বলা যায়। ১৯৩৬ সালে তিনি ইনতেকাল করেন।
ফ্রেন্স গণিত -দার্শনিক দেকার্তে ৩১ মার্চ ১৫৯৬ খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্সের লা -হাই তে জন্ম নেন এবং ১১ ফ্রেব্রুয়ারি ১৬৫০ খ্রিস্টাব্দে সুইডেনে পরকাল গমন করেন। তিনি বিশ্ববিখ্যাত দার্শনিক ও গণিতবিদ। তিনি স্থানাংক জ্যামিতি ও বিশ্লেষন জ্যামিতির জনক। তিনি প্রচণ্ড মেধাবি ছাত্র ছিলেন। জীবনের সকল পরীক্ষাতে তিনি প্রথম স্থান অধিকার করতেন। তিনি ব্যাখ্যা করতে সিদ্দ্বহস্ত ছিলেন। এজন্য তিনি রাজকীয় গণিতবিদ ছিলেন।
রাশিয়ার বিখ্যাত সেটতত্ত্বের জনক এবং বিশ্ববিখ্যাত দার্শনিক জর্জ ক্যাপন্টর। তিনি আধুনিক গণিতের যৌক্তিক দিকগুলো নিয়ে প্রচুর গবেষণা করেন। তিনি গাণিতিক দর্শনের একজন দিকপাল ছিলেন। তাঁর দ্বারা বহু বিখ্যাত গণিতবিদ উপকৃত হন। বিশেষ করে বাট্রান্ড রাসেল তাঁর গণিত দর্শন দ্বারা প্রভাবিত হয়েই বিশ্ববিখ্যাত হয়ে হন।সংখ্যাতত্ত্বের সাথে তাঁর আবিষ্কৃত সেটতত্ত্বের গণিত শাস্ত্রের বিল্ডিং ব্লক বলা হয়।
জন্মঃ রাশিয়া জেলার ST Petersburg জায়গায় ৩ মার্চ ১৮৪৫ খ্রিস্টাব্দে
মৃত্যুঃ ৬ জানুয়ারি ১৯১৮ জার্মানি জেলার Halle শহরে।
ধন্যবাদ সবাইকে টিউনটি পড়ার জন্য।
আমি রিদম দত্ত। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 34 টি টিউন ও 270 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
হাই আমি রিদম , জানি না তেমন কিছু তবে যা জানি তা সবার মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করি,টেকনোলজি কে অনেক ভালোবাসি টেকনোলজি ছাড়া এক সেকেন্ড ও চলতে পারি না।বর্তমানে পড়াশোনার পাশাপাশি আর্ট ওয়েব ইউ আই ইউএক্স ডিজাইন ও ওয়েব প্রোগ্রামিং নিয়ে কাজ করছি।
জানানোর যন্য ধন্যবাদ ।