ভয়ঙ্কর ব্ল্যাক ম্যাজিক, ব্ল্যাক ম্যাজিক কি আসলেই সত্য?

সভ্যতার আদি থেকেই জাদুবিদ্যা আর জাদুকর বিষয়ে মানুষের প্রচণ্ড রকম আগ্রহ। জাদুবিদ্যা মূলত অতিন্দ্রিয় আর প্রাকৃতিক শক্তিকে বশ করার বিদ্যা! ইংরেজি 'ম্যাজিক' শব্দের উদ্ভব হয়েছে ফার্সি শব্দ মাজি থেকে! মাজিরা যেসব ক্রিয়া-কর্ম পালন করত, গ্রিকরা সেসব ম্যাজিক বলে অভিহিত করতেন! আর ম্যাজিকের সঙ্গে আত্মা বা ভূতের বিষয়টি চলে আসে অনিবার্যভাবে। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, ভূত হলো এমন এক জিনিস, যা মৃত ব্যক্তির আত্মা। আর তা জীবিত ব্যক্তির সামনে দৃশ্য আকার ধারণ বা অন্য কোনো উপায়ে আত্দপ্রকাশ করতে সক্ষম। ভৌতিক অভিজ্ঞতায় ভূতকে নানাভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। কখনো অদৃশ্য বা অস্বচ্ছ বায়বীয় আবার কখনোবা বাস্তবসম্মত স্বপ্রাণ মানুষ বা জীবের আকারে। এসব ভূত বা প্রেতাত্মার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে ভবিষ্যদ্বাণী বা কোনো কাজ করার বিদ্যাকে ব্ল্যাক ম্যাজিক, নেক্রোম্যান্সি বা কালো জাদু বলে। অন্যদিকে এক ধরনের বিশেষ ব্ল্যাক ম্যাজিক হচ্ছে ভুডু। ভুডুবিদ্যার সাহায্যে নাকি কবরের লাশ জ্যান্ত করে তাকে গোলামের মতো খাটানো যায়। অন্যদিকে শামানের কাজও মৃত মানুষের আত্মা নিয়ে। তবে ভুডুর সঙ্গে শামানদের পার্থক্য- এরা মন্দ আত্মার বিরুদ্ধে লড়াই করে। মন্দ আত্মাকে কাজে লাগায়। বিদেশি সিনেমায় এমনকি ভারতীয় সিরিয়ালে প্রায়ই দেখা যায়, একজন দুষ্ট ব্যক্তি একটি পুতুলের গায়ে সুচ ফুটিয়ে আরেক জায়গায় এক ব্যক্তিকে হত্যা করছে কিংবা অন্য কোনো উপায়ে ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। বাংলায় একে ফুঁক দেওয়া, কবজ করা অথবা বাণ মারা বলে। এ ধরনের ঘটনা যারা ঘটায় তাদের ওঝা বলে। আর এ প্রক্রিয়াটিই বিশ্বব্যাপী ব্ল্যাক ম্যাজিক বা কালো জাদু নামে পরিচিত। খ্রিস্টধর্ম প্রবর্তনেরও আগের কথা। বহুকাল আগে পাশ্চাত্যে বিভিন্ন গোত্রের মধ্যে নির্দিষ্ট কোনো ধর্মের প্রচলন ছিল না। তবে তাদের মধ্যে অদ্ভুত কিছু বিশ্বাস ও কর্মকাণ্ডের চর্চা ছিল। এরা একেকটি গোত্র বিভিন্ন কাল্পনিক ভূত-প্রেত বা অশুভ আত্মার আরাধনা করত। যা আফ্রিকান ব্ল্যাক ম্যাজিক বা কালো জাদু নামে পরিচিত। এমনকি এখনো এ বিদ্যার গোপন অনুসারীরা তাদের এ বিদ্যা দিয়ে মানুষের ক্ষতি করে আসছে। এ বিদ্যায় পারদর্শীদের ডাকি বা ওঝা বলে আর আফ্রিকান ভাষায় এদের বলে কিনডকি।

আত্মাসংক্রান্ত ধারণা থেকেই উদ্ভব

পৃথিবীতে ধর্মের আবির্ভাবের আগেও মানুষের মধ্যে আধ্যাত্দিক চর্চা ছিল। আবার ধর্মের আবির্ভাবের পরও এই চর্চা অব্যাহত ছিল। বহুকাল আগে পাশ্চাত্যের ধর্মহীন গোত্রের মধ্যে অদ্ভুত কিছু বিশ্বাস ও কর্মকাণ্ডের চর্চা ছিল। এরা একেকটি গোত্র বিভিন্ন কাল্পনিক ভূত-প্রেত বা অশুভ আত্মার আরাধনা করত। আর নিজেদের প্রয়োজনে এই আত্মাকে ব্যবহার করত। এই বিশ্বাসের চর্চা মূলত ছিল আফ্রিকানদের মধ্যে। তাই বিশ্বজুড়ে এটি আফ্রিকান ব্ল্যাক ম্যাজিক বা কালো জাদু নামে পরিচিত। এমনকি এখনো এ বিদ্যার গোপন অনুসারীরা তাদের চর্চা চালিয়ে যাচ্ছে।

মূলত প্রাক-শিক্ষিত সংস্কৃতির সর্বপ্রাণবাদ ও পূর্বপুরুষ পূজার মধ্যে ভূত বা আত্মাসংক্রান্ত ধ্যান-ধারণার প্রথম বিবরণ পাওয়া যায়। সেই যুগে কিছু নির্দিষ্ট ধর্মীয় প্রথা, অন্ত্যেষ্টি সংস্কার, ভূত তাড়ানো অনুষ্ঠান ও জাদু অনুষ্ঠান আয়োজন করা হতো। এসব আয়োজনের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল মৃত আত্মার সন্তুষ্টি আনা। মূলত আত্মাসংক্রান্ত সেই ধ্যান-ধারণা থেকেই ব্ল্যাক ম্যাজিক বা কালো জাদুর বিবর্তন।

রোজাদের দাপুটে প্রথা

 

আদিম সমাজে ওইভাবে ধর্মের চর্চা না থাকলেও যেসব লোক আধ্যাত্দিক চর্চা করতেন, তাদের আলাদা দাপট ছিল। সাধারণ মানুষ এদের প্রচণ্ড ভয়ের চোখে দেখতেন। আদিম সমাজের এমনই এক ধরনের মানুষ ছিল যাদের উইচ-ডক্টর বা রোজা নামে ডাকা হতো। এরা এমন ব্যক্তি ছিলেন যারা ব্ল্যাক ম্যাজিক জানতেন। অতিন্দ্রীয় শক্তির বলে প্রেতাত্মাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারতেন। আর প্রেতাত্দাদের দিয়ে সম্ভব-অসম্ভব যে কোনো কাজ করে ফেলতে পারতেন খুব সহজেই। সে কারণে ওই সময় রোজারা একাধারে চিকিৎসক, জাদুকর এবং পুরোহিতের ভূমিকা পালন করতেন। বর্তমানকালেও আদিম-সামাজিক ব্যবস্থায় বসবাসকারীদের মধ্যে উইচ-ডক্টর বা রোজাদের প্রভাব দেখা যায়। আদিম জাতিদের মধ্যে রোজাদের খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হতো।

রোজারা তাদের ডাকিনী বিদ্যা খাটিয়ে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিতে পারত। চোর বা হত্যাকারী ধরা ও শাস্তি প্রদানে রোজাদের অপরিহার্য ভূমিকা ছিল। এ ছাড়াও তারা জাদুবিদ্যার সাহায্যে রোগ নির্ণয় এবং এর প্রতিকার করতেন। তারা তাদের শিশুদের রোগাক্রান্ত্ত করতে পারতেন এবং মানুষের মৃত্যুও ঘটাতে পারতেন। মানুষের মৃত্যু ঘটানোর জন্য তারা নানা ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করতেন। কখনো মানুষের একটি ছোট্ট আকৃতির পুতুল তৈরি করে তাতে পিনবিদ্ধ করতেন। আবার কখনো কোনো লোকের চুল বা নখের টুকরো সংগ্রহ করে তা মাটিতে পুঁতে রাখতেন। এগুলো যখন আস্তে আস্তে শুকিয়ে যেত মানুষটিও ক্রমেই মৃত্যুমুখে পতিত হতো। রোজারা প্রায়ই রোগের চিকিৎসার জন্য গাছ-গাছড়া, লতাপাতা ব্যবহার এবং রোগের সংক্রমণ দূর করার জন্য পানি ব্যবহার করত। কখনো তারা জাদুকরী পাথরসহ পানি ছিটিয়ে দিতেন। তারা জাদুকরী গান, প্রার্থনা এবং আশ্চর্য ভঙ্গিমায় নৃত্য করত। এর উদ্দেশ্য ছিল সাধারণ মানুষের মনকে প্রভাবিত করা। রোজারা সব সময় রঙিন পোশাক পরত, মুখোশ ধারণ এবং মুখমণ্ডল চিত্রিত করত। কেউ কেউ পশুর চামড়াও পরিধান করত। বস্তুত মানুষকে সম্মোহিত করত। আর লোকজন বিশ্বাস করতে বাধ্য হতো যে, তাদের সৌভাগ্যের জন্য রোজারাই দায়ী।

ভুডু বনাম শামান

 

ভুডু (Voodoo) হচ্ছে এক ধরনের ব্ল্যাক ম্যাজিক বা ডাকিনীবিদ্যা। শোনা যায়, ভুডুবিদ্যার সাহায্যে নাকি কবরের লাশ জ্যান্ত করে তাকে গোলামের মতো খাটানো যায়। শামানের কাজও মৃত মানুষের আত্মা নিয়ে। তবে ভূডূর সঙ্গে শামানদের পার্থক্য হলো- এরা মন্দ আত্মার বিরুদ্ধে লড়াই করে। মন্দ আত্মাকে কাজে লাগায়। ভুডু এক ধরনের অপবিদ্যা। যারা ভুডুবিদ্যা জানে, তারা নাকি ইচ্ছা করলেই যাকে খুশি তার ক্ষতি করতে পারে। তাই এ বিদ্যায় পারদর্শীদের অনেকেই এড়িয়ে চলেন।

তবে শামান সব সময় ন্যায়ের পক্ষে কাজ করে। শামানকে কেউ বলে জাদুকর, কেউ কবিরাজ। শামান কথাটি এসেছে সাইবেরিয়ার তুঙ্গুস ভাষী মেষ পালকদের কাছ থেকে। অস্টাদশ শতাব্দীর ভ্রমণকারীরা প্রথম শামানদের ব্যাপারে বিশ্ববাসীকে অবহিত করেন। জানা যায়, শামানরা এমন ধরনের মানুষ যাদের রয়েছে অবিশ্বাস্য শক্তি। মৃত ব্যক্তির আত্মার কাছ থেকে জ্ঞান সংগ্রহ করে তারা। ইচ্ছা করলেই নাকি নশ্বর দেহ ত্যাগ করে স্বর্গ বা নরকে স্বচ্ছন্দে প্রবেশ করতে পারে। শামানদের প্রধান বাসস্থান এক সময় সাইবেরিয়া হলেও সোভিয়েতদের অত্যাচারে তারা দেশ ত্যাগে বাধ্য হয়। তারা ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের নানা জায়গায়। শামান বর্তমানে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে উত্তর আমেরিকা এবং পশ্চিম ইউরোপের শহরাঞ্চলেও। শামানরা তাদের নানা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড প্রদর্শনের জন্য ভ্রমণ করছে চিলির সান্তিয়াগো থেকে শুরু করে কোরিয়ার সিউল পর্যন্ত। যদিও অনেক দেশের সরকার শামানিক চর্চাকে অবৈধ এবং বিপজ্জনক বলে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু রোমান্টিক মানুষের কাছে শামান হলো ধর্মীয় অভিজ্ঞতা লাভের গাইড। আর জাতীয়তাবাদীরা শামানকে মনে করে প্রাচীন সাংস্কৃতিক জ্ঞানের বাহক।

 (একজন টেকটিউনসের সদস্যের রিকুয়েস্টে করা।) 

-অনলাইন থেকে সংগৃহীত

Level 2

আমি আইটি সরদার। Web Programmer, iCode বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 261 টি টিউন ও 1750 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 22 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

আমি ইমরান তপু সরদার (আইটি সরদার),পড়াশুনা করেছি কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি নিয়ে; পেশা কন্টেন্ট রাইটার এবং মার্কেটার। লেখালেখি করি নেশা থেকে ফেব্রুয়ারি ২০১৩ থেকে। লেখালেখির প্রতি শৈশব থেকেই কেন জানি অন্যরকম একটা মমতা কাজ করে। আর প্রযুক্তি সেটা তো একাডেমিকভাবেই রক্তে মিশিয়ে দিয়েছে। ফলস্বরুপ এখন আমার ধ্যান, জ্ঞান, নেশা সবকিছু...


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

এই ব্যপারে আমার আগ্রহ অনেক বেড়ে গেলো।

Level 0

আহা আহা আমি যদি ব্ল্যাক ম্যাজিক জানতাম কবর থেকে প্রেতাত্মা তুলে তাদের টেকিতে টাইপ করতে দিতাম

ও , এই কোথায় সিখবো?

হা হা হা
ভালই 😀

Level 0

asolei rohossomoy. Indiate kamrup kamakha name je jayga ase okhane naki black art khub procholito. Lok mukhe shona kotha. Ata bastob hole okhan theke ghure aste paren akbar @ Technology Pagol.

Level 0

ধন্যবাদ ভাই অনেক কিছুই জানলাম 😀

আদেও কি ভুত বলে কিছু আছে ?
জীন আছে এইটা জানি কিন্তু ভুত নিয়ে কনফিউশন রয়েগেছে ।

তো যাই হোক
আমার অন্য বেপারে কথা ছিলো টেকি তে মেম্বারসিপ চালু করার পর থেকে অনেক spam
পোস্ট হচ্ছে এতে করে আমাদের অনেক টাইম নষ্ট হচ্ছে। এবং ভালো ভালো পোস্টও মিস
কিরছি। এই বেপার দিকে আমাদের নজর দেউয়া উচিৎ ।

    @রাকিব হাসান: অবশ্যই এটা এডমিনদের দেখা উচিত। ধন্যবাদ।

    @রাকিব হাসান: ভাই এই যন্ত্রনাতেই এতদিন রেজিস্ট্রেশন বন্ধ ছিল।
    আবার স্প্যামারদের কারনে অনেকে টেকি লেখা লিখতে চেয়েও পারেননি। তাদের দিকে বিবেচনা করে রেজিস্ট্রেশন খুলে দিতেই সেই স্প্যামের অবস্থা।
    মাঝখানে কিছুদিন একটা টিউন আমি কয়েকদিন পর্যন্ত প্রথম পাতায় দেখেছি। আর সবই ভাল টিউন।
    এখন আবার ১২ ঘন্টার মধ্যে প্রথম পাতা পূর্ন।
    এটার অবস্থা অনেকটা খ্যাতির বিড়ম্বনার মত। টেকটিউনস সাইটে আমাকে লিখতেই হবে এরকম। কি লিখলাম এটা বড় ব্যাপার নয়।

Level 0

Ami a jaiger name sunasi @godhuli

আদৌ ভূত প্রেত বলতে কিছু নাই তবে জীন আছে।এদের মধ্যে থেকে মানুষ শয়তান জীনদের ব্যবহার করে থাকে এরাই ভূত বা আত্মা নামে পরিচিত।@রাকিব হাসান

    @মোঃ গোলাম রব্বনী: তাই তো মনে হয়, তবে এই বিষয়ে কেউ সঠিক তথ্য দিতে পারে না। ধন্যবাদ।

Level 0

@ রাকিব হাসান & মোঃ গোলাম রব্বনী & আই,টি সরদার:

প্রথমে নিচের হাদিসটি দেখুন।

“মুহাম্মদ ইবনুূু বাশ্‌শার (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, একটি অবাধ্য জ্বিন এক রাতে আমার সালাত (নামায/নামাজ) বিঘ্ন সৃষ্টির উদ্দেশ্যে আমার নিকট আসল। আল্লাহ আমাকে তাঁর উপর ক্ষমতা প্রদান করলেন। আমি তাঁকে পাকড়াও করলাম এবং মসজিদের একটি খুটির সঙ্গে বেঁধে রাখার মনস্থ করলাম, যাতে তোমরা সবাই সচক্ষে তাঁকে দেখতে পাও। তখনই আমার ভাই সুলায়মান আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর দু’আটি আমার মনে পড়লো। হে আমার রব! আমাকে ক্ষমা করুণ এবং আমাকে দান করুন এবং আমাকে দান করুন এমন এক রাজ্য যার অধিকারী আমার পরে আমি ছাড়া কেউ না হয়। (৩৮:৩৫) এরপর আমি জ্বিনটিকে ব্যর্থ এবং অপমানিত করে ছেড়ে দিলাম। জ্বীন অথবা ইনসানের অত্যন্ত পিশাচ ব্যাক্তিকে ইফ্‌রীত বলা হয়। ইফ্‌রীত ও ইফ্‌রীয়াতুন যিব্‌নীয়াতুন-এর ন্যায় এক বচন, যার বহু বচন যাবানিয়াতুন।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)”

সূত্রঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন | সহীহ বুখারি (ইফা)
অধ্যায়ঃ ৫০/ আম্বিয়া কিরাম (আঃ) | হাদিস নাম্বার: 3183

প্রশ্নঃ জিন ও ভূতের মধ্যে পার্থক্য কি?

এই প্রশ্নটির উত্তর দিয়েছেন মোঃ আরিফুল ইসলাম।

সূত্রঃ http://www.ans.bissoy.com/131024

জিন আরবী শব্দ। বাংলাতেও জিন শব্দটি ব্যবহৃত হয়। কিন্তু ভূত বাংলা শব্দ। এর আরবী হল ইফরীত, বহুবচনে আফারীত। আল কুরআনে ইফরীত কথাটি এসেছে এভাবে :

قَالَ عِفْريتٌ مِنَ الْجِنِّ أَنَا آَتِيكَ بِهِ قَبْلَ أَنْ تَقُومَ مِنْ مَقَامِكَ وَإِنِّي عَلَيْهِ لَقَوِيٌّ أَمِينٌ

এক শক্তিশালী জিন বলল, আপনি আপনার স্থান থেকে উঠার পূর্বেই আমি তা এনে দেব। আমি নিশ্চয়ই এই ব্যাপারে শক্তিমান, বিশ্বস্ত।(সূরা আন-নামলঃ ৩৯ )

এ আয়াতে ইফরীতুম মিনাল জিন অর্থ্যাৎ জিনদের মধ্যে থেকে এক ইফরীত বা ভূত .. কথাটি এসেছে। এমনিভাবে উপরে বর্ণিত হাদীসেও ইফরীতুম মিনাল জিন কথাটি এসেছে। তাফসীরবিদগণ বলেছেন, জিনদের মধ্যে যারা অবাধ্য, বেয়ারা, মাস্তান, দুষ্ট প্রকৃতির ও শক্তিশালী হয়ে থাকে তাদের ইফরীত বলা হয়। (আল মুফরাদাত ফী গারিবিল কুরআন)

ইফরীত শব্দের অর্থ বাংলাতে ভূত।

অতএব দেখা গেল ইফরীত বা ভূত, জিন ছাড়া আর কিছু নয়। সব ভূতই জিন তবে সব জিন কিন্তু ভূত নয়।

    @mahfuz08: মাহফুজ ভাই, অনেক অনেক ধন্যবাদ, সঠিক তথ্য দিয়ে জানানোর জন্য।

ব্লাক ম্যাজিক ছিল আছে থাকবে। ছোট বেলায় আমার মায়ের কাছে শুনেছি কেউ আমার উপর ও নাকি ব্লাক ম্যাজিক করা হয়েছিল পরে আমার এক নানা সেটা সমাধান করেন। অনেক ধন্যবাদ সত্য সামনে আনার জন্য।

যাদু-মন্ত্র, ভূত-পেত-জীন এইসব বলতে বাস্তবে কিছুই নেই । সবকিছুই কাল্পনিক । এখন বিশ্ব কোথায় পৌছে গেছে একটু তাকিয়ে দেখুন ।

Level 0

ভাই, ব্ল্যাক ম্যাজিক-ট্যাজিক বলতে কিছু নেই। এসব আজাইরা জিনিস নিয়া আলোচনা করে হুদাই জনগণের মনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেন আপনারা। জেমস র‍্যান্ডি ১৯৬৬ সালে চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলেন কেউ তাকে ব্ল্যাক ম্যাজিক/প্যারানরমাল কোন কিছুর প্রমাণ দেখাতে পারলে ১ মিলিয়ন ডলার দিবেন। আজ পর্যন্ত কেউ দেখাতে পারেননি। ইন্ডিয়ার প্রবীর ঘোষেরও চ্যালেঞ্জ আছে ব্ল্যাক ম্যাজিকারদের প্রতি। কেউ কোন কিছু দেখাতে পারেননি।