কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করি, সবাই ই ভাল আছেন। শিরোনাম টা দেখে হয়তো এর মাঝেই বুঝে ফেলেছেন আজ আমি কি নিয়ে হাজির হয়েছি এখানে। সূতরাং, চলেন সবাই মিলে জেনে নিই অজানা ১০ টি কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম সম্পর্কে। অবশ্য যারা আগে থেকেই জানেন তারা আমাদের সাথে না আসায় ভালো। আমরা সাধারণতঃ আমাদের কম্পিউটারে Microsoft এর অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করে থাকি। কেউ কেউ আবার Linux কিংবা Mac OS ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু আমি আজ আপনাদের এগুলোর বাইরে আরো ১০টি অপারেটিং সিস্টেম এর সন্ধান দিব।
১৯৯০ এর দশকের শেষের দিকে BeOS নামে একটি অপারেটিং সিস্টেম বাজারে এসে ছিল। কিন্তু তারা মাইক্রোসফট এর কাছে হার মেনে মোটামটি অজানার দেশে যেন হারিয়ে যায়। তবে তার কিছু দিন পর ২০০১ সালে BeOS এর মতই অনেকটা তৈরি হয়, যার নাম হাইকু। এই অপারেটিং সিস্টেমটির ডিজাইনারগন ডিজাইনের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের কথা মাথায় রেখে ডিজাইন করেছেন। তাই এর ইন্টারফেসটি খুব সহজ ও সরল। এই অপারেটিং সিস্টেম টির প্রধান বৈশিষ্ঠ্য হচ্ছে এর দ্রুত গতি, ব্যবহারে সহজ এবং উপভোগ্য।
প্রথমে এই অপারেটিং সিস্টেম এর নাম রাখা হয়েছিল Free Win95, কারণ ডেভলপারদের উদ্দেশ্য ছিল Windows 95 অপারেটিং সিস্টেমের মত হুবহু একটি ক্লোন ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করা। ২০০৪ সালে এর ০.২.০ ভারসন রিলিজ হয়, যাতে মোটামুটি Windows এর সকল সফটওয়্যার ব্যবহার করা যাবে। আকারে প্রকারে ও ব্যাবহারে মোটামুটি এটা Windows এর মতই। বর্তমানে এর ০.৩.১২ ভার্সন পাওয়া যাবে।
১৯৮০'র দশক এর শেষে অ্যামিগা নামের অপারেটিং সিস্টেম মোটামুটি জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। কিন্তু নির্মাতা কোম্পানি কমোডোরকে দেউলিয়া ঘোষণা করার ফলে অ্যামিগা অপারেটিং সিস্টেম হারিয়ে যায়। পড়ে এই অ্যামিগার মত করে তৈরি করা হয় অ্যারোস। অ্যামিগা অপারেটিং সিস্টেম এর অনেক গুলো ভারসন আছে।
Security Befor Style এই শ্লোগান কে সামনে রেখে ডিজাইন করা হয় এই অপারেটিং সিস্টেম টির।
এটা খুব উচ্চাকাঙ্খী অপারেটিং সিস্টেম। এটা সম্পূর্ণ অ্যাসেম্বলি ল্যাঙ্গুয়েজে লেখা। এতে মাল্টিটাস্কিং, গ্রাফিক্যাল ডেস্কটপ, আইপি নেটওয়াকিং, ইউএসবি সাপোর্ট, মিডিয়া প্লে-ব্যাক সহ সমস্ত সুবিধা রাখা হয়েছে। সব মিলিয়ে আকারে প্রকারে ও কাজে এটি খুব সুন্দর একটি অপারেটিং সিস্টেম।
প্রোগ্রামার দের দাবি এই অপারেটিং সিস্টেম টি প্রোগ্রামিং করতে এক দশকের ও বেশি সময় লেগেছে। তবে তাদের উদ্দেশ্য ছিল এমন একটা অপারেটিং সিস্টেম তারা ব্যবহারকারী দের উপহার দিবেন যেটাতে সবকিছুই যেখানে খুশি সেখানে থেকে শেয়ার করা যাবে।
কল্পনা করুন তো এমন একতা অপারেটিং সিস্টেম হবে যেখানে Windows এর সবকিছুই একসাথে থাকবে। DexOS সেই রকমেরই একটা অপারেটিং সিস্টেম। ডেক্সটপ কম্পিউটারের জন্য Android এর মত অপারেটিং সিস্টেম যারা খুজতেছেন তাদের জন্য DexOS এর বিকল্প কিছুই নাই।
সত্তর ও আশির দশকে Unix এর প্রধান প্রতিপক্ষ ছিল FreeVMS অপারেটিং সিস্টেমটি। স্থিতিশীলতা, গতি এবং নিরেট নিরাপত্তার জন্য FreeVMS অপারেটিং সিস্টেমটি সমসাময়িক সময়ে খুবই জনপ্রিয় হয়।
ডেক্সটপ কম্পিউটারের জন্য JAVA Based অপারেটিং সিস্টেম হলো Jnode. এই অপারেটিং সিস্টেম এর মূল উদ্দেশ্যটাই ছিল সব ধরনের Java Apps রান করা। বর্তমানে এই অপারেটিং সিস্টেমের ০.২.৮ ভার্সন পাওয়া যাবে।
সিলেবল একটি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম, সম্পূর্ণ স্বাধীন অপারেটিং সিস্টেম। এটি অন্য সবগুলো থেকে ভিন্ন। ডেস্কটপ টি বৈচিত্র্য ও রঙবেরঙের ডিজাইনে বেশ সুন্দর। এর পারফরমেন্স ও বেশ ভালো।
আজ এই পর্যন্ত। কেমন লাগলো আজকের পোস্ট টা। ভালো বা মন্দ যাই লাগুক না কেন, কমেন্টস করে জানবেন।
আমি আব্দুল মালেক। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 39 টি টিউন ও 141 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
sundor….khub-e reasearchful jinish.