প্রত্যেকটা জিনিসের ভালো ও খারাপ দুটো দিকই আছে। যেমনঃ ফেসবুক। ফেসবুকের মাধ্যমে আমরা একজনের মতামত অন্যজনের সাথে ভাগাভাগি করতে পারছি। বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে পারছি, সবার খোঁজ খবর নিতে পারছি। একে অন্যকে যেকোনো বিষয়ে সহযোগিতা করতে পারছি। এছাড়াও, ফেসবুকের মাধ্যমে আরও নানারকম কাজ করা যায় যেসব আমাদের অনেক উপকারে আসে।
তেমনি আছে খারাপ দিকও। যেমনঃ পর্ণ পেইজ খোলা, পর্ণ গ্রুপ খোলা, পর্ণ ছবি দেওয়া ইত্যাদি। এসব কুকর্মের ফলে আমাদের চরম অসুবিধায় পরতে হয়। এসব বিষয় থেকে বাচতে আমাদেরই সচেতন হতে হবে। আমরা না জেনেশুনেই মাঝেমধ্যে অনেকের ফ্রেন্ড রেকোয়েস্ট একসেপ্ট করে ফেলি। আমাদের উচিৎ পরিচিত না হলে কারো ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট একসেপ্ট না করা।
এছাড়া, আজেবাজে গ্রুপ অথবা পেজ দেখলে সাথেসাথে ফেসবুকে রিপোর্ট করা। এতে করে আমরা নানা ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা থেকে বাচতে পারবো।
একটা ঘটনা বলি- আজকে সকালবেলা ফেসবুকে ঢুকে দেখি ৪৫ টা ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট! এর ভেতর থেকে একজনকেও আমি চিনি না। হঠাৎ একজনের প্রোফাইলে ঢুকে দেখি বাবার নাম লিখেছে ‘ক্রিস গেইল’। আর মায়ের নাম লিখেছে ‘দীপিকা পাড়ুকোন’। সে কাজ করে ‘হোয়াইট হাউসে’। পুরো প্রোফাইল আজেবাজে ছবি দিয়ে ভরা।
চিন্তা করুন, আমি যদি তার ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করতাম তাহলে, আমাকে আজেবাজে ছবিতে ট্যাগ করে অথবা আমার টাইমলাইনে আজেবাজে ছবি পোস্ট করে আমাকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দিত।
আসুন, সবাই সচেতন হই। না জেনেশুনে কারো ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট একসেপ্ট না করি, আর আজেবাজে পেজ বা গ্রুপ দেখলে ফেসবুকে রিপোর্ট করি।
লিখাটি পড়ার জন্য সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আমি প্রীতম চক্রবর্তী। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 39 টি টিউন ও 161 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
মাঝে মাঝে নিজেকে দেখলে মনে হয়, 'হায়! আরও কত কিছু করার বাকি আছে!'
লেখা ভালো হয়েছে। তবে আমার কাছে মনে হলো আপনি খুব তাড়াহুড়ো করে লিখেছেন। বিষয়টাকে আরো বিস্তারিত ও সাজিয়ে লেখা সম্ভব ছিলো। আশা করছি আপনি ভবিষ্যতে আরো ভালো লেখবেন।