বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই।আজ আমি আপনাদের সাথে মিউজিক জগতের আরেকটি সফটওয়্যার নিয়ে আলোচনা করব,সফটওয়্যারটির নাম automix virtual dj ।(আমি জানিনা ,এ সম্পর্কে আগে টিউন করা হয়েছিল কিনা,করা হয়ে থাকলে তার জন্য দ:খিত)।এর যে কি গুণ তা আপনি ব্যবহার না করলে বুঝতে পারবেন না।আজ আমি আপনাদের সাথে এর ব্যবহার বিদি আলোচনা করব,সাথে দিয়ে দেবো এটার আরো অসংখ্য সাউন্ড ইফেক্ট প্লাগ ইন্স যা এটাতে ইন্সটল করে আরো আপনি যে কোন গানে আরো ইফেক্ট যোগ করতে পারবেন।তো প্রথমেই সফটওয়্যারটির বাহ্যিক রূপ দর্শন করি।
ভয়ের কিছু নেই।কারণ, বলেছিতো,আজ আপনাদের জন্য এর ব্যভারবিদি উপস্থাপন করতে যাচ্ছি।
আপনার রার ফাইলগুলো যেখানে সেভ করে রেখেছেন সেখানে এক্সট্রাক্ট করার পরে নিচের মত পাবেন।
ছবিতে fo-dj57 নামে সেটাপ ফাইলটি সিলেক্ট করা অবস্থায় দেখতে পাচ্ছেন তার মাধ্যমে সফটওয়্যারটি ইন্সটল করুন।ইন্সটলেশন শেষ হলে ডেস্কটপে শর্টকার্ট আইকন তৈরি হবে।তা ক্লিক করে প্রোগ্রামটি ওপেন করার গেলে নিচের মত পাবেন,
এই ফাকা জায়গায় সিরিয়াল নাম্বার বসাতে হবে।নাম্বারটি পাবেন,আপনি যেখানে ফাইলগুলো এক্সট্রাক্ট করেছেন সেখানে থাকা read me নামের নোডপ্যাড ফাইলে।
সিরিয়াল নাম্বার বসানোর পরে ok করলে নিচের মত বক্স আসবে।
অর্থাৎ এখানে আপনাকে জিজ্ঞেস করা হচ্ছে যে আপনি প্রোগ্রামটির চেহারা কেমন দেখতে চান।আমি শেষেরটা সিলেক্ট করলাম কারণ এতে সব অপশনগুলো উপস্থিত থাকে।ফলে প্রোগ্রামটি রান হবে
লক্ষ্য করুন,প্রোগ্রামটির উপরে অংশে দুপাশে দুটি একই রকম অংশ, side A এবং side B. sideA তে যা আছে sideB তেও তাই আছে।
(১ ) ও (২) নাম্বার অংশে যে গানটি নিয়ে কাজ করা হবে তা স্থাপন করা হয়।এই দুটি অংশে একি সময়ে দুটি গান পাশাপাশি স্থাপন করা যায়।
(৩) যে দুটি গান (১) ও (২) এ প্লেস করা হল তাদের সম্মিলিত বিট গ্রাফ এখানে দেখা যায়।
(৪) এখানে বিল্ট ইন বা নিজে বানানো সাউন্ড লুপ প্লে করা যায়।লুপ হল কোন গান বা মিউজিকের কোন নির্দিষ্ট অংশের কপি যা বারবার প্লে হবে।
(৫) এখানে সাউন্ড ইফেক্টগুলো প্লে হয়।(৪) এবং (৫) অংশে বামে ছোট করে একটি এরো দেখতে পাবেন।এটাতে ক্লিক করে আরো অনেক লুপ বা ইফেক্টের লিস্ট দেখবেন।এই লিস্ট থেকে আপনার পছন্দমত লুপ বা ইফেক্ট সিলেক্ট করতে পারবেন।
(৬) একে পিচ বলে ।এখানে যা স্লাইডার আছে তা উপরে নিচে সরিয়ে গানের গলার স্বরকে ইচ্ছা মত চিকন বা মোটা(মহিলা বা পুরুষ) করা যায় এবং গানের প্লে স্পীড পরিবর্তন করা যায়।
(৭) এটা পিচ লক।পিস স্লাইডারের কোন পজিশানে এটিতে ক্লিক করলে ঐ পজিশনে গলার স্বর লক হয় ।এখন স্লাইডারটি উপরে বা নিচে সরালে গানের প্লে স্পীড ও চেঞ্জ হবে কিন্তু গলার স্বর স্লাইডারটির আগের পজিশনের গলার স্বরের মত থাকবে,কারন লকের মাধ্যমে তা লক করে দেয়া হয়েছে।লক না করলে গানের প্লে স্পীডের সাথে গলার স্বরও চেঞ্জ হত।
{ (৮) নাম্বারটি ভুল করে দেয়া হয় নাই}
(৯)এখানে ১/২ থেকে ১৬ পর্যন্ত যে সকল বাটন দেখতে পাচ্ছেন এগুলো হল লুপ বাটন।অর্থাত আপনি গান চলা অবস্থায় ৪ লেখা বাটনে ক্লিক করেন তাহলে ঐ গানের ৪টি বিট হওয়া পর্যন্ত একটি লুপ তৈরি হবে,এভাবে ৮ বা ১৬ ইত্যাদি সংখ্যক বিটের লুপ ও তৈরি করা যায় সংশ্লিষ্ট বাটন দিয়ে।
(১০)synchronize বাটন।দুটি গান চলা অবস্থায় এদের বিট পজিশন ভিন্ন হতে পারে।ফলে গান দুটির তাল বা ছন্দ এক থাকবে না। এই বাটনে ক্লিক করলে গান দুটি একই বিটে বাজতে থাকবে অর্থাৎ তাদের বিট পজিশন এক হয়ে যাবে।এই বাটনে ক্লিক করে বিট গ্রাফের দিকে তাকিয়ে দেখবেন,কিভাবে দুটি গানের বিট হয়ে যায়।
(১১) আপনার সিলেক্ট করা গানটি ভিডিও হলে তা এখানে শো হবে,দুটি গানই ভিডিও হলে সিলেক্ট করা গানে ভিডিও এখানে দেখা যাবে।(বলুনতো ভিডিওতে কাকে দেখা যাচ্ছে?)
(১২) এই বাটনটি ক্লিক করলে যে পাশের বাটনটি ক্লিক করা হল সেই পাশের সবগুলো কীবোর্ড দিয়ে চলবে।এবং সংশ্লিষ্ট গান মেজর গান হিসেবে থাকবে।
এছাড়া প্রোগ্রামটির নিচের অংশে আপনারা ডিরেক্টরী দেখতে পাবেন browser নামের ট্যাবের অধীনে।এখানে লাল রঙের চতুর্ভুজে যে অংশ দেখতে পাচ্ছেন এখানে গান গুলো পাবেন।এখান থেকে গান ড্র্যাগ করতে পারেন উপরে দেখানো চিত্রের মত।
প্রোগ্রামটির নিচের অংশে ব্রাউজার ট্যাব ছাড়া আছেও আছে sampler ট্যাব।
এখানে বাম থেকে ডানে অনেকগুলো স্লাইডার দেখতে পাচ্ছেন এবং প্রতিটা স্লাইডারের উপরে প্লে বাটন দেখতে পাচ্ছেন।এখানে বিভিন্ন বিল্টইন লুপ সাউন্ড আপনি প্লে করতে পারবেন।একেকটি প্লে বাটনে ক্লিক করলে একেকটি লুপ সাউন্ড প্লে হবে।আর এই লুপ সাউন্ড স্যাম্পলগুলোই উপরে (৪) নাম্বার অংশে শুনা যায় বা সেখান থেকেই প্লে করা যায়। অবশ্য ইচ্ছা করলে আপনি এখান থেকেও লুপ সাউন্ড প্লে করতে পারেন।তাছাড়া আপনি ইচ্ছা করলে কোনো গানের অংশকেও লুপ সাউন্ড হিসেবে সেট করতে পারেন।এজন্য প্রথমে ঐ গানটিকে প্রোগ্রামটির যেকোনো সাইডে প্লে করুন।
এখন গানের যে অংশ থেকে লুপ শুরু করতে সেই জায়গাটি প্লে করার সাথে সাথে নিচের মত লুপ ইন বাটনে(নিচে নীল বৃত্ত দ্বারা দেখানো স্থান) প্রেস করুন।
গানের যেখানে লুপ শেষ করতে চান সে অংশটি বাজার সাথে সাথে loop out বাটনে প্রেস করুন।
এখন loop in এবং loop out বাটন প্রেস করার মধ্যবর্তী সময়ে গানের যে অংশটি প্লে করছিল এটি ঘুরে ঘুরে বাজতে থাকবে।এটিই হল লুপ।এখন এটি সেভ করার জন্য রেকর্ড বাটনে ক্লিক করুন নিচের নীল বৃত্ত দ্বারা দেখানো অংশের মত।
উপরের চিত্রটিতে হলুদ বৃত্ত দ্বারা দেখানো স্থানে প্রেস করলে আপনার তৈরি করা লুপটি শুনতে পাবেন।আবার প্রেস করলে বন্ধ হবে।অবশ্য এসকল ম্যানুয়েল লুপ,প্রোগ্রাম বন্ধ হওয়ার সাথে সাথে শেষ হয়ে যায়।
এছাড়াও আছে ইফেক্ট ট্যাব (নিচের চিত্রে দেখানো হল)
এখানে বিভিন্ন ধরনের ইফেক্ট আছে।যেমন ,ছবিতে সাউন্ড ইফেক্ট সিলেক্ট করা আছে।এখানে বিভিন্ন ইফেক্টের লিস্ট দেখতে পাচ্ছেন।লিস্টের একেবারে নিচের দিকের ভোকাল ইফেক্টটি এখন সিলেক্ট করা আছে।পাশে গিটারে ছদিতে ক্লিক করার ফলে মিউজিকটি অফ হয়ে শুধু ভোকাল শুনা যাচ্ছে,আবার মাইক্রোফোনে উপর ক্লিক করলে ভোকাল বন্ধ হবে এবং শুধু মিউজিক শুনা যাবে।সাউন্ড ইফেক্ট এপ্লাই করলে যে দুই অংশের দুইটি ট্র্যাকের উপরই তা কার্যকর হয় তা নয়।মাঝখানে দেখতে পাচ্ছেন active on deck a এবং active on deck b নামে দুটি বাটন আছে । যেদিকের বাটন প্রেস করা হবে সেই অংশে যে গান প্লে হচ্ছে তাতে এটি একটিভ হবে।আপনি ইচ্ছা করলে দুটি বাটনে প্রেস করে দুপাশের গানেই ইফেক্ট একটিভ করতে পারেন।আবার একই সাথে দুই পাশে দুটি ভিন্ন ইফেক্ট দিতে পারেন।
পাশে লাল বৃত্ত দ্বারা দেখানো বাটনে ক্লিক করলে ভিডিও ইফেক্ট গুলো প্রদর্শিত হবে।অবশ্য সব ভিডিও ইফেক্ট সব অবস্থায় কাজ করে না,কিছু কিছু করে।তবে সাউন্ড ইফেক্ট সব অবস্থায় এবং সব ফরম্যাটে সাপোর্ট করে।এছাড়াও আছে ভিডিও ট্রান্সিশান।
এখানে config বাটনে প্রেস করলে নিচের মত উইন্ডো পাবেন।
উপরে master+mic সিলেক্ট করলে আপনি গান রিমিক্সের সাথে সাথে হেডফোনের মাধ্যমে নিজের কথাও গানের সাথে রেকর্ড করতে পারবেন।পরের অংশে ফাইল হেডিং এর নিচে আপনি লোকেশান ঠিক করে দিন যেখানে আপনি সেভ করতে চান।আর বাকিগুলো তো বুঝতেই পারছেন।
আমাদের দেশের নেটের যে অবস্থা তাতে কখন যে তা বন্ধন ছেড়ে অলস হয়ে বসে থাকে ,তা বলা মুশকিল।আর তখন যদি একটা বড় কোন ডাউনলোড পন্ড হয়ে যায় তখন আত্নহত্যা করতে ইচ্ছে করে।তাই বন্ধুদের যাতে আফসোস করতে না হয় তাই এই সফটওয়্যারটি তিনটী অংশে ভাগ করে দিলাম আপনাদের জন্য।
প্রথম অংশ ডাউনলোড করুন এখান থেকে। ১১মেগাবাইট।
দ্বিতীয় অংশ ডাউনলোড করুন এখান থেকে। ৬.২৫ মেগাবাইট।
তৃতীয় অংশ ডাউনলোড করুন এখান থেকে।৭.৫৩ মেগাবাইট।এখানে আছে সিরিয়াল নাম্বার আর বোনাস সাউন্ড ইফেক্টগুলো,আপনাদের জন্য।
সবগুলো রার ফাইল আনজিপ করার পরে সাউন্ড ইফেক্ট নামে একটি ফোল্ডার পাবেন।এটাতে নিচের অসংখ্য ইফেক্ট প্লাগ ইন্স পাবেন।এই সবই প্লাগ-ইনস।
প্রতিটা ফোল্ডারে যে ফাইল আছে তাতে ক্লিক করলেই ইন্সটল হয়ে যায়।বেশ কিছু প্লাগ ইন্স ইন্সটল করার পরে দেখুন নিচে।
এখানে চতুর্ভুজের ভেতরে যে সকল ইফেক্ট দেখা যাচ্ছে এগুলো আগে ছিলো না,প্লাগইন্স ইন্সটল করার পরে এগুলো এখন পাওয়া যাচ্ছে।
আমার এই টিউনটা করের পরেই শখের বশে একটা বাংলা গান রিমিক্স করেছি।ভেবেছিলাম স্যাম্পল হিসেবে এটা দিয়ে দেবো।কিন্তু এটা কতটুকু ঠিক হবে তা নিয়ে আমার যথেষ্ট সংশয় আছে।এটা তৈরি করতে আমি mp3remix এবং virtual dj এই দুটি সফটওয়্যারেরই সাহায্য নিয়েছি।আজ এ পর্যন্তই ,কেমন লাগলো জানাবেন।ভালো থাকবেন সবাই,ধন্যবাদ।
আমি MITHU। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 88 টি টিউন ও 1232 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
জটিল টিউন।ধন্যবাদ