-------------------------- بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ --------------------------
সুপ্রিয় টেকটিউনস কমিউনিটি সবাইকে আমার সালাম এবং শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার অর্ধশততম টিউন। যদিও জানি টিউন করার ক্ষেত্রে অর্ধশত, শত বা সহস্র বলে কিছু নেই তবুও এটা আমার ক্ষুদ্র জীবনের জন্য অনেক বড় একটা অর্জন। টিউনের শুরুতে আমি আমার ব্যাক্তিগত আলোচনায় আসবো না কারন আমি মনে করি ভিজিটরগণ টিউনের বিষয়বস্তু এবং টিউন থেকে উপকৃত হওয়ার জন্য টিউন দেখেন। তারা টিউনারের ব্যাক্তিগত আলোচনা শুনতে টিউন দেখবে কিনা সন্দেহ আছে। তবে যারা টিউনারের টেকটিউনস পরিবারকে নিয়ে ভালোলাগা কিংবা মন্দ লাগার অভিজ্ঞতার কথা শুনতে চান তাদের জন্য টিউনের শেষে রয়েছে পরিশিষ্ট।
দিন বদলের সাথে বদলায় পরিবেশ এবং কাজের ক্ষেত্র। আজ থেকে কয়েক বছর আগের কথা ভাবুন তো, ধরুন আপনি বাজার করতে গেছেন। এখন কাঁচা বাজার এক জায়গায় তো মাছের বাজার অন্য জায়গায়, মাংস কিনতে আরো বহুদুর। চাল ডাল বিক্রির জায়গা কোথায় থাকে সেটা আপনারাই ভালো জানেন। কিন্তু আজকাল মীনা বাজারে ঢুকলেই এক জায়গায় সব কিছু পাওয়া যায়। সফটওয়্যারের ক্ষেত্রেও এরকম কিছু কি ছিলো না? একেক কাজের জন্য আমরা একেক রকম সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকি যা আমাদের পিসিতে জায়গা নেয় বেশি এবং কাজের ক্ষেত্রে সময়ের অপচয় তো আছেই। তবে আজ আমি আপনাদের এমন একটি সফটওয়্যার এর সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো যার রয়েছে বহুমুখী কর্মপ্রতিভা। আপনি একটি সফটওয়ার দিয়ে অনেক রকমের কাজ করতে পারবেন তবে এর জন্য আপনাকে ব্যায় করতে হবে মাত্র ১২৯ ইউরো! বাংলাদেশি টাকায় কতো হবে তার হিসাব না হয় আপনারাই কষে নিবেন।
শিরোনাম দেখে আপনারা হয়তো বুঝে ফেলেছেন সফটওয়্যারটির নাম কী! তবে নামের সাথে কাজের কথা যদি ভাবতে চান তাহলে আপনার জন্য বড় রকমের বিষ্ময় অপেক্ষা করছে কারন নামের সাথে Reader লেখা থাকলেও সফটওয়্যারটি দিয়ে কোন ডকুমেন্ট পড়া যায় না। তবে এর কাজ কী? অতি উৎসাহি যারা আছেন তারা নিচের লিংক থেকে সফটওয়্যারটির অফিশিয়াল লিংক থেকে একবার ঘুরে আসতে পারেন।
একি!? আপনারা অনেকেই দেখছি এখনো উপরের লিংকে ক্লিক করেন নাই! যাহোক, কি আর করার আছে আমার। যারা সফটওয়্যারটির অফিশিয়াল সাইট ভিজিট করতে যাননি তাদের জন্য সফটওয়্যারটির কিছু ফিচার সংক্ষেপে তুলে ধরছি। নিচের চিত্রটি লক্ষ্য করুন তাহলে একনজরে বুঝতে পারবেন কী আছে সফটওয়্যারটিতে।
চিত্র দেখে কি আর সব বুঝা যায়? এখনো যারা বুঝেননি তাদের জন্য আরেকটু বিস্তারিত বলছি।
সফটওয়ারটির সাহায্যে আপনি যেকোন ধরনের ফাইলকে অন্য ডকুমেন্টে কনভার্ট করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে কোন পরিশ্রমই করতে হবে না। শুধু ফাইল ব্রাউজ করুন আর কনভার্ট করুন। চলুন একটু দেখে নেওয়া যাক কী কী করা যাবে সফটওয়্যারটি দিয়ে-
এছাড়াও রয়েছে আরো অনেক সুবিধা যেগুলো আপনি ব্যবহার করলেই বুঝতে পারবেন। তবে এতো এতো সুবিধা থাকার পরেও আমার নিজের কাছে যেটা ভালো লাগে সেটা হলো মোবাইল দিয়ে আমার বইয়ের পৃষ্টার ছবি তুলি এবং সফটওয়্যারটি দিয়ে সেটাকে ওয়ার্ড ফাইলে কনভার্ট করি। আপনার কাছে এটা কেমন লাগছে?
এখন কথা হলো আপনার পিসির কোন অংশের ছবি তুলে সেটা থেকে যদি টেক্সট আলাদা করতে চান তাহলে সফটওয়্যারটির সাথে বিল্টইন ভাবে স্ক্রিন ক্যাপচারের জন্য একটি অপশন দেওয়া আছে। আপনি চাইলেই আপনার পিসির স্ক্রিনশট নিতে পারবেন এবং সেটাকে টেক্সট ফাইল বা অন্য যেকোন ফাইলে কনভার্ট করতে পারবেন। চলুন দেখি কিভাবে স্ক্রিনশট নেয়া যায়-
স্টার্ট মেনু থেকে চিত্রে যেভাবে দেখানো হয়েছে সেভাবে ABBYY Screenshot Reader এ ক্লিক করুন তাহলে স্ক্রিনশট নেবার অপশন পপআউট হবে। ওহ! আসল কথাটিই তো ভুলে গেছি, আপনারা এখনো সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করেন নি! আপনারা আমাকে মনে করিয়ে দিবেন না?
সফটওয়্যারটি সম্পর্কে আপনাদের ঝাপসা ভাবে যতোটুকু ইনফোরমেশন দিতে পেরেছি ততোটুকু থেকে যদি সফটওয়্যারটি ভালো লেগে থাকে তাহলে নিচে আপনার জন্য রয়েছে সফটওয়্যারটির ফুল ভার্সন মিডিয়াফায়ার ডাউনলোড লিংক। কম্পিউটার ব্যবহারকারী ছাড়া অন্য কারো ডাউনলোডে সমস্যা হলে এর জন্য টিউনার দায়ী থাকবে না।
আপনি যদি সফলভাবে সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে থাকেন তাহলে এবার ইনস্টলের পালা। তবে মজার ব্যাপার হলো এখানে কিছু ব্যাপার বুঝিয়ে না দিলে হয়তো আপনারা ঝামেলায় পড়ে যাবেন। যাহোক, ডাউনলোড করা জিপ ফাইলটি মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করে এক্সট্রাক্ট করে নিন এবং ইনস্টলার ফাইলটি রান করুন। তাহলেই আপনার সামনে উপস্থিত হবে নিচের মতো এই মহাজাগতিক ভাষা। কারনটা পরে বলছি তবে আপনাকে এবার চিন্তাভাবনা বাদ দিয়ে চিহিৃত স্থানে ক্লিক করতে হবে। তাহলে তীর দ্বারা দেখানো অংশ দেখতে পাবেন, মানে হলো আপনার ফাইলটি ডিকম্প্রেস হওয়া শুরু করবে।
কাজ তো শেষ হয়ে গেলো, এখন মনের আনন্দে ব্যবহার করতে থাকুন।
আপনাদের জন্য আরো একটি চমক হলো Uniblue Powersuite যা আপনার পিসির জন্য Ultimate Solution. আপনার পিসির দ্রুতগতি এবং ভালো পারফরমেন্সের জন্য এই সফটওয়্যারটি অনন্য। দেখতে একটি সফটওয়্যার মনে হলেও এটি আসলে তিনটি সফটওয়্যারের সম্মিলিত রূপ। চলুন তাহলে এক নজরে দেখে নেই কী কী আছে সফটওয়্যারটির মধ্যে-
এবার নিশ্চয় বুঝতে পারছেন সফটওয়্যারটিকে কেন বলা হয় সকল কাজের কাজী। এটা আপনার পিসির রেজিস্ট্রি এরর দুর করবে, ড্রাইভারগুলোকে আপডেট রাখবে এবং সর্বোপরি আপনার পিসিকে রাখবে সুপার ফাস্ট। তাহলে আর দেরী কেন? নিচের ডাউনলোড লিংক থেকে এখনি ফুল ভার্সন ডাউনলোড করে নিন।
আপনি যদি সফলভাবে সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে থাকেন তাহলে আপনার ডাউনলোডকৃত জিপ ফাইলটির উপর মাউসের রাইট বাটন প্রেস করে এক্সট্রাক্ট করে নিন। তারপর নিচের পদ্ধতি অনুসরন করুন।
আশা করি সবকিছু ভালোভাবে সম্পন্ন করতে পারছেন। এখন তাহলে টিউনের বাকি অংশে আপনাকে স্বাগতম জানাচ্ছি।
সুপ্রিয় টেকটিউন কমিউনিটি, একটা একটা করে টিউন করতে করতেই আজ চলে আসলো ৫০তম টিউন প্রকাশের সময়। সব সময় টিউন বিষয়ে কথা বললেও আজ কেন জানি টিউনের বায়রেও কিছু বলতে ইচ্ছে করছে। টেকটিউন পরিবারকে নিয়ে এই ক্ষুদ্র সময়ের কিছু অভিজ্ঞতা না বলতে পারলে কেন জানি শান্তি পাচ্ছি না। কিন্তু সবাই সব কথা দেখি শততম টিউন গুলোতে বলে, কিন্তু আমার এই অকালপক্ক মনোভাব আপনারা নিশ্চয় ক্ষমার চোখে দেখবেন। যাহোক, ব্যক্তিগত কথা শুরু করার আগে আমি প্রথমেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ফজলে রাব্বী নোমান ভাইয়ের প্রতি যার সহযোগিতা না পেলে হয়তো সফটওয়্যার নিয়ে টিউনগুলো করা সম্ভব হতো না। কারন নোমান ভাই প্রায় আমার দেওয়া সবগুলো সফটওয়্যার ইন্টারনেটে আপলোড করা, ডাউনলোড করার কাজ গুলো করে আমাকে সাহায্য করতেন। টেকটিউনসে প্রথম যেদিন টিউন করি সেদিনেই নোমান ভাইয়ের সাথে আমার প্রথম সাক্ষাৎ হয়। তারপর থেকে আজ পর্যন্ত উনি আমার নিজের ভাইয়ের মতো আমার সুখ দুঃখে অংশীদার হয়ে আসছেন। আল্লাহ তার কাজের জন্য তাকে উত্তম প্রতিদান দিন, আমিন।
টেকটিউনস ভিজিট করি প্রায় এর জন্মলগ্ন থেকেই, সেই সময়ের টিউনারগণ সব সময় সুন্দর সুন্দর টিউন করে আমাকে মাতিয়ে রাখতো। মজার ব্যাপার হলো আমি আমার এক বড় ভাইয়ের কাছ থেকে প্রথম টেকটিউনসের কথা শুনি। তখন মোবাইল দিয়ে টেকটিউনস ভিজিট করতাম। আপনারা হয়তো শুনলে হাসবেন, আমি টেকটিউনসে প্রাপ্ত বিভিন্ন তথ্য বিশেষ করে অনেক টিউনারের পুরো টিউন একটি খাতায় লিখে রাখতাম। সেই সাথে প্রথম আলো পত্রিকায় কম্পিউটার প্রতিদিন নামে যে অংশ টুকু থাকতো সেগুলো কেটে সব সময় সংগ্রহ করতাম। তার ফলশ্রুতিতেই হয়তো আজকের এই টিউন করা, নিজের সামান্য জ্ঞানকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার এক ছোট্ট প্রচেষ্টা। যাহোক, ২০০৫ সাল থেকে মোটামুটি আমি কম্পিউটারের সাথে পরিচিত, মানে মাঝে মাঝে হাই হ্যালো বলা আরকি! কিন্তু কম্পিউটারের ইন্টারনেটের সাথে পরিচয় হয় ২০১০ সালে এবং কম্পিউটারের অবাধ ইন্টারনেট ব্যবহারের স্বাধীনতা পাই ২০১১ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার পর। তারপর শুরু হলো টেকটিউনসের নিয়মিত পথ চলা যদিও সেটা টিউন পড়ার মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকতো। এক সময় টিউমেন্ট করতে ইচ্ছে হলো, ২০১২ সালের ২৩ ডিসেম্ভর টেকটিউনসে একটা আইডি খুলে ফেললাম। তারপর মাঝে মাঝে টিউমেন্ট করি বাঘা বাঘা টিউনারদের টিউনে যদিও সেটা ছোট ছোট কিছু শব্দের মাঝেই আটকা পড়ে থাকতো, বেশি কিছু লিখার সাহস পেতাম না। তারপর আসলো সেই স্পেশাল দিন, ২০১৩ সালের ২৫নভেম্ভর যেদিন আমি আমার প্রথম টিউনটি প্রকাশ করি এবং এরপর থেকে আপনারা আমাকে আপনাদের ভালোবাসা দ্বারা এখনো আটকে রেখেছেন।
এবার টেকটিউনস নিয়ে কিছু কথা বলি, প্রথম দিকে একরকম সবার সাথে যোগাযোগ রাখার প্রত্যয়েই টেকটিউনসে আমার ফেসবুক লিংক শেয়ার করতাম। কারও সমস্যার সমাধান করতে পারলে অসম্ভব রকম ভালো লাগতো (এখনো লাগে)। কিন্তু এক সময় আবিষ্কার করলাম বাংলার মানুষ কতোটা অলস, কারন সামান্য কিছু সমস্যা যেটা গুগলে এমনিতেও পাওয়া যায় সেগুলোর জন্য প্রশ্ন করে। তবে সেটা বড় কথা না, বড় কথা হলো তারা এতোটাই অধৈর্য্য যে রিপ্লাই দিতে ৫মিনিট দেরী হলে গালি দিয়ে অবস্থা কাহিল করে ফেলে। যাহোক, টেকটিউনসে টিউন শুরু করার পর এই এক বছরের বেশি সময়ে আপনাদের ভালোবাসা পেয়েছি অনেক যার প্রতিদান আমি নিজেও দিতে পারবো না। কিন্তু বাতির নিচে যেমন অন্ধকার থাকে ঠিক তেমনি অনেকের গালি-গালাজও হজম করেছি অনেক। কেউ বুঝতে চায় না টিউনারদেরও ব্যক্তিগত ব্যস্ততা থাকতে পারে। একদিন প্রবাসী ভাইকে একটা মেসেজ দিয়েছিলাম, উনি রিপ্লাই দেননি বলে খুব কষ্ট পেয়েছিলাম কিন্তু পরবর্তি সময়ে আমাকে একজন অনেকগুলো মেসেজ দেওয়ার পর যখন একটা রিপ্লাই দিলাম তখন উনি আমাক বললেন রিপ্লাই দেন না কেন? আমি উত্তরে যখন বললাম কয়জন কে রিপ্লাই দিবো ভাই? তার প্রতি উত্তরে উনি আমাকে বললেন, আপনাকে ক্ষমা করে দিলাম। বিষয়টা আমার ভালো লেগেছে এবং বুঝতে পারছি টিউনাররা কেন সব সময় রিপ্লাই দিতে পারেন না। তবে আপনাদের জানার জন্য বলছি প্রবাসী ভাই কিন্তু আমার উত্তর দিয়েছিলেন এবং সেটা খুব ভালোভাবেই, কারন পরবর্তি সময়ে সমস্যাটা গুছিয়ে বলার সুযোগ পেয়েছিলাম বলে। যাহোক টেকটিউনসে যারা টিউনারদেরকে নক করেন তাদের জন্য বলছি আপনাদের সমস্যাগুলোকে ভালোভাবে গুছিয়ে ইংরেজিতে অথবা বাংলায় লিখে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করুন। তারা অবশ্যই আপনার উত্তর দিবে। তবে সব সময় টিউনারগণ সৌজন্যতা প্রকাশের সুযোগ পান না, একারনে দেখা যায় শুধু হাই বা হ্যালো লিখলে কোন উত্তর পাওয়া যায় না। আশা করি আপনারা বিষয়টা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
এবার ব্যক্তিগত বিষয়ে কিছু বলা যাক। জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলায় আমার জন্ম এবং মোটামুটি ইন্টারমেডিয়েট পর্যন্ত জামালপুরেই আমার শৈশব এবং ছাত্রজীবন কাটিয়েছি। আমার বাবার ৫জন সন্তানের মধ্যে আমি সবার ছোট এবং একমাত্র পুত্র সন্তান। আমার বাবা আলহাজ্ব ডা. মো লুৎফর রহমান ছোটবেলায় আমাকে তার একটি স্থেথোস্কোপ দিয়ে বলছিলেন যে এক সময় তোমাকে ডাক্তার হতে হবে। বাবার সেই স্থেথোস্কোপ নিয়ে আমি ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বড় হয়েছি। সব সময় স্বপ্ন দেখতাম অ্যাপ্রোন গায়ে দিয়ে স্থেথোস্কোপ গলায় ঝুলিয়ে রুগী দেখছি। কিন্তু আমার বাবা এবং আমার সেই স্বপ্ন এক সময় শেষ হয়ে গেলো। বিধাতা আমার কাছ থেকে স্থেথোস্কোপ কেড়ে নিয়ে আমার গায়ে অ্যাপ্রোন পড়িয়ে দিলো, কারন একসাথে এই দুটো জিনিস দিয়ে নাকি আমাকে মানায় না। আমি ভর্তি হলাম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাবে, বাবা হয়তো কিছুটা শান্তনা পেলেন। কিন্তু পরবর্তি সময়ে বুঝলাম আমার জন্য এটাও উপযুক্ত না, রসায়ন আমাকে আগের মতো টানে না। আমার টান কেবল সাহিত্য এবং টেকনোলজিতে। অধিকাংশ সময় সাহিত্যের অলিগলিতে ঘুরে এবং টেকনোলজি ঘেটে সময় পার করি। এছাড়া কিছুই ভালোলাগেনা। জীবনের কোন লক্ষ্য নেই বলে হারাবার ভয় করিনা কোন কিছুই।
টেকটিউনসে দিনে ১০টার বেশি টিউন করেছে এরকম টিউনারও আজকাল চোখে পড়ে কিন্তু আমার এই ৫০টি টিউন করতেই ১ বছরের বেশি সময় লেগে গেলো। জানিনা পরবর্তিতে কী অপেক্ষা করছে। তবে আপনাদের ভালোবাসা পেলে এভাবে আরো বহুদুর যাওয়ার স্বপ্ন আছে। কারন ইদানিং শুধু টেকটিউনসের ভাবনাগুলোই আমাকে আচ্ছন্ন করে। টিউনার প্রবাসীর টিউনগুলোকে সব সময় ভালো লাগে। তাছাড়া জাকির হোসেন, এক সময়ের টিনটিন ভাই, হোছাইন আহম্মদ ভাইয়ের টিউনগুলোও খুব ভালোলাগে। তবে আমার আদর্শ কিন্তু টিউনার প্রবাসী। ব্যক্তিগত পছন্দের ভেতরে আছে হুমায়ুন আহমেদ এবং আনিসুল হক। পছন্দের বিষয় বাংলা সাহিত্য এবং অপছন্দের বিষয় রসায়ন শাস্ত্র (যদিও এ পর্যন্ত রসায়ন যতোটুকু জানি অন্য কিছু তার ধারেকাছেও নেই)।
সব কিছুর শেষ আছে। এক সময় শেষ করতেই হবে সব কিছু কিন্তু আমার লিখতে ভালোই লাগে কারন যতোক্ষণ লিখি মনে হয় আমি টিউডারদের সাথে কথা বলছি। সাধারন কথাগুলো আমি যেভাবে বলি টিউনগুলোও সেভাবেই লেখার চেষ্টা করি। ছোট জিনিসটাও ছোট করে লিখতে পারিনা। একারনে ফেসবুক স্টেটাসের মতো টিউন করার যুগে আপনারকে বিশাল আকারের টিউন করে বিরক্ত করি। আশা করি আপনারা আমার এই ধৃষ্ঠতাকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। তবে কথা শেষ করার আগে মনে হচ্ছে কিছু কথা রয়েছে এখনো বাকি। রবীন্দ্রনাথের সেই লাইনের মতো, শেষ হইয়াও হইলো না শেষ!
টিউনটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অথবা বুঝতে যদি কোন রকম সমস্যা হয় তাহলে আমাকে টিউমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। কারন আপনাদের যেকোন মতামত আমাকে সংশোধিত হতে এবং আরো ভালো মানের টিউন করতে উৎসাহিত করবে। আর আপনাদের যাদের টেকটিউনসে একাউন্ট নেই তারা আমার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ লিংক থেকে আমার টিউনে কমেন্ট করতে পারবেন। পেজে লাইক দিয়ে আমার সকল টিউন বিষয়ে আপডেট থাকুন। সর্বশেষ যে কথাটি বলবো সেটা হলো, আসুন আমরা কপি পেস্ট করা বর্জন করি এবং অপরকেও কপি পেস্ট টিউন করতে নিরুৎসাহিত করি। সবার সর্বাঙ্গিন মঙ্গল কামনা করে আজ এখানেই শেষ করছি। দেখা হবে আগামী টিউনে।
আপনাদের সাহায্যার্থে আমি আছি........
ফেসবুক | টুইটার | গুগল-প্লাস
আমি সানিম মাহবীর ফাহাদ। সুপ্রিম টিউনার, টেকটিউনস, ঢাকা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 176 টি টিউন ও 3500 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 159 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আগে যা শিখেছিলাম এখন তা শেখানোর কাজ করছি। পেশায় একজন শিক্ষক, তবে মনে প্রাণে টেকনোলজির ছাত্র। সবার দোয়া প্রত্যাশি।
হেই আমি এত কিছু আবার কবে করলাম। কোন প্রমান আছে আমি করছি? নাই।
যাই হোক, টিউন অতি ভালো হয়েছে বরাবরের মত।
৫০তম তে খানা খাদ্যের ব্যাবস্থা করেন। আসতেছি। 😀 😀 😀