২০ আয়াত, ১ রুকু, মক্কী
[ দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্র নামে ]
ভূমিকা ও সার সংক্ষেপঃ একটি প্রাথমিক মক্কী সূরা। এই সূরাতে মক্কা নগরীর সাথে রাসুলের (সা) সর্ম্পকের উল্লেখ করা হয়েছে। মক্কা নগরী রাসুলের (সা) জন্মের বহু পূর্ব থেকে পবিত্র নগরী হিসেবে পরিচিত। এই পবিত্র নগরীতে বিশ্বনবীর জন্ম হয়। তিনি এই নগরীর এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন, যে পরিবারের হাতে পবিত্র কাবা ঘরের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিয়োজিত ছিলো। বিশ্ব নবী খুব অল্প বয়েসেই পিতা ও মাতা হারা এতিম শিশুতে পরিণত হন। শিশু বয়েস থেকেই তাঁর হৃদয় মন এক স্রষ্টার এবাদতে নিমগ্ন থাকতো। পরিণত বয়েসে তিনি পৌত্তলিক এবাদতের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। ফলে তাঁর জন্মস্থানের অধিবাসীরা তাঁর প্রতি নির্যাতনের খড়গ চালনা করে। যার ফলে জন্মভূমি থেকে বিতারিত হয়ে ইয়াথরিব শহরে গমন করেন এবং সেখান থেকে ধর্ম প্রচার করেন। পরবর্তীতে এই শহরের নাম হয় 'মদিনাত্ -উন-নবী ' বা নবীর শহর। সেই থেকে বর্তমানেও এই শহরকে বলা হয় মদিনা। মদিনাকে রাসুলের শিশু হিসেবে আখ্যায়িত করা যায়। কিন্তু রাসুলের (সা ) হৃদয় সর্বদা তাঁর মাতৃভূমির জন্য আকুতি করতো এবং তাঁর দায়িত্ব কর্তব্য সমাপন অন্তে তিনি পূণরায় তার মাতৃভূমিতে প্রত্যার্পন করেন বিজয়ী রূপে। তিনি কাবা শরীফকে পৌত্তলিক মুক্ত করেন এবং এক আল্লাহ্র উপাসনা চালু করেন। তিনি স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়ে মুসলিম বিশ্বে ন্যায়বান ও যোগ্য ব্যক্তির শাসন চালু করেন, সেই সাথে দাস মুক্তি, গরীবের অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করেন। অনুধাবন করার বিষয় হচ্ছে পবিত্র মক্কাকে কেন্দ্র করে কি অপূর্ব ন্যায়ের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা হয়েছিলো। পৃথিবীর আধ্যাত্মিক ইতিহাসে কাবা হচ্ছে আধ্যাত্মিক মুক্তির প্রতীক স্বরূপ।
১৫ আয়াত, ১ রুকু, মক্কী
[ দয়াময়,পরম করুণাময় আল্লাহ্র নামে ]
ভূমিকা ও সার সংক্ষেপঃ এটি একটি প্রাথমিক মক্কী সূরা। সূরাটি শুরু করা হয়েছে অপূর্ব সুন্দর কিছু শপথের মাধ্যমে,যে শপথের সাহায্যে মানুষের আধ্যাত্মিক দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে। সূরাটি শেষ করা হয়েছে যারা পরলোকে বিশ্বাস করে না তাদের শেষ পরিণতি সম্বন্ধে সাবধান বাণী উচ্চারণ করে।
২১ আয়াত, ১ রুকু, মক্কী
[ দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্র নামে ]
ভূমিকা ও সার সংক্ষেপঃ এই সূরাটি মক্কাতে অবতীর্ণ প্রথম দশটি সূরার অন্যতম। সম্ভবতঃ সূরাটির সময়কাল ৮৯ নং এবং ৯৩নং সূরাদ্বয়ের অবতীর্ণ কালের সময়ের সমসাময়িক। লক্ষ্য করুণ এই তিনটি সূরাতেই রাত্রি ও দিনের অপূর্ব বৈশিষ্ট্য ও বৈষম্যকে তুলে ধরা হয়েছে শপথের মাধ্যমে এবং এই শপথের মাধ্যমে মানুষের আধ্যাত্মিক আকাঙ্খা বা অতৃপ্তির সান্তনা দান করা হয়েছে। এই সূরাতে বলা হয়েছে যে, আল্লাহকে পাওয়ার জন্য মানুষ সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে, তাহলেই আল্লাহ্ মানুষকে সকল প্রকার সাহায্য সহযোগীতা ও সন্তুষ্টি দান করবেন।
১১ আয়াত, ১ রুকু, মক্কী
[ দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্র নামে ]
ভূমিকা ও সার সংক্ষেপ : এই সূরাটির সময়কাল হচেছ ৮৯ নং ও ৯২ নং সূরার সমসাময়িক। এই তিনটি সূরাতে রাত্রি ও দিনের বৈষ্যমের মাঝে তুলনা করা হয়েছে। এই সূরাতে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের আশ্বাস দান করা হয়েছে, যা মানুষের জন্য আল্লাহ্র পক্ষ থেকে আশা ও সান্তনার বাণী। মানুষকে আহ্বান করা হয়েছে সৎপথের প্রতি এবং আল্লাহ্র নেয়ামত সমূহকে সনাক্ত করতে বলা হয়েছে - তাহলেই মানুষ বুঝতে সক্ষম হবে আল্লাহ্র অনুগ্রহ সমূহ। এই -ই হচ্ছে এই সূরার সাধারণ বিষয় বস্তু যা সর্বকালে সর্ব মানুষের জন্য প্রযোজ্য। রাসুলের (সা) জীবনীর প্রেক্ষাপটে সূরাটি অবতীর্ণ হয়। সেই সময়টি ছিলো রাসুলের (সা) জন্য অত্যন্ত কষ্টকর সময় যা কোন মানুষকে হতোদ্দ্যম করার পক্ষে যথেষ্ট। আল্লাহ্ নবীকে বলেছেন যে বর্তমান নিয়ে হতোদ্দম না হতে, কারণ অচিরেই ভবিষ্যতে তাঁর উজ্জ্বল সম্ভাবনা বিদ্যমান। রাত্রির নিঝুম নিরবতার অন্ধকারের পরে যেরূপ আলোকজ্জ্বল প্রভাতের আবির্ভাব ঘটে ঠিক সেরূপই উজ্জ্বল ভবিষ্যত তাঁর জন্য অপেক্ষা করছে। এই ভবিষ্যত জীবন হবে ইহকাল এবং পরলোকেও। ইহলোকের পার্থিব জীবনে তা হবে ইসলামের বিজয় ও আল্লাহ্র সন্তুষ্টি, পরলোকে আল্লাহ্র সান্নিধ্য। রাসুলের (সা) জীবনীর মাধ্যমে এই ছিলো বিশ্বজনীন উপদেশ।
৮ আয়াত, ১ রুকু, মক্কী
[ দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্র নামে ]
ভূমিকা ও সার সংক্ষেপ : বিপদ ও বিপর্যয়ের সময়ে এই সূরা আশা ও উৎসাহের বার্তা বয়ে আনে। সূরা আদ দুহা অবতীর্ণ হওয়ার পর পরই এই সূরাটি অবতীর্ণ হয় এবং এই সূরার যুক্তি পূর্বের সূরার সম্পূরক অংশ বিশেষ।
আমি রাজিব। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 29 টি টিউন ও 40 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আসসালামু আলাইকুম,রাজিব ভাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ……