৮ আয়াত, ১ রুকু, মক্কী
[ দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্র নামে ]
ভূমিকা ও সার সংক্ষেপ : এটিও একটি প্রাথমিক সূরা। এই সূরায় পবিত্র প্রতীকের সাহায্যে বর্ণনা করা হয়েছে যে, মানুষকে সুন্দরতম গঠনে গঠন করা হয়েছে। কিন্তু মানুষ যদি সৎ ও পরিচ্ছন্ন জীবন যাপন না করে ও ঈমান না আনে তবে সে হীনতাগ্রস্থদের মধ্যেও হীনতমতে পরিণত হবে। বিষয়বস্তুর দিক থেকে এই সূরাটি ১০৩ নং সূরার ন্যায়।
অথবা আলাক্ বা জমাট রক্ত পিন্ড -৯৬
১৯ আয়াত, ১ রুকু, মক্কী
[ দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্র নামে ]
ভূমিকা ও সার সংক্ষেপ : ৪০ বৎসর বয়সে হেরা পর্বতের গুহায় সর্বপ্রথম তাঁর এই সূরার [ ১ - ৫ ] পাঁচটি আয়াত রাসুলের নিকট সরাসরি অবতীর্ণ হয় এটাই ছিলো প্রথম ওহী। এর পরে কয়েক মাস বা সম্ভবতঃ এক বছরের বিরতি [Fatra] ছিলো। সূরা নং ৬৮ কে বলা হয় এই পাঁচটি আয়াতের পরে অবতীর্ণ দ্বিতীয় ওহী। কিন্তু এই সূরার পরবর্তী অংশ [ ৯৬ : ৬ - ১৯] দীর্ঘ বিরতির পরে অবতীর্ণ হয়,এবং এই অংশকে পূর্বের পাঁচটি আয়াতের সাথে যুক্ত করা হয়, যেখানে আদেশ দান করা হয়েছে সত্য জ্ঞান প্রচারের জন্য। পরবর্তী অংশ সংযুক্ত করার মাধ্যমে দেখানো হয়েছে যে, এই সত্য ও জ্ঞানকে প্রচারের প্রধান বাঁধা হচ্ছে মানুষের একগুঁয়েমী,অহংকার এবং উদ্ধতপনা।
৫ আয়াত, ১ রুকু, মক্কী
[দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্র নামে]
ভূমিকা ও সার সংক্ষেপ :
সম্ভবতঃ সূরাটি মক্কী সূরা যদিও অনেকে মনে করেন যে, সূরাটি মদিনাতে অবতীর্ণ হয়েছে।
সুরাটির বিষয় বস্তু হচ্ছে কদরের রাত্রি বা মহিমান্বিত রাত্রি, যে রাত্রিতে রাসুলের (সা) নিকট জিব্রাইল ফেরেশতার মাধ্যমে প্রথম কোরাণ অবতীর্ণ করা হয়।
৮ আয়াত, ১ রুকু, মাদানী
[দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্র নামে ]
ভূমিকা ও সার সংক্ষেপ : এই সূরাটি সম্ভবতঃ প্রাথমিক মাদানী সূরা অথবা শেষদিকে অবতীর্ণ মক্কী সূরা।
এই সূরার বিষয়বস্তু পূর্বের সূরার ধারাবাহিকতা স্বরূপ। কদরের রাত্রি প্রকৃতপক্ষেই মানুষের জন্য রহমত স্বরূপ। কিন্তু যারা সত্যকে প্রত্যাখান করে ; আল্লাহ্র বাণী তাদের হৃদয়ে কোন রেখাপাত করতে পারে না। এ বাণীর স্বপক্ষে যত যুক্তিই থাকুক না কেন, বক্তব্য যত সুষ্পষ্টই হোক না কেন তা সত্য প্রত্যাখানকারীদের হৃদয়ে রেখাপাত করে না ; সত্যের আলোর প্রবেশ ঘটে না।
৮ আয়াত, ১ রুকু, মাদানী
[ দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্র নামে ]
ভূমিকা ও সার সংক্ষেপ : এই সূরাটি পূর্বের সূরার ন্যায়। এটি একটি প্রাথমিক মাদানী সূরা। আবার অনেকে মনে করেন এটা বিলম্বে প্রাপ্ত মক্কী সূরা।
রোজ কেয়ামতের প্রাক্কালে যখন ন্যায় ও সত্যের পটভূমিতে নূতন পৃথিবী সৃষ্টি করা হবে সে সময়ে এই পুরাতন পৃথিবী প্রচন্ডভাবে প্রকম্পিত হবে। বর্তমান পৃথিবীর সব কিছু সমূলে উৎপাটিত হবে এবং পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে। সেই প্রবল কম্পনের সামান্য নমুনা আমরা ভূমিকম্পের সময়ে দেখতে পাই। কেয়ামত কালের কম্পনের ফলে পৃথিবীর অভ্যন্তরের সকল লুক্কায়িত বস্তু বের হয়ে পড়বে।
আমি রাজিব। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 29 টি টিউন ও 40 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
ধন্যবাদ ভাই শেয়ার করার জন্য।