G.I. Joe: Retaliation মুভির বাংলা সাবটাইটেল করলাম।
প্রায় ১১০০+ লাইন। কয়েকদিন ধরে খালি বাংলা লিখলাম। ভালোই লাগলো কাজটা করতে।
একদিন হঠাত কোথাও দেখি অলিম্পাস হ্যাজ ফলেন মুভির বাংলা সাবটাইটেল।
আমি ভাবলাম কেমনে কাজটা করছে? তারপর ঘাঁটাঘাঁটি শুরু করলাম। মেকইউজঅফে এ একটা ডিসকাশন দেখলাম। ব্যস, কাজটা ধরলাম। কিন্তু এতো বাংলা কি আর একদিনে লেখা সম্ভব !!! তাই কয়েকদিন লাগলো লিখতে। নিজের তৈরি জিনিস; দেখতে ভালোই লাগছে।
আপনারা ডাউনলোড করে দেখতে পারেন। এইটা অটোলোডেড ফাইল না। কষ্ট করে এসআরটি ফাইলটা টেনে মুভির উপর চালাতে হবে। ভালো কথা এটা শুধু ডিভিডিরিপ ফরমেটের জন্য বানানো।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বাছাই করা সেরা সব যোদ্ধাকে একত্র করে তৈরি করা হয় বিশেষ বাহিনী জি.আই. জো। যেকোনো সময় যেকোনো স্থানে যেকোনো অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সদা প্রস্তুত এই বাহিনীর মূল নেতা জেনারেল হক। আর প্রধান শত্রু ডেসট্রো ও কোবরা কমান্ডার।
মিলিটারি এলিট দল জি.আই. জো’র বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে। খবর এসেছে তারা পাকিস্তান থেকে পারমাণবিক অস্ত্র লুট করেছে। প্রেসিডেন্টের হুকুম যে করেই হোক জি.আই. জো দলটিকে দমন করতে হবে। তারা আক্রান্ত হয় এবং ডিউকসহ দলের অনেকে মারা যায়। যে দলটির বিরুদ্ধে অভিযোগ তাদের মধ্যে রোডব্লক, ফ্লিন্ট এবং লেডি জে প্রাণে বেঁচে গেছে। এই ঘটনার পেছনে আসলে কোবরা স্পাই যার্টানের হাত রয়েছে। দেশে ফিরে নিজেদের ভাবমূর্তি উদ্ধার ও দেশকে বাঁচাতে জীবনবাজি রাখার লড়াইয়ে নামে জি.আই. জো দল।
তাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযানে অংশ নেয় ডিউক, রিপকর্ড, স্কারলেট, হেভি ডিউটি, ও স্নেক আইজ।
এ মুভির চরিত্রগুলো শুরুতে ছিল পুতুল। ১৯৬৪ সালে খেলনা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান হাসব্রো বাজারে ছাড়ে এই পুতুল।
মার্কিন সেনাবাহিনীর বীরত্বগাথা, সাহসিকতা আর দেশপ্রেম নতুন প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা থেকে পুতুলগুলো বাজারে ছাড়া হয়। শিশু-কিশোর সবাই লুফে নিয়েছিল পুতুলগুলো। তখন থেকেই এই চরিত্রগুলো নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের পরিকল্পনা চলতে থাকে হলিউডে। ১৯৮২ সালে একটি বিজ্ঞাপনে জি. আই. জো’র একটি চরিত্রকে দেখা যায়। এর ঠিক দুই বছর পর পূর্ণদৈর্ঘ্য অ্যানিমেশন ছবি তৈরি হয়।
২০০৯ সালের আগস্টে মুক্তি পায় ‘জি.আই. জো : রাইজ অব দ্য কোবরা’। ১৭৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত ছবিটি আয় করে ৩৫০ মিলিয়ন ডলার। মূলত সেই সাফল্যের পথ ধরে নির্মিত হয়েছে দ্বিতীয় ছবি ‘জি.আই. জো : রিটালিয়েশন’। গত ২৮ মার্চ মুক্তি পেয়েছে ছবিটি।
‘স্টেপ আপ টু : দ্য স্ট্রিটস’ এবং ‘স্টেপ আপ থ্রিডি’ চলচ্চিত্রগুলোর নির্মাতা জন চু পরিচালিত এই ছবিতে অভিনয় করেছেন চ্যানিং টেটাম, ডোয়ায়েন জনসন, ডি জে কোট্রনা, অ্যাড্রিয়েন প্যালিকি, আর্নল্ড ভসলু, ব্রুস উইলিসসহ আরো অনেকে।
আমি মাসুদুর। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 2 টি টিউন ও 13 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
link kam kore na je ?