ভাইরাস হাত থেকে কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রন নিজের হাতে নেয়ার এক অসাধারণ সফটওয়ার!!!

QFCfirst

উইন্ডোজের বিভিন্ন সমস্যা দূর করা বা রিপেয়ার করার জন্য এখন ইন্টারনেটে প্রচুর পরিমানে সফটওয়ার পাওয়া যায়। কিন্তু মাঝে মাঝে এমন পরিস্থিতির স্বীকার হতে হয় তখন খুবই তড়িৎ গতিতে কিছু করতে না পারলে আপনার ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

যেমন: ভাইরাস অ্যাটাক করলে আপনাকে খুবই দ্রুততার সাথে টাস্ক ম্যানেজার বা রেজিস্ট্রি এডিটর ওপেন করতে হবে।

আবার কখনো দেখা যায় নতুন কিছু ইনস্টল করার পর আপনার XP রহস্যময় আচরন করা শুরু করে যেমন প্রতিবার কম্পিউটার স্টার্ট হওয়ার সময়ই My Documents ফোল্ডারটি ওপেন হওয়া ইত্যাদি।

আবার দেখা যায় বিভিন্ন করনে আপনার উইন্ডোজের অনেক অপশনই আপনি আর অ্যাকসেস করতে পারছেন।

এছাড়াও রয়েছে এরকম আরো অনেক অজানা ও রহস্যময় সমস্যা। এগুলোর সমাধান কারোই জানা নাই। এন্টিভাইরাসও এ ব্যাপারে নিশ্চুপ। তাহলে এ সমস্যার কি কোন সমাধানই নেই। আমি যখন প্রথম দিকে কম্পিউটার কিনেছিলাম কম্পিউটারে গুরুত্বপূর্ণ কিছুই ছিলনা বলে ভাইরাসের সাথে যুদ্ধ করতে ভালোই লাগতো হেরে যাবো সন্দহ হলেই ফরমেট হা হা হা।

আমি এ ধরনের অনেক সমস্যায়ই পড়েছি যার সমাধান আমি বহুদিন খুজেও বের করতে পারিনি।

এ সকল সমস্যার হাত থেকে আপনাকে মুক্তি দিতে পারে একটি সফটওয়ার। এর নাম “XP Quick Fix Plus”।

এটিই আমরা আজকের টিউনের বিষয়।

QFCDfirst image

এর বৈশিষ্ট্যগুলো নিচে লিখা হল:

  • এটি ভাইরাস জনিত বা কোন ত্রুটি জনিত কারনে সংঘটিত প্রায় ৪০ টি রহস্যময় সমস্যা থেকে আপনাকে মুক্তি দেবে।

(দয়াকরে নিম্নোক্ত সমস্যা গুলো একবার দেখুন, এ ধরনের রহস্যময় সমস্যার সমাধান আপনি আর কোথাও পাবেন না। শুধু ভাইরাস নয় বিভিন্ন কারনেই এ সমস্যা গুলো দেখা দিতে পারে। যার সমাধান খুবই দূর্লভ।)

এ সফটওয়ারটি নিম্নোক্ত সমস্যাগুলোয় আপনাকে রক্ষা করবে :

  1. টাস্ক ম্যানেজার ওপেন করা না গেলে।
  2. রেজিস্ট্রি এডিটর ওপেন করা না গেলে।
  3. কম্টিউটার স্টার্ট আপেই সর্বদা যদি My documents ওপেন হয়।
  4. ফোল্ডার অপশন অকেজো হয়ে গেলে।
  5. স্টার্ট মেনুর রান অপশনটি অদৃশ্য হয়ে গেলে।
  6. যদি না কোন ফাইলের উপর মাউস পয়েন্টার রেখে রাইট বাটন অপশনের “Open  with” অথবা “Choose program” ক্লিক করলে সর্বদাই নোটপ্যোড ওপেন হয়।
  7. কোন সটকার্টের কন্টেক্সট মেনুতে সবগুলো এন্টি দুইবার করে দেখা গেলে।
  8. কন্ট্রোল পেনেলের “Switch to Classic View” অপশন না দেখা গেলে।
  9. কমান্ড লাইন কাজ না করলে।

10.  “My Computer” এর উপর মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করলে যদি “Properties” অপশন না দেখা যায়।

11.  ডিভাইস ম্যানেজার অকেজো হয়ে গেলে।

12.  “My computer” বা “Windows Explorer” খুবই ওপেন করতে অনেক সময় লেগে গেলে।

13.  টাস্কবারে রাইট ক্লিক করার পর টুলবারের সবগুলো সাবমেনুই যদি ছাই বর্নের দেখা যায়।

14.   স্টার্ট মেনুর Run ক্লিক করে msconfig লিখে ক্লিক করার পর যদি “System Configuration Utility” তে BOOT.INI অপশন না দেখা গেলে।

15. কোন ফোল্ডার বা ড্রাইভের উপর ডাবল ক্লিক করলে যদি যদি “Search Companion” চালু হয়ে যায়। অথবা কোন ফোল্ডার বা ড্রাইভের রাইট ক্লিক অপশনের সবচেয়ে উপরে যদি “Search” অপশনটি দেখা যায়।

16.  টাস্কবারে ক্লিক করলে যদি “Lock the Taskbar” অপশনটি ধূসর বা ছাই বর্নের হয়ে গেলে।

17.  “My documents” এ রাইট ক্লিক করলে যদি “Properties” অপশনটি না দেখা যায়।

18.  OEM Splash and Wallpaper রিমোভ করতে সমস্যা হলে।

19.  যদি ডেক্সটপের “My Network Places” ফোল্ডারটি অদৃশ্য হয়ে যায়।

20.  “Recovery Console” অকেজো হয়ে গেলে।

21.  “File type associaton” ধূসর হয়ে গেলে। অর্থাৎ আপনি ফাইল টাইপ অ্যাশোসিয়েশন দেখতে পারেন ঠিকই কিন্তু পরিবর্তণ করতে না পারলে।

22.  কোন কম্প্রোসড ফোল্ডারের উপর ডাবল ক্লিক করলে যদি “Search Companion” ওপেন হয়ে যায়।

23.  স্টার্ট আপের সময় কোন সর্টকাট রান না করলে।

24.  অসম্পূর্ণ টুলটিপস প্রদর্শন করলে।

25.  কন্টেস্কট্ মেনু ওপেন করতে গেলে বা রাইট ক্লিক করলে যদি কোন “Error” প্রদর্শন করে।

26.  কোন নেটওয়ার্কের সাথে কানেক্ট হওয়ার সময় নেটওয়ার্ক “Response” স্লো হলে।

27.  সিস্টেম ট্রে হতে “Network Activity Icon” অদৃশ্য হয়ে গেলে।

28.  কম্পিউটারের “Hotkeys” এর “Response” শ্লো হয়ে গেলে।

29.  কোন কারনে CD বা DVD ড্রাইভ অদৃশ্য হয়ে গেলে।

30.  উইন্ডোজ ইন্সটলার ডাউনলোডের সময় “Error 1606” প্রদর্শন করলে।

31.  রাইট ক্লিক মেনু থেকে কোন আইটেম অদৃশ্য হয়ে গেলে।

32.  “Start Menu” তে “Turn off” অপশন না দেখা গেলে।

33.  সিডি অটো-প্লে অপশন অকেজো হয়ে গেলে।

34.  রাইট ক্লিক অপশন থেকে বা কন্টেক্সট মেনু থেকে “Send to” অপশনটি অদৃশ্য হয়ে গেলে।

35.  কম্প্রোসড ফোল্ডারটি XP এর সাথে ইন্টিগ্রেটেড হয়ে যাওয়ার ফলে যদি আপনার XP কোন ZIP ফাইলকে সনাক্ত করতে না পারে।

36.  নেটওয়ার্ক লোকেশন অ্যাকসেস করার সময় যদি “Error 1606” প্রদর্শন করে।

37.  “Control Panel” এর “ADD or Remove Programs” থেকে কোন প্রোগ্রাম রিমোভ করার সময় যদি “Error” প্রদর্শন করে।

38.  যদি ডেক্টটপে একটি ফাইল বা সর্টকাট প্লেস করলে সবসময়ই ঐ ফাইল বা সর্টকাটের দুটি আইকন দেখা যায় এবং এদের একটি ডিলেট করলে অপরটিও ডিলেট হয়ে যায়।

39.  প্রতি স্টার্টআপের সময়ই যদি সিকিউরিটি সেন্টার অ্যালার্ট প্রদর্শন করে।

40.  ইন্টারনেট অপশনের সিকিউরিটি লেবেল ধূসর হয়ে গেলে বা অ্যাকসেস করা না গেলে।

উপরিউক্ত সকল সমস্যা সমাধানেই এ সফটওয়ারটি আপনাকে সমাধান দিবে।

তবে কিছু কিছু সমস্যার সমাধানের জন্য উপযুক্ত বাটনটি ক্লিক করার পর রিস্টার্ট নিলেই এর কাজ বুঝা যাবে।

  • কোন কারনে মাউস কাজ না করলে এ সফটওয়ারটিকে খুব সহজেই কমান্ড লাইন থেকেও চালনা করা যায়। (টিউনটির শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত লিখা আছে)
  • মাত্র ০.৫৮ মেগাবাইটের একটি পোর্টেবল স্মার্ট এবং ফাস্ট সফটওয়ার।
  • সম্পূর্ণ সঠিকভাবে কনফিগারর্ড কম্পিউটারেও এর যেকোন ফিক্স বাটন নির্ভয়ে ক্লক করা যাবে। এটি আপনার কম্পিউটারকে কোন রকম ভাবেই ক্ষতি করবে না।

(বি.দ্র.: এ সফটওয়ারটি কোন এন্টি-ভাইরাস নয়। অর্থাৎ এটি আপনার কোন এন্টি ভাইরাসই দূর করবে না। তবে যদি অ্যান্টিভাইরাস আপনার কম্পিউটারকে অকেজো করে দিতে উপরিউক্ত সমস্যাগুলো তৈরী করে তাহলে এটি আপনাকে বাঁচাবে।)


কমান্ড লাইনের মাধ্যমে উপরিউক্ত সফটওয়ারটি ব্যবহার

কমান্ড লাইনকে অনেকেই মোটামোটি এড়িয়ে চলে। তবে বিপদে পড়লে কমান্ড লাইন যে কি উপকারে আসে তা শুধু যার এর সুফল পেয়েছেন তারাই জানেন।

কমান্ড লাইনের মাধ্যমে উপরিউক্ত সফটওয়ারে সবগুলো সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে না। তবে খুব সহজেই ৬টি গুরত্বপূর্ণ কাজ কমান্ড লাইনের মাধ্যমে করা যাবে।

এ সফটওয়ারটি দিয়ে কমান্ড লাইনে কাজ করতে হলে প্রথমেই এ ZIP ফাইলটিকে আনজিপ করতে হবে।এর মধ্যে দুটি ফাইল আছে“ lfx ”এবং “ QFC ”।  “ lfx ” হল আসল সফটওয়ার আর “ QFC ”  ফাইলটি কমান্ড লাইনের জন্য ব্যবহার করতে হবে। এই “ QFC ” ফাইলটি সবার প্রথমে কপি করতে হবে।

QFCD1

কপি করার পর My computer এ গিয়ে উপরিউক্ত ফোল্ডারটিতে ক্লিক করতে হবে

QFCD2

তারপর উপরে নির্দেশিত Address বারের শুধু My Documents লিখাটি মুছে ফেলতে হবে এবং enter ক্লিক করলে যে ফোল্ডারটি আসবে তাতে কপি করা ফাইলটি পেস্ট করতে হবে।

এবার কমান্ড লাইনের মাধ্যমে এ ফাইলটি অ্যাকসেস করতে পারবেন।

“Start” বাটনের “Run” অপশনটি ক্লিক করুন ভেতরে cmd.exe লিখে এন্টার চাপুন।

এবার ভেতরে লিখতে হবে QFC.EXE (বড় হাতের) এবং এন্টার চাপতে হবে তাহলেই আপনি নিচের লিখা গুলো দেখতে পাবেন।

QFCDCommand line

তার পর নির্দেশনা অনুযায়ী ৬টি কাজের যেটি আপনার করা লাগবে তার সর্টকোড লিখে এন্টার চাপলেই হবে।

যেমন : অকেজো Task Manager  কে এনাবেল করতে আপনাকে উপরিউক্ত কাজগুলো করার পর সর্টকোড হিসেবে লিখতে হবে QFC / t।

আমরা কম্পিউটারর এন্টিভাইরাস চালু থাকলেও প্রতিনিয়তই আমরা এ ধরনের সমস্যার সম্মুখিন হই। যেহেতু এন্টিভাইরাস এ ক্ষেত্রে নিষ্ক্রিয় এবং এগুলো সমাধান কোথাও পরিষ্কারভাবে লিখা নেই তাই বিপদের সময় এ সফটওয়ারটি হবে আপনার অন্যতম এক অস্ত্র।

এ অতীব মূল্যবান এবং বিপদের সহায় সফটওয়ারটি ডাউনলোড করতে পারবেন নিচের লিংক থেকে:

http://www.softpedia.com/get/Tweak/System-Tweak/XP-Quick-Fix-Plus.shtml

আমার এ টিউনটি কারো ভালো লেগে থাকলে দয়া করে মন্তব্য করুন।

আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Level 2

আমি TareqMahbub। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 15 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 47 টি টিউন ও 464 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

Programmer at Business Innovation & Incubation Center, Banani. Worked @ Harry & Michael IT Center as a Web Developer. Worked @ Kazi IT Center as a Web Developer, Graphic Designer, Virtual Assistant. Worked @ IQRA MODEL SCHOOL & COLLEGE as a full time teacher & typist. Student at American International...


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level 0

ভাই, এটা কি ভিসতা-তে কাজ করবে…..???

    আমার মনে হয় এটা ভিস্তাতে কাজ করবে কারন উপর থেকে অসুস্থ কম্পিউটারের ছবি বাদ দিয়ে তারপরের ছবিটি দেখুন ঐখানে সবগুলো আইকন ভিস্তার।

    বিঃদ্রঃ আমি নিশ্চিত না যে এটা ভিস্তাতে কাজ করবে কি না।

Anek shomoy bay kore tune ti likesen buja jacche.thanks

    Cool ভাই অনেক ধন্যবাদ।

ভাই এত বড় টিউন!!!!!

techtunes got another quality tuner …….. no doubt!

    মনে বিরাট কস্ট লাগে, আমি ভাবসিলাম বাংলাদেশ টা ডিজিটাল হইলে আমি আগে থেকেই WIN 7 বাব্যহার করি।কিন্তু এখনও সবাই XP r XP কি যে করমু…………………

    ধন্যবাদ টিনটিন ভাই। আপনারাই আমাদের অনুপ্রেরনা। উৎসাহ দেয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আমার ও সন্দেহ নাই। টিনটিন এর সাথে একমত। তারেক ভাই এর টিউন অনেক বড় আর বিস্তারিত থাকে। যা সবাই পারে না।

    সাম্যভাই অনেক ধন্যবাদ। আমি WIN 7 নিব নিব ভাবছি কিন্তু ভাই উপযুক্ত কনফিগারেশনের জন্য টাকা নাই তবে হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।

ভালো লেখার জন্য ধন্যবাদ।

    ধন্যবাদ আদিল ভাই। কেউ কষ্টের মূল্যয়ন করলে খুব ভালো লাগে।

Many many thanks.

    ধন্যবাদ পলাশ ভাই।

Level 0

ধন্যবাদ আপনার এই টিউনটির জন্য

    ধন্যবাদ রুহুল আমিন ভাই।

WOW !!! 🙂

    অনেক ধন্যবাদ “নাবিল.আমিন” ভাই।