বর্তমান ডিজিটাল যুগে ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে এবং সফলতা অর্জন করতে হলে কার্যকরী মার্কেটিং কৌশল অবলম্বন করা অত্যন্ত জরুরি। এক্ষেত্রে, CRO মার্কেটিং বা কনভার্সন রেট অপটিমাইজেশন (Conversion Rate Optimization) একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি এমন একটি প্রক্রিয়া, যা কোন ওয়েবসাইট বা ল্যান্ডিং পেজের ভিজিটরদের গ্রাহকে পরিণত করতে সাহায্য করে।
আপনার একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে ভিজিটরদের সংখ্যা বেশি হলেও যদি তারা আপনার কাস্টমারের পরিণত না হয়, তাহলে সেই ভিজিটরদের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। আর এখানেই CRO মার্কেটিং গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। কারণ, এটি আপনার ওয়েবসাইটের কনভার্সন রেট বাড়ানোর মাধ্যমে আপনার ব্যবসার অগ্রগতি নিশ্চিত করে। আর এটি নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন টুল এবং কৌশল গুলোর মধ্যে যেমন: Google Analytics এবং A/B Testing ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়।
আজকের এই টিউনে আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব, CRO মার্কেটিং কীভাবে কাজ করে এবং এর বিভিন্ন কৌশল সম্পর্কে। তাহলে চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক, কীভাবে CRO আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজিকে আরও কার্যকরী করতে পারে এবং আপনার ব্যবসার লক্ষ্য পূরণে সহায়ক হতে পারে।
CRO বা কনভার্সন রেট অপটিমাইজেশন (Conversion Rate Optimization) হলো একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে ওয়েবসাইটের ভিজিটরদের নির্দিষ্ট একটি কার্যকলাপ গ্রহণে উৎসাহিত করা হয়। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, এটি এমন একটি পদ্ধতি যা ওয়েবসাইটের ভিজিটরদের কাঙ্ক্ষিত পদক্ষেপ গ্রহণের রেট বৃদ্ধি করে। অর্থাৎ, সেই ওয়েবসাইটের মূল টার্গেট সফল করার হার বৃদ্ধি করায় বা ভিজিটরদেরকে সেখানে কনভার্ট করে।
কনভার্সন হল ডিজিটাল মার্কেটের একটি ব্যবহার করা টার্ম, যা মূলত তাদের টার্গেট সফল হওয়ার অবস্থাকে বুঝায়। একটি প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অনুযায়ী কনভার্সন ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, আপনার যদি লক্ষ্য থাকে বিক্রয় বৃদ্ধি করা, তাহলে আপনার কনভার্সন বলতে কোন পণ্য বা সার্ভিস কেনাকাটাকে বুঝাবে।
তবে, মার্কেটিং টার্গেট অনুযায়ী কনভার্সন অন্য বিভিন্ন অর্থে ও ব্যবহার হতে পারে। এগুলোর মধ্যে যেমন:
এখন আপনার মার্কেটিং এর লক্ষ্য অনুযায়ী এই কনভার্সন ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। যাইহোক, আপনার টার্গেট অনুযায়ী কাঙ্ক্ষিত কনভার্সনটি হলে, এটিকে একটি সফল কনভার্সন হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হবে।
কনভার্সন রেট হিসাব করতে আপনি আপনার নির্দিষ্ট কী পারফরম্যান্স ইন্ডিকেটর বা KPI ব্যবহার করতে পারেন।
মোট কনভার্সনের সংখ্যা ÷ মোট ওয়েবসাইট ভিজিটরের সংখ্যা x 100 = কনভার্সন রেট
এই সূত্রটি ব্যবহার করে আপনি একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আপনার ওয়েবসাইটের কনভার্সন রেট নির্ধারণ করতে পারবেন। উদাহরণস্বরূপ, যদি সেপ্টেম্বর মাসে আপনার ওয়েবসাইটে ১০, ০০০ ভিজিটর আসে এবং তাদের মধ্যে ২, ০০০ জন আপনার কাঙ্ক্ষিত কাস্টমারে কনভার্ট হয়, তাহলে আপনার কনভার্সন রেট হবে (২, ০০০ ÷ ১০, ০০০ x ১০০ = ২০) ২০ শতাংশ।
এইভাবে, আপনি সহজেই আপনার ওয়েবসাইটের কনভার্সন রেট নির্ণয় করতে পারেন এবং এর ভিত্তিতে আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশলকে আরো বেশি উন্নত করতে পারেন। কনভার্সন রেট এনালাইসিস করে আপনি জানতে পারবেন যে, কোন ক্ষেত্রগুলোতে আপনার আরো উন্নতি করা প্রয়োজন এবং কীভাবে আপনার গ্রাহকদেরকে আরো কার্যকর ভাবে আকৃষ্ট করা যায়।
CRO বা কনভার্সন রেট অপটিমাইজেশন যেকোনো ডিজিটাল মার্কেটিং পরিচালনাকারী ব্যবসার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এর মাধ্যমেই কোন ব্যবসার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়।
কনভার্সন রেট অপটিমাইজেশন আরো বিভিন্ন কারণে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু কারণ হলো:
CRO সরাসরি কোন একটি ব্যবসায়ের আয় বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এমনকি, Indirect Conversion যেমন: কনটেন্ট ডাউনলোড বা ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন ও সেই ব্যবসায় কাস্টমারদের সম্পৃক্ততা বাড়ায়, যা দীর্ঘমেয়াদে আপনার ব্যবসার জন্য সুফল বয়ে আনতে পারে।
ওয়েবসাইটের লেআউট পুনরায় ডিজাইন করা বা অনলাইন মার্কেটিং Campaign দ্বিগুণ করার মাধ্যমে বর্তমান ভিজিটরদের থেকে বেশি কনভার্সন অর্জন করা সম্ভব। একটি নতুন ভিজিটরকে মার্কেটিং ক্যাম্পেইন করে আকর্ষণ করার চেয়ে, রি-মার্কেটিং বা কনভার্সন রেট অপটিমাইজেশন করার মাধ্যমে আগে বিজ্ঞাপণ দেখানো ভিজিটরকে কাস্টমারে পরিণত করা অনেক সহজ। আর এর মাধ্যমে আপনি আপনার বিদ্যমান গ্রাহকদের থেকে বেশি ভ্যালু আদায় করতে পারবেন, যা আপনার ব্যবসার খরচ কমায় এবং লাভ বৃদ্ধি করে।
একটি ব্যবসায় Higher Conversion Rate এর মানে হলো যে, গ্রাহকেরা আপনার ব্রান্ডের সাথে আরও বেশি সম্পৃক্ত হচ্ছে। যেখানে, তারা আপনার ওয়েবসাইটে এসে আরো বেশি সময় কিংবা অর্থ ব্যয় করছে। Higher Conversion Rate বেশ কিছু পরিবর্তনের মাধ্যমে হতে পারে। এসবের মধ্যে যেমন, আপনার ওয়েবসাইটের ফন্ট পরিবর্তন করা, আরো আকর্ষণীয় লেআউট যোগ করা, হাতের কাছে কল-টু-অ্যাকশন (CTA) বাটন যোগ করা ইত্যাদি।
কনভার্সন রেট বেশি পাওয়ার জন্য একটি ওয়েবসাইটে এ ধরনের পরিবর্তন সহ আরো কিছু সাইকোলজিক্যাল পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। যেখানে, সেই প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের সাথে মিল রেখে Call to Action এর জন্য টেক্সট কিংবা বাটন যোগ করা যেতে পারে। এ ধরনের ছোট ছোট পরিবর্তন গুলোর মাধ্যমেই একজন গ্রাহককে সেই পণ্য বা সার্ভিসের প্রতি আকৃষ্ট করা যেতে পারে এবং তাকে চূড়ান্ত কাস্টমারের পরিণত করা যেতে পারে।
কনভার্সন রেট অপটিমাইজেশন এর মাধ্যমে গ্রাহকদের সেই ব্রান্ডের প্রতি আরো আকৃষ্ট করা যায়। পরবর্তীতে তারা যখন কোন কেনাকাটা করার কথা বিবেচনা করে, তখন এটি তাদেরকে আপনার দান সম্পর্কে ভাবতে বাধ্য করে। এমনকি, তারা পরোক্ষভাবে তাদের বন্ধু কিংবা পরিবারের সাথে কথা বলেও তাদেরকে আপনার ব্র্যান্ডের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে পারে। এইভাবে, CRO আপনার ব্র্যান্ডের সুনাম ও পরিচিতি বৃদ্ধি করতে সহায়ক হয়।
সুতরাং বলে যায় যে, CRO শুধুমাত্র আপনার ওয়েবসাইটের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে না। বরং, এটি আপনার ব্যবসার সামগ্রিক সাফল্যে একটি মৌলিক ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
আপনি কিছু কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে আপনার ব্যবসার কনভার্সন রেট অপটিমাইজেশন করতে পারেন। আর এক্ষেত্রে আপনার জন্য একটি সঠিক পরিকল্পনা ও কার্যকর Strategy নেওয়া প্রয়োজন। ব্যবসায়িক লক্ষ্য অর্জনের জন্য আপনি বেশ কিছু মার্কেটিং Strategy ফলো করে আগাতে পারেন। এজন্য প্রথমত আপনাকে গুগল অ্যানালিটিক্স এবং অন্যান্য টুল ব্যবহার করে আপনার ওয়েবসাইটের Weaknesses এবং Strengths গুলো সনাক্ত করতে হবে। এরপর, আপনার কনভার্সন টার্গেট নির্ধারণ করুন এবং সেই অনুযায়ী Strategy গুলো তৈরি করুন।
আমরা উপরে জেনে এসেছি যে, কোন একটি বিজনেস কিংবা কোন একটি ওয়েবসাইটের মার্কেটিং টার্গেট অনুযায়ী কনভার্সন আলাদা আলাদা হতে পারে। আর তাই, প্রথমেই আপনাকে এটি নির্ধারণ করতে হবে যে, আপনি কোন ধরনের Key Performance Indicator বা KPI ব্যবহার করে Conversion Rate পরিমাপ করতে চান। আপনার পারফরম্যান্স ইন্ডিকেটর কী হবে, এটি নির্ভর করবে আপনি কোন ধরনের Campaign Management করছেন তার উপর।
আর এজন্য আপনার প্রথমে লক্ষ্য কী, তা নির্ধারণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার মার্কেটিং টার্গেট নির্ধারণ করতে হলে আপনাকে প্রথমেই বুঝতে হবে, আপনার ব্যবসার প্রয়োজনীয়তা এবং গ্রাহকদের চাহিদা সম্পর্কে। উদাহরণস্বরূপ, আপনার লক্ষ্য যদি হয় কোন পণ্যের বিক্রি বৃদ্ধি করা, তাহলে কনভার্সন বলতে পণ্য বা সেবা কেনাকাটাকে বোঝাবে। আবার আপনার লক্ষ্য যদি হয়, কাস্টমারদের সাথে যোগাযোগের ডেটা সংগ্রহ করা, তাহলে আপনার কনভার্সন বলতে ইমেইল সাইন আপ বা পার্সোনাল ইনফরমেশন দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা বোঝাবে।
একবার আপনার কনভার্সন টার্গেট নির্ধারণ হয়ে গেলে, আপনি সহজেই আপনার ওয়েবসাইটের Performance Analysis করতে পারবেন এবং কোন কোন ক্ষেত্রে আপনার উন্নতি করা প্রয়োজন, তা সনাক্ত করতে পারবেন।
আপনার কাস্টমাররা কীভাবে আপনার ওয়েবসাইটটি খুঁজে নিচ্ছে এবং পরবর্তীতে তারা আপনার ওয়েবসাইটে এসে কী কী করছেন, আপনার অবশ্যই এটি জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য প্রথমে আপনাকে আপনার গ্রাহকদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ এবং তা বিশ্লেষণ করতে হবে, যাতে আপনি এটি নির্ধারণ করতে পারেন যে, কোন গ্রাহকেরা সবচেয়ে বেশি কাস্টমারে কনভার্ট হতে পারে।
কাস্টমারদের এসব ডেটা গুলোর মধ্যে হতে পারে:
আপনার ব্যবসার পণ্য বা সার্ভিস এর উপর নির্ভর করে আপনাকে গ্রাহকদের এসব বিভিন্ন সেগমেন্টে ভাগ করে মার্কেটিং ক্যাম্পেইন চালাতে হবে। আপনার পণ্যের উপর যেসব কাস্টমাররা বেশি আগ্রহ দেখাতে পারে, তাদেরকে আপনি বিভিন্ন সেগমেন্টে ভাগ করে আলাদা আলাদা ক্যাম্পেইন রান করতে পারেন, যাতে করে আপনি শুধুমাত্র সবচেয়ে Valued Customers এর কাছে সময় মত এবং প্রাসঙ্গিক মার্কেটিং কনটেন্ট পৌঁছে দিতে পারেন।
আপনার পণ্য বা সার্ভিসের জন্য কারা আপনার টার্গেটেড অডিয়েন্স হতে পারে, আপনি যদি এই সেগমেন্ট গুলো করতে পারেন, তাহলে আপনার কনভার্সন রেট আগের তুলনায় অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে। কেননা, এর ফলে আপনি আপনার গ্রাহকদের প্রয়োজন এবং চাহিদা অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট ক্যাটাগরির পণ্যটি পৌঁছে দিতে পারছেন, যা আপনার কনভার্সন রেট বৃদ্ধি করতে সহায়ক হবে।
আপনার ওয়েবসাইটে বর্তমানে যেসব ভিজিটরের আসছে, তারা কেন আপনার পণ্য ক্রয় করছে না কিংবা তাদের থেকে আপনি কেন কোন কনভার্সন পাচ্ছেন না, আপনাকে অবশ্যই এই বিষয়ে এনালাইসিস করা জরুরী। বিভিন্ন কারণেই আপনার কনভার্সন রেট কমে যেতে পারে।
আপনার মার্কেটিং ক্যাম্পেইনে কনভার্সন রেট কম হওয়ার অন্যতম কিছু কারণ হলো:
আপনার কনভার্সন রেট বাড়ানোর জন্য সর্বপ্রথম সেসব পেজগুলো খুঁজুন, যেগুলোতে ট্রাফিকের তুলনায় কনভার্সন সবচেয়ে কম। অর্থাৎ, যেগুলোতে তুলনামূলক ভাবে সবচেয়ে বেশি ট্রাফিক আছে, কিন্তু কনভার্সন রেট সবচেয়ে কম। এই পেজ গুলোতে আপনি সমস্যার সমাধানের মাধ্যমে কনভার্সন রেট বৃদ্ধি করতে পারেন।
তারপর আপনি বর্তমান কনভার্সন গুলো এনালাইসিস করে জানতে পারবেন, সে সমস্ত দুর্বল পেজগুলোতে আর কোন কোন বিষয়ে উন্নতি করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে যদি সে সমস্ত পেজে কল-টু-অ্যাকশন বাটন খুঁজে নিতে কাস্টমারদের দেরি হয়, তাহলে সেটি কাস্টমারদের হাতের কাছেই রাখুন। ওয়েব পেজটির লোডিং স্পিড অপ্টিমাইজ করুন এবং পেজের ফন্ট এবং কনটেন্ট গুলো আকর্ষণীয় করে সাজান।
একটি সফল মার্কেটিং ক্যাম্পেইন চালানোর জন্য আপনার A/B টেস্টিং করা উচিত। আপনি যে ক্যাম্পেইন টি অপটিমাইজ করতে চাচ্ছেন, এমন পেজের দুটি ভার্সন নিন, তারপর ক্যাম্পেইন করে দুটির ফলাফল বিশ্লেষণ করুন। অর্থাৎ, দুটি ক্যাম্পেইনের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র কিছু ভেরিয়েবল যেমন, ফন্ট এবং টাইটেল এর মত বিষয়গুলো পরিবর্তন করুন এবং তারপর মার্কেটিং ক্যাম্পেইন চালিয়ে দেখুন।
A/B টেস্টিং এর মাধ্যমে আপনি সুনির্দিষ্টভাবে এটি নিশ্চিত হতে পারবেন যে, কোন জিনিসগুলো আপনার কনভার্সন রেট বাড়ায় বা কমায়। এ ধরনের টেস্টিং করার আগে আপনাকে প্রতিটি পেজের এলিমেন্ট গুলো সম্পর্কে বিবেচনা করতে হবে এবং সেগুলো আরো কীভাবে উন্নত করা যায়, তা দেখতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, কখনো কখনো পুরো পেজে পপ-আপ হয়তো কনভার্সন বাড়াতে পারে, অথবা আপনি কম ঝামেলাপূর্ণ CTA বাটন দিয়ে ও আপনি আরো ভালো ফলাফল পেতে পারেন।
এছাড়াও, আপনার ওয়েব পেজের কনটেন্ট সেই প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের সাথে মানানসই কিনা, তা নিশ্চিত করতে হবে; যাতে করে সেখানে স্পষ্ট মেসেজ থাকে এবং তা থেকে ভিজিটরদের কোন বিভ্রান্তি না হয়। একই টার্গেটেড অডিয়েন্সের কাছে ভিন্ন ভিন্ন ফরম্যাট বা ডিজাইনে বিজ্ঞাপণ চালানোর পর, সেখানে আপনি নির্ধারণ করতে পারবেন যে, কোন পরিবর্তন গুলোর কারণে আপনার ওয়েবসাইটের কনভার্সন রেট আগের তুলনায় বেড়েছে।
Conversion Rate Optimization করার জন্য আপনি যে পরিবর্তনগুলো করেছেন, সেগুলো সঠিক ছিল কিনা, এটি নিশ্চিত হওয়ার জন্য আপনি অবশ্যই Key Performance Indicator গুলোর প্রতি নজর দিতে ভুলবেন না। এক্ষেত্রে আপনি গুগল অ্যানিলিটিক্স এর মতো টুলগুলো ব্যবহার করে এটি দেখুন যে, আপনার লক্ষ্য অনুযায়ী ভিজিটরেরা কেমন ব্যবহার করছে। এখানে দেখুন যে, কাস্টমাররা Product Pages, Add to Cart, Shepping অথবা Payment পেজ গুলোর মধ্য থেকে কোনটিতে থেকে ঘুরে যাচ্ছে।
কনভার্সন রেট অপটিমাইজ করার জন্য আপনার নেওয়া প্রতিটি পদক্ষেপই সফল হবে না। এক্ষেত্রে আপনার যদি কোন একটি Strategy ভুল থাকে, তাহলে সেই ভুলগুলো থেকে শিক্ষা গ্রহণ করুন এবং পরবর্তী ধাপে সেই বিষয়ে ইম্প্রুভ করুন। আপনার রেজাল্টগুলো বিশ্লেষণ করার সময়, প্রথমে আপনার টার্গেট এবং KPI গুলির সাথে তুলনা করার পর, এই তথ্যের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন কোন পরিবর্তনগুলি আপনার কনভার্সন রেট বৃদ্ধিতে সাহায্য করেছে এবং কোনগুলি করেনি।
আর যেগুলো সফল হয়েছে, সেগুলো আপনার মার্কেটিং স্ট্যাটেজি হিসেবে স্থায়ীভাবে অন্তর্ভুক্ত করুন। তাই, প্রতিটি পরীক্ষার ফলাফল গভীরভাবে বিশ্লেষণ করুন এবং সেই অনুযায়ী আপনার Strategy উন্নত করুন।
আপনার KPI অনুযায়ী লক্ষ্য গুলোকে পুনরায় নির্ধারণ করার মাধ্যমে আপনি আরও বেশি কাস্টমারের কাছে পণ্য বিক্রি করতে পারেন। আর এই জন্য আপনার এখন থেকে আরও বেশি কাস্টমার এনালাইসিস করতে হবে। যাইহোক, আপনি যতক্ষণ বিভিন্ন ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সেগুলোকে পরবর্তীতে ইম্প্রুভ করবেন, আপনার ততই কনভার্সন রেট বৃদ্ধি পাবে।
একটি ব্যবসার ক্ষেত্রে Conversion Rate Optimization হলো এমন একটি স্মার্ট কাজ, মাধ্যমে আরো বেশি গ্রাহকের পেছনে না ছুটে বেড়ানোর পরিবর্তে, বরং বর্তমান গ্রাহকদের প্রতি আরো বেশি মনোনিবেশ করা। আর এটি করার মাধ্যমে আপনি সেই গ্রাহকদেরকে আরো আকৃষ্ট করতে পারবেন এবং এর মাধ্যমে কনভার্সন রেট বৃদ্ধি করতে পারবেন।
কাস্টমারদের ডেটা পুনর্বিবেচনা করার মাধ্যমে, আপনি ধারাবাহিকভাবে আপনার ওয়েবসাইট এবং মার্কেটিং ক্যাম্পেইনের পারফরমেন্স উন্নত করতে পারবেন। কাস্টমার ডাটা এনালাইসিস করার মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের দুর্বলতা গুলো খুঁজে পেতে পারেন এবং যেগুলো ইম্প্রুভ করার মাধ্যমে আপনার ব্যবসার কনভার্সন রেট বৃদ্ধি করা যায়।
একটি ওয়েবসাইট বা ল্যান্ডিং পেজের পারফরমেন্স উন্নত করার জন্য কনভার্সন রেট অপটিমাইজেশন করা হয়। যাতে করে ভিজিটরদের বেশিরভাগ লোক কাস্টমারে কনভার্ট হয় বা আপনার টার্গেট করা পছন্দ সেই অ্যাকশন টি নেয়। এক্ষেত্রে আপনার পছন্দসই অ্যাকশন হতে পারে কোন পণ্য কেনা, কোন সার্ভিসে সাবস্ক্রিপশন করা, ইমেইল দিয়ে সাইন আপ করা, কোন ফরম পূরণ করা কিংবা অন্যান্য কোন এক্টিভিটি, যা আপনার ব্যবসার জন্য দরকার।
এখন, আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক থেকে যাতে সর্বাধিক কাস্টমার আপনার টার্গেট করা অ্যাকশনটি নেয়, আপনাকে এটি করার জন্য কনভার্সন রেট অপটিমাইজেশন করতে হবে। আর এই কাজের অংশ হিসেবে আপনাকে কাস্টমারদের ডাটা বিশ্লেষণ করতে হবে। একটি ব্যবসার মার্কেটিং ক্যাম্পেইন চালানোর ক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত Conversion Rate Optimization করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হয়। আর আপনিও, আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস অনুযায়ী কনভার্সন রেট অপটিমাইজেশন করার জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ গুলো নিন।
আমি মো আতিকুর ইসলাম। কন্টেন্ট রাইটার, টেল টেক আইটি, গাইবান্ধা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 421 টি টিউন ও 93 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 62 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 3 টিউনারকে ফলো করি।
“আল্লাহর ভয়ে তুমি যা কিছু ছেড়ে দিবে, আল্লাহ্ তোমাকে তার চেয়ে উত্তম কিছু অবশ্যই দান করবেন।” —হযরত মোহাম্মদ (সঃ)