আমাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো Influencer শব্দটি সম্পর্কে জানি। অর্থাৎ, Influencer Marketing সম্পর্কে কম বেশি সকলেই কিছু না কিছু জানি। ইনফ্লুয়েন্সারদের একটা নির্দিষ্ট পরিমাণের ফলোয়ার থাকে এবং এরা হয়ে থাকে সোশ্যাল ব্যক্তিত্ব।
Influencer হল মূলত এক ধরনের ব্যক্তি, যারা নির্দিষ্ট কোন একটি বিষয়ের উপর অভিজ্ঞ এবং তারা বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়াতে কাজ করে থাকে। আর তারা তাদের দক্ষতার মাধ্যমে কোন প্রোডাক্ট, সফটওয়্যার, এমনকি কোন একটি বিষয় নিয়ে রিভিউ করে থাকে। তাদের প্রডাক্ট বা সফটওয়্যার এর রিভিউয়ের উদ্দেশ্যে হল মূলত মার্কেটিং করা। এক্ষেত্রে তার ফলোয়ারেরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী কোন কিছু কেনার সময় Influencer দের বিজ্ঞাপণ বা সাজেস্ট করা পণ্যটি কেনার চেষ্টা করে থাকে। যেখানে এই ইনফ্লুয়েন্সার কোন একজন ব্যক্তির পছন্দকে অনেক বেশি প্রভাবিত করতে পারে।
এসব ব্যক্তিদের ফলোয়ার বা সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা কম অথবা বেশি হতে পারে। যদিও তাদের এইসব ফলোয়ার সংখ্যা পণ্যের প্রচারের ক্ষেত্রে কোন প্রভাব সৃষ্টি করে না। আর যার ফলে, তাদের ফলোয়ার সংখ্যা কম হলেও মার্কেটিং এ তেমন একটা অসুবিধা হয় না। কেননা, সেই ব্যক্তি যদি তার পেজে কোন একটি পণ্যের প্রচার করে, তাহলে যদি শুধুমাত্র তার ফলোয়ারের মাঝে সীমাবদ্ধ থাকবে না। এক্ষেত্রে, আরো অন্যান্য ভিজিটেরা যখন তার কনটেন্টটি দেখবে, তখন সেই ব্যক্তি ও এটির প্রতি প্রভাবিত হতে পারে।
একজন Influencers তার Audience দের মাঝে ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করে। আপনি যদি আপনার প্রোডাক্ট বা ব্র্যাডকে মানুষের মাঝে খুব দ্রুত এবং সহজে প্রচার করতে চান, তাহলে আপনাকে একজন Influencer বেছে নিতে হবে। আর এক্ষেত্রে আপনি যদি আপনার সেই প্রোডাক্টকে স্পন্সর করার জন্য একজন Influencer পেয়ে যান, তাহলে আপনি ইনফ্লুয়েন্সারদের মাধ্যমে সেটি সবার মাঝে খুব সহজেই ছড়িয়ে দিতে পারেন।
আপনি নিজে থেকে চেষ্টা করে যতটা না মানুষের কাছে সেই পণ্যটি পৌঁছাতে পারতেন, একজন ইনফ্লুয়েন্সার এর মাধ্যমে সেটি আরো ভালোভাবে করতে পারবেন।
Influencer marketing এর ক্ষেত্রে যে Influencer কে মার্কেটিং এর জন্য নির্বাচন করা হয়, সেই ইনফ্লুয়েন্সার কে তার কাজের জন্য নির্দিষ্ট অর্থ বা অন্য কোন কিছু দিতে হয়। তো, বন্ধুরা আজকের এই টিউনের মাধ্যমে আমরা জানতে চলেছি যে, কিভাবে আপনিও আপনার কোন প্রোডাক্টের জন্য এই ধরনের ক্যাম্পেইন চালাতে পারেন।
বর্তমান সময়ে নিজেদের পণ্যের মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে কোন একজন পরিচিত ব্যক্তির সুপারিশ এবং সমালোচনা সোশ্যাল মিডিয়ায় সবচাইতে বেশি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। আর আমাদের কোন একটি প্রোডাক্টের প্রমোশনের জন্য এসব Influencer খুবই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাদের সোশ্যাল মিডিয়াতে বিশাল ফলোয়ার থাকে এবং তারা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রমোটার হিসেবে কাজ করে থাকে।
যাই হোক, আপনার কোন একটি প্রোডাক্ট এর জন্য একজন ইনফ্লুয়েন্সার খুঁজে বের করা গুরুত্বপূর্ণ। আর কোন একটি পণ্যের প্রচারাভিযান করার জন্য আপনাকে অবশ্যই এমন একজন পরিচিত কাউকে খুঁজে বের করতে হবে, যিনি আপনার প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ভালোভাবে জানে এবং এটি নিয়ে বলতে পারবে। তবে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে সেই ব্যক্তি আপনার প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে না জানলেও হবে। এক্ষেত্রে, আপনার পণ্যের প্রোমোশনের সময়, সেই ব্যক্তিকে আপনার প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানিয়ে দিলেই চলবে। কিন্তু, এই ক্ষেত্রেও সেই ব্যক্তির ভেতরে কিছু গুণ থাকতে হবে।
আপনি যে ব্যক্তিকে দিয়ে আপনার পণ্যটি প্রমোশন করাবেন, তাকে অবশ্যই আপনার পণ্যের রিলেটেড বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতে হবে। আর, সেই ব্যক্তি যদি আপনার পণ্য কিংবা আপনার পণ্যের রিলেটেড কোন বিষয় নিয়ে ধারণাই না থাকে, তাহলে তাকে দিয়ে কোন Post করা সম্পূর্ণভাবে অকার্যকর হতে পারে। কেননা, এক্ষেত্রে সে ভালোভাবে সেটি কভার করতে পারবে না এবং অনেক ক্ষেত্রে আপনার সঠিক কাস্টমারদের কাছে পণ্যটির বিজ্ঞাপণ ও যাবে না।
জনগণ কোন ব্র্যান্ডের নিজস্ব বলা কথা ঠিক যতটা না বিশ্বাস করে, তার চেয়ে তারা বিখ্যাত কোন থার্ড পার্টি লোকের কথা বেশি বিশ্বাস করে।
এই বিষয়টি আপনি যদি একটু গভীরভাবে চিন্তা করেন বা নিজের সাথে তুলনা করেন, তাহলেই আপনি বিষয়টি বুঝতে পারবেন। মনে করুন যে, আপনি কোন একটি পার্টিতে গেলেন এবং সেখানে একটা লোক আপনার কাছে এসে নিজের প্রশংসা এবং নিজের ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে মজাদার কথা বলা শুরু করলো, যাতে করে সে আপনার ক্লোজ হতে পারে। কিন্তু, আপনি কি এই লোকটাকে পছন্দ করবেন? আমার বিশ্বাস, আপনার উত্তর অবশ্যই না হবে। কারণ, এরকম লোককে কেউ পছন্দ করে না।
কিন্তু, অপরদিকে আপনার পরিচিত বন্ধু যদি কোন ব্যক্তি সম্পর্কে কিছু ভালো কথা বলে, তাহলে তার কথা আপনার অবশ্যই বিশ্বাস হবে। এখানে কোন একজন ব্যক্তিকে বিশ্বাস করানোর ক্ষেত্রে আপনার সেই বন্ধুটি কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা পালন করছে। আর এই বিষয়টি হয়ে থাকে Influencer marketing এর ক্ষেত্রে।
আর তেমনিভাবে, একজন Influencer ও আমাদের বন্ধুদের মতো কাজ করে, যারা আপনার ব্র্যান্ড বা প্রোডাক্টকে ক্রেতাদের সামনে উপস্থাপন করে। আর উনারা ক্রেতাদেরকে আপনার প্রোডাক্টটি কেনার জন্য আগ্রহী করে তোলে। আপনি যখন একজন Influencer হায়ার করেন, তখন তারা তাদের Audience দের পাশাপাশি ফলোয়ারদেরকে ও নিয়ে আসে। আর সেই ব্যক্তির ফলোয়ারেরা তাকে পছন্দ করায়, তার বলা পণ্যটি সম্পর্কে আগ্রহী হয়। যার ফলে, একজন ইনফ্লুয়েন্সার আপনার সাইটে ট্রাফিক, সোশ্যাল মিডিয়া এক্সপোজার বাড়ানো এবং তাদের বলা অভিজ্ঞতা বা সুপারিশের মাধ্যমে আপনার পণ্যটি বিক্রি করার ক্ষমতা রাখে।
Influencer Marketing বর্তমানে অন্যান্য প্রচলিত বা গতানুগতিক মার্কেটিং এর মধ্যে অন্যতম কার্যকরী মার্কেটিং পদ্ধতি। এটি অতি সহজে কাস্টমার এবং ক্লায়েন্টের মাঝে আকর্ষণ সৃষ্টি করতে পারে। বর্তমানে আধুনিক দিনের কাস্টমাররা বিলবোর্ড কিংবা অনলাইন বিজ্ঞাপণের প্রতি অতটা বেশি আকৃষ্ট হতে চায় না। এক্ষেত্রে, বিজ্ঞাপণের প্রতি তাদের একটি অনাস্থা ভাব থাকে। যেখানে তারা চায়, বিশ্বস্ত কোন ব্যক্তির কাছ থেকে সেই পণ্য বা সেবাটি সম্পর্কে জানাতে। এক্ষেত্রে, তারা নিজেরাই সেই ব্র্যান্ড সম্পর্কে গবেষণা করতে চায় এবং বিশ্বাসযোগ্য ব্যক্তির রিকমেন্ডেশন বা রিভিউ দেখে পণ্যটি কিনে নেয়।
আপনি কি জানেন, ইনফ্লুয়েন্সারেরা কীভাবে Inbound Marketing এ সাহায্য করে? তারা প্রথমে আপনার ব্র্যান্ডের একটি কনটেন্ট তৈরি করে এবং কনটেন্টটি তার ফলোয়ারদের মাঝে শেয়ার করে এবং ব্র্যান্ডের প্রোডাক্টটিকে ফলোয়ারদের কেনার জন্য রিকমেন্ড করে। ফলে, সেসব অডিয়েন্সরা প্রোডাক্টটি সম্পর্কে চিন্তা করে এবং একে অন্যের সাথে কথা বলে। আর অবশেষে, সেই পণ্যটি কেনার জন্য মনস্থির করে।
আপনি যদি একটা Influencer হায়ার করেন, তাহলে প্রোডাক্ট বিক্রির ক্ষেত্রে বা আপনার কোম্পানির সফলতার জন্য বিশাল পরিবর্তন আসতে পারে। আর একজন Influencer প্রতিযোগিতামূলক বাজারে আপনার কোম্পানিটিকে সফলতার শিখরে নিয়ে যেতে পারে।
আপনাকে একজন মার্কেটার হিসেবে অবশ্যই Audience দেরকে নিয়ে ভাবতে হবে। আপনার ব্রান্ডের জন্য টার্গেট করা Audience সম্পর্কে একটা স্পষ্ট ধারণা আগে থেকেই রাখতে হবে। আপনার ব্র্যান্ড বা প্রোডাক্টকে আর একধাপ এগিয়ে নেওয়ার জন্য এবং একজন আদর্শ Influencer খুঁজে নেবার জন্য আপনাকে অবশ্যই আপনার Audience দের চাহিদা ও চিন্তাধারা সম্পর্কে আইডিয়া রাখতে হবে।
আপনি কোন ধরনের পণ্য বিক্রি করবেন, তার সাথে মিলে রেখে আপনার কাস্টমার-দেরকে টার্গেট করতে হবে। আপনার পণ্যের সঙ্গে মিল রেখে সেই সমস্ত কনটেন্ট ক্রিয়েটর দেরকে Influencer হিসেবে বেছে নিতে হবে। আর তাহলে আপনি সেই পণ্যটি বিক্রির ক্ষেত্রে বেশি সুবিধা অর্জন করতে পারবেন।
যাই হোক, কোন একজন ফলোয়ার সেই কোম্পানিকে ভালো ব্র্যান্ড হিসেবে মেনে নেয়, যখন কোন ইনফ্লুয়েন্সার ঐ কোম্পানির প্রোডাক্টকে রিভিউ করে। কোন একজন ইনফ্লুয়েন্সার দিয়ে নিজের পণ্যটি প্রমোশন করে নেবার ক্ষেত্রে অবশ্যই আমাকে তার তৈরি কনটেন্ট গুলোর প্রতি নজর দিতে হবে। মনে করুন যে, কোন একজন কন্টেন্ট ক্রিয়েটর দেশের অর্থনীতি নিয়ে আলোচনা করে। এবার আমি যদি সেই ব্যক্তিকে দিয়ে নিজেদের ব্র্যান্ডের একটি মোবাইল ফোন বিক্রি করতে চাই, তাহলে সেটা ভুল সিদ্ধান্ত হতে পারে। কেননা, সেই ব্যক্তির অডিয়েন্স গুলো আমার এই প্রোডাক্টের প্রতি আকৃষ্ট নাও হতে পারে।
আর এক্ষেত্রে আমি যদি কোন একজন প্রযুক্তিভিত্তিক কনটেন্ট ক্রিয়েটরকে মোবাইলটি বিক্রির জন্য বলি, যিনি মোবাইল, ল্যাপটপ ইত্যাদি সামগ্রী রিভিউ করে; তাহলে সে খুব সহজেই তার অডিয়েন্স এর মাঝে সেটি বিক্রি করতে পারবে। একইভাবে, আমাদের যদি কোন একটি সফটওয়্যার প্রমোশন করার প্রয়োজন পড়ে, তাহলে সেই সফটওয়্যারটির কাজের ধরন অনুসারে Influencer নিয়োগ করতে হবে। আর তাহলেই আমরা সেই প্রোডাক্টটির ক্ষেত্রে অনেক বেশি এনগেজমেন্ট পাব।
যদিও এমনটা বোঝা যায় যে, কিছু কিছু কোম্পানি Outbound Marketing এত উপর অটল থাকতে চায়, তবু কিছু কিছু ফ্যাশন ই-কমার্স সাইট গুলো Influencer দের টার্গেট করছে। ঠিক পেশাদারদের হায়ার করার মতো একটা বিষয়। বর্তমানে আমরা দেখতে পাই যে, অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য বিক্রির জন্য সে সমস্ত পেশাদারদের কাছে পণ্যগুলো পাঠায় এবং সেগুলো রিভিউ করিয়ে নেয়। উদাহরণস্বরূপ, একটি ফ্যাশন আইটেম নিয়ে কাজ করা কোম্পানি তাদের পণ্যগুলো বিক্রির জন্য জনপ্রিয় সব ব্যক্তিদেরকে অফার করে (যারা ফ্যাশন রিলেটেড বিষয় নিয়ে কাজ করে)।
এরপর দেখা যায় যে সেই সমস্ত ব্লগার বা সেই সমস্ত কনটেন্ট ক্রিকেটাররা সেই আইটেমগুলো নিয়ে একটি রিভিউ ভিডিও বা কনটেন্ট তৈরি করে। এরপর সেই প্রোডাক্টটি কেনার জন্য তারা দর্শকদের একটি লিঙ্ক দেয় এবং যেটির মাধ্যমে দর্শকরা সেই আইটেমগুলো কিনতে পারে।
Influencer marketing এর উদাহরণ হিসেবে আমরা বিভিন্ন ইউটিউবারদের কে দেখতে পাই। জনপ্রিয় সব ইউটিউবাররা তাদের ভিডিওতে বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্টকে স্পন্সর করে থাকে। এক্ষেত্রে, তারা ভিডিওর মাঝে কোন একটি অংশে সেই পণ্য বা সেবাটির একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ উপস্থাপন করে এবং সেটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা বা কেনার জন্য ভিডিও ডেসক্রিপশনে লিংক দিয়ে থাকে।
এছাড়াও, এসব ইউটিউবারদের কাছে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের প্রোডাক্টগুলো পাঠিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে তারা সেসব পণ্যগুলোর একটি রিভিউ ভিডিও তৈরি করে এবং সেই পণ্যটির ভালো ও খারাপ দিকগুলো তুলে ধরে। আর এর ফলে দেখা যায় যে, কোন একজন ব্যক্তি সেই পণ্যটি কেনার ক্ষেত্রে অবশ্যই রিভিউ করা পণ্যটির প্রতি বেশি মনোযোগ দেয়। পরবর্তীতে দেখা যায় যে, সেই পণ্যটির বিক্রি অনেক বেড়ে যায়।
কোন একজন কন্টেন্ট ক্রিয়েটরকে দিয়ে পণ্য রিভিউ করিয়ে নেবার ক্ষেত্রে তারা নির্দিষ্ট অংকের অর্থ দাবি করে থাকে। আর এই অর্থের পরিমাণ নির্ভর করে, সেই ক্রিয়েটরের জনপ্রিয়তার উপর।
প্রোডাক্টের খুব ভালো রিভিউয়ের জন্য সঠিক Influencer নির্বাচনের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই, আমদেরকে অবশ্যই সঠিক Influencer নির্ধারণ করতে হবে, যাতে করে আমরা আমাদের পণ্যের বিক্রি বাড়াতে পারি। এক্ষেত্রে আমাদেরকে কয়েকটি বিশেষ বৈশিষ্ট্যের উপর নজর রাখতে হবে। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক যে, কিভাবে আমরা আমাদের জন্য একজন সঠিক ইনফ্লুয়েন্সার বেছে নিতে পারি।
আলাদা আলাদা ব্র্যান্ডের জন্য আলাদা আলাদা Influencer ও নির্ধারণ করতে হয়। কারণ, ব্র্যান্ডের সাথে ইনফ্লুয়েন্সার এর প্রাসঙ্গিক মিল থাকা একান্ত জরুরী। আর বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য সঠিক Influencer নির্ধারণের ক্ষেত্রে।
আমি যদি এর একটি উদাহরণ দেই, তাহলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে। যেমন- আপনি একটা সফটওয়্যার এর মার্কেটিং করতে চান। এবার আপনি যদি টেক রিলেটেড সেই সফটওয়্যার টি কোন ক্রিকেটার বা সঙ্গীত শিল্পীকে দিয়ে প্রমোশন করতে চান, তাহলে এটি অবশ্যই ভুল সিদ্ধান্ত হবে। যদিও, তাদের কয়েক মিলিয়ন ফলোয়ার থাকতে পারে, কিন্তু সেই ফলোয়ার গুলো আপনার প্রোডাক্টের বিক্রির ব্যাপারে কোন কাজেই আসবে না। কেননা, এখানে সেই সমস্ত ফলোয়ার গুলো মূলত ক্রিকেট প্রেমী অথবা গান প্রেমী।
এখন তিনি যদি আপনার সফটওয়্যার ইউজের ব্যাপারে বা কেনার ব্যাপারে রিকমেন্ড করে, তাহলে ব্যাপারটা কেমন দেখায়। অবশ্যই তার টার্গেট করা Audience রা সফটওয়্যার দেখে অনুপ্রেরণা পাবে না। এখানে আপনার টার্গেট করা Audience হল সফটওয়্যার এর জন্য, আর সেই সংগীত শিল্পীর টার্গেট করা Audience হলো সঙ্গীত প্রেমী (যা কখনোই এক নয়)। তাই, তার কাজ বা Endorsement সত্যিই আপনার ব্রান্ডের সাথে রিলেটেড নয়। আর এজন্য আপনাকে এমন একজন ব্যক্তিকে দিয়ে সেই প্রযুক্তি সফটওয়্যারটির প্রমোশন করতে হবে, যিনি এসব বিষয় নিয়েই কনটেন্ট লেখেন বা তৈরি করেন।
আপনি যদি চান যে, আপনার পণ্যগুলো অনেক বেশি অডিয়েন্স এর কাছে পৌঁছাক, তাহলে আপনি জনপ্রিয় সব ব্যক্তিদের সাহায্য নিতে পারেন। এক্ষেত্রে, সেই ব্যক্তিকে আপনার প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ না করলেও চলবে। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র তার ফলোয়ারের সংখ্যা বেশি হলেই হবে। আপনার কোন একটি প্রোডাক্টের প্রচারের জন্য এসব ইনফ্লুয়েন্সর গণ অনেক কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। কেননা, তারা আপনার সেই পণ্যটি নিয়ে যখন তার অডিয়েন্সদের মাঝে প্রচার করবে, তখন সেটি নিয়ে ব্যবহারকারীদের মাঝে আলোচনা হবে এবং তারা এই পণ্যটির প্রতি আকৃষ্ট হতে পারে।
কোন একজন জনপ্রিয় ব্যক্তি যদি একটি পণ্যের সাজেস্ট করে, তাহলে ব্যবহারকারীদের মাঝে সেই ব্র্যান্ড বা পণ্যটি সম্পর্কে একটি ইতিবাচক ধারণা তৈরি হয়। এতে দেখা যায় যে, তারা সেই পণ্যটি গ্রহণও করে।
একজন Influencer বেছে নিতে চাইলে অবশ্যই দেখতে হবে যে, ঐ Influencer কতটুকু কাজের। তার নিজের ফলোয়ারকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা কতটুকু। এই ক্ষমতা একজন ইনফ্লুয়েন্সার এর আপনা-আপনি চলে আসে, যদি সেই Influencer ব্র্যান্ডের সাথে প্রাসঙ্গিক ব্যক্তিদের টার্গেট করে এবং তাদের সামনে যথেষ্ট ভালোভাবে প্রোডাক্ট বা ব্র্যান্ডটিকে উপস্থাপন করতে পারে।
সাধারণত ইনফ্লুয়েন্সারেরা Audience দেরকে প্রোডাক্ট কেনার ব্যাপারে ফোর্স করে না। তাদের অডিয়েন্সরা তাদের ব্লগ বা ভিডিওগুলো পছন্দ করে এবং এই ভাবেই তারা প্রোডাক্ট এর সাথে জড়িয়ে যায়। তাই, একটি প্রাসঙ্গিক মিল গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটিং এর জন্য।
আমি একটা বিষয় উল্লেখ করতে চাই যে, অসংখ্য গবেষণা হয়েছে মার্কেটিং এর উপরে এবং সেখানে মিডিয়াম বাজেটের Influencer দের কথারও উল্লেখ আছে। মিড লেভেলের Influencer রা হল এমন এক ধরনের ইনফ্লুয়েন্সার, যারা একটি লক্ষ্যে পৌঁছাতে চায়, কিন্তু তাদের কম সংখ্যকই অডিয়েন্স রয়েছে। কিন্তু, এই Influencer রা Audience এর সাথে কার্যকরী লয়ালিটি বজায় রাখতে পারে না।
তাই আমাদেরকে এমন একজন ইনফ্লুয়েন্সার কে বেছে নিতে হবে, যার অডিয়েন্সদের মাঝে একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। শুধুমাত্র কোন একটি পেজের ফলোয়ার কিংবা সাবস্ক্রাইবার দেখে নিজের পণ্যটির প্রমোশন করলে হবে না। এক্ষেত্রে, সেই পেজটির সাথে মানুষ কিভাবে যুক্ত এবং তারা সেই ক্রিয়েটরের কথায় আকৃষ্ট হবে কিনা, সেটি সম্পর্কে ও ধারণা নিতে হবে। যদি, শুধুমাত্র সেই কনটেন্ট ক্রিয়েটরের ভিডিও দেখাই উদ্দেশ্য হয় এবং তার কথা যদি কেউ গুরুত্ব না দেয়, তাহলে তাকে দিয়ে প্রোডাক্ট প্রমোশন করিয়ে লাভ নেই।
আমাদের কোন একটি পণ্যের প্রচার করার জন্য অবশ্যই একজন প্রচারক বা ইনফ্লুয়েন্সার এর দরকার। তবে, সেই ব্যক্তিকে নির্ধারণ করার জন্য আমাদের কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। যাতে করে, আমরা আমাদের পণ্যের বিক্রি বাড়াতে পারি। তবে, একজন Influencer এর সাথে আপনারও কিছু কাজ রয়েছে।
যাই হোক, আপনার সেই পণ্যটি প্রচারের জন্য বা আপনার ব্র্যান্ড কে তুলে ধরার জন্য যেই মাধ্যমটি সবচাইতে ভালো মনে করেন, আপনি সেটি বেছে নিন।
উপরের আলোচনা আপনার হয়তোবা ইতিমধ্যেই ধারণা হয়েছে যে, আপনি কোন ধরনের Influencer খুঁজে নিবেন এবং আপনার পণ্যের প্রমোশনের জন্য কাদের দরকার। তাই এবার আমাদের এটি জানার প্রয়োজন যে, আমরা আমাদের ব্র্যান্ডের জন্য উপযুক্ত ইনফ্লুয়েন্সার দেরকে কোথায় খুঁজে পাবো। চলুন তবে, এবার জেনে নেওয়া যাক, কিভাবে Influencer খুঁজে বের করবেন।
একজন Influencer marketer এর মাধ্যমে নিজের ব্র্যান্ডকে সবার মাঝে পরিচিত করে তুলে ধরার জন্য আপনি সোশ্যাল মিডিয়াগুলো ফলো করুন। উদাহরণস্বরূপ আপনি ফেসবুক, টুইটার কিংবা ইনস্টাগ্রাম এর মত সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে আপনার পণ্যের রিলেটেড পোস্টগুলো দেখতে পারেন।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, কোন একজন ব্যক্তি হয়তোবা আপনার প্রোডাক্ট রিলেটেড প্রচুর Post করছে; কিন্তু কোন ভাবেই তারা আপনার পণ্য বা সেবা সম্পর্কে তার অডিয়েন্সদেরকে বলছে না। এক্ষেত্রে আপনি সেই সমস্ত পেজের এডমিনের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন এবং আপনার পণ্যটি নিয়ে Post করতে বলতে পারেন কিংবা পরবর্তী কোনো কনটেন্টে সেটি নিয়ে আলোচনা করতে বলতে পারেন। যাইহোক, একজন আদর্শ Influencer খুঁজে পেতে আপনাকে অবশ্যই সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি নজর দিতে হবে।
আপনি যেই রিলেটেড প্রোডাক্ট নিয়ে প্রমোশন করতে চাচ্ছেন, আপনি সেই রিলেটেড বিষয় লিখে ইউটিউবে কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় সার্চ করুন। এতে করে আপনি এখানে দেখতে পাবেন যে, অনেক ব্যক্তিই এই ধরনের বিষয়বস্তুগুলো নিয়ে ভিডিও তৈরি করে। বিশেষ করে, আপনি রিভিউ ভিডিওর চ্যানেলগুলো ব্রাউজ করে দেখতে পারেন। আপনি যদি আপনার প্রোডাক্ট রিলেটেড বিষয়গুলো নিয়ে রিভিউ ভিডিও সার্চ করেন, তাহলে অনেক পপুলার চ্যানেল দেখতে পাবেন, যারা খুব ভালোভাবে প্রোডাক্ট রিভিউ করে থাকে এবং সেগুলো কেনার জন্য অন্যদেরকে সাজেস্ট করে।
এবার আপনি সে সমস্ত কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের সাথে যোগাযোগ করুন এবং আপনার পণ্যটি সম্পর্কে অবগত করুন। তারপর তার সাথে চুক্তির ভিত্তিতে, আপনার পণ্যটি প্রমোশন করিয়ে নিন। এছাড়াও আপনি YouTube এর বাইরে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতেও নজর রাখতে পারেন।
যারা আপনার টপিক গুলো নিয়ে লেখেন, তাদের সনাক্ত করতে আপনার ব্র্যান্ডের সাথে সম্পর্কিত কি-ওয়ার্ড গুলির জন্য একটি Google Alerts সেট করুন। গুগলের এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার ইনফ্লুয়েন্সারদেরকে খুঁজে নিতে পারেন। যদিও একটি দুঃখের বিষয় হল যে, বাংলাদেশের জন্য আপনি এটির মাধ্যমে কোন কনটেন্ট খুঁজে পাবেন না। আপনার টার্গেট যদি হয় বিদেশি কোন Influencer, তবে আপনি এটির সাহায্য নিতে পারেন।
একজন Influencer খুঁজে নেবার ক্ষেত্রে ব্লগার খুবই শক্তিশালী একজন ইনফ্লুয়েন্সার হতে পারে। ব্লগারদেরকে টার্গেট করার একটি বোনাস পয়েন্ট হল, তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রায় সবসময়ই অনেক সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে একটিভ থাকে।
তাই আপনার পণ্যের জন্য একজন সঠিক ইনফ্লুয়েন্সার খুঁজে বের করার জন্য, আপনার পণ্যের সাথে প্রাসঙ্গিক ব্লগগুলি অনুসন্ধান শুরু করুন। এরপর আপনার পণ্যের রিলেটেড পোস্টগুলো পড়ে, সেসব ব্লগারদের একটি লিস্ট তৈরি করুন। এরপর তাদের এসইও পরিসংখ্যান এবং সোশ্যাল মিডিয়ার ইনফরমেশন গুলো বের করার পর, আপনি এগুলোর মধ্যে থেকে সেরা সাইট টিকে বেছে নিন।
সবকিছু নির্ধারণ করা শেষ হলে, এবার আপনি সেই Influencer marketer কে দিয়ে পণ্যটির প্রচার শুরু করতে পারেন। চলুন কিভাবে আপনি আপনার পণ্যটি প্রচার শুরু করবেন, সেটি সম্পর্কে আলোচনা করা যাক।
একজন সত্যিকারের Brand Influencer আপনার সেই পণ্য বা সার্ভিসটি সম্পর্কে অনেক বেশি উৎসাহী এবং সেটির প্রতি আবেগ দেখায়। অর্থাৎ, সেই ব্যক্তি যখন সেটি নিয়ে রিভিউ করে বা সেটি সম্পর্কে বলে, তখন তা অনেক আগ্রহ নিয়ে বলে এবং মনে হয় যেন এটিই সত্য। যাইহোক, আপনারা যারা বিভিন্ন Influencer এর রিকমেন্ডেশন ভিডিও গুলো দেখেছেন, তারা হয়তোবা এটি সম্পর্কে আরো ভালো জানেন।
আপনার লক্ষ্য হলো, সে সব কাস্টমারদের কাছ থেকে যতটা সম্ভব ফিডব্যাক পাওয়া।
কেউ যদি আপনার ব্র্যান্ডকে নিয়ে ভালো কথা বলে, তাহলে আপনাকে অবশ্যই তাকে কিছু দিতে হবে। তবে এটি আর্থিকভাবে হতে হবে না, তবে এটি আর্থিক ভাবেও হতে পারে। তবে আপনি যেকোনোভাবে আপনার সেই Influencer কে পুরস্কৃত করতে পারেন। এজন্য আমি নিচে কয়েকটি উপায় বলে দিচ্ছি।
নিজেদের পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটারদেরকে কেন নিয়োগ করতে হবে এবং একটি ব্র্যান্ডের বিক্রির বৃদ্ধির জন্য তাদের কেন প্রয়োজন, সেটি সম্পর্কে আপনি হয়তোবা ইতিমধ্যেই জেনে আসলেন। তবে, একজন ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটার সম্পর্কে আপনার হয়তোবা আরো কিছু প্রশ্ন রয়েই গেছে। চলুন, নিচে এরকম কয়েকটি প্রশ্ন দেখি।
একজন ইনফ্লুয়েন্সার নিয়োগ করতে আপনার কত টাকা লাগবে, এটি নির্ভর করে আপনার প্রতিষ্ঠান এবং আপনার প্রচারণের ধরনের উপর নির্ভর করে। এছাড়াও, আপনি কোন ধরনের ব্যক্তিকে দিয়ে সেই প্রচারণা ঠিক করবেন, সেটির উপর ও টাকার অংক নির্ভর করে। যেরকম ভাবে, একজন ছোট ইউটিউবার কে দিয়ে আপনি যদি কোন একটি প্রোডাক্ট প্রমোশন করিয়ে নিতে চান, তাহলে তাকে সেই প্রোডাক্ট এবং সঙ্গে ১০-২০ হাজার টাকা দিলেই চলবে। তবে, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী কোন ছোট ইউটিউবার কিংবা জনপ্রিয় ব্যক্তিদেরকে দিয়ে প্রমোশনাল ভিডিওগুলো খুবই কম বানানো হয়। আর বৈশ্বিক-ভাবে চিন্তা করলেও ঠিক একই।
আমরা যেহেতু এখানে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করছি, তাই আমাদেরকে বাংলাদেশের কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের সম্পর্কে বলতে হবে। এখানে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, সে সমস্ত ইউটিউবার বা সোশ্যাল ব্যক্তিত্বদেরকে শুধুমাত্র সেই পণ্যটি দিলেই চলে, যদি সেই পণ্যটি কিছুটা দামি হয়। আর এক্ষেত্রে আমরা যদি জনপ্রিয় সব ইউটিউবারদের কথা চিন্তা করি, তাহলে তাদের দিয়ে কোন একটি পণ্যের প্রমোশন করে নেবার জন্য ৩০ হাজার থেকে শুরু করে এক লক্ষ টাকার মত দিতে হয়। শুধু সবার ক্ষেত্রে বিষয়টি তেমন নয়, অনেকের ক্ষেত্রে মাত্র কয়েক হাজার টাকা দিয়েই এটি করে নেয়া সম্ভব।
আপনি আপনার পণ্যের রিলেটেড বিষয়গুলো এবং আপনার পণ্য রিলেটেড হ্যাশট্যাগ দিয়ে সার্চ করে দেখুন। এছাড়াও আপনি অন্যান্য ব্রান্ডগুলো নিয়ে ও একটু অনুসন্ধান করুন, তাহলে আপনি একজন Influencer খুঁজে পেতে পারেন।
এখানে এই প্রশ্নটিই সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। কেননা আমরা আমাদের প্রোডাক্টের প্রচারের জন্য হাজার হাজার টাকা ইনফ্লুয়েন্সার দের মাধ্যমে খরচ করব। কিন্তু, কিভাবে আমরা তাদের মাধ্যমে আসা গ্রাহকদের ট্র্যাক করব?
এক্ষেত্রে আপনি ব্যবহার করতে পারেন কোন একটি ট্র্যাকিং লিংক। আর এই কাজে আপনাকে বিভিন্ন Short link তৈরি করার ওয়েবসাইটগুলো সাহায্য করতে পারে। এ ধরনের ওয়েবসাইটগুলো আপনাকে ওয়েব ট্রাফিক গুলো ট্র্যাক করতে দেয়।
অন্যান্য যে কোন মার্কেটিং ক্যাম্পেইন এর মতো এটিও কৌশল এবং লক্ষ্যের উপর নির্ভর করে। যাইহোক বর্তমানে প্রায় ৮০% মার্কেটেররা মনে করে যে, এটি পণ্যের বিক্রির ক্ষেত্রে অনেক বেশি কার্যকর এবং ৮৯% মনে করে যে, এটি অন্যান্য মার্কেটিং এর চাইতে বেশি কার্যকর।
ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং শুরুর পর থেকে এটি অনেক ব্র্যান্ডের ক্ষেত্রে সফলতার চাবিকাঠি হতে চলেছে। এমনকি অনেক প্রতিষ্ঠান এই কৌশলটি অনুসরণ করে নিজেদের ব্র্যান্ডকে সফল পর্যায়েও নিয়ে গিয়েছে। তাই আপনি যদি আপনার পণ্যকে মানুষের কাছে বিক্রি এবং ব্র্যান্ডের পরিচিতি বাড়াতে চান, তাহলে আজ থেকে শুরু করুন ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং। ধন্যবাদ, আসসালামু আলাইকুম।
আমি মো আতিকুর ইসলাম। কন্টেন্ট রাইটার, টেল টেক আইটি, গাইবান্ধা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 421 টি টিউন ও 93 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 62 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 3 টিউনারকে ফলো করি।
“আল্লাহর ভয়ে তুমি যা কিছু ছেড়ে দিবে, আল্লাহ্ তোমাকে তার চেয়ে উত্তম কিছু অবশ্যই দান করবেন।” —হযরত মোহাম্মদ (সঃ)