ফেসবুকে এখন এড বুস্টে করতে গেলে নানা রকম ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। যারা এতদিন ধরে সাচ্ছন্দে বুস্ট করে এসেছেন তাদের অনেকেই হঠাৎ করেই কিছু সমস্যার কারণে বুস্ট করতে পারছেন না। এক বছর আগেও ফেসবুক এড পলিসি ফলো করা না হলে এড অ্যাকাউন্ট ফ্লাগ করে দিত কিংবা পেমেন্ট মেথডে সন্দেহজনক কিছু পেলে সেটা সাসপেন্ড করত, আবার ভেরিফিকেশন করার পর সেটা রি-একটিভ করে দিত।
এখন এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরও অনেক বাধা। বুস্টের কাজ করতে গেলে ৪ টা জিনিস লাগে। এই গুলো হলো –
আমি মূলত এই চার টা জিনিসের মধ্যে যে বাধা আছে সেটা নিয়েই আলাপ করবো।
ফেসবুকে এড বুস্ট করতে গেলে একটা পার্সোনাল আইডি লাগে। আগে যে কোন আইডি দিয়েই বুস্ট করা যেত। সেটা ফেক নাকি অথেনটিক সেটা যাচাই বাচাই করতো না। ইদানিং আইডি এর ব্যাপারে সন্দেহজনক কিছু পেলেই সেই আইডি কে এড রেসট্রিকটেড করে দিচ্ছে। ভেরিফিকেশন করার পর যদি অথেনটিক মনে করে তা হলে সেটার ওপর যে বাধা ছিল তা উঠিয়ে নিচ্ছে।
বুস্ট করতে গেলে লাগে এড অ্যাকাউন্ট বা এড ম্যানেজার। সেটা পার্সোনাল হতে পারে আবার বিজনেস ম্যানেজার হতে পারে। এসব এড অ্যাকাউন্ট এ অন্য কাউকে এডমিন এক্সেস দেয়া যায়। তারা কার্ড এড করতে পারে, বুস্ট দিতে পারে। ফেসবুকের এড পলিসি না মানার কারণে এখন অনেক বেশি পরিমাণে এড রিজেক্ট করে দিচ্ছে এবং এড অ্যাকাউন্ট ফ্লাগ করে দিচ্ছে। এটা যে সব সময় জেনুইন কারণে হচ্ছে তা কিন্তু নয়। অনেক সময় সিস্টেম এররের কারণেও এসব ঘটছে।
বুস্ট করতে গেলে বিজনেস পেজ লাগে। আর পেজের পোস্টগুলোই বুস্ট করা হয়। পেজের টিউনে ক্লিক করে বুস্ট করা যায় অথবা এড ম্যানেজার থেকে বুস্ট করা যায় কিংবা মোবাইলের আপস ব্যবহার করেও বুস্ট করা যায়। তবে যে প্লাটফর্ম থেকেই এড বুস্ট করা হোক না কেন সেটার জন্য একটা এড অ্যাকাউন্ট লাগে। বিজনেস পেজের এক্টিভিটির জন্য এখন “পেজ কোয়ালিটি” বিবেচনা করা হয়। ফেসবুকের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড ভঙ্গ করলে বিভিন্ন ধরনের রেস্ট্রিকশন আরোপ করে পেজে। সেটা হতে পারে রিচ কম হওয়া, ভিউ কম হওয়া।
আবার বার বার কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড মেনে না চললে গুরুতর ব্যবস্থাও নিতে পারে। সেটার কারণে পেজ টা আনপাবলিশড হতে পারে। আবার Intellectual Property Rights না মেনে কোন কন্টেন্ট পেজে ব্যবহার করে রিপোর্ট খেলে পেজ টা চিরতরের জন্য হারাতে পারেন। পেজে কোন রেসট্রিকশন থাকলে সেটার প্রভাব বুস্ট করার সময় পড়ে। বুস্ট থেকে রিচ আসে, এড ভাল পারফর্ম করে না। শুধু তাই নয়, ফেসবুকের এড পলিসি ভঙ্গ করার জন্য আপনার পেজ টা এড রেসট্রিকটেড করে দিতে পারে।
ফেসবুকে বুস্ট করতে গেলে পেমেন্ট মেথড লাগে। আমাদের দেশে যে সব পেমেন্ট পাওয়া যায় তা হল মাস্টার কার্ড, ভিসা কার্ড এবং আমেরিকান একপ্রেস। ইদানিং বাংলাদেশের ব্যাংক গুলো থেকে ইস্যু করা কার্ড গুলো অনেক সময় ফেসবুক গ্রহণ করতে চায় না। বিশেষ করে প্রি-পেইড বা ডেবিট কার্ড। আবার কার্ড গ্রহণ করলেও কিছুদিন চলার পর তা সাসপেন্ড করে দেয়।
এই যে বাধাগুলো এসেছে এসবের পিছনেও আবার নানা কারণ থাকতে পারে। আমার ধারণা সেটা হতে পারে ফেক আইডি এর ব্যাপক ব্যবহার। ফেক পেজ খুলে ব্যবসা করে প্রতারণা করা। আবার বুস্ট করে ফেসবুকের পেমেন্ট ডিউ রাখা। কিছু কিছু ব্যাপারে সমস্যা থাকলেও ফেসবুকের বর্তমান অবস্থা কে আমি ভাল চোখেই দেখছি। এতে করে বাটপাররা আর প্রতারণা করতে পারবে না। যারা প্রফেশনাল ভাবে বুস্ট করতে পারবে তারাই মার্কেটে টিকে থাকবে। তবে এটা নিয়ে জরিপ চালিয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যবস্থা নিলে ভাল হবে।
আমি আব্দুল্লাহ আল ফারুক। Digital Marketer, Self Employed, Bogura। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 34 টি টিউন ও 20 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 23 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
প্রিয় ট্রাসটেড টিউনার,
আপনার টিউন/টিউনগুলো টেকটিউনস ‘টিউন এক্সক্লুসিভিটি’ হারাচ্ছে।
কারণ:
টেকটিউনস ট্রাসটেড টিউনার হিসেবে টিউন প্রকাশের ক্ষেত্রে অবশ্যই ‘টিউন এক্সক্লুসিভিটি’ বজায় রেখে টিউন প্রকাশ করতে হয়।
করনীয়:
‘টিউন এক্সক্লুসিভিটি’ গাইডলাইন অনুযায়ী আপনার বর্তমান টিউনের কন্টেন্ট ও ট্রাসটেড টিউনার হিসেবে করা পূর্বে প্রকাশিত টিউনের কন্টেন্ট থার্ডপার্টি সাইট থেকে রিমুভ করে, সেসব থার্ডপার্টি সাইটে আপনার করা ট্রাসটেড টিউনের লিংক হিসেবে টিউন করুন। যেন ভিজিটর টেকটিউনস ভিজিট করে টেকটিউনস ট্রাসটেড টিউনার হিসেবে আপনার টিউন করা কন্টেন্ট পড়তে পারে। সেই সাথে টেকটিউনস ট্রাসটেড টিউনার হিসেবে আপনার পরবর্তি টিউনগুলোতে অবশ্যই ‘টিউন এক্সক্লুসিভিটি’ গাইডলাইন অনুযায়ী ‘টিউন এক্সক্লুসিভিটি’ বজায় রেখে ট্রাসটেড টিউন প্রকাশ করুন।
উপরের নির্দেশিত সংশোধন করে এই টিউমেন্টের রিপ্লাই দিন।