আমরা অনেকেই জেনেই হোক বা না জেনেই হোক অহরহ ফেসবুকে অন্যের কন্টেন্ট অনুমতি না নিয়েই ব্যবহার করছি। তবে ধরা পরলেই কিন্তু খবর আছে। সেটা যতদিন আগেই ব্যবহার করা হোক না কেন। তাই কন্টেন্ট ব্যবহার করার ব্যাপারে এখন থেকেই সতর্ক হোন।
ফেসবুক বিভিন্ন ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের মেধা সম্পত্তির অধিকার রক্ষার ব্যাপারে সাহায্য করে। এই ব্যাপারে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ফেসবুকের অধিকার এবং দায়িত্বের বিবৃতি এমন কোন কন্টেন্ট ব্যবহার করার অনুমতি দেয় না যে গুলো অন্য কারও মেধা-স্বত্ব অধিকার লঙ্ঘন করে। এর মধ্যে রয়েছে কপিরাইট সমগ্রী এবং ট্রেডমার্ক।
কপিরাইট হলো একটা আইনগত অধিকার যা মূল কাজকে রক্ষা করার জন্য তার মালিক কে সাহায্য করে। যেমন বই, সঙ্গীত, নাটক, স্থির ছবি, পেইন্টিং ইত্যাদি। সাধারণত কপিরাইট মূল অভিব্যক্তি (expression) কে রক্ষা করে। যেমন শব্দ (word) এবং চিত্র। এটা ঘটনা প্রবাহ ও ধারণাকে রক্ষা করে না। যদিও একটা ধারণা বর্ণনা করার জন্য যে সব শব্দ এবং চিত্র ব্যবহার করা হয় তা রক্ষা করে। কপিরাইট নাম, শিরোনাম এবং স্লোগানের মত কিছু জিনিসকে রক্ষা করে না। কিন্তু অন্য একটা আইনগত অধিকার যেটাকে বলে ট্রেডমার্ক তার মাধ্যমে ঐ অধিকার গুলো রক্ষা করা সম্ভব।
ট্রেডমার্ক হল শব্দ, স্লোগান, প্রতীক অথবা ডিজাইন। যেমন – ব্রান্ড নাম, লোগো ইত্যাদি। এটার মাধ্যমে কোন ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা কোম্পানি তাদের পণ্য অফার করে বা পরিষেবাগুলো প্রচার করে। ট্রেডমার্ক আইন গ্রাহকদের মধ্যে বিভ্রান্তি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে কেননা এটা পণ্য বা পরিষেবার সাথে যুক্ত থাকে। তাই আমরা ট্রেডমার্ক দেখে সহজেই কোন পণ্য বা সেবার মান বুঝতে পারি এবং পার্থক্য করতে পারি।
এটা ফেসবুরকের নিজস্ব টুল। আবেদন করলে এই টুলটা ফ্রি পাওয়া যায়। এই টুলের মাধ্যমে ব্র্যান্ড এর বিজ্ঞাপণ, গ্রুপ সেল টিউন, মার্কেটপ্লেস টিউন এবং নিবন্ধিত শব্দের ট্রেডমার্ক অনুসন্ধান করা যায়। মেধা-স্বত্ব অধিকার লঙ্ঘন করে এমন যে কোন সামগ্রীর জন্য অভিযোগ করা যাবে এই টুল দিয়ে। এই টুল আবার সবাইকে প্রদান করা হয় না। তাই মেধা-স্বত্ব অধিকার মালিকের মাধ্যমে সরাসরি আবেদন করলে ফেসবুক তা প্রসেস করে। এ ছাড়া ভিডিও তে কোন কন্টেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে কিনা সেটার জন্য ফেসবুক Audible Magic টুল এবং তাদের নিজস্ব আরেকটা টুল Rights Manager ব্যবহার করে।
যখন ফেসবুক সঠিক মালিকের নিকট থেকে মেধা-স্বত্ব অধিকার নিয়ম লঙ্ঘন এর অভিযোগ পায় তখন কোন রকম যোগাযোগ ছাড়ায় দ্রুত ঐ কন্টেন্ট পেজ থেকে মুছে ফেলে দেয়। এর পর ফেসবুক মেধা-স্বত্ব অধিকার নিয়ম লঙ্ঘনকারির নিকট একটা নোটিস পাঠিয়ে দেয়। ঐ নোটিসে অভিযোগকারীর নাম, ইমেইল আইডি, কোম্পানির নাম, রিপোর্ট নম্বর উল্লেখ করা হয়। যিনি কন্টেন্ট ব্যবহার করেছেন তিনি যদি মনে করেন ঐ কন্টেন্টটা মুছে ফেলা দেয়া ঠিক হয়নি তা হলে উনি অভিযোগকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করে একটা সমাধানে আসতে পারেন।
মেধা-স্বত্ব অধিকার নিয়ম লঙ্ঘন এর জন্য ফেসবুক এখন কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। আমার নিজের অভিজ্ঞতা এবং বিভিন্ন পেজ এডমিন এর সঙ্গে কথা বলে এই ধরনের শাস্তির খবর পাওয়া যায়।
সবশেষে বলতে চাই ইদানীং ফেসবুক মেধা-স্বত্ব অধিকার নিয়ম লঙ্ঘন করলে কঠিন শাস্তি দিচ্ছে। আগে শুধু পেজ রিমুভ করে দিত। এখন এড অ্যাকাউন্ট ফ্ল্যাগ করে দিচ্ছে সেই সঙ্গে পেজ এডমিনের প্রোফাইল রিমুভ করছে। তাই এই ধরনের কন্টেন্ট ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
আমি আব্দুল্লাহ আল ফারুক। Digital Marketer, Self Employed, Bogura। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 34 টি টিউন ও 20 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 23 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
টিউনে নুন্যতম ৩ টি ছবি না থাকায় টিউনটি ট্রাসটেড টিউন হিসেবে সিস্টেম ডিডেক্ট করেনি।