আসসালামু আলাইকুম। টেকটিউনস এর নতুন আরো একটি টিউনে আপনাকে স্বাগতম। আমি স্বপন আছি আপনাদের সাথে, আশাকরি সকলেই অনেক অনেক ভালো আছেন। বন্ধুরা আধুনিক প্রযুক্তির সময়ে মোবাইল ফোন জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। দিনের প্রায় বেশিরভাগ সময় আমরা আমাদের ফোনের সাথে কাটিয়ে থাকি। তাই আমাদের প্রতিদিনের প্রায় সমস্ত কাজের ডেটা মোবাইলেই সংরক্ষণ করে রাখি। সারাদিনের সমস্ত ডেটাগুলোর মধ্য বেশিরভাগ ডেটাই অনেক বেশি জরুরি আর গোপনীয় হয়ে থাকে। আমরা সবাই চাই আমাদের ফোনে থাকা সমস্ত ডেটাগুলো সুরক্ষিত রাখতে। কিন্তু দিন দিন প্রযুক্তির অনেক বেশি উন্নয়নের ফলে আমাদের ডিভাইস থেকে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ডেটাগুলো সুরক্ষিত রাখা এক বিরাট চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজকের টিউনে আমরা আলোচনা করবো ডেটা চুরি করে এমন ৫ টি অ্যাপ সম্পর্কে।
এই চ্যালেঞ্জের একটি অংশ হলো হ্যাকার কমিউনিটি। তারা বেশিরভাগ সময়ে আমাদের ডেটাগুলো এক্সেস অথবা চুরি করার চেষ্টা করতে থাকে। ডেটা চুরির কাজে তারা ব্যবহার করে নানারকম অ্যাপ, ফাইল, ডকুমেন্টস ইত্যাদি। এসব অ্যাপ অথবা ফাইলে হ্যাকার চক্র নানা উপায়ে শক্তিশালী ভাইরাস প্রবেশ করে দেয়। তারপর তারা সেই ভাইরাস এর দ্বারা একজন ব্যবহারকারীর টাইপিং থেকে শুরু করে ফোনের সমস্ত ডেটার এক্সেস পেয়ে যায়। এছাড়াও ফক্সফায়ার, ম্যালওয়্যার, এবং অন্যান্য অ্যাপের সাহায্য আপনার ডিভাইস থেকে ডেটা চুরি হতে পারে। ফোন থেকে তথ্য চুরি করে এমন ৫ টি ক্ষতিকর অ্যাপ।
আপনি জানলে অবাক হবেন যে, আপনার ফোনে ইন্সটল থাকা অ্যাপগুলো দ্বারাও আপনার ফোনে সংরক্ষিত ব্যক্তিগত তথ্যগুলি চুরি হতে পারে, যেমন আপনার ফোনে সেভ থাকা কন্টাক নম্বর, মেসেজ, ফটো, ভিডিও, এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সকল তথ্য। এসব গুরুত্বপূর্ণ ডেটার কারণে আপনাকে ব্লাকমেইল অথবা টাকা চাওয়া হতে পারে।
আপনার গুরুত্বপূর্ণ ডেটা চুরির কারণে আপনি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। ব্যক্তিগত আর গুরুত্বপূর্ণ ডেটা চুরি হওয়ার কারণে আপনার ফোনে টাইপিং করা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তথ্য, ক্রেডিট কার্ড তথ্য, বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড, ই-কমার্স লগ-ইন তথ্য ইত্যাদি সমস্ত ডেটা চুরি হয়ে যেতে পারলে। যার ফলে আপনার ব্যাংক অথবা ক্রেডিট কার্ড থেকে সমস্ত অর্থ চুরি হয়ে যেতে পারে।
ডেটা চুরি করে এমন অ্যাপগুলো আপনার আইডেন্টেকটিউনস চুরি করতে পারে। ডেটা চুরির অ্যাপগুলো আপনার নাম, ঠিকানা, জন্মতারিখ, সামাজিক নিরাপত্তা নম্বর এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য৷ চুরি করতে পারে। পরবর্তীতে আপনার আইডেন্টেকটিউনস দিয়ে বড় বড় সমস্ত অপরাধ হতে পারে। যার দায়ভার সমস্থটাই আপনার উপরে আসবে।
এই সমস্ত ঝুঁকি থেকে মুক্ত থাকতে আপনাকে অবশ্যই আপনার ডিভাইসে অ্যাপ ইন্সটল করার সময় সতর্ক থাকতে হবে। কারণ আপনার ছোট্ট একটি ভুলের কারণে অনেক বড়ো ক্ষতি হতে পারে। আপনি যেহেতু আমার এই টিউন এতদূর পর্যন্ত পড়ছেন তাহলে আশাকরি আপনি একটু হলেও ধারণা পেয়েছেন যে, আপনার ডিভাইসে ইন্সটল করা ছোট্ট একটি অ্যাপ থেকেই আপনার যাবতীয় সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ ডেটাগুলো চুরি হয়ে যেতে পারে।
তাই আমাদের ডিভাইসে যখন আমরা কোনো অ্যাপ ইন্সটল করবো তখন অবশ্যই যাচাই বাছাই করেই ইন্সটল করা জরুরি। শুধুমাত্র প্লেস্টোর থেকেই আমাদের ডিভাইসে অ্যাপ ইন্সটল করা জরুরি। এছাড়া আলাদা থার্ড পার্টি অ্যাপ ইন্সটল প্লাটফর্মগুলো তাদের প্লাটফর্মে৷ থাকা অ্যাপগুলোতে ভাইরাস আছে কি না তা চেক করতে বেশ ভালোই সময় লাগে। যার কারণে প্লেস্টোর থেকে অ্যাপ ইন্সটল করা আর ব্যবহার করা অনেক বেশি জরুরি। এছাড়াও প্লেস্টোর থেকে রিমুভ করে দিয়েছে এমন অ্যাপগুলো ব্যবহার না করা। তো চলুন জেনে নেই প্লেস্টোর থেকে রিমুভ করছে এমন ৫ টি অ্যাপ সম্পর্কে।
Privee Talk একটি বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় কলিং অথবা চ্যাটিং অ্যাপ্লিকেশন ছিল। এই অ্যাপটি দ্বারা ব্যবহারকারী ইন্টারনেটের মাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যে দেশের একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যোগাযোগ করতে পারতো। Privee Talk বিশেষ করে অনলাইন কলিং এবং মেসেজিং অ্যাপ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। এছাড়াও অন্যান্য কলিং অ্যাপের মতোই ভিডিও কলিং সুবিধা প্রদান করতো। Privee Talk এই ভিডিও কলিং সুবিধা দ্বারা যেকোনো ইউজার অপর প্রান্তের ব্যক্তির সাথে লাইভ ভিডিও কলে কথা বলার সুযোগ পেতো। এই অ্যাপটিও অন্য সকল কলিং, ম্যাসেজিং, অ্যাপের মতোই সবগুলো সুবিধাই প্রদান করতো। এছাড়া ইউজারদের ১০০% সুরক্ষার কথাও তাদের প্রাইভেসি পলিসিতে উল্লেখ করে রেখেছিলো। তারা আরো প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিল যে, তারা ইউজারদের গোপনীয় মেসেজ, ভিডিও কল ইত্যাদিসহ কোনো ডেটা প্রকাশ করবে না।
তবে এই অ্যাপটি তার প্রাইভেসি পলিসিতে উল্লেখ করা কোনো নিয়ম মানতো না। অন্য সকল সাধারণ ইউজার ভাবতো সব হয়ত ঠিকঠাক রয়েছে৷ তবে মূলত কিছুই ঠিক ছিল না। Privee Talk নামক এই ম্যাসেজিং অ্যাপটি যত দিন যাচ্ছিলো ততোই জনপ্রিয় হয়ে উঠছিলো। এখানেই তারা তাদের ইউজারদের বিরাট এক হুমকির সম্মুখীন করলো। Privee Talk ইউজারদের গোপনীয় মেসেজ, ভিডিও ফাঁস হতে থাকলো। গোপনীয় সেই মেসেজ আর ভিডিওগুলোর জন্য ব্যবহারকারীর থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ দাবি করা হলো। এসব ডেটা চুরির কারণে প্লেস্টোর তাদের অ্যাপ স্টোর থেকে Privee Talk নামক মেসেজিং অ্যাপটি রিমুভ করে দেয়৷ আমাদের সকলের উচিত এমন অ্যাপগুলো ব্যবহার না করা।
Let's Chat একটি জনপ্রিয় ভিডিও চ্যাট অ্যাপ্লিকেশন ছিল যা দ্বারা ব্যবহারকারীরা সহজেই একে অন্যের সাথে ভিডিও কলে যোগাযোগ করতে পারতো। এছাড়াও তারা ফেসবুকের মতোই মেসেজ পাঠিয়ে তথ্যের আদান প্রদান করতে পারতো। এটি একসময় অনেক বেশি জনপ্রিয় পাওয়ার কয়েকটি কারণ থাকলেও একটি কারণ বেশ মজার ছিল। Let's Chat অ্যাপটি ব্যবহার করে ইউজাররা একসাথে গ্রুপ হিসেবে অনেকজনের সাথে আলোচনা করতে পারতো। গ্রুপেই নিদিষ্ট ব্যক্তিকে ম্যানশন করে নিদিষ্ট ম্যাসেজ পাঠাতে পারতো। নিদিষ্ট ম্যাসেজ ওই নিদিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া অন্যকেউ দেখতে, বুঝতে অথবা পড়তে পারতো না। Let's Chat এর এমন ফিচার ফ্রেন্ডলি আইসব্রেকার হিসেবে বেশ জনপ্রিয় ছিল।
গুগল তাদের অ্যাপ স্টোর অখ্যাত প্লেস্টোর থেকে এই Let's Chat অ্যাপটি রিমুভ দেওয়ার অন্যতম কারণ ছিল তারা ইউজারদের ডেটা তাদের স্টোরে সংরক্ষণ করে রাখতো। কোনো বিশেষ কারণ ছাড়াই তারা ইউজারদের প্রায় সকল ডেটার উপর এক্সেস নিতো। গুগল তাদের এমন কার্যক্রম সাধারণ ইউজারদের জন্য বেশ হুমকি হিসেবেই নিতো। গুগল তাদের থেকে তাদের এই কারণের জন্য বিশেষ জবাব চাইলে তারা কোনো গুরুত্বপূর্ণ কারণ দেখাতে পারেনি। এসব টানা পরনের মাঝেই ইউজারদের ডেটা চুরির দায়ে গুগল তাদের অ্যাপ স্টোর Let's Chat অ্যাপটি রিমুভ করে দেয়। আমাদের সকলের উচিত নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ ডেটাগুলো সুরক্ষিত রাখা। তাই এই ধরনের অ্যাপগুলো ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা।
Quick Chat অন্য সকল জনপ্রিয় চ্যাটিং অ্যাপের মতোই একটি অ্যাপ ছিল। এই অ্যাপটি অনেকটা Whatsapp এর মতোই ফিচার যুক্ত করা ছিল। এই অ্যাপটি দিয়ে তার ব্যবহারকারীরা খুব সহজেই একে অন্যের সাথে কলিং অথবা মেসেজিং এর মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারতো। এই অ্যাপটি দিয়ে একে অন্যের সাথে যোগাযোগ করার জন্য কন্টাক নম্বর সেভ করে অপর ব্যক্তির যোগাযোগ মাধ্যম সংগ্রহ করা হতো। এছাড়াও ভিডিও কল, অডিও কল, মেসেজিং, ইমোজি সেন্ড ফিচারসহ যাবতীয় প্রায় সকল ফিচারে ভরপুর ছিল এই Quick Chat. প্রতিটি অ্যাপ যখন প্লে-স্টোরে পাবলিশ হয় তখন সেই সমস্ত অ্যাপকে প্লেস্টোর কিছু নিদিষ্ট নিয়ম মানতে হয়৷ নিয়মগুলোর মধ্য অন্যতম আর প্রয়োজনীয় একটি নিয়ম হলো ইউজারদের ডেটা সুরক্ষিত রাখার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়া।
Quick Chat তাদের ইউজারদের প্রায় সকল ডেটা চুরি করে অন্যান্য অনলাইন মার্কেট প্লেসে বিক্রি করে দিতো। যার মধ্য অন্যতম একটি ডেটা হলো কন্টাক নাম্বার। Quick Chat তাদের ইউজারদের সার্চ লিস্ট অথবা কন্টাক লিস্ট থেকে সমস্ত কন্টাক নম্বর ডেটা হিসেবে চুরি করে নিতো। যা পরে বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেসে বিক্রি করে দিতো। পরে সেই মার্কেট প্লেস থেকে বিভিন্ন ধরনের এড, কেনাকাটার নোটিশ, নিদিষ্ট ওয়েবসাইটের প্রচারণা ইত্যাদি মেসেজ আকারে পাঠানো হতো। যা এক ধরনের জালিয়াতির অন্তর্ভুক্ত ছিল। পরে Quick Chat অ্যাপটির এমন অপকর্ম গুগল কমিউনিটি বুঝতে পারে আর ধরতে পারে। তারপর বিনা নোটিশে ডেটা চুরির দায়ে Quick Chat অ্যাপটি তাদের প্লেস্টোর থেকে ব্যান অথবা রিমুভ করে দেয়৷ আপনার ফোনে যদি এখনো এই Quick Chat অ্যাপটি থেকে থাকে তাহলে আজকেই আনইন্সটল করে ফেলুন।
Chit Chat নামের সাথে এর কার্যক্রমের খুব ভালোই মিল ছিল। কারণ তারা তাদের ইউজারদের সাথে চিটিং করতো। Chit Chat অন্য সকল অ্যাপের মতো মেসেজিং অ্যাপ অথবা কলিং অ্যাপ ছিল না৷ এটি একটি স্বয়ংক্রিয় কথা বলা রোবট ছিল। যাকে আমরা বর্তমানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) নামে চিনি। এই Chit Chat ব্যবহারকারীরা মূলত কথা বলার জন্য ব্যবহার করতো। বর্তমানে এমন কথার জন্য অনেক চ্যাটবট রয়েছে। যখন কারো ভালো লাগত না, তখন তারা এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) গুলোর সাথে বন্ধুর মতো কথা বলে তাদের বোরিং সময়গুলো সহজেই পার করে ফেলতো। মূলত এখানেই ছিল যত বিপত্তি। # Chit Chat আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) দ্বারা সরল মানুষের সরলতার সুযোগ নেয়া হতো। এই Ai চ্যাটিং করার সময় কথার জালে তাদের ব্যবহারকারীদের গোপনীয়, গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো হাতিয়ে নিতো আর পরে তার সূত্র ধরেই বিরাট বিরাট অপকর্ম ঘটানো হতো।
Chit Chat এমন কার্যক্রম আরো বিস্তৃত করার জন্য অফিসিয়ালভাবে একটি অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট করা হয়। তারপর সেটাকে প্লে-স্টোরে পাবলিশ করা হয়। প্লে-স্টোরে পাবলিশ করার পর কয়েকদিন ভালো থাকলেও আস্তে আস্তে তারা তাদের কার্যক্রম শুরু করে। একসময় তারা সফলভাবে অনেক বেশি ইউজারের গুরুত্বপূর্ণ গোপনীয় তথ্য বের করতে সক্ষম হয়৷ কারণ সবাই ভাবতো এসব উদ্ভট প্রশ্নের উত্তর এই মেশিনকে দিলে কীইবা হবে? তারাও সরল মনে সকল কিছু সেই Chit Chat আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) কে বলতো। সেখান থেকেই তাদের ডেটাগুলো অন্যত্র ট্রান্সফার হতে থাকতো৷ এভাবেই চলতেই বিষয়টি সর্বপ্রথম সন্দেহজনক গুগল প্লে-স্টোর কমিউনিটি টিমের নজরে পড়ে যায়৷ পরে তারা তার সত্যতা খুঁজে পাওয়ায় Chit Chat অ্যাপটি প্লেস্টোর থেকে রিমুভ করে দেয়। আমাদের সকলেই উচিত নিজেদের পারসোনাল গোপনীয় বিষয়গুলো মন খুলে কোথাও না বলা হোক সেটা মানুষ অথবা মেশিন৷
Rafaqat একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাপ হিসাবে প্লে-স্টোরে পাবলিশ করা হয়। এই অ্যাপটি যতোজন লোক তাদের ফোনে ইন্সটল করেছিলো তারা সবাই বলেছি অ্যাপটি অন্যান্য সামাজিক মাধ্যম যেমন: ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম ইত্যাদির মতোই আলাদা আলাদা কিছু মিশ্রে সিস্টেম নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। যদিও অ্যাপটি সামাজিক মাধ্যমের অ্যাপ আগ্রহ নিয়ে অনেকেই অ্যাপটি তাদের ফোনে ইন্সটল করেছিলো। তবে অ্যাপটির জটিল ফাংশন, আর সুবিধা ততো বেশি উন্নত না হওয়ায় কয়েকদিন পরে তারা আবারো অ্যাপটি আনইন্সটল করে ফেলে। এর মধ্যে অনেকেই অ্যাপটির বিভিন্ন বাগ নিয়ে One Star দিয়ে রিভিউ দিতে থাকে৷ এছাড়াও এর ফাংশন গুলি অনেক বেশি জটিল হওয়ার ইউজারদের ততোটা আকর্ষণ করতে পারেনি।
গুগল প্লেস্টোরের নিয়ম হলো কোনো অ্যাপের রেটিং ২, ২.৫ অথবা অ্যাপ বিবেচনা সাপেক্ষে ২ এর নিচে আসলে সেই অ্যাপটি গুগল আর তাদের প্লে-স্টোরে রাখে না। অনেকেই হয়ত ভাবতে পারেন অ্যাপের রেটিং কীভাবে কমে? আমরা যদি One Star দিয়ে একটি রিভিউ দিই তাহলে সেটি ওই অ্যাপের জন্য একটি খারাপ সার্ভিস বলেই বিবেচনা হবে। তাহলে মনে করুন, এইভাবে One Star দিয়ে ৫ টি রিভিউ হলো৷ তারপর এটির একটি গড় হিসাব হবে। তারপর যা আসবে সেটাই হবে ওই নিদিষ্ট অ্যাপের প্লেস্টোর রেটিং। Rafaqat অ্যাপটি তাদের ইউজারদের সার্ভিস ভালো দিতে না পারায় ইউজাররা অনেক বেশি খারাপ রেটিং দিয়েছিলো। যার কারণে গুগল তাদের অ্যাপ স্টোর থেকে Rafaqat অ্যাপটি সরিয়ে ফেলে।
আজকের টিউনে আলোচনা করা প্রতিটি অ্যাপ তাদের নিজস্ব প্লাটফর্ম থেকে ব্যবহারকারীদের কোন না কোনো তথ্য চুরি করতো৷ যার সত্যতা নিশ্চিত করে গুগলের অ্যাপ স্টোর কমিউনিটি। আজকে যে ৫ টি অ্যাপ নিয়ে আলোচনা করলাম, আপনার গুরুত্বপূর্ণ ডেটাগুলো শুধুমাত্র এই অ্যাপগুলো দ্বারাই চুরি হতে পারে এমন নয়৷ বর্তমানে আপনার ডিভাইসে ইন্সটল থাকা অনেক অ্যাপ থেকেই আপনার ফোনের গুরুত্বপূর্ণ ডেটাগুলো চুরি হতে পারে। এসব সমস্যা থেকে মুক্ত থাকার জন্য কোনো থার্ড পার্টি অ্যাপ স্টোর অথবা ওয়েবসাইট থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করে ব্যবহার না করার পরামর্শ রইলো। এছাড়াও বর্তমানে অনলাইনে অনেক প্লাটফর্মে মুড অ্যাপ দেখতে পারবেন। এগুলো মূলত যেকোনো পেইড অ্যাপ ফ্রিতে ব্যবহার করতে দেয়। একবার ভাবুন তো কেনো আপনাকে কেউ ফ্রিতে এসব করে দেয়? হ্যাঁ, হয়ত এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন। মূলত এসব মুড অ্যাপগুলো অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ডেটা চুরি করতে সক্ষম। তাই আজকে থেকেও সতর্ক হয়ে যান।
তো বন্ধুরা এই ছিল আমাদের আজকের টিউন, ডেটা চুরির দায়ে/অপরাধে প্লেস্টোর থেকে রিমুভ করে দিয়েছে এমন ৫ টি ম্যাসেজিং অ্যাপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা। আশাকরি টিউন টি আপনাদের একটু হলেও হেল্পফুল হবে। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি, দেখা হবে পরবর্তী টিউনে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। ততক্ষণ অবধি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং টেকটিউনস এর সাথেই থাকবেন।
আমি স্বপন মিয়া। Sonic টিউনার, টেকটিউনস, গাইবান্ধা, রংপুর। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 1 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 107 টি টিউন ও 29 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 4 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
টেকনোলজি বিষয়ে জানতে শিখতে ও যেটুকু পারি তা অন্যর মাঝে তুলে ধরতে অনেক ভালো লাগে। এই ভালো লাগা থেকেই আমি নিয়মিত রাইটিং করি। আশা করি নতুন অনেক কিছুই জানতে ও শিখতে পারবেন।