তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে অনেক দামী একটা জিনিস হচ্ছে তথ্য। আর বর্তমানে সবকিছু ডিজিটাল হওয়াই আমাদের যাবতীয় সকল তথ্য যেমন: প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র, ব্যাংক একাউন্ট এর সকল তথ্য, আমাদের ব্যক্তিগত ছবি, কল রেকর্ডিং, ভিডিও ইত্যাদি সবকিছুই আমাদের ফোনে থাকে। ফোনে আমাদের সকল তথ্য রাখায় এটি আমাদের হাতের নাগালে থাকে তাই এটি যেমন খুবই সুবিধাজনক সেই সাথে এটির রয়েছে অনেক মারাত্মক ঝুঁকি। ভেবে দেখুন একবার যদি আপনার ফোন হ্যাক হয়ে যায় আর এই তথ্যগুলো আপনার কাছ থেকে অন্য কারো হাতে চলে যায় তাহলে আপনি কেমন সমস্যায় পড়বেন। আর এইসব কথা বিবেচনা করেই আজকে আমার এই টিউনটি নিয়ে হাজির হওয়া।
আজকের টিউনে আমি আপনাদের জানাবো যে কী কী সেই লক্ষণ যেগুলো আপনার ফোনে দেখলে বুঝতে পারবেন যে আপনার ফোনটি হ্যাক হয়েছে। এরই সাথে আমি একটি এমন উপায় আপনাদের সাথে শেয়ার করব যেটির মাধ্যমে আপনাদের ফোনে যদি কোন হ্যাকিং জনিত সমস্যা পেয়ে থাকেন তাহলে সেই উপায়টির মাধ্যমে আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোন থেকে সকল হ্যাকিং জনিত সমস্যা একবারেই দূর করতে পারবেন। আজকের টিউনে আমি যেই লক্ষণগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করব সেগুলো আমি অনেক রিসার্চ করার পর জেনেছি এবং আমার ব্যক্তিগত জীবনেও যে সকল ফোন আমি হ্যাক হতে দেখেছি বা যে সকল ফোন চেক করার পর আমি হ্যাকিং জনিত সমস্যা পেয়েছি সেই সকল ফোনেও এই লক্ষণ গুলো আমি দেখতে পেয়েছি। তো আজকে আমি অ্যান্ড্রয়েড ফোন হ্যাক হয়েছে কিনা তা বোঝার যে লক্ষণ গুলো আপনাদের জানাবো সেগুলোর মধ্যে যদি একটি লক্ষণও আপনার ফোনে দেখা যায় তাহলে অবশ্যই আপনার ফোনটি কোনো টেকনিশিয়ান দ্বারা চেক করে নিবেন। তো চলুন আর বেশি কথা না বাড়িয়ে জেনে নেওয়া যাক এন্ড্রয়েড ফোন হ্যাক হওয়ার লক্ষণ গুলো কি কি।
আপনার ফোন এবং ফোনের ব্যাটারি দুটিই যদি অনেক পুরনো না হয় তারপরেও দেখেন যে আপনার ফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ সাধারণের তুলনায় অনেক কমে গেছে তাহলে এক্ষুনি সাবধান হন। কারণ হয়তো আপনার ফোনে ব্যাকগ্রাউন্ডে কোন অ্যাপ সব সময় রান করতেছে আপনার অজান্তেই। আর এই ধরনের অ্যাপসের মূলত কাজ হয় আপনার ফোনের সকল ডাটা আপনার ফোন থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে অন্য কোন অনলাইন সার্ভারে ট্রান্সফার করা। আর এই সবকিছু করতে সেই অ্যাপসটির অনেক ব্যাটারি ব্যাকআপ প্রয়োজন হয় আর সেজন্যই আপনার ফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ কমে যায়। তাই, এমন সমস্যা দেখা দিলে অবহেলা না করে এক্ষুনি আপনার ফোনটি কোনো টেকনিশিয়ান কে দেখান।
যদি, কথা নেই, বার্তা নেই, কিছু করা নেই কিন্তু মাঝেমধ্যে হঠাৎ করেই আপনার ফোনটি অটো রেস্টার্ট নেই তাহলে সাবধান হয়ে যান। সবার আগে বলে রাখি কিছু অ্যান্ড্রয়েড ফোন রয়েছে যেগুলো ফোন তার পারফরম্যেন্স বৃদ্ধি করার জন্য হঠাৎ করেই রেস্টার্ট নেই। কিন্তু এটি খুবই কম হয়ে থাকে ধরুন মাসে একবার। কিন্তু আপনার ফোন যদি সপ্তাহে ২-৩ বার অটো রেস্টার্ট নাই তাহলে সতর্ক হয়ে যান কারণ এখানে হ্যাকিং জনিত কোন সমস্যা রয়েছে। আবার অটোমেটিক যদি আপনার ফোনে কোন অ্যাপ ওপেন হওয়া জনিত সমস্যা থাকে তাহলে এখানেও সতর্ক হোন কারণ এটিও আপনার ফোন হ্যাক হওয়ার একটি লক্ষণ।
হ্যাঁ ফোন হ্যাক হয়ে যাওয়ার এটিও একটি বড় কারণ। আপনি আপনার ফোন ব্যবহার করুন কিংবা না করুন হ্যাকার কিন্তু আপনার ফোন ব্যবহার করছে তাই ফোন ব্যবহার হলে ফোন তো গরম হবেই। আপনার ফোন আপনার অজান্তেই হ্যাকারের দ্বারা ব্যাকগ্রাউন্ডে কন্ট্রোল হচ্ছে যেমন: আপনার ফোন থেকে অনলাইনে ডাটা ট্রান্সফার হওয়া বা আপনার ফোনের ক্যামেরা বা মাইক্রোফোন ব্যবহার হওয়া, তাই ফোন ব্যবহার হওয়ার ফলে ফোনটি গরমও হচ্ছে। আপনার ফোন যদি অতিরিক্ত গরম জিনিস এর কাছে থাকে বা রোদে অনেকক্ষণ ধরে থাকে তাহলে সেটি গরম হয়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু এরকম কোন কারন ছাড়াই যদি আপনি ফোনটিকে কোনোভাবেই ব্যবহার না করেন তারপরেও সেটি গরম হয়ে যায় তাহলে এটি নিশ্চিত যে আপনার ফোনটি হ্যাক হয়েছে।
তবে লক্ষ্য রাখবেন আপনার ফোনটির কোন সমস্যা হওয়ার কারণে ও এটি হতে পারে যেমন ব্যাটারি গরম হয়ে যাওয়া বা ব্যাটারি খারাপ হওয়া।
মাঝেমধ্যে যখন আপনি আপনার ফোনে বেশি লোড দিয়ে ফেলেন তখন আপনার ফোন ল্যাগ করে তখন ফোনে একটু কম বেশি হয়ে টাচ খায় যার ফলে একটা জায়গাতে ক্লিক করলে অন্য জায়গাতে ক্লিক পড়ে যায় এইটা স্বাভাবিক। কিন্তু যদি কোন কারণ ছাড়াই বেশিরভাগ সময়েই আপনার ফোনটি আপনার কন্ট্রোল অনুযায়ী না চলে অটোমেটিক অন্য ফাংশনের কাজ করে যেমন: কোন অ্যাপস অটো ওপেন হওয়া, অটোমেটিক ভলিউম কম বেশি হওয়া ইত্যাদি তাহলে বুঝে নিতে হবে আপনার ফোনটি হ্যাক হয়েছে। তবে এটি আপনার ফোনের কোন সিস্টেম বা মেকানিজমেরও সমস্যা হতে পারে। তাই এমনটি হলে অবশ্যই আপনার ফোনটি কোন ভালো টেকনিশিয়ান কে দেখান।
হ্যাঁ আপনি জেনে অবাক হবেন যে ফোনে কথা বলার সময় যদি ওপার থেকে আওয়াজ আসতে সমস্যা হয় কথা যদি ক্লিয়ার না আসে বা ঝ্যান ঝ্যান শব্দ করে, আওয়াজ ধীরে আসে এরকম হলেও আপনার ফোনটি হ্যাক হয়ে থাকতে পারে। মাঝেমধ্যে নেটওয়ার্ক জনিত কারণে এরকম সমস্যা হয় এটি স্বাভাবিক। কিন্তু যদি দেখেন যে কোনো কারন ছাড়াই সব সময় আপনার ফোনে কথা বলার সময় এরকম সমস্যা হচ্ছে তাহলে এক্ষুনি ব্যবস্থা নিন। এখানে আপনার ফোনটি হ্যাকও হতে পারে আবার আপনার মাইক্রোফোনের ও কোন সমস্যা হতে পারে। তাই এমন হলে সিরিয়াস হন এবং কোনো ভালো টেকনিশিয়ান কে আপনার ফোনটি দেখান।
কারণ যদি আপনার ফোনটি হ্যাক হয় এবং হ্যাকার অন্য কোন জায়গা থেকে আপনার ফোনে আপনি কার সাথে কি কথা বলছেন সেটি সরাসরি শুনে তাহলে আপনার ফোনটি আপনার সেই কনভারসেশনটি হ্যাকারকে পাঠাবে এবং সেজন্য আপনার নেটওয়ার্ক স্লো হওয়ার কারণে এমন সমস্যা হয়।
আপনার ফোন হ্যাক হয়েছে কিনা তা বোঝার জন্য গুগল নিজে থেকেই একটি ব্যবস্থা করে দিয়েছে। আপনার ফোনে যদি এমন কোন অ্যাপস থাকে যা আপনার ফোনের জন্য ক্ষতিকর বা সেই অ্যাপসটি আপনার ফোনটিকে হ্যাক করতে পারে এমন অ্যাপ ডিটেক্ট করার জন্য গুগল নিজে থেকেই প্লে প্রটেক্ট স্ক্যান সিস্টেম তৈরি করেছে। তো চলুন আগে দেখে নেওয়া যাক সেটি কিভাবে করবেন।
প্রথমে গুগল প্লে স্টোর ওপেন করুন।
তারপরে আপনার প্রোফাইলে কিল্ক করুন।
তারপর প্লে প্রটেক্ট এ ক্লিক করুন।
তারপর স্ক্যান অপশনে ক্লিক করুন।
তারপরে স্ক্যান হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
তারপরে স্ক্যান শেষ হলে যদি কোন অ্যাপস এ সমস্যা থাকে তাহলে সেখানে দেখতে পাবেন। যদি কোন অ্যাপস দেখতে পান যে সেটিতে সমস্যা রয়েছে দেখাচ্ছে তাহলে এক্ষুনি সেই অ্যাপসটি আনইন্সটল করে দিন। আর কোন সমস্যা না থাকলেও সেখানে দেখতে পাবেন। যদি কোন সমস্যা না থাকে তাহলে লেখা থাকবে "নো হার্মফুল অ্যাপস ফাউন্ড"। বোঝার জন্য স্ক্রিনশটটি মিলান স্ক্রিনশটটিতে কোন সমস্যা নেই দেখানো হয়েছে।
এখানে কোন সমস্যা নেই বলতে বুঝানো হয় যে আপনার ফোনে এমন কোন অ্যাপস ইনস্টল করা নেই যেটিতে ভাইরাস বা ডাটা চুরি জনিত কোন সমস্যা আছে। তবে, এখানে সব ঠিক থাকলেও আপনার ফোনে হ্যাকিং জনিত সমস্যা থাকতে পারে তাই আপনার ফোন হ্যাক হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হতে আরো লক্ষণ গুলোও মিলাবেন।
যদি আপনি এমন কোন অ্যাপস ব্যবহার করেন যেটি কোন ভেরিফাইড কোম্পানির নয় তাহলে অবশ্যই সেই অ্যাপসটির পারমিশন চেক করে নিবেন। কারন আপনি সেই অ্যাপসটিকে যেই পারমিশন গুলো দিয়ে রাখবেন সেই অ্যাপসটি আপনার ফোনের সেই কাজগুলো করতে পারবে। ধরুন আপনি একটি অ্যাপসকে ক্যামেরা পারমিশন দিয়ে রেখেছেন তাহলে সেই অ্যাপসটি আপনার ফোনের ক্যামেরা এক্সেস করতে পারবে। তাই থার্ড পার্টি অ্যাপস ব্যবহার করার সময় পারমিশন খুব সতর্কভাবে চেক করে দিন। আর এমন অ্যাপস ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন যেই অ্যাপসটি এমন পারমিশন চায় যেটি তার প্রয়োজন নেই।
তো এই ছিল কিছু লক্ষণ যেই লক্ষণ গুলো দেখলে বুঝতে পারবেন যে আপনার ফোনটি হ্যাক হয়েছে। যদি এই লক্ষণ গুলোর মধ্যে কোনো একটি লক্ষণ ও আপনার ফোনে মিলে তাহলে অবশ্যই সেটিকে হেলা না করে কোন ভালো টেকনিশিয়ান কে দেখাবেন। তো চলুন এবার দেখে নেওয়া যাক যে, যদি আপনার ফোনটি হ্যাক হয়ে থাকে এবং আপনি একজন ফোনের এক্সপার্ট না হয়ে থাকেন তারপরেও কিভাবে সেই হ্যাকিং সমস্যাটি সমাধান করবেন।
যদি আপনার ফোনটি হ্যাক হয়ে থাকে আর আপনি তা সহজভাবে সমাধান করতে চান তাহলে আপনার জন্য রয়েছে ছোট্ট একটি উপায়। যেটি প্রয়োগ করলে আপনার ফোনে যত রকমের হ্যাকিং জনিত সমস্যা রয়েছে সবকিছু একবারে ঠিক হয়ে যাবে। তো আপনার ফোনটি হ্যাক থেকে ফেরাতে সহজ সমাধান হল ফোনটি "রিসেট" করুন। কারণ একটি ফোন যখন হ্যাক হয় তখন কোন ভাইরাস বা কোন থার্ড পার্টি অ্যাপস এর কারণেই হয়। কিন্তু আপনি হয়তো ঠিক বুঝতে পারছেন না যে কোন আ্যপস এর কারণে আপনার ফোনটি হ্যাক হয়ে রয়েছে।
কিন্তু যেহেতু আপনার ফোনটি হ্যাক হয়েছে এবং এটি একটি সিরিয়াস ব্যাপার তাই এর থেকে বের হতেই হবে। তাই আপনি যদি সঠিক কারণটি না বুঝতে পারেন তাহলে হ্যাকিং থেকে আপনার ফোনটিকে ফেরাতে ফোনটিকে রিসেট করে দিন। তাহলেই আপনার ফোনটি আবার সকল সমস্যা থেকে ফিরে আসবে। লক্ষ্য করুন: অনেকেই রিসেট এবং রিস্টার্ট এ গোলমাল করে ফেলেন। রিসেট বলতে সেটিকে বুঝায় যেটি করলে ফোনের সকল ডাটা ক্লিয়ার হয়ে যায় এবং ফোনটি নতুন অবস্থায় যেমন ছিল সেই অবস্থায় ফিরে আসে।
আর অবশ্যই ফোনটি রিসেট করার আগে আপনার ফোনে যত দরকারি ডাটা রয়েছে সবগুলো অন্য কোথাও ব্যাকআপ করে নিতে ভুলবেন না।
আমি মো মিনহাজ। শিক্ষার্থী, শের এ বাংলা সরকারি মহাবিদ্যালয়, রানীনগর, নওগাঁ, রাজশাহী। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 1 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 33 টি টিউন ও 23 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 6 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 3 টিউনারকে ফলো করি।
"Welcome to TechTunes! I'm Md Minhaj, your guide to the dynamic world of technology. As an avid tech enthusiast, I'm dedicated to uncovering the latest trends, innovations, and insights in the tech realm. Through my words on TechTuness, I aim to decode intricate tech jargon, provide thoughtful analysis, and offer...