বর্তমান জীবন ব্যবস্থায় কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট আমাদের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গিয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট এর উপস্থিতি প্রতীয়মান। আর কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট এর ফলে আমাদের জীবন ব্যবস্থার মান পুরোটাই পাল্টে গিয়েছে। কিন্তু কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট আমাদের জীবনে অনেক কিছু নিয়ে আসলেও তা অনেক সময় আমাদের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ইন্টারনেট মানুষের জীবনযাত্রার মানকে অনেক সহজ করলেও এটি অনেক মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করেও তুলতে পারে। আজকের এই টিউন এর শিরোনাম দেখে আপনি নিশ্চয়ই বুঝে গিয়েছেন যে, আজকের এই টিউনে কি সম্পর্ক আলোচনা করা হবে। হ্যাকিং কতটা ভয়াবহ হতে পারে, এই বিষয় নিয়েই আলোচনা করব আজকের এই টিউনটিতে। আশা করছি, টিউনটি শেষ পর্যন্ত অবশ্যই দেখবেন।
ইন্টারনেটের সাহায্যে কোন একটি কাজ করার ক্ষেত্রে একটি কম্পিউটারের সঙ্গে অন্য একটি কম্পিউটারের যোগাযোগ সবসময় স্বাভাবিকভাবে বৈধ উপায়ে হয়ে থাকে। একটি কম্পিউটার অন্য একটি সার্ভার কম্পিউটার এর কাছে কোন তথ্য প্রাপ্তির জন্য রিকোয়েস্ট পাঠায় এবং সেই সার্ভার কম্পিউটার টি সেই তথ্য দিয়ে থাকে। কিন্তু কোনভাবে যদি সেই সার্ভার কম্পিউটারে অবৈধভাবে প্রবেশ করে সেখান থেকে তথ্য হাতিয়ে নেওয়া যায়, তবে এদিকে আমরা স্বাভাবিক দৃষ্টিতে চুরি বলবো। আর ভার্চুয়াল জগতে এই বিষয়টিকে বলবে হ্যাকিং।
হ্যাকিং কি, এ বিষয়টি আমরা বর্তমানে সকলেই জানি। তাই হ্যাকিং কি, এটি নিয়ে আমাকে বিস্তারিত আলোচনা করতে হবে না। তবুও উপরে আমি আপনাকে হ্যাকিং সম্পর্কে কিছুটা বোঝানোর চেষ্টা করলাম এবং এই টিউন এর মাঝেও আপনি হ্যাকিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তবে চলুন এবার মুল আলোচনায় চলে যাওয়া যাক।
বর্তমান পৃথিবীর ৮০০ কোটি মানুষের মধ্যে প্রায় সাড়ে চারশো কোটির বেশি মানুষ ইন্টারনেটের সাহায্যে যুক্ত। প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নয়নের সাথে সাথে ঝুঁকিও বেড়েছে বহুগুণ। বিজ্ঞানী এবং হ্যাকাররা কম্পিউটার ভিত্তিক এমনসব পদ্ধতি আবিষ্কার করেছে, যার সাহায্যে পৃথিবীর এক প্রান্তে বসে অন্য প্রান্তের সহজেই বড়সড়ো হামলা চালানো সম্ভব। যা বর্তমানের যুদ্ধকৌশলের ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন।
সাইবার হামলার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ধরন হলো, হল, ফিশিং, বটনেট, ভাইরাস, স্পাইওয়্যার, ম্যালওয়্যার এবং রানসমওয়্যার ইত্যাদি। এসব পদ্ধতি ব্যবহার করে যেকোন সুরক্ষিত কম্পিউটার বা ডিজিটাল ডিভাইসকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এগুলোর মাধ্যমে কারো পাসওয়ার্ড হাতিয়ে নেওয়া থেকে শুরু করে ডিজিটালি সকল ধরনের ক্ষতি করা সম্ভব। এই অপরাধ শুধুমাত্র অন্যের কম্পিউটার এর দখল নেওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।
বরং, সাইবার হামলার মাধ্যমে বিশ্বের যে কোন শহর বা দেশ মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে অচল করে দেয়া সম্ভব। সাইবার হামলার মাধ্যমে পুরো দেশের স্বাভাবিক অবস্থাকে বেহাল করে দেবার মত ও ঘটনা রয়েছে। আধুনিক বিশ্ব-ব্যবস্থায় কোন শহরের টেলিযোগাযোগ, বিদ্যুৎ বিল, পানি সরবরাহ, ব্যাংক, গণমাধ্যম, গণ পরিবহন ব্যবস্থা সহ সকল কিছুই কোনো না কোনো ভাবে একে অপরের সাথে সংযুক্ত। মাত্র একটি ম্যালওয়্যার এর কারণে মুহূর্তেই পুরো ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে যেতে পারেন।
আজকাল কোনো বড় ধরনের হামলা চালানোর জন্য বোমা নিক্ষেপের দরকার পড়ে না। শুধুমাত্র কম্পিউটার প্রোগ্রামের সাহায্যেই যথেষ্ট ক্ষতি করা সম্ভব। তাহলে বোমা নিক্ষেপ না করে হ্যাকিং এর মাধ্যমে সেই দেশের ক্ষতি সাধন করার এই প্রক্রিয়াটিকে আপনি কি বলবেন? এ ক্ষেত্রে এটি কি বোমা নিক্ষেপের চাইতে মানুষের জন্য ভালো? এক্ষেত্রে এর উত্তরও হবে না।
কেননা হ্যাকিং শুধুমাত্র রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে থেকেই পরিচালনা করা হয় না। বরং কোনো একজন হ্যাকার নিজস্ব ভাবে ও কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সাইটে অবৈধভাবে প্রবেশ করে তাদের ক্ষতি করতে পারে। এক্ষেত্রে সেই হ্যাকার হয়ত নিজ দেশের কোন প্রতিষ্ঠানের সার্ভারে অবৈধভাবে ঢুকে পড়েছে। এক্ষেত্রে সে অন্য কোন দেশের ক্ষতি না করলেও নিজ দেশের কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ক্ষতি করছে। তাই বোমা নিক্ষেপ করার চাইতে হ্যাকিং করলে যে বেশি ভালো হবে ব্যাপারটি তা নয়।
বরং, হ্যাকিং সর্বদাই ক্ষতি করতেই থাকবে। এক্ষেত্রে সেটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে থেকে হোক কিংবা ব্যক্তি পর্যায়ে থেকে হোক।
বর্তমান বিশ্বে প্রতিনিয়ত এক দেশ আরেক দেশের বিরুদ্ধে গোপনে সাইবার যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। ইলেকট্রনিক বা সাইবার মাধ্যম ব্যবহার করে, কোন দেশকে আক্রমণ করাই মূলত সাইবার যুদ্ধ। সাইবার হামলা এক ধরনের অসম যুদ্ধ। এখানে একজন বুদ্ধিমান লোক অন্য দলের উপর আক্রমণ চালায়, কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষ সহজে টেরও পায় না। এ ধরনের হামলায় অতি অল্প সংখ্যক লোক অনেক বিশাল জনগোষ্ঠীর জীবনে বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। যা কোন দেশের সঙ্গে যুদ্ধ করার চাইতেও বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।
চীন, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, উত্তর কোরিয়া এবং পাকিস্তানের মতো দেশ সাইবার আক্রমণ পরিচালনায় যথেষ্ট পারদর্শী। ২০০০ থেকে ২০০৩ সালের মধ্যে আমেরিকার প্রতিরক্ষা অবকাঠামো নিয়মিত ভয়াবহ সাইবার আক্রমণের শিকার হয়েছে। এই অভিযানের নাম ছিল "Titan Rain"। আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান Nasa, পারমাণবিক নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান Sandia National Laboratories এবং প্রতিরক্ষা কোম্পানি Lockheed Martin এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলো এই হামলার শিকার হয়।
"টাইটান রেইন" হামলা চালানো হয়েছিল মূলত, আমেরিকার গোয়েন্দা ব্যবস্থার উপর নজরদারি করার উদ্দেশ্যে। এত সূক্ষ্ম এবং পরিকল্পিত হামলা কারা চালিয়েছে তা সহজে বোঝা যাচ্ছিল না। পরবর্তী তদন্তে বেরিয়ে আসে যে, চীনের সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় আমেরিকার স্পর্শকাতর কম্পিউটার নেটওয়ার্কে এসব হামলা চালানো হয়েছে। টাইটান রেইন প্রজেক্ট এর মাধ্যমে নাসার মঙ্গল গ্রহ অভিযান এর গোপন এবং অতি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং আমেরিকার এয়ারফোর্সের ফ্লাইট প্ল্যানিং সফটওয়্যার চীনের হ্যাকাররা চুরি করে। যা ছিল অত্যন্ত ভয়ানক একটি সাইবার হামলা।
সাইবার হামলার মাধ্যমে পুরো দেশ অচল করে দেয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। ২০০৭ সালে রাশিয়ান হ্যাকাররা এস্তোনিয়ার সরকারি ওয়েবসাইট, পার্লামেন্ট, মন্ত্রণালয়, সংবাদপত্র এবং টেলিভিশন সহ বহু গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সাইবার হামলা চালায়। এমনকি দেশটি ইন্টারনেট সংযোগ থেকেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সেই হামলায় এস্তোনিয়ার সকল এটিএম বুথ অচল হয়ে যায়। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত দেশের অর্থনীতি আংশিকভাবে বিপর্যস্ত হয়েছিল।
সরকারিভাবে রাশিয়ার খুবই কার্যকরী সাইবার যুদ্ধ চালানোর মতো সক্ষমতা আছে। এ ধরনের হামলার জন্য রাশিয়ায় বিশাল হ্যাকার গোষ্ঠী কে সরকারিভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়। শুধুমাত্র রাশিয়া ই নয়। বরং, পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় অথবা সরকারের সমর্থনে হ্যাকার গোষ্ঠী রয়েছে।
২০১০ সালে আরো ভয়াবহ সাইবার হামলার সাক্ষী হয়েছে বিশ্ব। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির বিরুদ্ধে এই হামলা চালানো হয়। ইরানের ক্ষেত্রেই এই হামলার নাম Stuxnet দেওয়া হয়। ইরানের পারমাণবিক প্লান্টের ক্ষতি করার জন্য ইসরাইল, আমেরিকা এবং পশ্চিম ইউরোপের কয়েকটি দেশ এই ম্যালওয়ার টি তৈরি করেছিল। এক্ষেত্রে তারা সফল হয়েছিল ইরানে কাঙ্ক্ষিত সেই সার্ভারে ম্যালওয়্যারটি প্রবেশ করিয়ে।
Stuxnet ভাইরাসটি ইরানের পারমাণবিক কারখানার অপারেটিং সিস্টেমে যাওয়ার সাথে সাথে কম্পিউটারে ভুয়া সতর্কবার্তা দেখাতে থাকে। এক্ষেত্রে কম্পিউটার অপারেটর দেখতে পায় যে, তাদের মেশিন খুব ধীরগতিতে চলছে। কিন্তু বাস্তবে মেশিন টি ঠিকই চলছিল। এখানে মূলত কম্পিউটারের ভেতরে থাকা ম্যালওয়্যারটির কারণে ভুল সংকেত দিচ্ছিল। অপারেটর মেশিনের গতি যতই বাড়াতে থাকে, কম্পিউটার ততই ভুয়া সতর্কবার্তা দেখিয়ে যায়।
এভাবে করে গতি বাড়ানোর একপর্যায়ে পারমাণবিক প্লান্ট এর গুরুত্বপূর্ণ অংশে মারাত্মক বিস্ফোরণ ঘটে। একটি ম্যালওয়্যার কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেমে প্রবেশ করে পুরো সিস্টেমটিকে নিয়ন্ত্রণ করার এই প্রক্রিয়াটি একবার কল্পনা করে দেখুন। এক্ষেত্রে ইরানের সেই পারমাণবিক প্লান্ট কে ধ্বংস করার জন্য আমেরিকা বা ইসরাইলকে সেই দেশে গিয়ে বোমা নিক্ষেপ করতে হয়নি। বরং, তারা এমন একটি ম্যালওয়্যার তাদের কম্পিউটারে প্রবেশ করিয়ে দিয়েছে যে, এতে করে তারা নিজেরাই ভুলে নিজেদের স্থাপনার ই ক্ষতি করেছে।
সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়াও এরকম আরো অসংখ্য সাইবার হামলার উদাহরণ রয়েছে। এই যেমন, সাইবার হামলা চালিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা ও সবার জানা। যেখানে বাংলাদেশের ব্যাংক থেকে ২০১৬ সালে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছিল। সেসব হ্যাকারেরা বাংলাদেশ ব্যাংকের কম্পিউটারে ঢুকে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করতে সক্ষম হয়। যদিও পরবর্তীতে সেই হ্যাকার গুলোকে খুঁজে বের করা সম্ভব হয়েছে।
আমাদের সমাজ প্রযুক্তির উপর যতটা নির্ভরশীল হচ্ছে, সম্ভাব্য সাইবার আক্রমণের ঝুঁকি ততটাই বাড়ছে। কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট মাধ্যম ব্যবহার করে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অনলাইন বা অফলাইনে সম্পদের ক্ষতি সাধন করাই হচ্ছে সাইবার হামলা। কারো ব্যক্তিগত ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক করা থেকে শুরু করে, সরকারি ওয়েবসাইট বা ডিজিটাল অবকাঠামোতে আক্রমণ করা, সবই সাইবার হামলার অন্তর্গত। বলা চলে যে, অনলাইন প্লাটফর্মের কোন জায়গায় সার্ভারে অবৈধভাবে প্রবেশ করাই হ্যাকিং। এক্ষেত্রে সেই হ্যাকার সার্ভার কম্পিউটার থেকে কোনো তথ্য না নিলেও এটি হ্যাকিং।
একটি সফল সাইবার হামলা, যেকোনো বৃহৎ সেনাবাহিনীর থেকেও বেশি ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে সক্ষম। তাই পরাশক্তির দেশগুলো তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় উন্নত মারণাস্ত্র যুক্ত করার পাশাপাশি শক্তিশালী সাইবার হামলা চালানোর প্রস্তুতিও গ্রহণ করছে। পূর্বে যেমন মানুষ তীর-ধনুক দিয়ে যুদ্ধ করত, বর্তমানে কিন্তু তেমনটি করে না। তীর-ধনুক দিয়ে যুদ্ধ করার প্রক্রিয়াটি আমরা শুধুমাত্র বর্তমানে সিনেমাতেই দেখতে পারি। সেসময়ের সম্মুখযুদ্ধে হাজার হাজার যোদ্ধা নিহত হতো।
কিন্তু বর্তমানে কি আর এরকম সম্মুখ যুদ্ধ হয়? এর উত্তর হবে না। বর্তমানে কোন দেশের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হলে, সেই দেশে সেনাবাহিনীকে যেতেও হয় না। নিজ দেশ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোনের মাধ্যমে প্রতিপক্ষের দেশকে হামলা করা যায়। বর্তমানে যুদ্ধ করার এই প্রযুক্তিটি আমাদের কাছে একটি স্বাভাবিক ব্যাপারের মত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এসব ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রন দিয়ে হামলা করার পাশাপাশি আরো ভিন্ন ভাবে যদি হামলা করা যায়, তবে ব্যাপারটি কেমন হয়?
যদি কোন দেশে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত না করেই সেই দেশের বিপুল পরিমাণ সম্পদের ক্ষতি করা যায়? এক্ষেত্রে সেই যুদ্ধ হবে কম ব্যয়বহুল এবং প্রতিপক্ষের দেশের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর। আর এক্ষেত্রে যদি ইন্টারনেটের সাহায্যে হ্যাকিং কে বেছে নেওয়া যায়, তবেই এই ব্যাপারটি নিয়ে কাজ করা যায়। এ ক্ষেত্রে শুধুমাত্র দরকার বুদ্ধির জোর। নিজ দেশে থেকে প্রতিপক্ষের দেশের গুরুত্বপূর্ণ কম্পিউটারে হামলা চালিয়ে সেই দেশের বিপুল পরিমাণ সম্পদের ক্ষতি করা সম্ভব শুধুমাত্র হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের আশঙ্কা যে, ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ সাইবার হামলা প্রত্যক্ষ করবে বিশ্ববাসী।
ইন্টারনেট মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে অনেকটা পাল্টিয়ে দিলেও, এটি মানুষের জন্য অনেক ক্ষতির ও কারণ হয়েছে। এখানে এই ক্ষতির পরিমাণ কখনো দাঁড়িয়েছে অনেক বিশাল অংকের। হ্যাকিং এর ফলে কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোন দেশের কি রকম অবস্থা হতে পারে তা আপনারা হয়তোবা উপরের আলোচনা থেকেই বুঝতে পারলেন। হ্যাকিং এর ফলে কোন দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা একেবারেই ভেঙ্গে পড়তে পারে আবার কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নিঃস্ব ও হয়ে যেতে পারে।
আমাদের কাছে হ্যাকিং কোনোভাবেই কাম্য নয়। বাস্তব জীবনে চুরির মতই অনলাইন দুনিয়ায় ডিজিটাল চুরি হ্যাকিং। তবে বাস্তব দুনিয়ায় চুরি করলে তাকে ধরতে না পারলেও ভার্চুয়াল জগতে তাকে অবশ্যই ধরা পাওয়া সম্ভব। আপনি নিশ্চয় ডিজিটাল ফুট-প্রিন্ট বলে একটি কথা শুনেছেন। ডিজিটাল ফুট-প্রিন্ট দেখে তদন্ত সংস্থা হ্যাকারকে কোন এক সময় ধরে ফেলবেই।
যাই হোক, আজকের টিউনটি এ পর্যন্ত বলেই শেষ করছি। আসসালামু আলাইকুম।
আমি মো আতিকুর ইসলাম। কন্টেন্ট রাইটার, টেল টেক আইটি, গাইবান্ধা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 421 টি টিউন ও 93 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 62 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 3 টিউনারকে ফলো করি।
“আল্লাহর ভয়ে তুমি যা কিছু ছেড়ে দিবে, আল্লাহ্ তোমাকে তার চেয়ে উত্তম কিছু অবশ্যই দান করবেন।” —হযরত মোহাম্মদ (সঃ)