কোরবানির ঈদের সময়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনের নাম ফ্রিজ, যা আমাদের জীবন যাত্রাকে করেছে সহজ। প্রায় সবার খাবার ঘরেই এর অস্তিত্ব বিদ্যমান। কারণ এটি আমাদের খরচ, সময়, খাবার অপচয় ইত্যাদি রোধ করতে সাহায্য করে। ঘরে ফ্রিজ থাকলে বারবার বাজারে যাওয়ার তাড়া থাকে না।
কিন্তু যেহেতু এই হোম এপ্লায়েন্স-টি বারবার কেনা হয়না এবং যথেষ্ট ব্যায়বহুল তাই আমাদের একটু বিচারবিবেচনা করে ব্যায় করা উচিৎ। সামনে কোরবানির ঈদ এ সময়ে কোম্পানি গুলো অনেক রকম অফার নিয়ে আসে তাই এতো কোম্পানির ভিড়ে আপনার জন্য কোনটা দরকার তা জানতে হবে।
ফ্রিজ এর সেরা মানের মধ্যে রয়েছে>
√LG REFRIGERATOR
√ Whirlpool REFRIGERATOR
√Samsung REFRIGERATOR
√ Singer REFRIGERATOR
√Walton REFRIGERATOR
√Vision REFRIGERATOR
√KONKA REFRIGERATOR
√HAIER REFRIGERATOR
√HITACHI REFRIGERATOR
√RANGS REFRIGERATOR
√SHARP REFRIGERATOR
উপরের সব কটি ফ্রিজ ই ব্র্যান্ড এর দিক হতে একটি আরেকটি হতে অতুলনীয় তারপরও যে বিষয়গুলো নজর রাখতে হবে>>
= বিদ্যুত সাশ্রয়ী কিনা
ফ্রিজ কেনার আগে খেয়াল করুন সেটি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী কি না। এ ধরনের ফ্রিজ প্রতি মাসের বৈদ্যুতিক বিলের পরিমাণ কমিয়ে দেবে অনেকটাই। সেইসঙ্গে এগুলো পরিবেশবান্ধবও। ফ্রিজের কোয়ালিটির ওপর নির্ভর করে সেটি বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে পারবে কি না। তাহলে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ফ্রিজ কীভাবে চিনবেন? যদি ফ্রিজের গায়ে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় তারকা চিহ্ন দেওয়া থাকে তবে বুঝবেন সেটি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। এ ধরনের ফ্রিজের দাম তুলনামূলক কিছুটা বেশি হবে। তবে এটি পরবর্তীতে অতিরিক্ত বিল থেকে আপনাকে বাঁচিয়ে দেবে।
=কম্প্রেসারের মান
ফ্রিজ কেনার আগে অবশ্যই এর কম্প্রেসারের মান সম্পর্কে জেনে নিন। কারণ কম্প্রেসারের মান উন্নত হলে এটি বেশি ভালো কুলিং করতে পারবে। ভোল্টেজের ওঠানামা হলেও ফ্রিজের কম্প্রেসার যদি ভালো হয় তবে কুলিং ঠিকভাবেই হয়। তাই কুলিং সিস্টেম ঠিক রাখতে ফ্রিজের কম্প্রেসারের মান যাচাই করে নিন।
= ফ্রিজের আকার
ফ্রিজ কত বড় কিনবেন তা নির্ভর করছে আপনার চাহিদার ওপর। যদি দরকার না থাকে তবে খুব বেশি বড় ফ্রিজ না কেনাই ভালো। কারণ ফ্রিজ বড় হলে তাতে বিদ্যুৎ খরচও বেশি হয়ে থাকে। তাই ফ্রিজ কেনার সময় এর আকৃতির দিকে নজর দিন। দেখতে সুন্দর লাগছে বলেই প্রয়োজন ছাড়া বড় ফ্রিজ কিনে ফেলবেন না যেন। বিদ্যুত খরচ টা এখানে বড়ো একটা ফ্যাক্টর মনে রাখবেন
=ফ্রস্ট-নন ফ্রস্ট
ফ্রিজ কেনার আগে এই বিষয়েও খেয়াল রাখতে হবে। এই দুই ধরনের ফ্রিজের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। ফ্রস্ট ফ্রিজে বরফ জমে এবং নন ফ্রস্ট ফ্রিজে বরফ জমে না। নন ফ্রস্ট ফ্রিজে খাবার সতেজতা নষ্ট হয় না। তবে এ ধরনের ফ্রিজ তুলনামূলক বেশি। পাশাপাশি এতে বিদ্যুৎ খরচও বেশি হয়। এর তুলনায় ফ্রস্ট ফ্রিজের দাম কম হয়ে থাকে। এতে বিদ্যুৎ খরচও কম হয়। যেসব স্থানে লোডশেডিং বেশি থাকে সেখানে ফ্রস্ট ফ্রিজ বেশি উপযোগী। বরফ জমার কারণে এ ধরনের ফ্রিজ বেশি সময় খাবার ভালো রাখে।
=ধারণক্ষমতা সম্পর্কে জেনে নিন
ফ্রিজের আকার আর ধারণক্ষমতা কিন্তু এক নয়। ফ্রিজ বড় হলেই যে তাতে বেশি খাবার রাখা যাবে এমন কোনো কথা নেই। আগে ফ্রিজের ধারণক্ষমতা বর্গফুটে পরিমাপ করা হতো, তবে এখন তা লিটারে পরিমাপ করা হয়। তাই ফ্রিজের ধারণক্ষমতা কত লিটার তা জেনে নিন।
আমি আবির হোসাইন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 2 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 1 টি টিউন ও 1 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।