হাতে টাইপ করার দিন শেষ। মুখে বলেই টাইপিং করুন মাত্র ৫ মিনিট। এখন টাইপিং হবে ঝড়ের গতিতে।
তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে টাইপিং করার প্রয়োজন পড়ে না। বাংলা অথবা ইংলিশ আপনি সর্বোচ্চ গতিতে টাইপিং করতে পারবেন কোন প্রকার হাত অথবা কিবোর্ড ব্যবহার না করেই। হ্যাঁ, আজকের এই কন্টেন্টিতে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি কি-বোর্ড ব্যবহার অথবা হাত ব্যবহার করা ছাড়াই আপনি সর্বোচ্চ গতিসম্পন্ন টাইপ করতে পারেন পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তের যেকোনো ভাষায়। আপনাকে একটি কাজ করতে হবে সেটা হল কন্টেন্টি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলুন শুরু করা যাক।
১. আপনাদেরকে সরাসরি চলে যেতে হবে আপনার কম্পিউটারের গুগল ক্রোম ব্রাউজারে। google chrome ব্রাউজার এ আপনার ইমেইল লগইন করে নিতে হবে। মোবাইলে আসার পর উপরে দেখতে পারবেন কতগুলো অপশন আছে। জিমেইল ইমেজ আপনার প্রোফাইল এবং একটি চারকোনা বক্স আকারের অপশন। সেই অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে। অপশনটিতে ক্লিক করার পরেই দেখতে পারবেন গুগল ডক্স নামের একটি অ্যাপ আছে। অথবা আপনি গুগলের সরাসরি গিয়ে সার্চ বারে লিখেন গুগল ডক্স। তাহলে আপনার সামনে এই ওয়েবসাইটটি চলে আসবে। আপনি দুই ভাবে প্রবেশ করতে পারবেন।
২. আপনার ব্রাউজার আগে থেকে সাইন ইন করা থাকলে অটোমেটিক প্রবেশ করতে পারবেন। সাইন ইন না করা থাকলে আপনাকে অবশ্যই আপনার জিমেইল এড্রেস দিয়ে সাইন ইন করে নিতে হবে। সাইন ইন করার পর ব্ল্যাংক নামে একটি অপশন থাকবে সেই অপশনে ক্লিক করতে হবে।
৩. ক্লিক করার পর আপনাদের সামনে একটি সাদা পৃষ্ঠায় চলে আসবে। এখানে আপনাকে টাইপ করতে হবে। টাইপ করার আগে আপনাকে অবশ্যই কম্পিউটারের সাথে একটি মাইক্রোফোন সংযোগ করতে হবে। মাইক্রোফোনের কোড সাধারণত কম্পিউটারের পেছনে অথবা সামনে থাকতে পারে। মাইক্রোফোন কে কানেক্ট করা হয়ে গেলে সরাসরি আপনাকে চলে যেতে হবে টুলস নামের অপশনটিতে। টুলস অপশনটিতে ক্লিক করলেই দেখতে পারবেন voice typing নামের একটি অপশন আছে। সেটিতে ক্লিক করবে। আপনি চাইলে কিবোর্ড থেকে Ctrl + Shift + S চাপ দেন তাহলে আপনার সামনে অপশনটি চলে আসবে। আপনি যেকোনো একভাবেই অপশনটিতে প্রবেশ করতে পারবেন।
৪. তো ভয়েস টাইপিং এ ক্লিক করার পর আপনার সামনে একটি ভয়েজ ইমেজ চলে আসবে। সেখান থেকে আপনি যে ভাষায় টাইপিং করতে চাচ্ছেন সেই ভাষাটি সিলেক্ট করতে হবে। আপনি যদি বাংলায় টাইপিং করতে চান তাহলে বাংলা সিলেক্ট করবেন এবং আপনি যদি ইংলিশ টাইপিং করতে চান তাহলে ইংলিশ সিলেক্ট করবেন। সিলেক্ট করার পর ক্লিক করবেন। তবে মনে রাখবেন ভয়েস দেওয়ার আগে অবশ্যই আপনাকে সে অপশনটিতে ক্লিক করে নিতে হবে। ক্লিক করার পর বয়েস রেকর্ড করার জন্য সেটি অন হয়ে যাবে। এবং আপনি যা লিখতে চান তা মুখে বললেই ভয়েসটি রেকর্ড হয়ে যাব। সে অনুযায়ী স্ক্রিনে লেখা উঠবে। আপনি যেটাই বলবেন সেটাই অটোমেটিক লেখা উঠে যাবে। লেখা শেষ হয়ে গেলে অপশনটিতে ক্লিক করে অপশনটি অফ করে দিতে হবে। তবে মনে রাখতে হবে একসাথে অনেক বেশি ভয়েস বলা যাবে না। আপনাকে আস্তে আস্তে অল্প অল্প ভয়েস প্রদান করতে হবে। এভাবে আপনি আসলে টাইপ করতে পারবেন। আপনি যদি ফন্ট বড় অথবা ছোট করতে চান তাহলে ফোন দিয়ে ক্লিক করে বড় অথবা ছোট করতে পারবেন। এরপর ভয়েস প্রদান করলেই আপনার নির্ধারিত ফ্রন্ট সাইড অনুযায়ী ভয়েসটি লেখা হয়ে যাবে।
এছাড়া আপনি যদি বাংলায় বলে ইংলিশ টাইপ করতে চান। অর্থাৎ আপনি বাংলাতে কথা বললে ইংরেজিতে সেটি টাইপ হয়ে যাবে এটাও সম্ভব। আপনি ইংলিশ সিলেক্ট করে তারপর বাংলায় ভয়েস প্রদান করবেন। আপনার ভয়েসটি অটোমেটিক ইংলিশে লেখা হয়ে যাবে। উদাহরণ-সরূপ: আমি বাংলাদেশে বাস করি। এই কথাটি যদি আপনি বলেন তাহলে লিখা উঠবে I live in Bangladesh. যেকোনো ভাষায় ট্রান্সলেট করতে পারবেন। তবে এর জন্য অবশ্যই আপনাকে ভাষা সিলেক্ট করতে হবে। ভাষা সিলেক্ট না করে ভয়েস প্রদান করলে তা হবে না।
৫. লেখা কমপ্লিট হয়ে গেলে ডাউন-লোড করার জন্য আপনাকে ফাইল অপশনে গিয়ে ডাউন-লোড নামের যে অপশনটি আসবে সেখানে ক্লিক করতে হবে। ক্লিক করে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ডক্স এটাতে ক্লিক করতে হবে। এতে ক্লিক করলে অটোমেটিক ডাউন-লোড হয়ে যাবে।
তো এভাবে সাধারণত যে কোন পড়া দেখে দেখে বলে টাইপিং করা সম্ভব। আশাকরি বুঝতে পেরেছেন।
আমি আয়শা আক্তার দিপা। প্রথম বর্ষ, সরকারি বাঙলা কলেজ, ঢাকা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 1 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 11 টি টিউন ও 6 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।