আমাদের মডার্ন লাইফে, কম্পিউটার এমন একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইজ যেটা ছাড়া মডার্ন টেক কল্পনা করারও ক্ষমতা নেই। সত্যি বলতে আজ এরকম কাউকে খুঁজে পাওয়া একেবারেই মুশকিল নয়, যার প্রতিনিয়ত ১০ ঘন্টারও বেশি সময় কম্পিউটারের সাথে কাটে। কিন্তু হঠাৎ করে আপনার কম্পিউটারে কোন গণ্ডগোল দেখা দিলে কি ঘটবে? —অবশ্যই সেটা কোন দুঃস্বপ্নের চেয়ে কম কোন ব্যাপার হবে না। আগের দিনে কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেলে বা কাজ না করলে লোকাল সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে যাওয়া আবশ্যক ছিল। কিন্তু বর্তমানে থ্যাংকস টু ইন্টারনেট—আপনার ঘরে বসেই কম্পিউটারের যেকোনো সমস্যার সমাধান রিমোট ভাবে করা সম্ভব। কম্পিউটারের সমস্যা সমাধান করাতে কার পেছনে ফিজিক্যালি মেশিনটা হাতে নিয়ে ছুটে বেড়বেন? এর চেয়ে এটাই বেস্ট নয় কি, কোন এক্সপার্ট দূর থেকে আপনার কম্পিউটার নিয়ন্ত্রন করে আপনার সকল সমস্যা গুলো হাল করে দিল! অথবা, আপনারই প্রিয়জনের কম্পিউটারের সমস্যা হয়েছে, আপনি কিভাবে রিমোটলি সেটাকে ফিক্স করে দেবেন? এই টিউনে আমি ১০টি কম্পিউটার রিমোট অ্যাক্সেস টুল নিয়ে আলোচনা করবো, যেগুলো আপনার অনলাইন টেক সাপোর্টকে করবে আরো সহজ। তো শুরু করা যাক…
যদি আপনি একজন গীক হয়ে থাকেন, তো রিমোট অ্যাক্সেস সফটওয়্যার কি—সেটার সূচনা আপনাকে দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। কিন্তু আপনি যদি না জানেন, রিমোট অ্যাক্সেস সফটওয়্যার কি—এটি এমন ধরনের একটি সফটওয়্যার যেটি এক কম্পিউটার হতে আরেক কম্পিউটার নিয়ন্ত্রন করার ক্ষমতা প্রদান করে। নিয়ন্ত্রন বলতে কি—আপনি কোন কম্পিউটারের সাথে কানেক্টেড হয়ে সেটা নিজের কম্পিউটারের মতো ব্যবহার করতে পারবেন, মানে মাউস, কীবোর্ড সহ যা ইচ্ছা তা করতে পারবেন, মনে হবে আপনি ঐ কম্পিউটারটির সামনে বসে রয়েছেন।
প্রথমে আপনার কম্পিউটারে একটি সফটওয়্যার ইন্সটল করতে হবে আর যার কম্পিউটারটি আপনি নিয়ন্ত্রন করতে চান, সেখানেও একই সফটওয়্যারটি ইন্সটল থাকতে হবে। এখানে আপনার কম্পিউটারটিকে "ক্লায়েন্ট" বলা হবে এবং যার সাথে কানেক্ট হবেন, সেই কম্পিউটারটিকে "হোস্ট" বলা হবে। এবার প্রয়োজনীয় হবে সঠিক ক্রেডেনশিয়াল (ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড)—তারপরে হোস্ট থেকে ক্লায়েন্ট কানেক্ট করা সম্ভব হবে এবং রিমোট অ্যাক্সেস পাওয়া যাবে।
অনলাইন সার্চ করলে আপনি অগুনতি এরকম সফটওয়্যার লিস্ট পেয়ে যাবেন। কিন্তু এখানে আমি আপনাকে বেস্ট কিছু সফটওয়্যার প্রদান করতে চলেছি, যাতে আপনার চাহিদা অনুসারে সেগুলো আপনার সঠিক কাজে লাগতে পারে এবং আপনার মূল্যবান সময় বেঁচে যায়। তবে এখানে একটি কথা বলে রাখছি, আপনার উইন্ডোজ কম্পিউটারেই কিন্তু একটি বিল্ডইন রিমোট অ্যাক্সেস টুল থাকে, যদিও আমি এই লিস্টে একে যোগ করবো না, কিন্তু আপনি চাইলে সেটাও ট্রায় করে দেখতে পারেন।
আমি জানি, যারা এখনো রিমোট অ্যাক্সেস শব্দের অর্থ বোঝেনি, টিম ভিউয়ার নামটি শোনার সাথে সাথেই সম্পূর্ণ বিষয়টি পানির মতো পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। হ্যাঁ, এটি নিঃসন্দেহে ব্যাপক জনপ্রিয় একটি রিমোট অ্যাক্সেস টুল। শুধু এটা আমার নয়, অনেক টেক গীকের প্রথম পছন্দের একটি টুল। এর সবচাইতে বড় সুবিধাটি হচ্ছে, এর ঝামেলা বিহীন এবং পানির মতো সহজ ব্যবহার। এই সফটওয়্যারটি লাইটওয়েট এবং ইন্সটল করার সময় কোন অ্যাডমিনিস্ট্রেটর পারমিশন প্রয়োজনীয় হয় না। সাথে আপনাকে কোন আলাদা কনফিগারও ঠিক করার প্রয়োজন পড়বে না। সফটওয়্যারটি ইন্সটল করে ওপেন করার সাথে সাথেই সেশন আইডি এবং পাসওয়ার্ড প্রদান করবে, আর এই আইডি এবং পাসওয়ার্ড ক্লায়েন্ট কম্পিউটারে প্রবেশ করানোর সাথে সাথেই হোস্ট কম্পিউটার কানেক্টেড হয়ে যাবে।
আপনার কম্পিউটার কোন এক্সপার্ট দ্বারা ফিক্স করাতে চান কিন্তু সে আপনার কাছে নেই, এই অবস্থায় এই টুলটি সবচাইতে বেস্ট বলে প্রমানিত হতে পারে। এর আরেকটি মজার ব্যাপার হচ্ছে, সফটওয়্যারটি ক্রস প্ল্যাটফর্ম সমর্থন করে। অর্থাৎ, আপনি ম্যাক কম্পিউটারে রয়েছেন, আপনি চাইলে এর মাধ্যমে আপনার বন্ধুর উইন্ডোজ কম্পিউটার কানেক্ট করে সেটা ফিক্স করতে পারবেন। তাছাড়া আপনি চাইলে, ফোন থেকেও যেকোনো কম্পিউটার কন্ট্রোল করতে পারবেন। হ্যাঁ, এটি অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস দুই মেজর মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমেই সমর্থিত।
এই লিস্টের যেকোনো সফটওয়্যার টুলকে ট্রায় করার আগে, আমি আপনাকে প্রথমে টিম ভিউয়ার ব্যবহার করার পরামর্শ প্রদান করি। এটি যেকোনো ভার্সন উইন্ডোজ—উইন্ডোজ ১০, ৮.১, ৮, ৭, এক্সপি, উইন্ডোজ সার্ভার ২০১৬, ২০১২, ২০০৮, ২০০৩, অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস, ম্যাক, লিনাক্স, ক্রোম ওএস — সবকিছুতেই সমর্থন করবে।
এমনটা হয়তো হতেই পারে না, আপনি গুগল ক্রোম ব্রাউজার ব্যবহার করেন না! তবে, আপনি কি জানেন? ক্রোম ব্যবহার করেই আপনি যে কারো কম্পিউটার রিমোট অ্যাক্সেস করতে পারবেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই দুই কম্পিউটারেই ক্রোম ইন্সটল থাকতে হবে এবং ক্রোম রিমোট ডেস্কটপ নামক একটি এক্সটেনশন আপনাকে ক্রোম ওয়েব স্টোর থেকে ডাউনলোড করতে হবে।
হোস্ট কম্পিউটার থেকে এক্সটেনশনটির শেয়ার বাটনে ক্লিক করলে একটি অ্যাক্সেস কোড পাওয়া যাবে, যেটা ক্লায়েন্ট কম্পিউটারের এক্সটেনশনে প্রবেশ করাতে হবে। ক্লায়েন্ট কম্পিউটার থেকে অ্যাক্সেস বাটন ক্লিক করলে, অ্যাক্সেস কোড প্রবেশ করানোর অপশনটি চলে আসবে। আর তারপরেই আপনি জাস্ট কানেক্ট হয়ে যাবেন। আর কোনই ঝামেলার ব্যাপার নেই এতে, শুধু ক্রোম ব্রাউজারটিই থাকা আসল ব্যাপার। যেহেতু এই এক্সটেনশনটি গুগল ক্রোম ব্রাউজারের উপর কাজ করে, তাই ক্রোম যে কম্পিউটারে ইন্সটল করা সম্ভব হবে, সকল কম্পিউটারে এই পদ্ধতি ব্যবহার করে রিমোট অ্যাক্সেস নেওয়া সম্ভব হবে। উইন্ডোজ, ম্যাক, লিনাক্স এবং অবশ্যই ক্রোমবুকেও আপনি এই টুল ব্যবহার করতে পারবেন।
এটি কিন্তু টিম ভিউয়ার বা লিস্টে থাকা বাকি টুল গুলোর মতো পাওয়ারফুল নয়, একেবারেই সিম্পল ইউজ লাইক ফাইল কপি/পেস্ট করার জন্য এটিকে ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়া, চ্যাট, ভিওআইপি কল ইত্যাদি ফিচার গুলো এখানে পাবেন না।
যদি গুগল ক্রোম ব্রাউজার এতো জনপ্রিয় না হতো আর এর ক্রোম রিমোট ডেস্কটপ এক্সটেনশন ব্যবহার করা এতো সহজ হতো, আমি অবশ্যই লগমিইন রেসকিউ সফটওয়্যারটিকে এখানে দ্বিতীয় স্থানে রাখতাম। অনেক পার্সোনালি অনেক টেক সাপোর্ট টিমকে এই টুলটি ব্যবহার করতে দেখেছি। যদিও এই টুলটি ফ্রী নয়, কিন্তু এতে এমন কিছু অসাধারণ ফিচার রয়েছে, যেগুলো আলাদা রিমোট অ্যাক্সেস টুল থেকে আপনি পাবেন না। এই সফটওয়্যারটির সবচাইতে ভালো কথা হচ্ছে, এটি শুধু হোস্ট কম্পিউটারে ইন্সটল করতে হয়। ক্লায়েন্ট কম্পিউটারে কোন সফটওয়্যার ইন্সটল করার দরকারই নেই। আপনার শুধু প্রয়োজন পড়বে একটি ৬ ডিজিটের কোড, যেটা কেবল আপনার ওয়েব ব্রাউজারে প্রবেশ করেই আপনি কম্পিউটারের রিমোট অ্যাক্সেস আপনার টেকনিশিয়ানকে প্রদান করতে পারবেন।
এটি লিনাক্স ব্যাতিত ম্যাক, উইন্ডোজ এবং মোবাইলেও সমর্থন করে। আর এর কিছু স্পেশাল ফিচার গুলো হচ্ছে, সেশন রেকর্ডিং, চ্যাট, অডিও ভিডিও কল ইত্যাদি।
অ্যামি অ্যাডমিন একটি পোর্টেবল রিমোট অ্যাক্সেস টুল, যেটা সেটাপ করা পানির চেয়েও সহজ ব্যাপার। এর ইন্সটল ফাইল ১ মেগাবাইটেরও কম সাইজের, আর একে ইন্সটল করতেও হবে না, কেনোনা এটি পোর্টেবল সফটওয়্যার, জাস্ট ক্লিক করলেই ওপেন হয়ে যাবে। সফটওয়্যারটি অ্যামি নামে একটি মেন্যু আছে, যেখানে ক্লিক করে আপনি সার্ভিস পছন্দ করতে পারবেন এবং অ্যামি অ্যাডমিন সার্ভিস ইন্সটল করতে হবে যাতে প্রোগ্রামটি ম্যানুয়ালি রান না করিয়েই পিসি অ্যাক্সেস করা যায়। অথবা আপনি প্রোগ্রামটি থেকে আইডি নাম্বারটি লিখে রাখতে পারেন, যাতে ক্লায়েন্ট সহজেই কানেক্ট হতে পারে।
ক্লায়েন্ট কম্পিউটার হোস্ট অ্যামি কম্পিউটারের সাথে কানেক্ট হওয়ার জন্য পোর্টেবল সফটওয়্যারটি রান করাতে হবে এবং আলাদা কম্পিউটারটির আইডি প্রবেশ করাতে হবে। তারপরে বুম করে আপনি কানেক্ট হয়ে যাবেন। এই সফটওয়্যারটির মাধ্যমে রিমোট অ্যাক্সেস পাওয়ার পাশাপাশি ভয়েস চ্যাট, ফাইল ট্র্যান্সফার ইত্যাদি সুবিধা গুলো পাবেন। বর্তমানে অ্যামি শুধু উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমেই কাজ করে, আর হ্যাঁ, এটি সম্পূর্ণই ফ্রী প্রোগ্রাম, তাই চিন্তার কোন কারণই নেই।
আলট্রা ভিএনসি কোন রিমোট অ্যাক্সেস ইউটিলিটির মতো কাজ করে, এতেও দুই কম্পিউটারেই টুলটি ইন্সটল থাকতে হয় আর ক্লায়েন্ট কম্পিউটার থেকে সার্ভার কম্পিউটার ম্যানেজ করার জন্য একে ব্যবহার করা হয়। এখানে যে পিসিতে আপনি কানেক্ট করতে চান তাকে সার্ভার হিসেবে সফটওয়্যারটি ইন্সটল করতে হবে। আপনি আলট্রা ভিএনসি সার্ভারকে সিস্টেম সার্ভিসে এড করে নিতে পারেন, এতে সফটওয়্যারটির কাজ কর্ম সর্বদা চালু থাকবে এবং আপনি যখন ইচ্ছা তখন একে কানেক্ট করতে পারবেন।
এবার সার্ভারকে কানেক্ট করার জন্য অবশ্যই সফটওয়্যারটি ইন্সটল করার সময় সেটিকে ভিউয়ার অপশন সিলেক্ট করে সেটআপ করতে হবে। এরপার আপনার রাউটারের পোর্ট ফরওয়ার্ড করার পরে আপনি ইন্টারনেট কানেকশন থেকে আপনার সার্ভারটিকে অ্যাক্সেস করতে পারবেন। যে মোবাইল ডিভাইজ ভিএনসি সমর্থন করে, সেটার মাধ্যমে আপনি আরামে মোবাইল থেকেও সার্ভার কানেক্ট করতে পারবেন। আপনার শুধু সার্ভারের আইপি অ্যাড্রেস প্রয়োজনীয় হবে। এই সফটওয়্যারটিও সম্পূর্ণ ফ্রী সাথে উইন্ডোজ কম্পিউটারে আরামে ব্যবহার করতে পারবেন।
সকল সফটওয়্যার গুলোর মতোই এটিও একই স্টাইলে কাজ করে, অর্থাৎ দুই কম্পিউটারেই একই সফটওয়্যার ইন্সটল থাকা আবশ্যক। ইন্সটল করার পরে সফটওয়্যারটি ওপেন করলে দুইটি ট্যাব দেখতে পাওয়া যাবে—একটি শেয়ার এবং আরেকটি অ্যাক্সেস। আপনার পিসি শেয়ার করার জন্য আপনার কাছে ১২ ডিজিটের একটি কোড থাকে এবং যে পিসি থেকে আপনার পিসিকে অ্যাক্সেস করতে চান, সেখানে অ্যাক্সেস ট্যাবে এই কোডটি বসিয়ে দিলেই কম্পিউটার দুইটি কানেক্টেড হয়ে যাবে।
এর ফ্রী ভার্সনের কিছু সমস্যা এবং লিমিটেশন রয়েছে। ফ্রী ভার্সনে আপনি ফাইল ট্র্যান্সফার করতে পারবেন না, সাথে সফটওয়্যারটির কানেকশন কিছু সময় পর পর লস্ট হয়ে যায় বলে অনলাইনে রিভিউ দেখা গেছে।
আয়রো অ্যাডমিন রিমোট অ্যাক্সেস করার সবচাইতে সহজ একটি টুল বা প্রোগ্রাম। কঠিন সেটিংস বলে এখানে কিছুই নেই, সবকিছু কনফিগ করা জলের মতো ব্যাপার। এই প্রোগ্রামটি দেখতে অনেকটা টিম ভিউয়ারের মতো। হোস্ট কম্পিউটারে এই পোর্টেবল সফটওয়্যারটিকে প্রথমে রান করতে হবে এবং আইপি অ্যাড্রেস ক্লায়েন্ট কম্পিউটারটিকে প্রদান করতে হবে, আর এভাবেই ক্লায়েন্ট কম্পিউটার হোস্ট কম্পিউটারকে খুঁজে নেবে।
এবার ক্লায়েন্ট কম্পিউটারটিতে অবশ্যই একই সফটওয়্যারটি ইন্সটল থাকতে হবে এবং এতে আইডি বা আইপি প্রবেশ করাতে হবে। হোস্ট কম্পিউটার একবার কানেকশনের জন্য নিশ্চিত করে দিলে আপনি আরামে কম্পিউটারটি নিয়ন্ত্রন করতে আরম্ভ করতে পারবেন। এর সবচাইতে ভালো ব্যাপার হচ্ছে এটি পার্সোনাল আর বিজনেস দুই কাজের জন্যই সম্পূর্ণ ফ্রী, যেখানে টিম ভিউয়ার পার্সোনাল কাজের জন্য ফ্রী হলেও বিজনেস ভার্সন আপনাকে টাকা দিয়ে কিনতে হবে। এই সফটওয়্যারটির লিমিটেশন হচ্ছে, এটি চ্যাট অপশন নেই, যেটা থাকা আমার মতে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ব্যাপার ছিল। যাই হোক, তারপরেও এটি একটি ভালো সফটওয়্যার।
এর চেয়ে ছোট সাইজের আর এতো পাওউয়ার ফুল ফিচার ওয়ালা সফটওয়্যার আমি আগে কখনো দেখিনি। এর সাইজ মাত্র ৫০০ কিলোবাইটের মতো। আর হ্যাঁ, এটি একেবারেই ফ্রী একটি সফটওয়্যার আর পাওয়ারফুল ফিচারে পরিপূর্ণ মিশাইলও বলতে পারেব একে। একদম ছোট সাইজে বড় ধামাকা!
সফটওয়্যারটি ওপেন করার পরে আপনাকে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে লগইন করতে হবে। তারপর আপনি ইচ্ছা মতো ক্লায়েন্ট এড করে রাখতে পারবেন। যদি ক্লায়েন্ট সেভ করতে না চান, সেক্ষেত্রে জাস্ট আইডি অ্যান্ড পাসওয়ার্ড শেয়ার করলেই হবে, এতে ক্লায়েন্ট কম্পিউটার আপনার সাথে ইনস্ট্যান্ট কানেক্ট হতে পারবে। ক্লায়েন্ট থেকে হোস্ট কম্পিউটারটি কানেক্ট করার জন্য আপনার হোস্টের আইডি এবং পাসওয়ার্ড প্রয়োজনীয় হবে। দুই কম্পিউটারের মধ্যে পেয়ারিং সম্পূর্ণ হওয়ার পরে আপনি স্ক্রীন কন্ট্রোল, ভয়েস চ্যাট, ফাইল ট্র্যান্সফার, সেশন রেকর্ডিং ইত্যাদি কাজ গুলো করতে পারবেন।
এই সফটওয়্যারটি রান হওয়ার জন্য জাভা প্রয়োজনীয় হয়, এটি উইন্ডোজের সকল ভার্সন, সাথে লিনাক্স এবং ম্যাককেও সমর্থন করে।
এটি এমন একটি রিমোট অ্যাক্সেস প্রোগ্রাম, যেটি ইন্টারনেট ব্রাউজারের মাধ্যমে যেকোনো কম্পিউটারে খুব দ্রুত রিমোট অ্যাক্সেস করা যাবে। হোস্ট কম্পিউটার, মানে যে কম্পিউটারটি রিমোট অ্যাক্সেস শেয়ার করতে চায় সেখানে সফটওয়্যারটি ইন্সটল করতে হবে, আর এই সফটওয়্যারটি সম্পূর্ণ কম্পিউটার বা শুধু নির্দিষ্ট অ্যাপ্লিকেশন অ্যাক্সেস প্রদান করাতে সক্ষম। হতে পারে আপনার কোন একটি সফটওয়্যার শুধু সমস্যা করছে, তো পুরো কম্পিউটারের অ্যাক্সেস প্রদান না করলেও চলবে।
ক্ল্যায়েন্ট কম্পিউটারে শুধু জয়েন.মি ইন্সটলেশনের সময় একটি পার্সোনাল কোড প্রবেশ করাতে হবে যেটা হোস্ট থেকে পাওয়া যাবে। তারপরে কানেক্ট হয়ে পরবেন এবং একসাথে বহু ফিচার আনলক হয়ে যাবে। আপনি কনফারেন্স কল করতে পারবেন, চ্যাট করতে পারবেন, একাধিক মনিটর নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন, ইত্যাদি। তাছাড়া ওদের হোমপেজ থেকে কোড প্রবেশ করিয়েও হোস্ট কম্পিউটার অ্যাক্সেস করতে পারবেন, এতে কোন আলাদা সফটওয়্যার ক্লায়েন্ট কম্পিউটারে ইন্সটল করতে হবে না।
তো এই ছিল আজকের কমপ্লিট লিস্ট। আশা করছি এই লিস্ট আপনার অনেক সময় বাঁচিয়ে দেবে এবং আপনি আপনার জন্য সঠিক প্রোগ্রামটি খুব সহজেই নির্বাচন করে ফেলতে পারবেন। এই লিস্টে যুক্ত করার জন্য আপনার কাছে কি আরো কোন অসাধারণ টুল রয়েছে, নিচে টিউমেন্ট করে আমাদের জানান। সাথে আপনার যেকোনো প্রশ্নে বা যেকোনো সমস্যায় অবশ্যই নিচে টিউমেন্ট করে আমাকে অবগত করুন।
আমি তাহমিদ বোরহান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 177 টি টিউন ও 680 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 43 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।
আমি তাহমিদ বোরহান। টেক নিয়ে সারাদিন পড়ে থাকতে ভালোবাসি। টেকটিউন্স সহ নিজের কিছু টেক ব্লগ লিখি। TecHubs ব্লগ এবং TecHubs TV ইউটিউব চ্যানেল হলো আমার প্যাশন, তাই এখানে কিছু অসাধারণ করারই চেষ্টা করি!
টিউনটা অসাধারন ছিল তাহমিদ ভাইয়া। রিমোট ডেক্সটপের জন্য আমি নরমালি টিমভিউয়ার আর এনিডেস্ক ইউজ করতাম। এই লিস্টের মধ্যে টিমভিউয়ার আর ক্রোম রিমোট ডেক্সটপ ছাড়া আর কোনটার নামই শুনিনি কখনো। এমন যে আরো কতগুলো সফটওয়্যার আছে সেটা জানলাম আজকে। টিউনেের জন্য ধন্যবাদ। 🙂