কম্পিউটারের সবচেয়ে স্বর্শকাতর বস্তু হচ্ছে হার্ডডিস্ক।একটি কম্পিউটারের সবকিছু তার হার্ডডিস্কে জমা থাকে। কিন্তু আমাদের সামান্য অবহেলার কারণে হার্ডডিস্ক যখন তখন তখন বিগড়ে গিয়ে প্রয়োজনীয় ডাটা সমূহ লস হয়ে যেতে পারে। তাই আসুন হার্ডডিস্ক সম্পর্কে কিছু বিষয় জেনে নেই।
- প্রতিটি হার্ডডিস্কে সর্বোচ্চ 4 টি প্রাইমারি পার্টিশন সাপোর্ট করে। প্রাইমারি পার্টিশন হল Fixed পার্টিশন। অর্থ্যাৎ আপনি প্রতিটি প্রাইমারি পার্টিশনের ভিতর অনেকটি Logical ড্রাইভ তৈরী করতে পারেন। কিন্তু প্রাইমারি পার্টিশনটি ডিলিট করলে এর অধীনে যত লজিকাল ড্রাইভ আছে সবগুলো ডিলিট হয়ে যাবে তাই আপনি মূল্যবান ডাটা বিনা নোটিসে হারাতেও পারেন।
- পাটিশন হল হার্ড্ ডিস্কের ফিজিক্যাল সেক্টর বা ভাগ করা অংশ। যেমন: সাধারণ একটি হার্ড ডিস্ককে আপনি সর্ব্বেোচ্চ চারটি অংশে ভাগ করতে পারেন। নতুন কেনা হার্ড ডিস্কে সাধারণত কোন পার্টি শন করা থাকে না। উইন্ডোজ 7 বা 8 সেটাপ দেয়ার সময় দুটি প্রাইমারি পার্টিশন তৈরি করে। একটি System reserved অপরটি অপারেটিং সিস্টেমের জন্য। তবে আপনি চাইলে একটিতেও সেটাপ দিতে পারেন। কিন্তু System boot এর ফাইলগুলো সুরক্ষিত রাখতে দুটিই তৈরী করা ভালো।
- এই দুটি পার্টিশন ছাড়াও আরও দুটি প্রাইমারি পাটিশন তৈরী করতে পারবেন। তবে একটিই ভালো। কারণ একটি প্রাইমারি পার্টিশন থাকলে তার ভেতর প্রয়োজনে অনেকটি লজিকাল ড্রাইভ রাখতে পারেন। ডিফ্রাগমেন্ট, কপি, পেস্ট করতে স্পীড পাবেন।
- হার্ডড্রাইভে সাধারণত একটি একটিভ পার্টি শন থাকে সিস্টেম বুট করার জন্য। আপনি ইচ্ছা করলে যে কোন পার্টি শনকে একটিভ করতে পারেন। তবে একসাথে দুটি পার্টি শন একটিভ করা যাবে না।
- হার্ড ডিস্ক এ খুব বেশি ইফেক্ট পড়ে এরকম কাজ দীর্ঘ ক্ষণ করা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করুন। তাহলে হার্ডডিস্কের আয়ু কমবে না।
- অপ্রয়োজনে বারবার ভাইরাস ক্যান প্রোগ্রাম সেটাপ-রিমুভ দেয়া ইত্যাদি কাজ থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করুন। কারণ এগুলো বেশি ডিস্ক ব্যবহার করে।
- নিয়মিত ডিস্ক ক্লিনআপ এবং ডিফ্রাগমেন্ট করুন। বিশেষ করে আপনি যদি ইন্টারনেট ব্রাউজ করেন। কারণ ইন্টারনেটে দেখা পেজের ডাটাগুলো কম্পিউটারে সেভ হয়ে যায়।
- ডিস্ক ক্লিন করার জন্য Disk Cleanup or C Cleaner ব্যবহার করতে পারেন। ক্লিন করার পর ডিফ্রাগমেন্ট করুন।
- ডিস্ক ডিফ্রাগমেন্ট হল আপনার হার্ডডিস্কের কাটা-ছেড়া ফাইলগুলো একত্রিত করা। এই কাটা-ছেড়া ফাইলগুলো রিড করার জন্য হার্ডডিস্কের পিনকে অধিক লাফালাফি করতে হয় তাই একদিকে যেমন সময়ের অপচয় হয় অন্যদিকে ডিস্কের আয়ু ও কমতে থাকে।
- ডিফ্রাগমেন্ট করার পুর্বে
- ডিফ্রাগমেন্ট করার পরে
- ডিফ্রাগমেন্ট করার জন্য Iobit Disk Defragmenter ব্যবহার করতে পারেন। http://iobit.com থেকে ডাউনলোড করে।অত্যন্ত কার্য করী একটি সফটওয়্যার। তাছাড়া আরও অনেক ডিফ্রাগমেন্টার বা উইন্ডোজের ডিস্ক ডিফ্রাগমেন্টার ও ব্যবহার করতে পারেন।
- অধিক তাপমাত্রায় একনাগাড়ে বেশিক্ষণ কম্পিউটার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। প্রয়োজনে 15/20 মিনিট স্লীপে রেখে আবার কাজ শুরু করুন। হার্ড ডিস্কের তাপমাত্রা মনিটর করতে HD Sentinel সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারেন।
- ডিস্ক সুরক্ষিত রাখার জন্য ভালো একটি এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করুন। কারণ কিছু কিছু ভাইরাস এমন আছে যেগুলো শুধু ড্রাইভের ফাইল/ফো্ল্ডার নষ্টই করে না বরং ড্রাইভকে নষ্ট করে দেয় যাতে আপনি ফরম্যাট না করে প্রবেশ করতে না পারেন।
আজ এখানেই। ভালো থাকবেন। আল্লাহ হাফিজ।
আমাকে ফেসবুকে পেতে হলে http://facebook.com/sbinashiq
যত বেশি পার্টিশন হবে ততবেশি র্যামের প্রয়োজন পড়বে — কিভাবে বেশি পার্টিশন র্যামের উপর চাপ ফেলে একটু বলবেন কি ?? আমার পিসি টে ৬ টা পার্টিশন আছে। অথছ স্পীড নিয়ে কোন কমতি নেই।
“খুব বেশি কপি-পেষ্ট করা থেকে বিরত থাকুন। কারন বেশি করে কপি-পেস্ট করার ফলে হার্ডডিস্কের আযূ কমে যেতে পারে।”
কপি-পেষ্ট করার সাথে হার্ডডিস্কের আযূর কি সম্পর্ক ? হার্ডডিস্ক বেশি ব্যাবহার করলেও আয়ু কমে জেতে পারে। সেটা কপি-পেষ্ট করা হোক আর ফাইল রিড রাইট হোক আর ডিস্ক ডিফ্রাগমেন্ট করার জন্য হোক। বেশি বেশি ব্যাবহার করলে এমনিতেই সব জিনিষের আয়ু কমে।
ডিফ্রাগমেন্ট করার জন্য Iobit Disk Defragmenter ব্যবহার করতে হবে কেন ? এমন কি আছে এটাতে যা অন্য কোন ইউটিলিটি সফটওয়্যারে নেই।
হার্ড ডিস্কের তাপমাত্রা মনিটর করার কি দরকার পড়ল। যারা বিভিন্ন ভিডিও এডিটিং, সার্ভার, ডেটা সেন্টার, নিয়ে কাজ করেন তাদেরকে তো হার্ড ডিস্কের তাপমাত্রা মনিটর করার দরকার পড়ে না।