প্রজাপতির সৌন্দর্যর কোন শেষ নেই। প্রজাপ্রতি ফুলে ফুলে বেড়ায়। প্রজাপ্রতি মাত্র অল্প জীবন নিয়ে পৃথিবীতে আসে। তার সম্বন্ধে রয়েছে মজার ও আকর্ষনীয় কিছু তত্য। যেমন প্রজাপ্রতি পা দিয়ে স্বাদ গ্রহণ করে, কাঁদা থেকে পানি পান করে এবং আত্মরক্ষার জন্য অনেক ছদ্মবেশে ঘোড়াফেরা করে। আজকে আমি এই প্রজাপ্রতির সম্বন্ধে কিছু অজান তথ্য দেব। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
সৌন্দর্যের এক না প্রজাপ্রতি। কিন্তু সব থেকে বড় ব্যপার হচ্ছে তারা বেশিদিন বাঁচে না। একটি পূর্ণাঙ্গ বা পূর্ণবয়ষ্ক প্রজাপ্রতি মাত্র ১-২ সপ্তাহ বেঁচে থাকে। চারটি ধাপ- ডিম, লার্ভা, পিউপা বা ক্রিসালিস এবং প্রজাপতিতে পরিণত হওয়া।
অল্প কিছু প্রজাপতির প্রজাতি অবশ্য রয়েছে, যেগুলোর জীবনকাল প্রায় ১৮ মাস।
নানা রঙে রাঙানো প্রজাপতির ডানা তাদের মূল সৌন্দর্যের বৃদ্ধি পায়। ডানা একধরনের প্রোটিনের স্তর দিয়ে তৈরি, যা অত্যন্ত পাতলা। ডানার উপরে থাকে হাজার হাজার তন্তু বা আঁশ, যেখানে আলোর কারুকার্যে আমরা শত রঙে রাঙানো প্রজাপতির দেখা পাই। বয়স বৃদ্ধির সাথে এই আঁশগুলো যখন ঝরে যায়, তখন শুধু থেকে যায় কাইটিনের তৈরি ডানা।
প্রকৃতির সবচেয়ে রঙিন পতঙ্গ প্রজাপতি। নানা রঙে রাঙানো প্রজাপতির ডানা তাদের মূল সৌন্দর্যের আধার। রঙিন এই ডানাগুলো মূলত কাইটিন নামের একধরনের প্রোটিনের স্তর দিয়ে তৈরি, যা অত্যন্ত পাতলা। এই কাইটিনের ডানার উপরে থাকে হাজার হাজার তন্তু বা আঁশ, যেখানে আলোর কারুকার্যে আমরা শত রঙে রাঙানো প্রজাপতির দেখা পাই। বয়স বৃদ্ধির সাথে এই আঁশগুলো যখন ঝরে যায়, তখন শুধু থেকে যায় কাইটিনের তৈরি ডানা। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, এই ডানাগুলো একদম স্বচ্ছ এবং এক পাশ থেকে অন্য পাশে সহজেই দেখা যাচ্ছে।
সাধারণত মিলনের সময়, খাদ্য গ্রহণ বা উড়তে গিয়ে কিছু আঁশ হারায় প্রজাপতি। কিন্তু, উড়তে এতে প্রজাপতির তেমন সমস্যা হয় না। কাইটিনের তৈরি স্বচ্ছ ডানার উপরে আঁশ বা তন্তুর যে আবরণ, তা প্রজাপতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রজাপ্রতি শুধু মাত্র তরল খাবারের উপর নির্ভরশীল। তারা শক্ত খাবার একদই ক্ষেতে পারে না। তরল খাদ্যের মধ্যে এদের মূল খাবার অবশ্য ফুলের মধু, তবে নরম ফল বা গাছ থেকেও খাদ্য সংগ্রহ করে থাকে।
এরা জন্মস্থান গাছের পাতা খেয়েই জীবনধারণ করে প্রাথমিক অবস্থায়। এরা প্রজাপতির মতো বেশি দূর যেতে পারে না এবং যেখানেই জন্মে সেখানেই বড় একটা সময় কাটাতে হয়।
অতিরিক্ত গরমের সময়ে কর্দমাক্ত ডোবা বা ভেজা বালি থেকে পানি পান করতে দেখা যায়। প্রজাপতি মধু খেয়েই তাদের পুরো জীবন কাটিয়ে দিতে পারে না ডোবা বা ভেজা বালি থেকে পানি পান করতে দেখা যায়, যা খনিজ সমৃদ্ধ ও তাদের লবণের চাহিদা এখান থেকেই পূর্ণ হয়।
এই খনিজ সমৃদ্ধ পানি বংশ বিস্তারে পুরুষ প্রজাপতির সক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
খাবার সংগ্রহের জন্য ফুল যাচাই ও সঙ্গী নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজে প্রজাপতির এই দৃষ্টিশক্তি দারুণ ভূমিকা রাখে। প্রজাপতিরা ১০-১২ ফুটের বেশি দূরত্বের বেশি খুব ভালো দেখতে না।
এরা শীতল রক্তের পতঙ্গ। ৬০-১০৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত তাপমাত্রা পর্যন্ত এরা উড়তে পারে। প্রজাপতির বাসস্থানের তাপমাত্রা কমতে শুরু করলে এদের শরীরের তাপমাত্রাও কমতে শুরু করে এবং একসময় আর ডানা মেলে উড়তে পারে না। ৮২-১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা প্রজাপতির জন্য আদর্শ মনে করা হয়।
প্রিয় ভিজিটরগণ আমার এই পোষ্টটি আপনাদের কেমন লাগল তা অবশ্যই জানাবেন। আমার এই পোষ্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে আমার নিচের ওয়েবসাইট থেকে ঘুরে আসুন।
সময় পেলে ঘুরে আসতে পারেন আমার ব্লগ একাত্তর সাইট থেকে।
আমি সুমন খান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 5 বছর 8 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 17 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।