অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে আছি Facebook, The Laboratorians এর page টার দিকে। সত্যি দেখছি নাকি ভুল কিছু?
এমনিতেই গত ১ বছরে আমার গলার রগগুলো ফুলতে ফুলতে একসময় ঝুলে পরেছে। কারন আর কিছুই নয়, একজন সঙ্গীত প্রেমিক হিসেবে যাকেই সামনে পেয়েছি, তাকেই চিৎকার করে বলেছি, আমি Laboratorian, আমার স্কুল এর একটা Theme Song আছে। গানের নাম “আলো আরো আলো”। কার গান জানো? Bassbaba সুমনের এবং এটাও শুনে রাখো Bassbaba সুমন ও একজন Laboratorian। তোমার স্কুলের কোন Theme Song আছে? স্বভাবতই উত্তর পেয়েছি না। বেশিরভাগ মানুষ আমাকে ভেবেছে অহংকারী, কিছু মানুষ ভেবেছে পাগল। আমি মনে মনে হেসেছি আর বলেছি, আমার প্রিয় স্কুল এর জন্য আমি পাগল হতে রাজি। অহংকার পতনের মুল হলেও আমি অহংকার করতে রাজি। এই অহংকার করে আমার পতন হলে আমি থোরাই কেয়ার করি।
যখন ভাবছি, ঝুলে পরা গলার রগগুলাকে এবার একটু বিশ্রাম দিয়ে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নেয়া প্রয়োজন, ঠিক তখনি Facebook......The Laboratorians...... আর আমার অবাক বিস্ময়। গলার রগগুলাকে আর বিশ্রাম দেয়া হোলনা, বরং নতুন উদ্দমে চিৎকার দেয়া শুরু করতে হবে।
এবার নাকি ৫০ বছর পূর্তিতে, Laboratorian Band, Solo Singers দের নিয়ে আস্ত একটা Music Album বের করা হবে। যেই Music Album এ Upcoming Laboratorian Star দের সাথে সাথে অংশগ্রহণ করবে Bassbaba সুমন ভাই এবং Miles এর জুয়েল ভাই। (অবাক বিস্ময় কেটেছে......... আনন্দের চিৎকার)
কিছু সময় এর মধ্যেই আমার Facebook, Profile এ ০২ এর বন্ধু সাদিক এর লিখা, “বন্ধু Music Album এ তোর গান শুনতে চাই”। উত্তেজনা বাড়ছে, আনন্দের চিৎকার চলছে............
এর পর যা হয়েছে তা এক ইতিহাস। “11th Hour is Laboratorians Hour”, ০২ এর হাসিবের এই কথাকে সত্য প্রমাণ করে, Facebook, The Laboratorians এর পোস্টগুলোকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে, হেসে খেলে কাটিয়ে Laboratorians রা গানের Demo জমা দিতে শুরু করলো অনুষ্ঠানের ৩০-৩৫ দিন আগে। যদিও জমা দেয়ার কথা ছিল কমপক্ষে ৩ মাস পূর্বে।
৫০ বছর পূর্তির সব ধরনের আয়োজনে, যেই দুইজনকে সবসময় চোখের সামনে দেখেছি। সেই ৯০ এর অনীক ভাইয়া আর ৯৩ এর সানা ভাইয়া Demo গানগুলা শুনে আর মুচকি মুচকি হাসে। আদৌকি এইসব Demo গানগুলা থেকে বাছাই করে, রেকর্ড করে, মিক্সিং এবং মাস্টারিং করে Music Album টা সম্পূর্ণ করা সম্ভব? প্রচণ্ড আশাবাদী ০৯ এর ইয়াসিন। মুচকি হাসি চলছে অনীক ভাইয়া আর সানা ভাইয়ার। এই হাসিকি নির্ভরতার নাকি অনিশ্চয়তার, বুঝতে পারছিনা।
সেই মুহূর্তে দেবদূতের মতো যেই মানুষটার আগমন, তিনি Miles এর জুয়েল ভাই, আমাদের জুয়েল ভাই। সবার সব দুশ্চিন্তা দূর করে দিয়ে একা সব দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিলেন। এত ব্যাস্ততার মধ্যে জুয়েল ভাই, দিনের পর দিন যেভাবে Laboratorian Musician দের সময় দিলেন এবং সবার ভুল ভ্রান্তিগুলো ধরিয়ে দিলেন তা এক কথায় অসাধারণ। জুয়েল ভাইয়ের সাথে Laboratorian Musician দের সমন্বয় সাধন করলো ০৩ এর ত্রিদিব আর ০৯ এর ইয়াসিন।
পালে হাওয়া লাগার পর অনীক ভাইয়া আর সানা ভাইয়াও ২ টা গান লিখে ফেললো। অনীক ভাইয়ার গানের দায়িত্ব নিয়ে নিলো Bassbaba সুমন ভাই আর শিরোনামহীনের রাসেল এবং সানা ভাইয়ারটা জুয়েল ভাই। ০২ এর হাসিব আর ওমরের লেখা গানে, ০৩ এর অয়নের সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এ, সাহস করে, সুর দিয়ে আমিও একটা গান গেয়ে ফেললাম। জুয়েল ভাইয়ের জাদুতে সব Demo গানগুলা পরিপূর্ণতা পেতে থাকলো। অনীক ভাইয়ার চেম্বার, বিভিন্ন প্র্যাকটিস প্যাড থেকে শুরু করে জুয়েল ভাইয়ের বাসাও যেন হয়ে গেল আমাদের বিদ্যালয়। ঠিক যেমনটি আমরা স্কুল এ থাকতে দল বেধে গান গাইতাম।
এই সব কিছুই সম্ভব হোল আমাদের সবার স্কুলের প্রতি ভালবাসা থেকে। আমি নিশ্চিত এই অসম্ভবকে সম্ভব করার পথে, প্রতিটি পদক্ষেপে, প্রত্যেকটি Musician এর কানে, মনের অজান্তেই বেজে উঠেছে, Bassbaba সুমনের গান “আলোয় আলোকিত চারিদিক, সেতো তোমারি জন্য”। সত্যি আজ আমরা সবাই আলোকিত, আমাদের প্রিয় বিদ্যালয়টির জন্য।
গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল এর ৫০ বছর পূর্তিতে Laboratorian Musician দের নিয়ে “Coming Back to Life” নামে যেই Music Album টা বের করা হচ্ছে, এমন ঘটনা এর আগে আর কখনো হয় নাই। হয়ত এই দেখানো পথে ভবিষ্যতে আরো অনেক Music Album আসবে। কিন্তু যেকোনো প্রথম জিনিসের আনন্দটা মনে হয় একটু বেশিই থাকে। আর সেই আনন্দে সরাসরি অংশগ্রহণ করতে পেরে, ছোট্ট একটু অবদান রাখতে পেরে আমি গর্বিত। “Coming Back to Life” নামের Music Album এ যারা সামনে এবং পিছনে থেকে কাজ করেছে, তাদের সবাইকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা।
by Zenith Jhony Laboratorians
আমি zenithjhony। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 3 টি টিউন ও 4 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।