আসসালামু আলাইকুম। টেকটিউনস ওয়েবসাইটের নতুন আরো একটি টিউনে আপনাকে স্বাগতম। আমি স্বপন আছি আপনাদের সাথে, আশাকরি সকলেই অনেক অনেক ভালো আছেন। স্বাগতম সবাইকে বাস্তব জীবনে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) এর সঠিক ব্যবহার নিয়ে নতুন আরো একটি টিউনে। বর্তমান বিশ্বে এমন একটি মানুষও হয়ত খুঁজে পাওয়া যাবে না যে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর নাম শোনেনি। অনেকে এ সম্পর্কে জানেন যে, এটি কীভাবে ব্যবহার করতে হয় আবার অনেকে জানেন না। অনেকে আবার এটির ভুল ব্যবহার করে থাকেন। অর্থাৎ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহার করেন। আবার অনেকে এ সম্পর্কে কিছুই জানেন না।
এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে আমার আজকের আয়োজন। আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনাদেরকে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর উপকারী দিকগুলো এবং অসুবিধা তুলে ধরব। এছাড়াও আজকে আমরা জানবো আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষতিকর দিকগুলো থেকে আমরা কীভাবে বাঁচতে পারি। সর্বশেষে আমরা জানব বাস্তব জীবনে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার। কারণ আমরা যারা প্রতিনিয়ত আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) ব্যবহার করি তারা হয়ত অনেকেই এর বাস্তব জীবনের ব্যবহার সম্পর্কে জানেনা। তাই আমাদের সকলের উচিত আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে নিজেকে অবগত রাখা। তো চলুন তার আগে জেনে নেই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) কী?
আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হলো কম্পিউটার বিজ্ঞানের একটি শাখা যেখানে মানুষের বুদ্ধিমত্তা ও চিন্তাশক্তিকে কম্পিউটার দ্বারা অনুকৃত করার চেষ্টা করা হয়। মানুষের বুদ্ধিমত্তা এবং চিন্তা শক্তিকে কম্পিউটার দ্বারা অনুকৃত করার ফলে মানুষের মনে আশা যে কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে এবং কম্পিউটার দ্বারা অনুকৃত করার কারণে এই উত্তরটি সঠিক হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) হলো কম্পিউটার সিস্টেম যা মানুষের সামগ্রিক বুদ্ধিমত্তা প্রতিনিধিত্ব করতে পারে এবং সমস্যা সমাধানে সাহায্য করতে সক্ষম। এর মাধ্যমে কম্পিউটার সিস্টেম শিখতে, মন্তব্য করতে, পরিকল্পনা করতে এবং সমস্যা সমাধানে সাহায্য করতে পারে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হলো সমস্যা সমাধানে সিস্টেমের দক্ষতা যা মানুষের বুদ্ধিমত্তা এর মত কাজ করতে সাহায্য করে। এটি কম্পিউটার দ্বারা পরিচালিত হওয়া সত্ত্বেও সম্পূর্ণ মানুষের মস্তিষ্কের মতো করে কাজ করে। আপনাকে কোন প্রশ্ন করা হলে সেটার উত্তর যেভাবে আপনার মস্তিষ্কে সাথে সাথে চলে আসে, ঠিক সেভাবেই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও কাজ করে। তারপর আপনার চাহিদা অনুযায়ী আপনার সেই প্রশ্নকে বিশ্লেষণ করে প্রশ্নের উত্তর প্রদান করে। এক্ষেত্রে আপনি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) কে নিজের মস্তিষ্কের অনুলিপী দক্ষতা বলতে পারেন। যেখানে আপনার মস্তিষ্ক ব্যবহার করে আপনি নিজে একটি কাজ করতে ধরলে দুই থেকে তিনদিন লেগে যেত সেখানে আপনি এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) দ্বারা মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই কঠিন কাজ গুলো সম্পন্ন করতে পারবেন।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) বর্তমানে বেশ ভালো ভালো এবং উপকারী অনেক দিকে রয়েছে। শুধুমাত্র আপনার প্রয়োজন এবং চাহিদা এই দুটি জিনিস দরকার। এই জিনিসগুলো যদি আপনার মাঝে থাকলে আর আপনার এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) কে সঠিকভাবে পরিচালনা করার দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি তুলনামূলকভাবে অনেক সহজেই আপনার সকল কঠিন কাজ গুলো মুহূর্তের মধ্যেই করে নিতে পারবেন। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) দ্বারা আপনি প্রতিদিন অনেক নতুন নতুন কাজ গুলো করতে পারবেন। যা সাধারণ মানুষের জীবনে অনেক উপকারী। অনলাইন অথবা অফলাইন জীবনে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দ্বারা উপকৃত হবেন এমন কতগুলো দিক হলোঃ
যে কাজটি করতে অনেক সময় প্রয়োজন হয় সে কাজটি অত্যন্ত অল্প সময়ের মধ্যে করে দেওয়ার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আপনাকে সহায়তা করতে পারে। এর একটি উদাহরণ হল : CODING কোডিং এর যেকোনো কাজ করতে আপনার অনেক সময় লেগে যেতে পারে। এক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আপনাকে অত্যন্ত অল্প সময়ের মধ্যে এ ধরনের কাজ করে দিতে পারে।
আমরা যখন অনলাইনে সহজে অনেক ভালো জিনিস পাবো তখন অবশ্যই আমাদের সে সকল জিনিসকে যাচাই বাছাই করে ব্যবহার করা উচিত। কারণ অনলাইনে আপনার না জানা অনেক বিপদ লুকিয়ে থাকতে পারে। এটা আপনার অনেক অল্প সময়ের মধ্যে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। তাই নিজেকে সর্বোচ্চ সুরক্ষিত রাখতে অবশ্যই অনলাইনে যে কোন ভালো জিনিস ব্যবহার করতে গেলে অবশ্যই তা যাচাই-বাছাই করে ব্যবহার করতে হবে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) এর অনেক উপকারী এবং সুবিধাময় বৈশিষ্ট্য থাকলেও এর মাঝেও কিছু অসুবিধার রয়েছে। তবে অসুবিধার সংখ্যা খুবই কম, আর অসুবিধার সে কম সংখ্যক কথাগুলো জেনে রাখলে ক্ষতি কি? আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর অসুবিধা:
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ক্ষতিকারক দিক সম্পর্কে জানুন। কেননা, যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি না জানছেন যে এটি কীভাবে আপনার জীবনে ক্ষতিকারক প্রভাব আনতে পারে ততক্ষণ আপনি সেগুলো থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন না। তাই সব সময় আপডেট খবর রাখুন যে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বর্তমানে কোন পর্যায়ে রয়েছে এবং মানুষের জন্য কী কী ক্ষতি করতে সক্ষম বা মানুষের কোন ধরনের ক্ষতি করার ক্ষমতা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট রাখে। সেই আপডেট খবরগুলো নিয়মিত রাখুন এবং সেগুলো থেকে বাঁচার জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখুন। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কীভাবে কাজ করে, অর্থাৎ কোন স্ট্রাটেজি ফলো করে চলে এটি আপনাকে জানতে হবে। তবে আপনি জানতে পারবেন এবং বুঝতে পারবেন যে এটি কীভাবে আপনার ক্ষতি করতে সক্ষম।
আর যখন আপনি জানতে পারবেন যে এটি কীভাবে আপনার ক্ষতি করতে সক্ষম তখন নিশ্চয়ই আপনি নিজেকে এ বিষয়ে থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করবেন অর্থাৎ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহারে সতর্ক থাকবেন। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ওপর অত্যন্ত বেশি নির্ভরশীলতা ডেকে আনতে পারে আপনার জীবনে ভয়াবহ অবস্থা। তাই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর উপর কখনোই বেশি নির্ভরশীল হবেন না। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর উপর বেশি পরিমাণে নির্ভরশীলতা যে কোন কাজে আপনার মনে অলসতা ডেকে আনবে। অর্থাৎ আপনার মনে হবে যে কাজটি আপনি সহজেই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মাধ্যমে করতে পারছেন সেটি কেন কষ্ট করে করতে যাবেন। তাই এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
এবার আমরা জানবো কীভাবে আমরা আমাদের বাস্তব জীবনে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার নিশ্চিত করব। এই বিষয়টি সম্পর্কে শেষে জানানোর কারণ হচ্ছে, প্রথমে আপনাকে সতর্ক করা হলো আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সম্পর্কে। এটি ব্যবহার করার নিয়ম সম্পর্কে আপনাকে জানানো হলো। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর কোন ধরনের ব্যবহারে আপনার উপকার হতে পারে এবং কোন ধরনের ব্যবহারের ক্ষতি হতে পারে এবং এটির অসুবিধা কি কি তা আপনাকে আগে জানিয়ে দেয়া হয়েছে তাই আপনি এটির ভুল ব্যবহার করবেন না। এখন আমরা বাস্তব জীবনে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে জানব। বাস্তব জীবনে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সঠিক ব্যবহারের কয়েকটি ক্ষেত্র বিশেষ হলো:
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বুঝতে পারে যে একজন শিক্ষার্থীর কতটুকু শিক্ষা প্রয়োজন। তাই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স একজন শিক্ষার থেকে সঠিক নিয়মে এবং সঠিক পরিমাণে শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে সঠিক শিক্ষা দিতে পারবে। এছাড়াও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স চালিত শিক্ষা ব্যবস্থা অত্যন্ত সহজ। এটি একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষা ব্যবস্থাকে অত্যন্ত সহজ এবং মজার করে দিতে পারে। ফলে একজন শিক্ষার্থী সঠিক শিক্ষার সহিত বেড়ে উঠবে। এজন্য একজন শিক্ষার্থীর জন্য আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স চালিত শিক্ষাব্যবস্থার কোন বিকল্প নেই। এছাড়াও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কে আপনি আপনার বাস্তব জীবনে অনেক কঠিন কাজগুলোর সম্পন্ন করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন। তো চলুন এবার আমরা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) এর বাস্তব জীবনের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নিই।
আপনারা নিশ্চয়ই জানেন বর্তমান বাজারে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দ্বারা স্ব-চালিত গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে। এই ধরনের গাড়ির ব্যবহারে জ্বালানির খরচ অনেক কমে যায়। এছাড়াও আরও আনুষঙ্গিক খরচ যেমন চালক এর খরচ অত্যন্ত কমে ফেলে এই ধরনের পরিবহণ ব্যবস্থা। এছাড়াও এই ধরনের পরিবহণ ব্যবস্থা রাস্তাঘাটের দুর্ঘটনার হার অনেকটাই কমিয়ে আনতে সক্ষম। এজন্য আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স চালিত গাড়ি বা পরিবহণ ব্যবস্থার কদর দিন দিন বেড়েই চলেছে।
বর্তমান বিশ্বে চিকিৎসা অত্যন্ত কঠিন একটি কাজ হয়ে দাঁড়ালেও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এ কাজকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। অনেক বড় বড় ডাক্তাররা যখন কোন চিকিৎসা করতে ব্যর্থ হয় তখন সেই চিকিৎসা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মাধ্যমে খুব সহজে করা সম্ভব। যেহেতু আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর কাছে সকল বিষয়ে তথ্য আছে তাই এটি যে কোন বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম। তাই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স চালিত চিকিৎসায় ভুল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। এছাড়াও সচলিত ডায়াগনস্টিক টুলস চিকিৎসা ব্যবস্থাকে আরও সহজ করে দিয়েছে। এ সকল ডায়াগনস্টিক টুলস ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় এবং সঠিক চিকিৎসার পরিকল্পনা পেতে পারি।
আমাদের গ্রহের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য অনেক দামি দামি এবং অনেক মূল্যবান যন্ত্র আবিষ্কৃত হয়েছে। এসবের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি আমাদের পরিবেশে কখন কি হতে চলেছে। এই যন্ত্র গুলো অনেক সময় ভুল তথ্য দিয়ে থাকে। এছাড়াও এসব যন্ত্র থেকে জানা যায় না যে এমন পরিস্থিতিতে আমরা কি করতে পারি। এক্ষেত্রে আমরা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সহায়তা নিতে পারি। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স আমাদেরকে জানিয়ে দিবে যে আগামীতে কি হতে চলেছে এবং এর প্রতিকার সম্পর্কেও আমাদেরকে জানিয়ে দিবে। তাই এটির মাধ্যমে আমরা আগে থেকেই পরিবেশের অবস্থা জানতে পারবো এবং এসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে পারব।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দ্বারা পরিচালিত পরিবেশ পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা আমাদেরকে আগেই জানিয়ে দেয় কি ধরনের ঔষধ এবং কি ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রয়োগে ফসলের পরিমাণ বৃদ্ধি হতে পারে এবং প্রচুর পরিমাণে ফলন পাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও কীভাবে খাদ্য সম্পদ সংরক্ষণ করলে এটি অনেক দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যাবে তা সম্পর্কেও ধারণা পেতে পারি আমরা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর কাছ থেকে। বাংলাদেশের কৃষকদের জন্য এই ব্যবস্থা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এর মাধ্যমে তারা যেকোনো ফসলের অনেক বেশি ফলন পেতে পারে।
এ ধরনের পরিষেবা আমরা সকলেই কখনো না কখনো উপভোগ করেছি। যেকোনো ধরনের প্রশ্ন এর উত্তর দিতে পারে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। এই সুবিধার নামে দেওয়া হয়েছে গ্রাহক পরিষেবা। দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে আপনি কোন অসুবিধায় পড়লে সাথে সাথে যে কোনো আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স চ্যাটবট কে জানালে সে তার প্রতিকার সম্পর্কে আপনাকে জানিয়ে দিবে। এর ফলে আপনি দ্রুত সে সমস্যাটি থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন।
বর্তমান বিশ্বে এমনি জগতে আমাদের তথ্যগুলো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তবে এ বিষয়ে আমাদেরকে সাহায্য করতে পারে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। অর্থাৎ কোন সময় কোন ক্ষেত্রে কি ধরনের স্টেপ আমাদেরকে নিতে হবে এ বিষয়ে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স আমাদেরকে সহায়তা করতে পারে। অনলাইনে নিজের তথ্যকে নিরাপদ রাখার মতো কঠিন কাজ কেউ অত্যন্ত সহজ করে দিয়েছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দ্বারা চালিত সাইবার নিরাপত্তা সরঞ্জামগুলি হ্যাকিং এবং অন্যান্য সাইবার হুমকি থেকে আমাদের ডাটা রক্ষা করতে পারে।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দ্বারা চালিত নতুন যে সব গেমসগুলো বের হচ্ছে সেসব অত্যন্ত আকর্ষণীয়। এসব গেমস এর ক্ষতিকর প্রভাব অনেক কম থাকায় বাচ্চাদেরকে এসব গেমস খেলতে দিলে কোন চিন্তা করতে হবে না। এছাড়াও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স চালিত অন্যান্য বিনোদন সরঞ্জাম গুলি অত্যন্ত মজার এবং সুন্দরভাবে বিনোদন দিয়ে থাকে।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করার সময় নৈতিক নীতিগুলো ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এ সম্পর্কে আপনি যখন বিস্তারিত জানতে পারবেন তখন নিশ্চয়ই আপনি এটির ব্যবহার কমিয়ে দিবেন। এবং সম্ভব হলে এটির ব্যবহার ছেড়ে দিবেন। এজন্য আপনাকে পূর্বে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করার সময় নৈতিক নীতিগুলো ব্যবহার করা যাবে কিনা। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কখনোই এমন ভাবে ব্যবহার করা উচিত নয় যা মানুষের জন্য ক্ষতিকারক। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর কিছু এমন ব্যবহার রয়েছে তা আপনার জন্য মজাদার মনে হলেও অন্যদের জন্য ক্ষতিকারক। যেমন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে আপনি খুব সহজে হ্যাকিং করতে পারবেন।
এটা আপনার জন্য মজাদার এবং আনন্দের হলেও আপনি যার ক্ষতি করার চেষ্টা করছেন তার জন্য অত্যন্ত কষ্টের। তাই এমন কোন কাজে নিজেকে জড়িত রাখবেন না যাতে অন্য কোন মানুষের কষ্ট হয়। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এমনভাবে ব্যবহার করা উচিত নয় তাতে মানুষ চাকরি হারায়। এর একটি বড় উদাহরণ হল চিকিৎসা এবং পরিবহণ। আমরা আগেই চিকিৎসা এবং পরিবহনে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার সম্পর্কে জেনেছি। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবহণ ক্ষেত্রে ড্রাইভাররা নিজেদের চাকরি হারাচ্ছে। এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানে এটির ব্যবহারের মাধ্যমে ডাক্তাররা নিজেদের চাকরি হারাচ্ছে। তাই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কখনো এমন ভাবে ব্যবহার করা উচিত নয় যাতে এই ধরনের মানুষগুলো নিজেদের চাকরি হারিয়ে বিপদে পড়ে যায়। তাই এটির ব্যবহার নিরাপদ এবং কম রাখতে হবে।
অবশেষে এটাই বলা যায় যে, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর যেমন অনেক উপকারী দিক আছে তেমনি কিছু ক্ষতিকর দিক আছে। প্রতিটি জিনিসের ক্ষেত্রে এমনই। তাই কোন জিনিসে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যবহার করা উচিত নয়। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যবহার আপনার জীবনে অত্যন্ত খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই এটির ব্যবহার অবশ্যই কমাতে হবে। সর্বশেষে, আজকের আর্টিকেলে আমরা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে জেনেছি। আজকের টিউন নিয়ে যদি আপনার মনে কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই তা টিউমেন্ট করে জানাবেন। আপনার করা টিউমেন্টে গঠনমূলক হলে তা অবশ্যই আমি আমার টিউনে যুক্ত করে দেবো। এছাড়াও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) নিয়ে আরো নতুন কিছু জানতে চাইলে সেটিও অবশ্যই টিউমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।
তো বন্ধুরা, এই ছিল আমাদের আজকের টিউন, বাস্তব জীবনে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) এর সঠিক ব্যবহার! আশাকরি টিউন টি আপনাদের একটু হলেও হেল্পফুল হবে। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি, দেখা হবে পরবর্তী টিউনে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। ততক্ষণ অবধি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং টেকটিউনস এর সাথেই থাকবেন।
আমি স্বপন মিয়া। Sonic টিউনার, টেকটিউনস, গাইবান্ধা, রংপুর। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 1 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 107 টি টিউন ও 29 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 4 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
টেকনোলজি বিষয়ে জানতে শিখতে ও যেটুকু পারি তা অন্যর মাঝে তুলে ধরতে অনেক ভালো লাগে। এই ভালো লাগা থেকেই আমি নিয়মিত রাইটিং করি। আশা করি নতুন অনেক কিছুই জানতে ও শিখতে পারবেন।