আসসালামু আলাইকুম,
হ্যালো টিটি লাভারস, আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভাল আছি। কিন্তু শুনলাম কেউ কেউ নাকি ভাইরাস জনিত সমস্যায় ভুগতেছেন??? চিকুন গুনিয়ার কথা বলি নি কিন্তু। আমি বলেছি কম্পিউটার ভাইরাস এর কথা।
কারও নাকি ওয়েব ব্রাউজার ওপেন করলেই বিভিন্ন লিংকে ঢুকে যায় অটোমেটিক??এইডা কেমন কথা?আপনার নিজের টাকা দিয়ে কেনা কম্পিউটার আরেকজনের এড নিজে থেকেই দেখতেছে।এইটা কেমন হয়ে গেল না?
অনেকের কম্পিউটার নাকি মাঝে মধ্যেই ভুতে এক্সেস করে? হা হা হা ভয় পাইয়েন না। আমি হ্যাকারদের কথা বলেছি। হ্যাকাররা শুধু টাকার জন্য নয়। অনেক সময় মজা করার জন্যও আপনার কম্পিউটারে ঢুকে আপনার কোনো ফাইল ডিলিট করে দিয়ে আপনার সাথে মজা করতে পারে। চলুন একটা মজার ঘটনা শেয়ার করেই ফেলি।
এই তো কিছুদিন আগের কথা। আমার এক ফ্রেন্ড ফেসবুকে তার ইনবক্সে দেখলো তার অন্য এক ফ্রেন্ড তার নিজের ছবি সহ একটা লিংক পাঠিয়েছে। তো আমার ফ্রেন্ড ক্লিক করলো দেখলো ইউটিউব এর একটা ভিডিও। কিন্তু আসলে এটা ছিল ইউটিউবের মত দেখতে একটা সাইট। সে এড্রেস বার খেয়াল করে নাই। সেখানে অন্য কিছু লিখা ছিল। তো যাই হোক ভিডীও টা প্লে হচ্ছিলো না। ওয়েবসাইট থেকে একটা Extention এড করতে বলতেছিল। তো সে add extention এ ক্লিক করে এড করলো। কিন্তু ভিডীও আর দেখা হলো না। এদিকে কিছুক্ষণ পরই সেই ভুতের ছায়া দেখা গেল আমার একাউন্টে। কি ভাবছেন আমার একাউন্ট হ্যাক হলো কি না? extention add করলো আমার ফ্রেন্ড আমার একাউন্ট হ্যাক হবে কোন দুঃখে ? না।তেমন কিছু হয় নি।
হয়েছিল কি?? আমার ফ্রেন্ড এর একাউন্ট এর পাসওয়ার্ড হ্যাকার এর কাছে চলে গিয়েছিল।পাসওয়ার্ড টা চেঞ্জ করে হ্যাকার আমার সাথে চ্যাটিং করতেছিল। আমাকে ইংরেজিতে জিজ্ঞাসা করলো আমি কি এই আইডির মালিককে চিনি কি না??? আমি বললাম হ্যা চিনি,আমার ফ্রেন্ড। উনি বললেন, আপনার ফ্রেন্ড এর একাউন্ট হ্যাক হয়ে গেছে। আমি হ্যাক করেছি। আমি বললাম আপনার পরিচয়? বলল, গাজা হ্যাকার টিম থেকে আমি এই একাউন্ট হ্যাক করেছি। আমি বললাম, কেন হ্যাক করলেন জানতে পারি? আপনি কি চান? উনি বললেন, আমি কিছু চাই না।
আমি বলালাম তাহলে কেন হ্যাক করলেন? উনি বললেন, এটা শুধু হ্যাকিং প্রাক্টিস এর জন্য আমি হ্যাক করেছি। প্রতিদিন আমরা অসংখ্য একাউন্ট হ্যাক করি শুধুমাত্র প্রাক্টিস এর জন্য। হ্যা, হ্যাকার টা সত্যিই বলেছিল। কারণ উনি যদি সত্যিই অসৎ উদ্দেশ্যে হ্যাক করতেন তাহলে ঐ আইডির ফোন নাম্বার এবং ইমেইল রিমোভ করে উনার নাম্বার বসিয়ে ফেলতেন। এরপর উনাকে বললাম, আমিও হ্যাকিং শিখতে চাই। আমি কি আপনার ফ্রেন্ড হতে পারি???এরপর উনি যা বললেন সেটা শুনেই আপনি অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন।
উনি বললেন, "আমরা হ্যাকার।আমরা কাউকেই বিশ্বাস করি না। আমাদের কোনো ফ্রেন্ড নাই।" হা হা হা... এখনও অজ্ঞান হন নি?? আসলে কথার কথা বলেছি আর কি
যাই হোক, এটা একটা ঘটনা শেয়ার করলাম।এরকম লাখ লাখ ঘটনা ঘটতেছে প্রতিদিন। হয়ত আপনার কম্পিউটারটিও হ্যাকারদের কব্জায় আছে তাদের কোনো ক্র্যাক ফাইল এর মাধ্যমে। হয়ত কোনো ক্র্যাক ফাইলে তাদের হ্যাকিং স্ক্রিপট ঢুকিয়ে দিতে পারে যেকোনো সময়। তাই এগুলো প্রতিরোধের একমাত্র উপায় হচ্ছে এন্টিভাইরাস। সবাই জানি, এন্টিভাইরাসও টাকা দিয়ে কিনতে হয়। আর একারণেই অধিকাংশ মানুষ এন্টিভাইরাস ব্যবহার করে না।
আর তাদের কথা ভেবেই আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি বেশ কিছু জনপ্রিয় এন্টিভাইরাস। যেগুলো আপনারা ফ্রিতেই পাবেন। প্রিমিয়াম সুবিধাগুলো হয়তো ফ্রী ভার্শনে পুরোপুরি পাবেন না। কিন্তু যতটুকুই পাবেন আশা করি সেটা আপনার ব্যক্তিগত কম্পিউটারের নিরাপত্তার জন্য তা যথেষ্ট। কথায় আছে না, "নাই মামার থেকে কানা মামা ভালো। " অন্তত আপনার বিপদে চিতকার দিয়ে সবাইকে জানিয়ে দিতে পারবে যে তার ভাগিনা বিপদে পড়েছে।
আচ্ছা বক বক অনেক করলাম এবার চলুন নিয়ে নিই আপনার কাংখিত জনপ্রিয় এন্টিভাইরাসগুলোর ফ্রীতে।
বর্তমানে অ্যাভাস্ট ফ্রী এন্টিভাইরাস খুবই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। CNET এর Download.com এর পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে, এর জনপ্রিয়তা AVG এবং AVIRA এন্টিভাইরাসকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে। অন্যান্য এন্টিভাইরাস এর ফ্রী ভার্শনে অনেক সমস্যা দেখা যায়,যেমন পিসি স্লো হয়ে যাওয়া বা নেট স্পিড কম পাওয়া, বা একেবারেই কম প্রটেকশন দেয়া।কিন্তু অ্যাভাস্ট এদিক থেকে অন্যান্য এন্টিভাইরাস থেকে অনেক এগিয়ে। তারা সেফজোন, ফায়ারওয়াল ও এন্টিস্প্যাম ব্যতিত প্রায় সকল প্রিমিয়াম ফিচার দিয়ে থাকে তাদের ফ্রী ভার্শনেই।তাদের ওয়েবসাইটের ফ্রী ভার্শনের ফিচারে স্যান্ডবক্স ফিচার অনুপস্থিত থাকলেও প্রকৃতপক্ষে ফ্রী ভার্শনেও তারা এই ফিচারটি দিয়ে রেখেছে।
ভাইরাস এবং স্পাইওয়্যার রিমোভ করা ছাড়াও আরও বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ফিচাররের জন্য আমরা অ্যাভাস্ট কে আমাদের পছন্দের লিস্টে রাখতে পারি। এভ্যাস্ট অ্যান্টিভাইরাস খুব সামান্য মেমরি ব্যবহার করে এবং স্বয়ংক্রিয় স্যান্ডবক্স, বুটিং এর সময় স্ক্যান, রিমোট এসিস্টেন্স, বিরক্তিকর ব্রাউজার সুরক্ষা প্লাগইন, ৮টি বিভিন্ন বাস্তবমুখী সার্ভিস এবং ক্লাউড সেবা ইত্যাদি অতিরিক্ত সার্ভিস দিয়ে থাকে।
Download avast! Free Antivirus
এবার চলুন অন্য আরেকটি এন্টিভাইরাস সম্পর্কে জেনে নিই।
avg এন্টিভাইরাসের ফ্রী ভার্শন টিও খুবই জনপ্রিয় একটি এন্টিভাইরাস। avast এর পরই এর স্থান। উইন্ডোজ ৮ এর আধুনিক ui এর সাথে মিলে এমন একটি আপডেট গ্রাফিক্যাল ইন্টারফেস আছে avg এন্টিভাইরাসে। এটি আপনার কম্পিউটারকে ভাইরাস, বিপজ্জঙ্ক ইমেইল, ওয়েব ভিত্তিক আক্রমণ এবং ব্যক্তিগত তথ্য চুরির হাত থেকে রক্ষা করতে সক্ষম। এন্টি স্প্যাম, ফায়ারওয়াল এবং পারফরমেন্স ফিক ফাংশঙ্গুলি ফ্রী ভার্শনে পাওয়া যায় না। তবে usa এবং uk এর ফোনগুলোতে এই সুবিধাগুলোও পাওয়া যায় ফ্রী ভার্শনে।
এটি আপনার কম্পিউটার ব্যবহার করার উপযোগী একটি এন্টিভাইরাস। এটি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পূণাঙ্গ এন্টিভাইরাসে পরিণত হয়েছে। এর স্পাইওয়্যার প্রটেকশন সিস্টেম খুবই শক্তিশালী। প্রথমদিকে এটা যদিও ততটা ইউজার ফ্রেন্ডলি ছিল না। কিন্তু এখন ভাল।
তবে অধিকাংশ এডভান্সড প্রটেকশন ফিচার গুলো ফ্রী ভার্শনের gui তে অনুপস্থিত।ইন্সটলেশন প্রসেস একদম সহজ। কারণ ৬এম্বি সাইজের ইনস্টলার স্বয়ংক্রিয়ভাবে কম্পিটারে এন্টিভাইরাসের লেটেস্ট ভার্শনটি ইনস্টল করে।এছাড়াও এতে রয়েছে গেমিং মোড। ফুল স্ক্রিনে গেমস খেলার সময় কোনো নোটিফিকেশন আসলেও গেমস্টি ফুল স্ক্রিনেই চলতে থাকবে।
Download Ad-Aware Free Antivirus+:
avira ভাইরাস ডিটেকশনে খুবই পারদর্শী।উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে নিরবে চালিত সবকিছুকেই ট্যাগ করে এই এন্টিভাইরাস। অভিরা ইন্সটল করার পর শুধুমাত্র ভাইরাস, ট্রোজান, স্পাইওয়্যার এবং ম্যালোয়ারের ছাড়া বাকি অপশগুলো ব্যবহার করা যাবে না ফ্রী ভার্শনে। তবে যেগুলো ব্যবহার করা যাচ্ছে এগুলোকে প্রটেকশন দিলেই আপনার পারসোনাল কম্পিউটার অনেকটা নিরাপদ।
avira ফ্রী রেংকিং এ ১নাম্বারে ছিল। কিন্তু এখন সেটা ৪নম্বরে চলে গেছে। কারণ হচ্ছে তাদের এই এন্টিভাইরাস ইনস্টল দেয়ার সময় সকল ওয়েব বাউজ্রারে ask.com এর একটা Toolbar এড হয়ে যায়। যেটা অনেক ইউজার এর কাছেই বিরক্তিকর। তাই তাদের রেঙ্ক কিছুটা পিছিয়েছে। তবে জিনিসটা ভালো।
জোন এলার্ম (এখন চেক পয়েন্টের মালিকানাধীন), তাদের শক্তিশালী ফায়ারওয়াল অ্যাপ্লিকেশন এর জন্য তারা সুপরিচিত। তারা kaspersky দ্বারা পুরষ্কার বিজয়ী একটি এন্টিভাইরাস ইঞ্জিন যুক্ত করেছে। আপনি হয়ত জানেন না যে, kaspersky সর্বদা একটি শেয়ারওয়্যার তৈরি করে রেখেছে যা স্বাধীনভাবে ভাইরাস ডিটেকশন করতে পারে এবং তারা এ জন্য শীর্ষস্থানেও রয়েছে যদিও তারা প্রথম স্থানটি গ্রহণ করে না। জোন এলার্ম কে ধন্যবাদ দেয়া দরকার একারণে যে, আমরা তাদের মাধ্যমে kaspersky engine কে ফ্রীতে ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছি।
বেশিরভাগ ফ্রি অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার রিয়েল টাইম ভাইরাস সনাক্তকরণ এবং সুরক্ষা ছাড়াও খুব কম দক্ষতা প্রদান করে থাকে। কিন্তু যদি আপনার কম্পিউটারে হ্যাকারদের থেকে সুরক্ষা পাওয়ার প্রয়োজন হয় তবে সত্যিকারের ভাল অ্যান্টিভাইরাস ইঞ্জিন, পরিচয় সুরক্ষা এবং ফায়ারওয়াল দিয়ে তা মোকাবেলা করতে হবে। আর ক্ষেত্রে জোন এলার্ম খুবই দক্ষ একটি এন্টিভাইরাস।
Download Zone alarm Free Antivirus+
আমি জানি আপনারা হয়ত ইতোমধ্যেই অনুমান করে ফেলেছেন যে, এইটা মাইক্রোসফট এর একটি নিজস্ব প্রোডাক্ট। হ্যা এটা তাদেরই প্রোডাক্ট এবং এটা সকল উইন্ডোজ ব্যবহারকারীদের জন্য তারা ফ্রী করে দিয়েছে। এই এন্টিভাইরাস রিয়েল টাইম ম্যালওয়্যার নিরাপত্তা দিয়ে থাকে।
এছাড়া এর রয়েছে সিডিউলিং স্ক্যানিং। এই এন্টিভাইরাসটি এমন ভাবে কনফিগার করা হয়েছে যে, যেন ব্যবহারকারী এই এন্টিভাইরাস ব্যবহারে বিরক্ত বোধ না করে। তাই এই এন্টিভাইরাস তখন স্ক্যানিং করে যখন ব্যবহার কারী তার পিসিতে কোনো কাজ করে না। এটি সিপিইউ এর সর্বোচ্চ ৫০% সিপিইউ ব্যবহার করে।
সামঞ্জস্যতা ও স্থিতিশীলতার জন্য আমি সাজেষ্ট করি মাইক্রোসফট সিকিউরিটি এসেনশিয়াল ব্যবহার করতে।
Download microsoft security essentials Free Antivirus
পান্ডা হল ক্লাউড প্রথম নিরাপত্তা সংস্থা যারা প্রথম ক্লাউড ভিত্তিক এন্টিভাইরাস অফার করে। ক্লাউড ভিত্তিক এন্টিভাইরাসে এনালাইসিস করার জন্য যেসকল ডাটা লোড করতে তার খুব অল্প পরিমাণ লোকাল কম্পিউটারে থাকে আর অধিকাংশ অংশ থাকে ক্লাউডে। তাই কম্পিউটার এর হেলথ ও ভাল থাকে। ফ্রী ভার্শনে আপনি পাবেন রিয়েল টাইম এন্টিভাইরাস, এন্টি স্পাইওয়্যার, কম্পিউটার এর আচরণ বিশ্লেষণ, ক্ষতিকর ফাইল ডিটেকশন, প্রসেস মনিটরিং আর ওয়েব ফিল্টারিং।
এটা ব্যবহারগত সুবিধার দিক থেকে ১নম্বরে যাওয়ার যোগ্যতা রাখে। কিন্তু যখন এটা ইনস্টল করা হয় তখন একটা টুলবার ইন্সটল হয়ে যাবে আপনার ব্রাউজারে যা আপনার ডিফল্ট হোমপেজ এবং সার্চ ইঞ্জিনকে পরিবর্তন করে ফেলবে। এই টুলবার পরিবর্তন অনেকের কাছেই বিরক্তিকর হতে পারে।
Download panda cloud Free Antivirus
এই এন্টিভাইরাস টি চীন থেকে তৈরি করা হয়ছে। তাদের দাবী অন্যান্য এন্টিভাইরাসের তুলনায় তাদের দেশের বৃহত্তম ব্যবহারকারীরা এই এন্টিভাইরাস ব্যবহার করে। তাদের প্রথম ভার্শন ছিল চাইনিজ ভাষায়। পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক ভাবে রিলিজ করার জন্য তারা ইংরেজি ভাষা এন্টিভাইরাসটিতে যোগ করে।
তাদের ফ্রি ভার্শন এবং পেইড ভার্শনের পার্থক্য দেখিয়ে যদিও তাদের ওয়েবসাইটে একটা চার্ট পাবলিশ করা হয়েছে। ফ্রী ভার্শনে তারা বিভিন্ন এডভারটাইজমেন্ট ও নিউজ দেখায়। তাদের এন্টিভাইরাস মডিউল ছাড়াও আপনার সিস্টেমকে আরও সুরক্ষিত রাখার জন্য আপনি ৬টি অতিরিক্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা পেতে পারেন।তাদের অনন্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, টুলস ট্যাব থেকে রাইজিং ইন্সটলেশন প্যাকেজ তৈরি করে আপনি আপনার নিজস্ব রাইজিং এন্টিভাইরাস ইন্সটলার তৈরি করি করতে পারবেন।
যদিও তাদের ওয়েবসাইটে আপডেটেট সকল ইনফরমেশন হয়ত আপনি পাবেন না। তবে তাদের এন্টিভাইরাস প্রতিদিনই আপডেট হচ্ছে।
Download Rising Free Antivirus
কিং সফট আরেকটি চাইনিজ কোম্পানী যাদের হেড কোয়ার্টার বেইজিং এ। তারা মাইক্রোসফট অফিসের বিকল্প অফিস এপ্লিক্যাশনের জন্য খুবই বিখ্যাত। কোম্পানি ১০বছর ধরে এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার নিয়ে কাজ করতেছে। Kingsoft Antivirus একটি সম্পূর্ণ অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম যা আপনার কম্পিউটার থেকে ভাইরাস স্ক্যান এবং রিমোভ করতে সক্ষম, আপনার ওয়েব ব্রাউজার, ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং, ভিডিও দেখতে, ফাইল ডাউনলোড এবং এমনকি USB ফ্ল্যাশ ড্রাইভের সুরক্ষা প্রদান করে।এর রয়েছে এন্টি হ্যাকার মডিউল যা ফায়ারওয়াল এর মতও ভুল করে না।
অ্যান্টি হ্যাকার,রিমোট অ্যাক্সেস টুল (আরএটি) ট্রোজান থেকে শুরু করে সাধারণ অ্যাকশনগুলির বিরুদ্ধে অতিরিক্ত সুরক্ষা প্রদান করে।যেমন গোপনে ওয়েবক্যাম চালু করা এবং সিলেক্ট করা পিসিকে নিয়ন্ত্রণ করা। এর ফিচারে আরো আছে, ঝুঁকিপূর্ণ স্ক্যানার, সিডিউলার, প্রসেস ম্যানেজার, সাইলেন্ট মোড ইত্যাদি।কিং সফট এর দুটি ডিস্ট্রো রয়েছে, একটা ক্লাউড বেজড আরেকটা লোকাল বেজড।
যদিও ফোরাম তথ্য সামান্য বিভ্রান্তিকর, এটি জানা যায় যে অন্তত স্থানীয় সংস্করণটি আসন্ন ২013 সংস্করণে চমৎকার এভিরা অ্যান্টিভাইরাস ইঞ্জিন অন্তর্ভুক্ত করবে।
Download Kingsoft Free Antivirus
fortinetclient,fortinet দ্বারা তৈরিকৃত একটি এন্টিভাইরাস, যা নেটওয়ার্ক নিরাপত্তা প্রদান করে থাকে। FortiClient এর ফ্রী ভার্শনে আপনি পাবেন ভিপিএন, টু ফেক্টর অ্যাথেন্টিকেশন, অ্যান্টিভাইরাস, ওয়েব ফিল্টারিং, ওয়েব অপ্টিমাইজেশান, অ্যাপ্লিকেশন ফায়ারওয়াল, দুর্বলতা স্ক্যানিং এবং ক্লায়েন্ট সার্টিফিকেট সাপোর্ট।
সামগ্রিকভাবে এটা খুবই ভাল একটা এন্টিভাইরাস। ইনস্টল করা এবং কনফিগার করা খুবই সহজ।VB100 পরীক্ষায়, তারা ১১ টির মধ্যে ১০ টি পাস করেছে, ১টি ভুল ইতিবাচক কারণে ১ টি ব্যর্থ হয়েছে। এটা ব্যাপার না সবারই কিছু বাগ থাকতে পারে। তারা সেটা হয়ত ডিবাগও করে ফেলেছে। উল্লেখ করার মত বিষয় হচ্ছে, FortiClient 5.0 ডিফল্টভাবে ১১টি বিভিন্ন প্রসেস পর্যন্ত রান করে।
অনেক কথাই তো বললাম। কিছু ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আর ভাল লাগলে লাইক, টিউমেন্ট, শেয়ার এবং নির্বাচিত মনোনয়নে ক্লিক করতে ভুলবেন না কিন্তু।
আর ফ্রীতে যদি কেউ eset smart security এর অরিজিনাল লাইসেন্স কি নিতে চান তাহলে আমাকে ফেসবুকে মেসেজ দিতে পারেন। আবারও বলছি সম্পূর্ন ফ্রী, কারও কাছ থেকে কোনো টাকা নেয়া হবে না।
পরিশেষে, ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন, প্রযুক্তিকে ভালবাসুন আর প্রযুক্তির সাথেই থাকুন।
আল্লাহ হাফিজ।
আমি মোঃ আশিকুর রহমান সরল। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 8 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 83 টি টিউন ও 102 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 12 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি একজন প্রযুক্তি প্রেমী।কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এ লেখাপড়া করছি।পৃথিবীকে নতুন কিছু করে দেখাতে চাই। My Website
আমি 360 total security ব্যবহার করি।